Passionate about writing. The prior stories and poems were published in several magazines throughout years. First book was published in 2013. The next book was also at the same year. Both were collaboration work with other writers in story collections.
First novel was published in 2014, in Bangladesh.
Currently working on several novels, in various genres.
হিমু পড়লাম বলাই বাহুল্য অনেকদিন পর এবং উপন্যাসটা বের হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের একজন ভক্ত লেখকের কলম থেকে। আমার নিজস্ব , একদম ব্যাক্তিগত কিছু অভ্যাস আছে,পছন্দ অপছন্দ আছে।আমি কোন লেখকের সৃষ্টি কোন ক্যারেক্টার বা গল্পের ছায়ায় অন্য কেউ কিছু লিখলে তা সহজে আপন করে নিতে পারিনা,তাছাড়া এমনিও আমি যথেষ্ট খুঁতখুঁতে। তাই বইয়ের ভূমিকায় লেখকের বারবার বলে দেওা সত্ত্বেও অজান্তেই আমি স্যার হুমায়ূন আহমেদএর লেখনির সাথে তুলনা করেছি এবং নিশ্চিতভাবেই হতাশ হয়েছি।যেহেতু হিমু কে নিয়ে লেখা এবং তার আশেপাশের পরিবেশ এবং অন্যান্য সম্পর্ক গুলোউ এক রেখে লেখা সুতরাং তুলনা না করে আমি পারিনি।কিছু কিছু জায়গায় আমার মনে হয়েছে লেখক চেষ্টা করেছেন পরিচিত হিমুর গণ্ডি ছেড়ে তাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে,তাই এই হিমুকে ঘন ঘন তার কর্মকাণ্ডের কারণ ব্যাখ্যা করতে দেখেছি।কিছু কিছু জায়গায় ভালো লেগেছে কিছু কিছু জায়গায় হিমুকে আদিখ্যেতার চূড়ান্ত বলে মনে হয়েছে।গল্পের প্লটের ক্ষেত্রে আমি তেমন কোন নতুনত্ব পাইনি।পুরাতন সমস্ত হিমুর বইয়ে যা যা দেখেছি তার সব কিছুরই অল্প অল্প অংশ নিয়ে সম্পূর্ণ কাহিনী।হিমু এবং কবিবরের মধ্যেকার পদ্য চালাচালি বিরক্তের উদ্রেক করেছে বরং আমি আশা করেছিলাম হিমুর মুখ দিয়ে আর চমকপ্রদ কিছু বের হবে যা কবিকে নির্বাক করে দিবে।এটুকু স্বীকার করতে বাধ্য যে লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর বিশাল ভক্তদের একজন নাহলে এমন ছায়া সম্বলিত লেখা রচনা করা সহজ নয়।এখানে ওখানে খেয়াল করলে লেখকের মৌলিকত্ব প্রকাশ পায় যা পরক্ষনেই চাপা পরে যায়।বাংলাদেশী তরুণ যুবকরা প্রত্যেকেই জীবনের একটা না একটা মুহূর্ত ঠিকই ব্যায় করেছে নিজেকে হিমু কল্পনা করে। এই স্বপ্ন স্রস্টাকে সম্মান জানানোর জন্য ফ্যানফিকশন হিসাবে লেখাটাকে ভালোর খাতায় ফেলা গেলেও ব্যাক্তিগত পছন্দের দিক দিয়ে মাঝারির ঘরে আটকে রাখতে হচ্ছে।