Dashu got away with it because he was mad. You never know whats going to happen in Pagla Dashus world its an out-and-out romp. Life is never ordinary or dull when Dashu is around and this round-eyed, curly- haired schoolboy shakes up people and places till everyone and everything is as topsy-turvy as our hero. From his classroom antics to his playtime tactics, Dashus impish audacity has you rolling on the floor with laughter. Join him and his equally wacky company of madcap schoolboys and geniuses, show-offs and know-it-alls, scientists and explorers, and many other unforgettable characters who will take you on a crazy roller-coaster ride through poetry epidemics, strange robberies, chaotic school plays, and imaginary lands populated by magical creatures. These 25 classic stories by Sukumar Ray have been put together for the first time in English by the Jadavpur University Translators Collective and feature rare illustrations by the father-son duo of Sukumar Ray and Satyajit Ray. PLUS! Book Mine 48 extra-special Know more about the author, his work and his times. Plus things to think about and to do.'
Sukumar Ray (Bangla: সুকুমার রায়) was a Bengali humorous poet, story writer and playwright. As perhaps the most famous Indian practitioner of literary nonsense, he is often compared to Lewis Carroll.
His works such as the collection of poems Aboltabol (Bengali: আবোলতাবোল), novella HaJaBaRaLa (Bengali: হযবরল), short story collection Pagla Dashu (Bengali: পাগলা দাশু) and play Chalachittachanchari (Bengali: চলচিত্তচঞ্চরী) are considered nonsense masterpieces equal in stature to Alice in Wonderland, and are regarded as some of the greatest treasures of Bengali literature. More than 80 years after his death, Ray remains one of the most popular of children's writers in both West Bengal and Bangladesh.
These 26 classic stories by Sukumar Ray have been put together for the first time in English and feature rare illustrations by the father-son duo of Satyajit Ray and Sukumar Ray.
পাগলা দাশু হল সুকুমার রায় সৃষ্ট একটি কাল্পনিক চরিত্র। যা সেই ছোটবেলা থেকেই মনপ্রান জুড়ে আছে। পাগলা দাশু বইতেই প্রধানত পাগলা দাশুর ছোটো ছোটো গল্পগুলি পাওয়া যায়। সে স্কুলপড়ুয়া এবং তার পাগলামি ও খুব সূক্ষ্ম হাস্যকর ব্যঙ্গাত্মক কীর্তিগুলির জন্য বিখ্যাত। গল্পগুলি মূলত শিশুপাঠ্য গল্প।
আজ বইয়ের দোকানে বসে পড়ে ফেললাম বইটা। গল্পগুলোর বক্তা দাশু সহ তার অনেক ক্লাসমেট, টিচার দের নিয়ে অনেক মজার মজার কাহিনী লিখছে। আমার তো কোন ক্লাসমেট, টিচার কোন কিছু নিয়েই মজার কিছু মনে পড়ে না। আর এখনকার দিনে তো এমন হয়ও না মনে হয়। যেমন গল্পে কেউ বেশি জ্যাঠামি করলে, তার এটা ওটা আছে নিয়ে দেমাক দেখালে তাকে পরে বেশ মজার ওয়েতে গলদর্ঘম হতে হচ্ছে। এখন তো কোন একটা বাচ্চা তার ক্লাসমেটদের তার দামী দামী জিনিস এটা ওটা আছে নিয়ে খুব ভাব করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যদেরও সেটা চাই । সবাই এখন খুব সমস্তরে উঠে আসতে চায় ।
সুকুমার রায়ের বইগুলো মনে হয় যখন বুড়ো খুনখুনে হয়ে যাব, দাঁতের পাটিগুলো ভোলবাজির মত হাওয়া হয়ে,পাকা চুলের মাঝখানে যখন এক আধটা কাঁচা চুল খুঁজতে গিয়ে চশমা হাতড়ে বেড়াবো তখনও পড়ার সময় আবার সেই শৈশবের দুরন্ত দিনগুলোতে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগের মধ্যে একহাজার ভাগ একদম নিশ্চিত
"আমাদের স্কুলের যত ছাত্র তাহার মধ্যে এমন কেহই ছিল না, যে পাগলা দাশুকে না চিনে" । আর আমার বন্ধু বান্ধবীদের মধ্যে যারা বই পাগল এমন কেউ নেই যে, গোল-গোল চোখের ,বড় বড় কানযুক্ত , মাথায় এক বস্তা ঝাঁকড়া চুল আর ঝাঁকড়া চুলের ভিতরের ছিট ওয়ালা দাশুকে চিনে না ।
আচ্ছা, এই গল্পগুলো আজ প্রায় ৮০-৯০ বছর পরেও এত মজার কেন? বহুদিন পরে আবার পড়তে গিয়ে নিজেকে একাধারে দাশু, শ্যামলাল, হরিপদ, গণেশের মাঝে খুঁজে পেলাম। ৮০ বছর আগে ছেলেদের স্কুলে না পড়েও আমি এত ত্যাঁদড় ছিলাম ভেবেই মন ভালো হয়ে গেল! 😁
একদম বাচ্চাকালে যখন এই বই পড়ি তখন আমি বেশ ডানপিটে ছিলাম। অবশ্য দাশুর মতোন নয়। তবে দাশুর পাগলামো যে ভালো লাগতো এটুকু বুঝতাম। সুকুমারবাবু অবশ্য দাশুকে দিয়ে শুধু হাস্যকর কাজই করিয়েছেন ব্যাপারটা এমন নয়। মাঝেমধ্যে দাশুকে দারুণভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করিয়েছেন। এই কাজটা এতো চমৎকারভাবে করেছিলেন যে দাশুর প্রতি ভালোলাগা কিংবা মায়া জন্মাতে বাধ্য।
আমার শৈশবের প্রিয় লেখক সুকুমারবাবু দাশুদের মাধ্যমেই বেচে থাকুন হাজার বছর।
আমাদের স্কুলের যত ছাত্র তাদের মধ্যে এমন কেহই ছিল না, যে পাগলা দাশুকে না চিনে। যে লোক আর কাহাকেও জানে না, সেও সকলের আগে পাগলা দাশুকে চিনিয়া ফেলে। সেবার এক নতুন দারোয়ান আসিল, একেবারে আন্ কোরা পাড়াগেঁয়ে লোক, কিন্তু প্রথম যখন সে পাগলা দাশুর নাম শুনিল, তখনই সে আন্দাজে ঠিক করিয়া লইল যে, এই ব্যক্তিই পাগলা দাশু। কারণ মুখের চেহারায়, কথা-বার্তায়, চাল-চলনে, বোঝা যাইত যে, তাহার মাথায় একটু ‘ছিট্’ আছে। তাহার চোখ দুটি গোল গোল, কান দুটি অনাবশ্যক রকমের বড়, মাথায় এক বস্তা ঝাঁকড়া চুল।
সুকুমার রায়ের "পাগলা দাশু" বিখ্যাত এই চরিত্রের সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ ক্লাস টু তে। ছোট খালামনি উপহার দিয়েছিল পাগলা দাশুর একটা বই। তাতে বড় বড় ইলাস্ট্রেশন এবং গল্পগুলো বড্ড সুস্বাদু। ক্লাস টু এর একটা বাচ্চার জন্য আসলেই মজাদার অভিজ্ঞতা। যুক্তবর্ণ এলে বানান করে করে পড়তাম তবুও পড়া শেষ করে তারপর শান্তি। পাগলা দাশুকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল। তখন তো আর জানতাম না কোনটা উপন্যাস কোনটা গল্প সমগ্র। বড়বেলায় এসে এখন জানা হলো এখানে সুকুমার রায়ের আরো কিছু গল্প স্থান পেয়েছে।
তো পাগলা দাশু বইয়ে স্থান পেয়েছে সুকুমার রায়ের নিজের আঁকা ছবি! জ্বি হ্যাঁ এই তথ্যটা ঘাঁটাঘাঁটি করে আবিষ্কার করলাম। ছোটদের নিকট আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এ গ্রন্থে ২৫টি হাতে আঁকা ছবি সংযোজিত হয়েছিল। এগুলির মধ্যে ১৫টি ছবি এঁকেছিলেন সুকুমার রায় নিজে। বাকী ১০টি এঁকেছিলেন চিত্রশিল্পী হিতেন্দ্রমোহন বসু।
পাগলা দাশু গ্রন্থটির জন্য একটি ভূমিকা লিখেছিলেন নাকি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন: “সুকুমারের লেখনী থেকে যে অবিমিশ্র হাস্যরসের উৎসধারা বাংলা সাহিত্যকে অভিষিক্ত করেছে, তা অতুলনীয়। তাঁর সুনিপুণ ছন্দের বিচিত্র ও স্বচ্ছন্দ গতি, তাঁর ভাব-সমাবেশের অভাবনীয় অসংলগ্নতা পদে পদে চমৎকৃতি আনে। তাঁর স্বভাবের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির গাম্ভীর্য ছিল, সেই জন্যেই তিনি তার বৈপরীত্য এমন খেলাচ্ছলে দেখাতে পেরেছিলেন। বঙ্গসাহিত্যে ব্যঙ্গরসিকতার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত আরো কয়েকটি দেখা গিয়েছে। কিন্তু সুকুমারের অজস্র হাস্যোচ্ছ্বাসের বিশেষত্ব তাঁর প্রতিভার যে স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছে, তার ঠিক সমশ্রেণীর রচনা দেখা যায় না।”
আমার তো সবগুলো গল্পই পছন্দ হয়েছে। ছোটবেলায় পড়া পাগলা দাশুকে আবারো খানিকটা সতেজ করে তুললাম। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সুকুমার রায়ের গল্প বলার ধরন। স্যাটায়ার জাতীয় গল্পে সুকুমারের জুড়ি মেলা ভার। স্কুলের দাশুকে নিয়ে আছে এত সব মজার গল্প, আবার অন্যান্য গল্প সেগুলোতেও কিন্তু খেই হারাননি। হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনায় সুকুমার রায় "পাগলা দাশু" চরিত্রটিকে উপস্থাপন করেছেন পাঠকের মনে এখনো প্রিয় চরিত্র হিসেবে।
আমি প্রচুর ছোটদের বই পড়ি। সবার কাছে পাগলা দাশু ভালো লাগবে না। কেউ কেউ বলবেন আরো কম বয়সে পড়লে ভালো লাগতো। কী জানি! আমি এখনো পড়া শেষ করে সেই ছেলেবেলার মতই আনন্দ পেলাম। কিছু বই থেকে শিক্ষনীয় কিছু দরকার নেই। মনের আনন্দটাই বড়।
বাংলা সাহিত্যে যে কয়টা কালজয়ী চরিত্র আছে যারা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসে আমাদের বাস্তব জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে দাশরথি বা পাগলা দাশু তাদের মধ্যে অন্যতম। দাশু এমন একটা চরিত্র যে, হয় আমরা নিজেই দাশু নয়তো স্কুলজীবনে আমাদের সাথে এমন কারও পরিচয় ছিল যে দাশু। পাগলা দাশু বইটা এমনই এক অদ্ভূত চরিত্র দাশু এবং সমগোত্রীয় কিছু চরিত্র নিয়ে সৃষ্ট যারা স্কুলে দুষ্টুমির কোনো কমতি রাখে না; মারামারি করা, ভাঁওতাবাজি করা, শিক্ষকদের জ্বালাতন করা, বইয়ের আড়ালে গল্পের বই পড়া বা অন্য কোনো দুষ্টুমি করা এসব যাদের কাছে নিত্যনিয়মিত ব্যাপার।
আমি মনে করেছিলাম পুরো বইটাই দাশুকে নিয়ে হবে কিন্তু বিশটা গল্পের প্রথম চারটার পরেই দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে দাশু। কিন্তু মন খারাপ করার কিছু নেই, পরের গল্পগুলোতে দাশুর স্থান দখল করেছে ওর মতোই বা ক্ষেত্রবিশেষে ওর চেয়েও দুষ্টু শ্যামচাঁদ, দুলিরাম, ভোলানাথ, জলধর বা ব্যোমকেশরা।
সবচেয়ে ভালো লাগার গল্প বললে বলব ভুল গল্প, ডিটেকটিভ, নন্দলালের মন্দ কপাল আর নাম গল্প পাগলা দাশুর কথা। ‘ ভুল গল্প' গল্পটা সবচেয়ে ভিন্ন ধরনের একটা গল্প। যখন নামকরণের স্বার্থকতা খুঁজছিলাম আর লেখায় দু-একটা অসঙ্গতি পেয়ে বিরক্ত হচ্ছিলাম তখনই লেখক জানালেন পুরো গল্পটাই ছিল ভুল খোঁজার যার লিস্ট লেখক দিয়ে দিয়েছেন গল্পের শেষেই। ‘ডিটেকটিভ’ গল্পটা ভীষণ মজার। জলধর হলো সেই টাইপের মানুষ যারা সবসময় নিজেকে বিশেষ আর বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেদেরই খেলো বানিয়ে ফেলে। ‘ নন্দলালের মন্দ কপাল' গল্পটা পড়ে নন্দর জন্য কিছুটা খারাপই লেগেছে। ছেলেটা এত কষ্ট করল অথচ ওর কপালেই কি না… ‘ পাগলা দাশু' গল্পেই লেখক আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ‘ ক্ষীণদেহ খর্বকায় মুন্ড তাহে ভারী, যশোরের কই যেন নবমূর্তিধারি’ দাশুর সাথে। সহপাঠীদের ‘ অতিরিক্ত কৌতূহল ভালো নয়' শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে কান্ড করল তাতে হাসি চেপে রাখা দায়!
গল্পগুলো একদম সহজভাষায় লেখা, আড়ম্বরহীন কিন্তু নিঁখাদ হাস্যরসপূর্ণ। প্রতিটা গল্পই আমাকে যেন প্রাইমারি স্কুলের দিনগুলোতে নিয়ে গিয়েছিল যখন জীবন ছিল সহজ, চোখে ছিল মুগ্ধতা, ছিল প্রাণশক্তিতে ভরপুর শৈশব। বেশিরভাগ গল্প পড়ে হা হা করে হেসেছি, কিছু গল্পে দারুণ কিছু বার্তা পেয়েছি আর শেষ গল্পে তো মগজধোলাই হয়েই গেল! সবমিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটা বই। রবীন্দ্রনাথের সাথে তাল মিলিয়ে বলতেই হয় ‘ ( সুকুমারের গল্পগুলোর) ঠিক সমশ্রেণীর রচনা দেখা যায় না।‘
I first thought the book is about a single character, but I was mildly surprised to see that it is actually a collection of short stories. Set in a school in rural Bengal, it paints a hilarious portrait of the students and their lives both inside and outside of school.
If you were a trouble maker at school, you'll be able to relate with the characters. If you weren't, you would enjoy it anyway.
"পাগলা দাশু" বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় সম্পদ বলা যেতে পারে। দাশু স্কুল পড়া একটা ছোটো দস্যি ছেলে। তার দুষ্টুমি, পাগলামির জন্য তাকে পাগলা দাশু বলে ডাকা হয়। মোট ২০টি গল্প নিয়ে এই পাগলা দাশু বইটি। পাগলা দাশুর গল্পগুলি মূলত শিশুদের জন্য লেখা। এই পাগলা দাশু বাংলা সাহিত্যে খুব জনপ্রিয় চরিত্রগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে এবং সকলেরই মন মন জয় করে নিতে পেরেছে।
সুকুমার রায় মানেই আবার যেন শৈশবকে ফিরে পাওয়া। পাগলা দাশু সুকুমার রায়ের বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর একটি। ছোটবেলার অদ্ভুত সব দুষ্টুমি আর পেটে খিল ধরানো হাসির বাক্স! এজন্যই ভীষণ ভালোবাসি সুকুমার রায়কে, এভাবে নস্টালজিক করে দিতে আর কজনই বা পারে?