যমজ দুই ভাই। একজন ভালো, অন্যজন মন্দ। এদের নিয়েই মহাজটিল এক ধাঁধায় পড়ে গেছে অয়ন, জিমি আর রিয়া। কে যে আসলে ভালো, আর কে মন্দ, সেটাই বোঝা দায়।
টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংক ডাকাতির মধ্যে পড়ে গেল অয়ন-জিমি। চেষ্টা করেও থামাতে পারল না ডাকাতকে, তবে দেখে ফেলল তার চেহারা। সে রাতে একই চেহারার আরেক লোক এসে হাজির। ডাকাতের যমজ ভাই বলে নিজের পরিচয় দিল সে। ওদের অনুরোধ করল তার ভাইকে খুঁজে দিতে। বান্ধবী রিয়াকে নিয়ে পলাতক ডাকাতের খোঁজে বেরিয়েই হতবুদ্ধিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে গেল অয়ন আর জিমি। ক্রমেই ঘনিয়ে উঠল রহস্য। দেখা দিল সন্দেহ আর অবিশ্বাস। দুই যমজের মধ্যে কে ভালো আর কে মন্দ, তা নিয়েই বেধে গেল গন্ডগোল।
অয়ন জিমি পড়া হয় মূলত পুরনো তিন গোয়েন্দার নস্টালজিয়াকে উপভোগ করার জন্য। তবে বলতে দ্বিধা নেই, ওদের নিজেদেরই স্বতন্ত্র লিগ্যাসি দাঁড়িয়ে গেছে এখন, তিন গোয়েন্দার "মত" বলার সুযোগ নেই এখন আর।
যমজ-কাণ্ডে রহস্যটা বেশ মজার ছিলো, কনফিউজিংও। তবে এ বইটায় সবচেয়ে নজরে এলো হিউমারের পার্টটা, রহস্যের সাথে দারুণ ভাবে অয়ন জিমি রিয়ার ছোট ছোট ডায়ালগের হিউমার দারুণ একটা কম্বিনেশন হয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় পড়তে গিয়ে অনাবিল হাসি ছড়িয়ে পড়েছে মনে, মগজে।
ও হ্যাঁ, রিয়াকে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে অনেকদিন পরে। জিমির সাথে খুনসুটি গুলোও আরোপিত লাগে নি, বা অতিরিক্ত মনে হয় নি (আগের কোন একটা বইয়ে লেগেছিলো, মনে আছে।) অয়নও এবার জিমিকে কিল, লাথি ভালোই হাঁকিয়েছে। কমতির মধ্যে একটাই, অয়নের বিখ্যাত লেকচার ছিল না কেবল এতে।
আনন্দের জন্যই বই পড়া হয় যদি, দারুণ আনন্দ পেয়েছি বইটি পড়ে।