'তুমি কয়দিন এই স্কুলে পড়তে চাচ্ছ, ভালো। কিন্তু বড় ধরনের দুষ্টুমি করে কোনো ক্ষতি করবে না তো আমাদের।' হেড স্যার চেয়ারটা আর একটু পেছনে ঠেলে বললেন, 'তোমাকে বিশ্বাস করবো কিভাবে আমরা!'
'বিশ্বাস আসলে অন্য রকম জিনিস স্যার।' রাসাদ মাথা চুলকাতেই চুলকাতেই বলল, 'বিশ্বাসের ইংরেজি হচ্ছে Believe. এই Believe-এর মাঝেই কিন্তু lie লুকিয়ে আছে, যার মানে মিথ্যা।'
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন রাসাদের দিকে। আবার ঘামতে শুরু করেছে সে। এতক্ষণ সে যা বলেছে, তার সবগুলোই মিথ্যা বলেছে সে। দুর্দান্ত একটা কাজ করতে সে এই স্কুলে এসেছে। আপাতত কাউকে বলা যাবে না সেটা। খুব গোপনভাবে কাজটা করতে হবে তার। কেউ টের পেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে স্কুলের, স্কুলের সব ছাত্রের!
Sumanto Aslam ( Bengali: সুমন্ত আসলাম) is a Bangladeshi journalist and novelist. He was the sectional editor of Alpin, the weekly satirical supplement of Prothom Alo and wrote his editorial under the banner "Boundule". Now he is the sectional editor of Pachal.
ছোটদের জন্য বই। মোটামুটি ধরনের, আমার পড়া লেখকের প্রথম বই। অসাধারণ কোনো গল্প না, তবে ছোটরা পড়ে মজা পেতে পারে। মাঝখানে কিছু মজার কথা রয়েছে, বহুদিন আগে পড়ায় পুরো কাহিনী মনেও নেই। মূলত বইটার নাম দেখে ইন্টারেস্টেড হয়েই অনলাইন থেকে নিয়েছিলাম (আরণ্যক থেকে)। বড়রা পড়লে তেমন ভাল লাগবে না, ছোটদের জন্য খারাপ না :)
সাধারন গল্প।এক বন্ধুর অনুরোধে পড়েছিলাম।মনে করেছিলাম বড় মানে কোনো গল্প।কিন্তু পড়ে শেষ করে মনে হলো এর ৬০% বাস্তবের সাথে মিল নেই।বর্তমানে বাংলাদেশে আপনি যে কোনো ভালো নামকরা স্কুলে গিয়া অফিস রুমে হেড স্যারের কাছে অবেদন করেন যে আপনি এই স্কুলে কিছু দিন পড়বেন। ও রোল নাম্বার শূন্য রাখতে তাহলে স্যার এক কথায় আপনার কথা মানবে না।এখানে এই বিষয় টা অতি সাধারন ভাবে দেখানো হয়েছে।তাছাড়া আপনি এক অজানা স্কুলে এক ক্লাসে প্রবেশ করে একট ম্যাজিক দেখিয়ে ঐ স্কুলে আলোচনা বিষয় হয়ে যাওয়া যায় না। বিশেষ করে এটা বর্তমানে সম্ভব না। বর্তমানের বেশির ভাগ অন্যরকম।বাস্তবতার সাথে মিল নেই দেখে আমি এটাকে ১ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেয় নি কারন গল্প ক্লাস সেভেনের ছাত্র আর স্যারের মাঝে প্রশ্ন উত্তর পর্বটা আমার কাছে ভালো লেগেছে তাই ১ স্টার বাড়িয়ে ২ স্টার করলাম।এমনে গল্পটা আমার কাছে সাধারন লেগেছে।
কয়েকটি কিশোর ছেলের কাহিনী, কোনো জটিলতা নেই। বইয়ের নামের কারণে আগ্রহ জেগেছিল পড়ার। শিশু মনের সরল সহজ কিছু জিজ্ঞাসা ও পর্যবেক্ষণ এই কাহিনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। তবে আমার কাছে এটি অতি কল্পনা মনে হয়েছে। আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক খাপছাড়া লেগেছে।
সুন্দর একটি বই খুবই সাধারণ। ছোটদের জন্য বেশ মজার, দারুণ একটি বই রোল নাম্বার শূন্য। ছোট বাচ্চাদের দুষ্টুমি বুদ্ধি, নানা বুদ্ধির খেলা, রাসাদের বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা এই ছোট বয়সে সে হিসেবে সুন্দর, সবালিল গল্প। ছোটদের জন্য ভালো, মজার একটি বই
আমার বই পড়া শুরু হয় এই বই দিয়েই। তো, প্রথম বই হিসেবে অবশ্যই আমার অনেক ভাল লেগেছে, নাম টা ও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। প্রাপ্ত বয়স্কদের খুব একটা ভাল লাগবে বলে মনে হয় না।কিন্তু গল্পের মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার কিছু লাইন আছে,আমার কাছে ওগুলা বেশ ভাল লেগেছে
বড়দের জন্য জমবে না। বলাই বাহুল্য এটা ছোটরা বেশ পছন্দ করবে। আমি বইটা কিনেছিলাম ২০১৪/১৫ এর বইমেলায়। আর পড়লাম এখন :) টাইমিংটা বেশ ভুল হয়ে গেছে। তখন পড়লে হয়ত আর একটু ভালো লাগতো।
সময় তাদের জন্য ধীর, যারা অপেক্ষা করে। যারা ভয় করে, তাদের জন্য খুব দ্রুত। তাদের জন্য খুব দীর্ঘ, যারা শোক করে। যারা আনন্দ করে, তাদের জন্য ক্ষুদ্র। কিন্তু যারা ভালোবাসে, তাদের জন্য সময় অমর। (হেনরি ভ্যান ডাইক) . রোল নাম্বার শূণ্য কি অদ্ভুত একটা নাম। রোল নাম্বার শূণ্য আবার হয় কি করে? নাম শুনেই বইটি পড়তে ইচ্ছে করে কিন্তু আমি বইটি নামের জন্য পড়িনি পড়েছি লেখকের জন্য। এর আগে তার লেখা ২টি বই পড়েছিলাম। খুবই ভালো লেগে যায় বই দুটি তাই এই বইটি পড়া। আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের পরে সুমন্ত আসলাম কে রাখা যায়।
গল্পটা শুরু হয় রাসাদ কে দিয়ে। রাসাদ স্কুলে হেড স্যারের রুমে গিয়ে জানায় সে এই স্কুলে পড়তে চায় কিন্তু কোন নির্দিষ্ট ক্লাসে না। যখন যেই ক্লাসে বসতে ইচ্ছে করবে সেই ক্লাসে বসবে। তার রোল থাকবে শূণ্য। তাকে তখন কিছু প্রশ্ন করা হয় রাসাদ সব গুলোর উত্তদের এবং কিছু সূত্র দেয় যে গুলো হয়ত নিউটন বেঁচে থাকলে আবিষ্কার করতো। একটা সূত্র তুলে ধরলামঃ- কাজের সূত্র “কাজ করতে করতে যখন দুই হাত কালিঝুলিতে ভরে যাবে, ঠিক তখনি নাকের ডগাটা চুলকাতে থাকবে আপনার।” এরকম আরো মজার মজার সূত্র দেয় রাসাদ। স্কুল কমিটি থাকে স্কুলে থাকার উনুমতি দিয়ে দেয়।
এরপর আমরা দেখতে পাই ক্লাস সিক্সে পড়ুয়া সাতিল এর মামা হয় রাসাদ। স্কুলের কিছু একটা সমস্যা চলছে সমস্যা সমাধের জন্যই সাতিল তার মামাকে দিয়ে আসে। কিন্তু সমস্যাটা কি? সেটা জানার জন্য আপনাকে যেতে হবে শেষের দিকে। লেখক বইতে এই একটাই টুইস্ট রেখেছেন। যাইহোক দেখা গেল খুব অল্প সময়েই রাসাদ স্কুলের সবার প্রিয় হয়ে গেল। সে সব ক্লাসের একবার করে যাচ্ছে যেখানে ম্যাজিক দেখিয়ে, আড্ডা দিয়ে সবার প্রিয় হয়ে যাচ্ছে সে। আমার মনে হয় একজন শিক্ষক ছাত্র দের কাছে কি করে প্রিয় হতে পারেন তা কিছু��াই হলে শিখতে পারবেন তিনি এই বই থেকে। রাসাদ হোমওয়ার্ক না করে গেলে কি করতে হবে এমন কয়েকটি টিপস্ দিয়েছিল ক্লাস ৬ এ ছেলেদের। তেমনই একটি টিপস্ তুলে দিলামঃ- “স্যার হোমওয়ার্ক তো আমি ঠিকই করেছিলাম। কিন্তু হোমওয়ার্কের খাতাটি টেবিলে রেখে বাথরুমে গিয়েছিলাম আমি। বাথরুমে থেকে বের হয়ে দেখি, আমার ছোট বোন খাতা থেকে ওই হোমওয়ার্কের পাতা ছিঁড়ে কুচিকুচি করে পানিতে ভিজিয়ে তার পুতুলকে খাওয়াচ্ছে।”
স্কুলের সবার প্রিয় অঙ্ক স্যারকে বলদি করা না হয় তা নিয়ে সবাই একটা পরিকল্পনা করে। নতুন আসা অঙ্ক স্যার ঠিক করেছিল সবাইকে ইন্টাভিউ নিবে। ছাত্র নতুন অঙ্ক স্যারে প্রশ্নের এমন মজার সব উত্তর দিলে যে। নতুন স্যার স্কুল থেকে পালালো। যাওয়ার সময় স্যার অর্ধেক পাগল হয়ে গিয়েছিল। কি এমন করেছিল ছাত্ররা?
প্রচুর বিনোদন, ইমুশনাল,ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, শেখার মতো অনেক কিছু মিলিয়ে কিশোরদের জন্য বই বইটি হতে পারে অসাধারণ কিছু। বইটি কিনুন, গন্ধ নিন, এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করুন। পড়া শেষে ভাবতে থাকুন কি পড়লেন, কি লিখলেন? লেখক কে কি হুমায়ূন আহমেদের পর রাখা যায়?