Jump to ratings and reviews
Rate this book

তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা

Rate this book
"In fact, it is sheer disrespect to Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and Tajuddin Ahmad who never gave up their principles to the lure of power," he said. He said this at a book launching ceremony at the Asiatic Society of Bangladesh in capital. Tajuddin's daughter Sharmin Ahmad wrote the book titled "Tajuddin Neta o Pita", which is based on liberation and post-liberation history. "Those who worked against the birth of Bangladesh were defeated in 1971. They created distance between Bangabandhu and Tajuddin after the independence, and finally won in 1975 by killing the duo", said Prof Emeritus Anisuzzaman. Regarding the book, he said the writer had tried to bring the fact as much as possible, which might not be liked by many. Sharmin said, "No nation experiences as much blood as Bangladesh does. Similarly, no nation sees as much distortion of its history of birth as Bangladesh does." Tajuddin is hardly remembered now, though he had a great contribution to the country's Liberation War in 1971, she lamented. Tajuddin Ahmad, the first prime minister of Bangladesh's first government in exile, was murdered along with three of his political fellow travellers in the darkness of incarceration on November 3, 1975.

460 pages, Hardcover

First published April 1, 2014

43 people are currently reading
459 people want to read

About the author

Sharmin Ahmad

6 books22 followers

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
62 (32%)
4 stars
97 (50%)
3 stars
24 (12%)
2 stars
3 (1%)
1 star
6 (3%)
Displaying 1 - 30 of 36 reviews
Profile Image for Rubell.
188 reviews23 followers
November 12, 2024
এই বইটা নিয়ে ভবিষ্যতে অনেক লেখালেখি হবে সম্ভবত।
তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন বইটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা সম্ভব ছিল না। কারণ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা।
বইটা প্রকাশের পর একাত্তর টিভিতে একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শারমিন আহমদ (ইউটিউবে আছে)। সেখানে বইটা নিয়ে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে গিয়ে খুব অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। এটুকু বুঝিয়েছিলেন, তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যে বিশাল অবদান রেখেছিলেন, সেই অবদানের স্বীকৃতি তিনি পাননি।

কে ছিনিয়ে নিয়েছে তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের ক্রেডিট?

জুলাই বিপ্লবের পর শারমিন আহমদকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে নিয়মিত এ বিষয় নিয়ে অটপট আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা বলতে পারেন নি, এখন বলছেন।

তখন টিভিতে না বলতে পারলেও এই গ্রন্থে সেসব স্পর্শকাতর বিষয় আগেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন লেখক।
একটা উল্লেখ করা যেতে পারে।

বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না।
অথচ মুক্তিযু্দ্ধের নয় মাস কী ঘটেছিল, এ বিষয়ে তাজউদ্দীন আহমদের কাছে কিছুই জানতে চাননি।
বিস্ময়কর ব্যাপার বটে!

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও আলাপের সুযোগ উন্মুক্ত করে এই বই।

যাহোক, বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহীদের জন্য বইটা মাস্ট রিড।
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
October 25, 2024
কে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ ?

কতটুকুই বা আমরা জানি তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে?
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ( ১০ এপ্রিল ১৯৭১, মুজিবনগর সরকার ) ছিলেন তিনি এবং স্বাধীনতার পর অর্থমন্ত্রী হন। এতটুকুই তথ্য জেনে এসেছি এতগুলা বছর। অপরদিকে, যার জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না, স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক, একজন ইন্ডিভিজুয়াল যে সবার ক্রেডিট একা মেরে খেয়ে এসেছিল এত গুলা বছর। একটা মানুষকে ঘিরে এত এত প্রশংসা, অথচ সেই মানুষটাই যেখানে সমগ্র যুদ্ধ সময়টা ছিলেন দেশের বাইরে ( according to this Book - সেচ্ছায় ধরা দেন পাক বাহিনীর হাতে, এবং তাকে স্থানান্তর করা হয় জেলখানায় )।
অপরদিকে তার অনুপস্থিতে, তাজউদ্দীন আহমদ একার ঘাড়ে সমগ্র দেশের অস্থায়ী সরকার ব্যবস্থাকে সামলিয়ে ছিলেন।
বাইরের দেশ গুলা হতে সমার্থন আদাই, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ব্যবস্থা, স্বর্ণার্থীদের জন্য সাহায্য আদায় ইত্যাদি অসংখ্য কাজ করেছিলেন এমনকি মোশতাক আহমেদের ধূর্ততা এবং স্বাধীনতা বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র তিনি ধরে ফেলেছিলেন। সেদিন যদি তিনি দূরদর্শী না হতেন, দেশ আজ স্বাধীন হতো না। যু্দ্ধচলাকালীন সময়ে তাজউদ্দীন আহমদ এবং তৎকালীন অনন্য নেতা বর্গ মিলে ঠিক করেছিলেন, যতদিন না দেশ স্বাধীন হয় তারা নিজেদের পরিবারের সাথে গিয়ে থাকবেন না। তাদের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকবে দেশ কে স্বাধীনতা এনে দেওয়া, কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এক তাজউদ্দীন আহমদ ব্যতীত কেউ এই ওয়াদা পালন করতে পারেন নাই। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, নিষ্ঠাবান মানুষ যে দেশের কল্যাণের কথা সবসময় চিন্তা করে গিয়েছিলেন, নিজের ব্যক্তিসার্থকে সর্বদা অবজ্ঞা করে। অতঃপর যখন দেশ স্বাধীন হয়, যখন স্বাধীনতার সর্বাধিনায়ক অবশেষে দেশে ফিরে আসেন, তাজউদ্দীন আহমদ চেয়েছিলেন সমগ্র যুদ্ধ সময়টার ঘটনা তিনি ব্যক্ত করবেন, তাকে জানাবেন কে কে যুদ্ধের সময় পাশে ছিল এবং কে কে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। কতটা কষ্টের দ্বারা এই স্বাধীনতাটা অর্জিত হয়েছে কিন্তু... বঙ্গবন্ধু, প্লেন থেকে নেমেই, তাজউদ্দীন আহমদের কানে কানে বলেন, "তাজউদ্দীন আমি কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী হব।" কতটা আইরনিক।

আমি আজ শেষ করলাম, শারমিন আহমদের রচিত, তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা বইটা। বইটা পড়তে পড়তে এতটা শিহরিত হচ্ছিলাম। এমন সব ইনফো সম্পর্কে জানছিলাম, যা আমার ২১ বছরের জীবনে এসেও জানতাম না। জাস্ট ইমেজিন মগজধোলাই করতে কতটা সফল হয়েছিল আমাদের ডিক্টেটর।
আমার মনে হয় তাজউদ্দীন আহমদ তার যুদ্ধ সময়কালীন অবদান গুলার জন্য যে পরিমাণ অ্যাপ্রিশিয়েশন ডিসার্ব করে তা আমরা তাকে দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা একজনকে নিয়েই এত ব্যস্ত ছিলাম যে যুদ্ধে অন্যদের অবদান গুলা চোখে দেখি নাই। আফসোস।

এতদিনে যত পড়ছি ততই জানছি, এখন মন চাচ্ছে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইটা কেটে কুটি কুটি করে ফেলতে। এখন ইতিহাস জানতে এক বিশাল বইয়ের লিস্ট করেছি এবং আস্তে ধীরে সবগুলা পড়ার ইচ্ছা আমার আছে৷ মজার বিষয় একটা সময় আমার ফিকশনাল বই বাদে কিছুই ভাল লাগত না, আর এখন আমি ফিকশন বাদে সব পড়ছি।
কারণ এই নন ফিকশনই ফিকশনের চাইতে অধিক থ্রিল দিচ্ছে।
Profile Image for Rafia Rizwana.
14 reviews
October 17, 2015
একমাত্র বই যেটা তাজউদ্দীন আহমদের সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছে।তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি কিংবা বদরুদ্দীন উমরের বইয়েও তাজউদ্দীন খুব বেশিই অধরা ছিল।

মেয়ের চোখে বাবার গল্প।তাই সমালোচকদের কাছে পক্ষপাতদুষ্ট মনে হতেই পারি।কিন্তু আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।

বইয়ের স্পেশালিটি : বইটার পরতে পরতে খুব যত্ন করে লেখার ছাপ।২০০৬সাল থেকে সাধনার ফসলে এই বই,সেটা প্রতিটা পাতায় স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়।
Profile Image for Deepta Sen.
76 reviews1 follower
August 22, 2022
"আত্মাকে প্রতিটি মহান কাজে সদা নিয়োজিত রাখার সংগ্রামই প্রকৃত মানবজীবনের সংগ্রাম। আত্মার থেমে থাকার অবকাশ নেই। দেহান্তেও এই গতির শেষ নেই। এটাই সৃষ্টির মহাবিস্ময়কর রহস্য।" - সৈয়দ জোহরা তাজউদ্দীনের চিঠির অংশবিশেষ।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন নয়টি মাস যে ব্যক্তি বাংলাদেশের সংগ্রামকে স্বাধীনতা অর্জনের পথে নিয়েছেন তিনি তাজউদ্দীন আহমেদ। তাজউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে অনেক রাজনীতি বিশেষজ্ঞই লিখেছেন তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। তাজউদ্দীন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদের নেতা ও পিতা তে মেলে নতুন আঙ্গিক। এখানে তাজউদ্দীন আহমেদ স্রেফ রাজনৈতিক ব্যক্তি নন বরং একজন ফ্যামিলি ম্যান ও। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৫ মূলত এই পনেরো বছর নিয়েই নেতা ও পিতা। ৬০ এর দশকে নেতা তাজউদ্দীন আহমেদের চাইতে পিতা তাজউদ্দীন আহমেদকেই বেশি পাওয়া গিয়েছে এই বইয়ে। আবার ৭১ এ পারিবারিক জীবন সম্পূর্ণ ত্যাগ করে তিনি নয়মাসের জন্য হয়ে ছিলেন স্বদেশের তরে নিবেদিত এক রাজনৈতিক যোদ্ধা। বইয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ বেশি স্থান পেলেও, একাত্তরে শেখ ফজলুল হক মণি প্রমুখ ছাত্রনেতার সাথে বিরোধ, স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত বিতর্ক, মুক্তিযুদ্ধে মোস্তাক আহমেদের বিতর্কিত ভূমিকা, যুদ্ধপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর সরকার, জেলহত্যা নিয়ে লেখা হয়েছে।

বইটির একটা অন্যতম ভালো দিক হলো তাজউদ্দীন আহমেদের আশপাশের মানুষদের নিয়েও লিখেছেন লেখিকা। তাই ব্যক্তি তাজউদ্দীন আহমেদকে ফুটিয়ে তোলা গিয়েছে ভালোভাবে। তবে সন্তানের পিতার প্রতি আবেগ বইয়ে বেশ স্পষ্ট। লেখার শুরুর দিকে লেখিকা চেষ্টা করেছেন ভাষা নিয়ে কিছু কাটাকুটি খেলার। দুইয়ে মিলে লেখার গতি কখনো সখনো একটু বেশিই স্লথ ছিল।

বইটা মোটা দাগে বিভক্ত। মূল লেখার পর বেশ ��ড় অংশ নিয়ে পরিশিষ্ট। সেখানে ছিল বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার, লরেন্স লিফৎসুজের বইয়ের কিছু অংশ, তাজউদ্দীন আহমেদের চিঠি, ১০ ও ১৭ এপ্রিলের ভাষণ। বাংলাদেশের নাগরিকদের উচিত তাজউদ্দীনকে জানা। সেই জানার জন্য অসাধারণ মাধ্যম বইটি।
Profile Image for Nurul Huda.
194 reviews5 followers
August 20, 2024
তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে রচিত দারুণ একটি বই। বইটি পড়লে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যাবে তাজউদ্দীন সম্পর্কে । লেখিকা শারমিন আহমদ উনার বড় মেয়ে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৪ সালে। স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে। হাসিনার বাপের ব্যাপারে কিছু ঘটনা উঠে এসেছে। এগুলো তুলে ধরা সাহসিকতার কাজ। বইয়ে উল্লেখিত ইতিহাসের সততা কতটুকু জানি না। বর্তমানে কোনো ইতিহাসকে বিশ্বাস করতে পারি না।

বইটি ৩৫২ পৃষ্ঠার। ১৮০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মূল বই৷ বাকি পৃষ্ঠাগুলোতে বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকার, ভাষণ, ডায়েরি,চিঠি ইত্যাদি গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইন এবং বিষয়গুলো আমার @Book Lamp পেজে পোস্ট করেছি। পড়তে পারেন।

Pdf পড়েছি

-
বই - তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা
লেখক - শারমিন আহমদ
ঐতিহ্য ২০১৪
পেপারব্যাক ৪২৫ ৳
পৃষ্ঠা ৩৫২
পড়ার সময় : ১৭-২০ আগস্ট, ২০২৪
Profile Image for Syed Shafi.
4 reviews1 follower
Read
January 20, 2019
নেতা ও পিতা বইয়ের মধ্যে তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শারমিন আহমেদ দেখিয়েছেন একজন আদর্শ পিতা কিভাবে একটি পরাধীন রাষ্ট্রকে স্বাধীন করে আদর্শ প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছিলেন।পাঠকের অনেক আলোচনা যেমন ছিলো তেমন সমালোচনাও ছিলো এই বইয়ের।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় তখন। এই সময়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান ও আব্বু তাজউদ্দীন আহমদ।

প্রথমে আসি,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথা,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব, জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়ার ক্ষমতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক ভাবমূর্তির সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমেদের সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও পরিশুদ্ধ চিন্তাবোধ যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের এক নম্বর রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছিল।কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই আওয়ামীলীগের দিন দিন জনপ্রিয়তার উপর চিড় ধরে।চিড় ধরার প্রধান কারণগুলো হলো বাকশাল, রক্ষীবাহিনী,২৬ হাজার যুদ্ধ পরাধীদের ক্ষমা করে দেওয়া,নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়া,স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বের সহকর্মীদের পরবর্তীতে দূরে সরিয়ে দেওয়া,কপটচারীদের কাছে টেনে নেওয়া ইত্যাদি.....যে তাজউদ্দিন তার রক্ষাকবচ হিসেবে ছিলো তাকেই তিনি প্রথমেই দূরে ঠেলে দিয়েছেন এবং তার মনের মধ্যে ভয় ছিলো যে,  তাজউদ্দিন আহমেদের বাইরের দেশের প্রধানদের কাছে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন, এইজন্যে যদি তার ক্ষমতা হারান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশে আসেন তখন তাজউদ্দিন আহমেদের সাথে শেখ মুজিবের প্রথম কথা,তাজ আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হবো।তাজউদ্দিন হতবাক ছিলেন।কথার পিঠে অনেক কথায় থাকে,পেছনে লুকায়িত থাকে অনেক সত্য।
দল হিসেবে আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা হল, গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াইকারী বঙ্গবন্ধু কেন বাকশাল গঠনের সিধান্ত নিলেন– সে প্রশ্নের মুখোমুখি না হওয়া।যাই হোক,তার যে ভুল ছিলো, তার মাশুল তাকে দিতে হয়েছে স্ব-পরিবারে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ট্র্যাজিক অধ্যায় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দিন আহমেদের বিচ্ছেদ।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের কথা....
আমার দেখা রাজনৈতিক ব্যক্তির মধ্যে,তাজউদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক তীক্ষ্ণতা ছিলো সবচেয়ে বেশি।তিনি ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন খুবই স্পষ্ট ভাষী,সত্যবাদী,নীতিবান।তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন নি।এই জন্যেই হয়তো বাকশালে যোগদান করেও বাকশালের কোন কাজকর্মে ছিলেন নাহ।তিনিই প্রথম মুজিবনগরকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন,যা মুজিবর রহমানের ভালোলাগে নি।প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন এবং দেশের অনেক উন্নতি সাধন করেন।কিন্তু তাকে এ পদ ও ছেড়ে দিতে হয় কারণ নীতি বিসর্জন দিতে চান নি।রাজনৈতিক ইস্তফা দেওয়ার পর তাকে তার পরিবার অনেক কাছে পায়।ছেলেমেয়েরা তখন দেখেন পিতা তাজউদ্দিন আহমেদকে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর দোসরদের ভয় ছিলো জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে মারার পর তারাই ছিলেন যোগ্য প্রধান।এই প্রধানদের মধ্যে তাজউদ্দিন আহমদ ছিলেন অন্যতম।তাই তাকে সহ জাতীয় তিন নেতাকে প্রাণ দিরে হলো।
চারটি বুলেটের আঘাতে সমাপ্তি ঘটলো এক ইতিহাসের। শুরু হলো বেইমানের নতুন ইতিহাস....
Profile Image for S M Shahrukh.
127 reviews67 followers
April 19, 2018
Written with a sea of love and respect for a father, Sharmin Ahmed did get carried away and that, I think, has diminished the quality of this biography. She has done a lot of research and one would really get a vivid picture of Tajuddin Ahmed's character and resolve, as a father, as the interim prime minister of the Bangladesh government-in-exile and as the first finance minister of the country, overall, a principled politician, a dedicated 'son of the soil' and a true patriot. However, the writer has too often veered off of 'the objective' and delved into philosophizing, guessing, giving importance to dreams, that is, 'the subjective' often took over the narrative. Tajuddin Ahmed's political acumen and character have already been extolled by many and there seems to be no doubt that there was a great injustice done him in the first phase of Bangladesh as a nation but human beings are fallible and only a son or a daughter would wholly put credence to a father's infallibility.
Profile Image for Jaber Ahamed.
10 reviews3 followers
September 8, 2016
অতিরিক্ত বিশেষন শেষ করে দিছে বইটাকে।তাজউদ্দিন কে জানার খুব আগ্রহ ছিল।লেখিকার লেখার মান একদমই ভাল না।বইয়ের ইতিহাসের অংশটুকু ভাল কাউকে দিয়ে অনুলিখন করলে ভাল হয়
Profile Image for Heisenberg.
151 reviews8 followers
February 2, 2025
জাতি হিসেবে কত টা নির্লজ্জ্ব আমরা, তাজউদ্দীন আহমেদ এর মত নেতা কে আমরা ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলেছি। দেশ স্বাধীন করার জন্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সব থেকে গুরুত্বপুর্ন বললেও হয়ত খুব বেশি ভুল হবে না) কে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে "স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী" হিসেবে চেনানো হয়, এর বেশি আমার মনে হয় না পড়েছি। অথচ এই তাজউদ্দীন আহমেদ কে আপনি স্বাধীন বাংলার রূপকার বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে বলে আমার মনে হয় না। দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তি রা ক্ষমতায় এসে উঠে পড়ে লাগে কে স্বাধীনতার ঘোষক, সেটা নিয়ে, কিন্তু বেমালুম ভুলে যান তাজউদ্দীন আহমেদ কে ইতিহাসের পাতায় রাখতে।
Profile Image for Nayem.
4 reviews1 follower
September 16, 2024
তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে বাংলাদেশে এতো কম লিখা হয়েছে এটা আমাকে সবসময় অবাক করে। অ্যাসাইনমেন্টের বদৌলতে আমি উনাকে নিয়ে লিখা বই খুজতে গিয়ে খুব অল্প সংখ্যক বই খুজে পেয়েছি৷
তাজউদ্দীন কন্যা স্মৃতিচারণ করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন সময়ের লড়াকু যোদ্ধাকে নিয়ে। ভদ���রলোক কখনো তার প্রাপ্য সম্মানটুকু পান নি বলে নিজের ভিতরেই কেমন একটা আফসোস জেগে উঠে!

তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার পরিধি বড় হোক।
Profile Image for Muhammad Shahin.
70 reviews1 follower
June 4, 2023
অর্থপূর্ণ জীবনের এক বিশিষ্ট উদাহরণ তাজউদ্দীন আহমদ
Profile Image for Md. Faysal Alam Riyad.
317 reviews26 followers
June 5, 2018
একটি জাতির জন্ম ও তার রাজনৈতিক ইতিহাস জানবার জন্য দরকার উন্মুক্ত মানসিকতা ও সত্যকে জানবার অঙ্গীকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘ইতিহাস দেশের গৌরব ঘোষণার জন্য নহে, সত্য প্রকাশের জন্য।’ ইতিহাস যত সুস্পষ্ট হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সঠিক পথ বেছে নেওয়া তত সহজ হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে এই কালচার নাই। এ দেশে সঠিক ইতিহাস লিখা হয় না, আবার যারা সঠিক কথা বলে তাদেরকে বিভিন্ন মহল থেকে পাগল ঘোষণা দেওয়া হয়। অপরদিকে আমাদের নতুন প্রজন্ম খুব কমই ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে। বিভিন্ন দলের লালিত পালিত মিডিয়া এবং আমাদের রাজনীতিবিদরা যা বলেন আমরা ত বেদ বাক্য বলে মনে করি।

এই উপমহাদেশের রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে কিছু বলা ও লেখা অনেক ক্ষেত্রেই বিপদজনক। তবু কিছু সাহসী মানুষেরা কলম ধরেন। তুলে আনার চেষ্টা করেন সঠিক ইতিহাস। এই বইটি সে রকমই একটি বই। যমুনা নদীতে নৌকায় বসে বসে বইটা পড়ছিলাম। ঠান্ডা অবহাওয়ার ভিতরও সত্যি কথা বলতে কি, এই বইটা পড়ার সময় কেন জানি খুব ছটফটানি হচ্ছিল। এভাবেই ইতিহাস ধ্বংস করছি আমরা, আমাদের জানতে দেওয়া হয় না আসল ইতিহাস কোনটা। যারা মুজিবনগর সরকার, মুজিব বাহিনী, ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড, জেল হত্যা, স্বাধীনতার ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, ২৫ শে মার্চ ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান এই বইটি পড়তে পারেন।

তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে আর কি বলব। ব্যক্তিগত ভাবে উনি আমার সবচেয়ে প্রিয় রাজনীতিবিদ। অাফসুস বাঙ্গালী জাতি এই লোকটাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু কোনদিন দিতে পারল না। বইটিতে কন্যার বয়ানে পিতার জীবনের নানান ঘটনা উঠে এসেছে। তাজউদ্দীন আহমদ এর শৈশব, যৌবন, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ওনার কর্মকান্ড, এছাড়াও ওনার পরিবারের নানান ঘটনা বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, প্রতিটি কথার সঠিক রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে এবং অনেকের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে।
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
361 reviews34 followers
May 28, 2022
সন্তানের কাছে বাবা মায়ের গুরুত্ব অনেকখানি। একজন আদর্শ পিতা তেমনই খুব গর্বের। পিতার আদর্শ, কর্মনিষ্ঠা যখন অন্যদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয় এবং সমাজের মানুষের মনে জায়গা করে নেয় তখন সে পিতার সন্তান হয়েও গর্ব অনুভব হয়।

তেমনি এক বলিষ্ঠ বাংলার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ যিনি একাধারে পিতাও। জাতির কাছে তাঁর কর্ম ও আদর্শে একজন ত্যাগী নেতা, সন্তানের কাছে আদর্শ পিতা।
পিতা তাজউদ্দীন আহমদ কে নিয়ে লেখা শারমিন আহমদ এর "তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা"। মূলত এখানে পিতার থেকে তিনি জনগণের নেতা বেশী ভাবে দেখানো হলেও তিনি পিতা হিসেবে ও আদর্শ ও স্নেহ পরায়ন।

তবে রাজনৈতিক জীবনের থেকে লেখিকার শৈশব স্মৃতি এখানে বেশী করে উঠে এসেছে। রাজনীতিতে যোগদানের সময় বা শুরুর দিকের ঘনটা এখানে কমই স্থান পেয়েছে। তবে যুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ঘটনা এখন তুলে আনা হয়েছে। কাছ থেকে দেখা একজন নেতাকে, দেশের কাজের জন্য ক্ষুদ্র বৃহৎ স্বার্থ ত্যাগ জীবনের চেয়ে দেশকে ভালোবাসা, পরিবারের থেকেও দেশেকে বেশী ভালোবাসা সব তুলে এনেছেন স্মৃতি থেকে।
Profile Image for Rezwan Khan.
35 reviews
July 20, 2025
🔴বইঃ তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা
🔵লেখকঃ শারমিন আহমদ
🟢প্রকাশনীঃ ঐতিহ্য

গল্পের আড়ালে থাকা এক মহানায়ক~ (তাজউদ্দীন আহমদ)🇧🇩

সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে সফল সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ের প্রথম বাংলাদেশ সরকার। নেতৃত্বকে যদি এক কথায় সংজ্ঞায়িত করা যায় তাহলে বলা যেতে পারে যে তাজউদ্দীন আহমদ একজন সুযোগ্য নেতা ছিলেন।যিনি মেধা এবং দক্ষতা দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছেন।জাতির চরম দুর্দিনে ও জাতির পরিত্রাণে তার প্রতিটি কর্মেই ছিল দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, ন্যায় ও সততার স্বাক্ষর।
নিপুণ কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী খাদ্য,বাসস্থান, শিক্ষা, পুনর্বাসন প্রভৃতি অঙ্গসংগঠনগুলো তিনি সৃষ্টি করেছিলেন।
তার সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টি থেকে কোন সমস্যাই বাদ পড়েনি।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এই অমর গানটির রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ভাষায় ~"শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগে শেখ মুজিবের পেছনে প্রকৃত বুদ্ধিদাতা ও কর্মী পুরুষ ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।

তাজউদ্দীন আহমদ এবং শেখ মুজিব ছিলেন একে
অন্যের পরিপূরক।মুজিব বাদে তাজউদ্দীনের ইতিহাস যেমন অসম্পূর্ণ তেমনি তাজউদ্দিন বাদে মুজিবের।
কিন্তু স্বাধীনতার পরে তাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়তে লাগলো।
নীতিগত ও আদর্শিক ব্যাপারে দুজন তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছেন।
স্বাধীন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি ছিল- তাজউদ্দীন এবং শেখ মুজিবের বিচ্ছেদ।

🔻
মূলত ষাটের দশক (১৯৬০) থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব এবং যুদ্ধ পরবর্তী উত্তাল সময়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য,ইতিহাস বইটিতে উঠে এসেছে। বইটিতে কিছু কথা বা তথ্য রয়েছে যেগুলো বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু লেখক নানা দলিল পত্র, রচনা, সাক্ষাৎকারের সাহায্যে সত্যের যতদূর কাছে পৌঁছা যায় সেই চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন সময়ের প্রকৃত ইতিহাস জানতে ও বুঝতে প্রতিটি পাঠকের অন্তত একবার হলেও বইটি পড়া উচিৎ বলে মনে করি।

হাইলি রেকমেন্ডেড।✅
Profile Image for Hasnat Hasan  Rahat.
3 reviews
September 28, 2024
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে মুজিব ও তাজউদ্দীন ছিলো এক আত্মা। তারা তখন দেশ ও জাতির স্বার্থে সকল কিছু ত্যাগ করতে এক পায়ে দাড়িয়ে ছিলেন। তাজউদ্দীন একজন নেতা হিসাবে যেমন নিষ্ঠাবান ছিলেন। তেমনি পিতা হিসাবে তার সন্তানদের কাছে শ্রেষ্ঠ। তিনি এক অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি তার মেধাকে চূড়ান্ত কাজে লাগিয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। নিজের সত্য আদর্শ ও কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য কাঠামো থেকে পূর্ব পাকিস্তান বের হয়েছিলো। তিনি দেশের প্রতি সব সময় স্বার্থহীন ছিলেন। যার ফলস্বরূপ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তাকে ২ বছরের মাথায় মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যে মুজিবের আদর্শ ও নিজ আদর্শ এককরে এতদিন বেঁচে ছিলেন। সে মুজিবের কাছে তিনি অবহেলার পাত্র হলেন। মুজিবের মৃত্যুর আগে সতর্কবাণী বহন করা একজন ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের দালালদের সংস্পর্শে এসে মুজিব সেই আগের মুজিব ছিলেন না। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মুজিবের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় পৌঁছে। তার ফলাফল দেখা যায় ১৫ আগস্ট দিনের বেলায় তার মৃত্যুর খবর শুনে মানুষের চিন্তাহীন ভাবনা দেখে। দেশের অপশাসনের শিকার তিনি নিজেও হলেন। পরে ৪ নেতার একসাথে হত্যা হলো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। তার পরিবার এক অবহেলা ও লাঞ্চনার শিকার হলো। মৃত্যুর পরবর্তী সময়েও দেশের অবৈধ সরকার তার পরিবারকে ছাড় দেয়নি। ছাড় দেয়নি তাদের গৌরবান্ব���ত ইতিহাসকে। ধামাচাপা পড়ে গেল এক ত্যাগী নেতার কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
Profile Image for Siam Mahmud.
6 reviews
October 3, 2023
বই: তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা।
লেখিকা : শারমিন আহমদ
মূল্য: 364

তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একাধারে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর এবং জাতীয় চার নেতার একজন। তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রধান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে অবস্থান করে যুদ্ধ পরিচালনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তার নেতৃত্বে প্রবাসী সরকার মুক্তিযুদ্ধ ত্বরান্বিত করার সফল প্রচেষ্টা  চালায়। ফলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যা করার পরে ৩রা নভেম্বর ঢাকা কারাগারে হত্যা করা হয় তাজউদ্দীন আহমদ সহ জাতীয় চার নেতাকে।

নেতা ও পিতা বইয়ে এই মহান নেতার জেষ্ঠ্য কন্যা শারমিন আহমদের ভাষায় পিতাকে ঘিরে তাদের শৈশব স্মৃতি, ১৯৭১ এ তাজউদ্দীন আহমদের ভুমিকা, ভারতে শরনার্থী হিসেবে তাদের অবস্থান, যুদ্ধ পরবর্তী ঘটনাবলী, মন্ত্রীসভা থেকে তাজউদ্দীন আহমদের পদত্যাগ, বাকশাল বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার বিরোধ, চার নেতার হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ঘটনাবলী তুলে ধরেছেন। মূলত একজন কন্যার দৃষ্টিতে একজন সংগ্রামী নেতার সাথে ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনাবলী ফুটে উঠেছে বইয়ে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সোনালি অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এরপরের কালো অধ্যায় সম্পর্কে জানতে আগ্রহীদের জন্য রিকমেন্ডেড থাকবে বইটি।
Profile Image for Nasim Bin Jasim.
116 reviews4 followers
June 17, 2022
বাংলাদেশের ইতিহাসে তাজউদ্দীন আহমদ একটি স্মরণীয় অধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ সংঘটিত হয় । মুজিবনগর সরকার গঠন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে যুদ্ধের সময় চুক্তি করা এসব তার মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হয়েছে ১৯৭১ সালে । একজন দক্ষ প্রশাসক এবং সংগঠক হিসেবে তার অবদান ইতিহাসে বইগুলোতে বর্তমানে নেই।
লেখিকা তার লেখায় যথেষ্ট রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন ।
দীর্ঘ নয় মাসের বাঙালি কিভাবে যুদ্ধ করেছে সে সম্পর্কে কোন কিছুই শুনতে চান নেই শেখ মুজিবুর রহমান । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের হাজার ১৯৭১ সালে যে জনপ্রিয়তা ছিল তা তলানিতে ঠেকেছে ১৯৭৫ সালে ।

বইটি পড়ে ইতিহাসের তিক্ত সত্য জানতে পারবেন ।
Profile Image for sneha ♡.
18 reviews5 followers
August 25, 2024
There is a lot of actual history to learn about from this book that was manipulated or twisted by our government.

Tajuddin Ahmad was a great leader. It’s unfortunate that we know so little about him and his sacrifices for the welfare of Bangladesh. 

The author loved her father deeply, and that’s why a lot of pages were exaggerated; without it, the book could be a few pages shorter. That’s the only thing I didn’t like because I was only interested in knowing the history rather than an individual’s life. 
Profile Image for সৈকত.
40 reviews
March 1, 2023
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক কিছুই জানা গেল বইটি পড়ে। আমাদেরকে বইয়ে শুধু ব্যাক্তি কেন্দ্রিক কিছু ইতিহাস সেখানো হয়, যার অধিকাংশই মিথ্যা, যা এই বইটি প্রমান করে। বাবার প্রতি লেখিকার অতি বিশেষণের অংশ বাদ দিলে, একটি ভাল ঐতিহাসিক বই হতে পারত। অতিরিক্ত বিশেষায়িত অংশ বাদ দিলে কলেবর আরও ছোট হতে পারত, তবে তা পাঠে কোন সমস্যা তৈরি করে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে চাইলে, অবশ্য পাঠ্য!

এর সাথে মেজর এম এ জলিল লিখিত অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা-ও পড়া যেতে পারে।
Profile Image for Masum Mahdi.
8 reviews6 followers
April 29, 2021
তাজউদ্দিন আহমদকে জানার জন্য বইটি পড়ে অনেকটা অন্ধের হাতি দেখার মত অভিজ্ঞতা হল। বইয়ের বেশ বড় একটা অংশজুড়ে রয়েছে লেখিকার শৈশবের স্মৃতিচারণ। রাজনীতিতে তাজউদ্দিন আহমদের '৭০ সাল পূর্ব ভূমিকা উল্লেখিত হয়নি বললেই চলে।
তবে তৎকালীন বাংলাদেশ সম্পর্কে, বিশেষ করে মুজিব বাহিনী, যুদ্ধাপরাধীদেরবিচার ইত্যাদি সম্পর্কে কিছু তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে।
Profile Image for Abdullah.
10 reviews
June 5, 2024
ইতিহাসের চাপা পড়া কিছু তিক্ত সত্য এই বইতে উঠে এসেছে। সবার মধ্যেই কম আর বেশি হোক কিছু অসাধুতা, কপটতা, মিথ্যা, খারাপ দিক বিরাজমান। তেমন শেখ মুজিবুরের মধ্যেও ছিল এবং তাজউদ্দীনের মধ্যেও আছে কিন্তু লেখিকা নিজের মেয়ে হওয়াতে তাজউদ্দীনের ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে সেসব দিক দৃষ্টিগোচর করে গেছেন। মাঝেমধ্যে পড়ার সময় মনে হচ্ছে লেখিকা Biased।

বাকি সবদিক মিলিয়ে সুন্দর বই। সবাই পড়তে পারেন।
622 reviews2 followers
October 15, 2024
Might be a little biased and over-glorified but the author at least tried to stick to facts and provide references. Kudos for that. This book offered insights into Tajuddin, both the leader and the person. These insights were illuminating.
Profile Image for Mohammad Kamrul Hasan.
342 reviews15 followers
November 25, 2024
আমি এতোদিন আমার দেশে একজন নেলসন ম্যান্ডেলার খোঁজ করছিলাম। পাচ্ছিলাম না। তবে আজ পেলাম।
উল্লেখ্য এই যে নেলসন ম্যান্ডেলা কি করেছে আমি তা জানি না, জেনে নিবো পরে। কিন্তু আমি তার মতন এমন ব্যাক্তিত্যপূর্ণ মানুষের খোঁজ করছিলাম এতোদিন। বাংলাদেশ অনেক নক্ষত্র হারিয়ে। তারমধ্য তিনি একজন।
Profile Image for Muin Mohammad Mozammel.
61 reviews9 followers
February 14, 2020
অনেক ভারী প্রসঙ্গের অবতারণা করবো না, শুধু বলবো বইটা সবার পড়া উচিৎ।
Profile Image for Taki Tamal.
8 reviews2 followers
December 31, 2021
This is book about A selfless real patriot who always gave preference to common people over anything else.
4 reviews
August 5, 2023
মেজর জলিলের অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা পড়ার পর এটা খুব বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। তাজউদ্দীন আহমদ তার সহকর্মী বিশেষ করে মুজিবকে এত অন্যায়ের পরও সমর্থন করছেন তাহলে তার আদ���্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Kazi Fahad Lateef.
55 reviews
July 13, 2024
তাজউদ্দীন আহমেদ এর উপরে যেগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে এতা অন্যতম সেরা
Profile Image for Mehraz Mueed.
8 reviews1 follower
September 27, 2024
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে 'তাজউদ্দীন' একটি উপেক্ষিত নাম, উপেক্ষিত অধ্যায়। ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সফল এই সংগঠকের দেশের জন্য অবদান আর ব্যক্তি তাজউদ্দীনকে জানার জন্য এই বই যথার্থ!
Displaying 1 - 30 of 36 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.