রহস্যময় একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে পাণ্ডব গোয়েন্দাদের এবারের এই জমজমাট অভিযানের সূচনা। রহস্যের কিনারা করতে গিয়েই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ল। মহাভারতের কাহিনী না হলেও মহান ভারতের পটভূমিতে পাণ্ডব গোয়েন্দাদের বিচরণ। অবাধ ও স্বচ্ছন্দ এই বিচরণে পঞ্চু ও পঞ্চপাণ্ডবের সহযোগী হয়ে পড়েছে রাজকুমারী, সুদেষ্ণা, মিস মানেকা ও ল্যাংচার মতো এক দুঃসাহসী ছেলে। রহস্যের মূল নায়ক গোল্ডেন প্রিন্স। প্রিন্স-এর চাতুরি, কার্ভালোর খলতা সবকিছুকে ছাপিয়ে জটিল ঘটনাপ্রবাহের পরিসমাপ্তি ঘটল নাগিনী কন্যা নিশা-র আবির্ভাবে। যে-কাহিনী শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের চেনাজানা পরিবেশে, কোডারমার জঙ্গলে লালকুঁয়ার প্রাসাদে ঘটল তার মধুর সমাপ্তি। প্রিন্স কি ধরা পড়ল? কী হল সেই নিষ্ঠুর দেশদ্রোহীর? সারমেয় পঞ্চুর অসমসাহসী কার্যকলাপ কোন-কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে ঘটল? সব মিলিয়ে টানটান, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় ভরা এবারের অভিযান।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।