শওকত সাহেব মুনার মামা।ছোটবেলায় মুনার মা-বাবা মারা যাওয়ার তিনিই কোলেপিঠে করে মানুষ করেন । শওকত সাহেব মানুষটা যতই রাগী হোন না কেন মানুষটা খুবই ভাল । নিজের ছেলে মেয়েকে যতোটা ভালবাসেন তার থেকে বেশি ভালবাসেন মুনাকে । লতিফা মুনার মামি । মামি হলেও তিনি মুনাকে মায়ের মত ভালবাসেন । সারা বছর প্রায় অর্ধেকটা সময় তিনি অসুস্থই থাকেন । লতিফা মানুষটা ভীষণ সহজ-সরল একজন মহিলা । মুনা মেয়েটির মা-বাবা কেউ নাই। খুব ছোট থাকতেই বাবা মা মারা যায় । তারপর থেকেই মুনা মামার কাছেই মানুষ । আরো আত্মীয় স্বজন থাকলেও তারা মুনাকে রাখতে রাজি হয় নাই।কিন্তু শওকত সাহেব তাকে বুকে আগলিয়ে রেখে বড় করেছেন । বকুল মুনার মামাতো বোন।মুনার চেয়ে অনেক ছোট হলেও বুদ্ধিতে বেশ বড়।ক্লাস টেন পড়াকালীন সময়েই তার বিয়ের কথাবার্তা ছলে সে মোটামুটি বিয়ে করতে আগ্রহী ।আর এই কারনেই মুনা তার উপর যথেষ্ট বিরক্ত। বাবু ছেলেটা ক্লাস সেভেন পড়ে।মুনার মামাতো ভাই । ছেলেটা চুপচাপ, শান্ত স্বভাবের । সে সবসময় নিজের মতই থাকে । মামুন ছেলেটা মুনাকে পছন্দ করে ।মুনার সাথে বিয়ের কথাবার্তাও মোটামুটি ঠিক। কিন্তু হটাৎই মুনা মামুঙ্কে জানিয়ে দিল তাকে নিয়ে করবে না । কিন্তু কেন ? বাকের ভাই । এ উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।পাড়ার সবাই তাকে ভালো বললেও সে তার বড় ভাই এবং ভাবির কাছে একটা অপদার্থ।সবসময় সে যে কারো বিপদে ছুটে যায় । মুনা মেয়েতিকে ভীষণ রকমের পছন্দ করে সে। মুনা যখন অফিসে যাওয়ার সময় রিকশা পায়না তখন রিকশা ঠিক করে দেয় বাকের । কিন্তু মুনাকে মুখ ফুটে বলার মত সাহস তার হয় না । মুনাদের পরিবারের সকল বিপদে আপদে বাকের পাশে এসে দাড়ায়।কিন্তু বাকের নিজেই একসময় খুব বড় বিপদে পড়ে যায় ? কি সেই বিপদ ? যার থেকে কি বাকের মুক্তি পায় ? সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এই বইটা তে ।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
মেজাজ খারাপ নিয়ে লিখছি, পড়তে গিয়েও মেজাজ খারাপ হয়েছিল অবশ্য।
কোথাও কেউ নেই প্রথম পড়েছি বড় হয়ে. প্রথমে দেখেছি একদম ছোটবেলায়, নাটক হিসাবে। নাটক? হ্যাঁ, বিটিভিতে। কী দেখেছি, মনে নেই ঠিক। শুধু মনে আছে ছুটকো কিছু দৃশ্য... তমালিকা কর্মকার করেছিলেন রহস্যময় সাদা ভাড়াটে বাড়ির তিন সুন্দর মেয়ের মধ্যে একজনের চরিত্র, অদ্ভুদভাবে নাকি গলায় কথা বলতেন ইচ্ছাকৃতভাবে। একটা সাদা কুকুর ছিল সে বাড়ির পোষা, বাড়ির মালকিনকে বলা হতো কুত্তাওয়ালী। আমাদের স্কুলে যাওয়ার পথে এক দোকানের দেয়ালে চিকা মারা হয়েছিল সেসময়। ''বাকের ভাইয়ের মুক্তি চাই, কুত্তাওয়ালীর ফাঁসি চাই''--বহুদিন, বহুবছর ধরে স্কুল থেকে ফেরার পথে সেই দেয়াল লিখন চোখে পড়তো.. মনে আছে।
সেই দেয়াল নেই আর, দোকান ভেঙে বাড়ি উঠেছে বহুতল। আমিও নেই আর ওই শহরে, ওই রাস্তায়, ওই গলিতে। বয়স বেড়েছে ঢের জীবনানন্দের নর -নারীদের, আমারো। তবুও গুডরিডসের হাইপ দেখে বহুসময় পর ফের পড়া হলো কোথাও কেউ নেই। এবং শেষ করলাম বিরক্ত হয়ে।
একেবারেই ভাল্লাগে নাই? নাহ, ঠিক তা নয়. ভাল লেগেছে। একটানে, এক বৈঠকে পড়েছি, সেটা দেখেও নিজের কাছে ভাল লেগেছে। অন্ধের মতো যে অভ্যাস ছিল আজীবনের, বই পেলে পৃথিবী ভুলে যাওয়া, এই বয়সে, এতো ব্যস্ত জীবনেও সেই পুরোনো তিথী হারিয়ে যায়নি বলে...
আর ভাল না লাগার অংশ? একাধিক বার মেয়েমানুষ নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা। মেয়েমানুষ চাকরি করে, তাতে কী ক্ষতি হয়, মানসিকভাবে শক্ত সমর্থ মেয়েরা হয় পুরুষালি টাইপ, অতএব তাদের ভাল্লাগে না, মেয়েরা হবে কুসুমকলি, যেমন হওয়া উচিত, টোকা দেয়ার আগেই গায়ে ঢলে পড়বে... ওহ, সিরিয়াসলি?
কী ছিল হুআর উদ্দেশ্য, এমন টোনে লেখার পেছনে? সার্কাজম? নাকি অন্তঃনিহিত ইচ্ছে, বিশ্বাস করতেন-ই তাই? শীর্ষেন্দু যেমন 'যাও পাখিতে লেখেন আট-ন বছর তো চমৎকার বটেই, আরেকটু বয়সের তফাৎ হলেই আসলে দাম্পত্যজীবন মধুর হয়। ঐ 'কচি মেয়ে' ফিলোসফি আর কী, বুঝেনই তো। ;)
মামুনের সঙ্গে টানা পেম এবং বহু সাধের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ মুনা আর আসন্ন বিয়ের স্বপ্নে উচ্ছসিত বকুলের আনন্দ দেখে হিংসিত মুনা কি বোঝায়; বিয়েই নারীর অবলম্বন? বোঝায় শক্ত, গৃহবধু টিনাভাবীর যা মত-- সো কলড পুরুষালী, স্বাধীনচেতা, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মেয়েদের পরিণতি আদতে হবে মুনার মতো, যে শেষ পর্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়ে পাড়ার রবিন হুড ক্যাটাগরির মাস্তান বাকের ভাইয়ের প্রতি, কারণ সঙ্গী হিসেবে, অবলম্বন হিসেবে তখন তার তার পাশে কোথাও,কেউ নেই?
আরো 'নারীবাদী' বিবমিষা উগড়াব ভেবেছিলাম, স্যারের মুরিদেরা মাব্বে। কাল থেকে অফিসিয়ালি ঈদের ছুটি শুরু, হাতেও ম্যালা কাজ জমা। থাউকগা..
শেষে গিয়ে হঠাৎ করে খুব ভালো লেগে গেল বইটা। কিছু ব্যাপার ডিসগাস্টিং ছিল। সেগুলো অবশ্যই মেয়েদেরকে নিয়ে। তবে এটুকু বলতে পারি বইয়ের ভিতরে একবার ডুব দিলে আর উঠতে ইচ্ছে করবে না। মনে হবে থাক না- ভালোই তো আছি বকুল,বাবু,মুনা কিংবা বাকের ভাই এর সাথে।
শওকত সাহেব। তার প্রধান বৈশিষ্ট্য মেজাজ কোনো সময়ই খুব একটা ভালো থাকে না। তার উপর বড় মেয়ে বকুল ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছে। হেডমিস্ট্রেস লিখে দিয়েছে বাসায় একজন ইংরেজির শিক্ষক রাখতে। তবে বকুল জানে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করলে করবে পাটিগণিত এর জন্য। শওকত সাহেবের ছোট ছেলেকে প্রায়ই দেখা যায় ঘর অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে। মাথা ব্যাথাই তার একমাত্র কারন। তবে বাবুর(ছোট ছেলে) মাথা ব্যাথা কেন জানি মুনা আপা কে দেখলেই ভালো হয়ে যায়। যদিও মুনা আপা বলে দিয়েছে তাকে শুধু আপা ডাকতে।
মুনা আপাকে সবাই বলে শক্তপ্রকৃতির মেয়ে। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পরই মুনা আবিষ্কার করে তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করছে না। সংসার নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত তখন ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এসময় তার মামা শওকত সাহেব তাকে নিয়ে যায়। মা-বাবার ভালোবাসা বঞ্চিত মুনা বুঝতে পারে মামাই তার সব। শওকত সাহেবও যেনো মুনাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। হয়ত তার ছেলেমেয়ের থেকেও বেশি।
মধ্যবিত্ত্ব এই পরিবারটি নিজেদের হঠাৎ বিশাল বিপদের মধ্যে আবিষ্কার করে। পাল্টে যেতে থাকে চরিত্রগুলোর স্বভাব। বকুলের স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না, বাবুকেও দেখা যায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শওকত সাহেব কে আর দেখা যায় না বকুলের ট্রান্সলেশনের অপেক্ষায় বসে থাকতে।
এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার গুন্ডা বাকের ভাই। বাকের ভাইয়ের একসময় সাঙ্গপাঙ্গ থাকলেও আজকাল তাকে একাই দেখা যায়। মোটর পার্টস এর দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়ে উঠে না।মুনার প্রতি বাকের ভাইয়ের দূর্বলতা আছে। অথচ মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মামুনের সঙ্গে। তাদের প্রেমের পরিণতিই হতে যাচ্ছে তা। কিন্তু হঠাৎ করেই মুনার মনে হয় মামুন স্বার্থপর। শেষ পর্যন্ত কী হয় তাদের বিয়ে?
সবার বিপদে আপদে যে বাকের ভাই পাশে দাঁড়ায় সেই বাকের ভাই একদিন নিজেকে জেলের ভিতরে একা আবিষ্কার করে। ঝুলতে থাকে একটা খুনের মামলা...ঝুলতে থাকে একটা স্বপ্ন। আশেপাশে মানুষের ভীরে মিশে থাকলেও মনে হতে থাকে আমরা যেন খুব একা। মনে হতে থাকে আসলে কোথাও কেউ নেই।
কোথাও কেউ নেই..... কেউ থাকেনা.... দিনশেষে কিছু মানুষ অনেক একা....
প্রতি বছর গল্পের যাদুকর হুমায়ুন আহমেদ এর কিছু বই পড়ি, অবশ্যই গ্যাপ দিয়ে দিয়ে এবং অনুধাবণ করি কি শক্তিশালী লেখক ছিলেন তিনি। কিছু গল্প আছে হাসায়, ভাবতে শেখায়, আবার কিছু লাইন পড়তে গেলে বুকটা হুহু করে উঠে। বাকের ভাই চরিত্র এবং তৎকালীন সময়ের এই বইয়ের উপরে রচিত নাটকের কারণে বইটা এমনিতেই অনেক জনপ্রিয়, যারা বই পড়েনা তারাও বাকের ভাই চরিত্রটার কথা জানে। দেরিতে বইটা পড়ার কারনে আফসোস হচ্ছে আগে কেন পড়লাম না, বইটা আসলেই অনেক বেশি মনে রাখার মতো। প্রতিটি চরিত্রই তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছে বইটিতে। এবং বাকের ভাই এবং মুনা....... যারা সবার বিপদেআপদে থাকে কিন্তু দিনশেষে কেউ থাকেনা পাশে তাদের, বড্ড একা তারা। বইয়ের এই দুটি চরিত্র সবথেকে পছন্দের। এন্ডিংটা আরেকটু অন্যরকম হলে আরেকটুখানি বেশি ভালো লাগতো কিন্তু কমতি নেই কোন।
নাটকের বাকের ভাই কতটুকু আপন করে নিছে জানিনা কিন্তু বইয়ের বাকের ভাই অনেক বেশি বাস্তবের। মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ভাসছে উনার সংলাপ গুলো পড়ার পর। দিনশেষে ভালো একটা বই পড়লে মনে হয় বইয়ের উপর কিছু নেই, যার কেউ নেই তার বই আছে। এই বইটাও তেমন, অনেকদিন মনে রাখার মত।
ভালোবাসা, ভালো স��্পর্ক, ভালো সময় কোনো কিছুই যেন চিরন্তন না, দুঃখের করাল গ্রাসে সবকিছু ঠিক যেন ম্লান হয়ে যায়.হুমায়ুন আহমেদের কিছু দুর্লভ বই আছে যা ঠিক নেশার মত কাজ করে অনেক দিন পর্যন্ত ঘোরে আচ্ছন্ন করে রাখে,ঘোর কেটে গেলেও মনের কোনো না কোনো কোণে সে ঠিকই চুপটি করে থাকে,তাই হয়ত বাকের ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে আসা মুনার মত তার পরিচয় জানতে চাইলে চোখমুখ শক্ত করে বলে আমি কেউ না.তখন অসহায়ের মত মনে হয় কোথাও কেউ নেই;-)
রেটিং:🌠🌠🌠🌠🌠 কিংবা তার থেকে ও আরো বেশি কিছু, অনুভূতির কি কোনো মাপকাঠিতে মেপে বুঝানো সম্ভব?
বিটিভিতে যখন নাটকটা হতো, গভীর আগ্রহে দেখতাম আমরা। বাকেরের ফাঁসি নিয়ে দেশ জুড়ে যে অলীক অথচ প্রবল প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিলো সেটা ভুলে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে স্মৃতিকাতরতা থেকে বইটা পড়তে বসেছি সেটা বলা ভুল হবে। বর্তমান অফিসে উপরওয়ালাদের নির্দেশ সারাক্ষণ পিসির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কাজ না থাকলেও। উনারা সিসি ক্যামেরায় চোখ পেতে থাকেন আমরা ঠিকমতো পিসির সামনে বসে আছি কি না দেখতে। যখন কাজ থাকে না তখন এই পিসি-টাইমটুকুর সদ্ব্যবহার করতে পিসিতে পড়ার মতো বই খুঁজছিলাম। ভাইরাসদুষ্ট বারোয়ারি পিসিতে কোনো সাইট থেকেই পিডিএফ নামানো যাচ্ছিলো না। অনেক চেষ্টার পর এই বইটাই নামাতে পারলাম। স্মৃতির আবেগবশত আগ্রহ ছিলো। সেই সাথে কৌতূহল ছিলো মুনা আর মামুনের বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে। নাটকটা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের এক সাক্ষাতকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো মুনা আর মামুনের বিয়ে কেন হলো না এ ব্যাপারে নাটকে মূল বইকে অনুসরণ করা হয়নি কেন। জবাবে হুমায়ূন আহমেদ যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, মামুন বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলো, এ ব্যাপারটা নাটকে দেখানোর পক্ষপাতী ছিলেন না তিনি। আমি তখন ছোট, স্কুলে পড়ি। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে কেন বিয়ে ভেঙে দিতে হবে বুঝতে পারিনি। বই পড়ে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ইচ্ছে হলো এবার। পড়ে যা বুঝলাম তা বেশ গুরুতর। মামুন বিয়ের আগে নিছক শারীরিক সম্পর্কের "ইচ্ছে" প্রকাশ করেছে এমন নয়। সে যা করেছে তা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট। এক কথায় ধর্ষণ। ভালোবাসার মানুষের কাছে ধর্ষিত হয়ে তাকে বিয়ে করা মুনার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তাই সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। মামুনের অনেক ক্ষমাপ্রার্থনা, অনুতাপ সত্ত্বেও। মুনার আত্মমর্যাদাবোধ আর দৃঢ়তায় অভিভূত হলাম। মুনা শৈশবেও একবার যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলো। প্রেমিকের কাছেও এহেন আচরণ পেয়ে সংজ্ঞাতীত বিপন্নতার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত মুনা একা লড়ে চলে শেষ অব্দি। এই ভীষণ সংবেদনশীল ব্যাপারগুলো গভীর মমতায় প্রচ্ছন্নভাবে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে নিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। অথচ নাটক থেকে ছেঁটে ফেলেছেন এগুলো। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও চাইল্ড অ্যাবিউস, ধর্ষণের মতো গুরুতর বাস্তবতাকে নাটকে আড়াল করাটা ভীষণ অবিচার মনে হলো। হুমায়ূন আহমেদ দক্ষ গল্পকথক। চরিত্র আর ঘটনা বোনার জাদুকরি ক্ষমতা ছিলো তার। সাধারণ দর্শককে বিপন্নতার মুখে ফেলে দেওয়ার, তাদের মানসিক গড়নে ভাঙন ধরানোর সাহস হয়তবা ছিলো না। নাটকের থেকেও বইটা ভালো। এত মায়া! এত কষ্ট! এত বিপন্নতা! জীবনের নৈরাশ্য দারুণ নির্লিপ্ততায় গল্পের পরতে পরতে জড়ানো। একে একে ভেঙে পড়ে সবকিছু, নেই হয়ে যায় মানুষগুলো। কোথাও কেউ থাকে না।
আমার পরা হুমায়ুন আহমদের সেরা বই। এই নাটক সম্মন্ধে অনেক কথা শুনেছিলাম । ইউটিউবে বসে এক রাতেই সব এপিসোড দেখে ফেলি। নাটক আর বই এ কিছু পার্থক্য আছে। কিন্তু তারপর ও আমার নাটক ও বই দুইটাই পছন্দ হয়েছে।
বই আমার কাছে যদিও বেশি পছন্দ হয়েছে । মুনা এর মত চরিত্র আমি বাংলা সাহিত্যে কম ই দেখেছি। এর কারন হতে পারে আমি বাংলা বই এত পরিনি। কিন্তু যাই হক মুনা আমার অন্যতম প্রিয় চরিত্র তা মানতে হবে।
এই বছর পরা প্রথম বাংলা বই। এর থেকে ভালো শুরু হওয়ার কথা বলা যায় না।
এই বইকে নারীবিদ্বেষী বললে কাঠগড়ায় আনা কারেনিনাকেও তুলতে হয়। এখানে যুদ্ধ বকুল আর মুনার, সেই তুলনায় পার্শ্বচরিত্রদের অনেক দুর্বল মনে হইলো। বাকের ভাই শুদ্ধ। অনেকদিন পরে পড়লাম, ভালোই লাগলো। হুমায়ূন আহমেদের কপিক্যাটদের ভেতর হুমায়ূন আহমেদই সেরা।
‘কোথাও কেউ নেই’ পড়েছিলাম স্কুলে থাকতে। অনেক কিছু বুঝিনি। এবার পড়তে আগের চেয়ে অনেক কঠিন লেগেছে। বইটা সকলেরই পড়া। তবু বলে নিই, সামনে বইয়ের কাহিনি নিয়ে কথা বলব, কারো পড়া না থাকলে এই লেখাটা না পড়ার অনুরোধ।
প্রথমে বলি মামুন চরিত্রটার নিয়ে। এর কথা পড়ে অসুস্থ লাগছে। প্রথম থেকে দেখা গেল তার মনোভাব এমন : প্রেমিকা বলে খুশিমতো মুনার হাত ধরা যাবে, একহাতে জড়িয়ে ধরা যাবে। ক্লিয়ারলি মুনার সেটা ভালো লাগছে না, তবু মামুন সেই ভালো না লাগার ধার ধারছে না। যখন খুশি গায়েব হয়ে যাচ্ছে, মুনাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করছে না।
ভাবছে ‘মুনাকে গ্রামে নিয়ে আসতে হবে’। মুনার কি গ্রামে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আছে? সেই চিন্তা করার মতো শিক্ষা তার নাই। এই চরিত্র একটা কলেজের প্রফেসর। পরবর্তী ঘটনা নিয়ে লেখার মতো মেন্টার স্ট্রেংথ আজ নেই। প্রেমিকা, স্ত্রীকে মানুষ না ভেবে অবজেক্ট ভাবার প্রবণতা খুব কমন। আমার মনে হয়, হাত ধরার আগে যদি কেউ আপনার পারমিশন না নেয়, সেই মানুষটা আপনার এক মিনিট সময়ও ডিজার্ভ করে না। কারণ সেই মানুষটা আপনাকে একবিন্দু সম্মান করে না।
মামুনের গল্পের শেষটা হয় খুব সুন্দর। সে এরকম অমানুষিক আচরণ করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়। মনে করে ‘ক্ষমা’ তার প্রাপ্য। মুনা ‘রাগ’ করে আছে। রাগ একটা খুব মামুলি শব্দ। তারপর জাহানারার মতো চমৎকার একটা মেয়ের সাথে তার বিয়ে হয়। ঠিক এরকম মানুষ আমাদের চারপাশে অসংখ্য। এদের সাথে আমাদের প্রতিদিন ওঠা-বসা। ঘেন্না আর ক্লান্তি লাগে চোখের সামনে প্রতিনিয়ত এরকম দেখতে।
বকুলের জন্য অসম্ভব মন খারাপ হয়। সে একসময় ভাবে, ‘ভালবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়।’ এরকম স্বপ্নভঙ্গ তো হয় অহরহ। তবু মেনে নিতে শেখা কঠিন।
মুনা তার মামাকে একবার বলে, ‘কেউ আমাকে পছন্দ করে না মামা। আমার মধ্যে কিছু একটা বোধ হয় আছে যা মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়।’ তার এই ধারণা কত বড় ভুল সে কখনো জানবে না।
বাকের ভাইকে মুনা বলে, আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি। ভাববেন না এটা প্রেম, প্রেম অন্য জিনিস। বাকের হতভম্ব হয়ে বসে থাকে। মুনা তাকে জানায়, সে একজন ভালোমানুষ তখন তার মনে হয় মুনা এসব কী বলছে! সম্ভবত ভালো মানুষ আর না-ভালো মানুষের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো যে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর ভালো মানুষ সেটা শোধরানোর চেষ্টা করে। আর না-ভালো মানুষ সেটাকে ঠিক প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ একটা সপ্তাহ ধরে একটা বই পড়লাম। রাতে শোয়ার সময় মাথার পাশে রাখতাম। সকালে টিউশনে যাওয়ার সময়ও নিয়ে যেতাম। যেখানে সময় পেয়েছি,সেখানে পাতা দু পাতা করে পড়েছি। শেষ করলাম এখন। সব কিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এত দিন একটা বই সঙ্গী ছিল,কালকে থেকে সেটা আর থাকবে না।
"কোথাও কেউ নেই" বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল। প্রথম বার যখন সম্প্রচারিত হয়েছিল,তখন আমার দেখার সুযোগ হয় নি। বেশ কিছু বছর আগে এই নাটক টা পুনরায় বিটিভিতে ১০ টা সংবাদের পর দিত,তখন দেখেছিলাম। মন ছুঁয়ে গেছিল। হুমায়ূনের সৃষ্টিগুলো এমন যে আমার মত সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে দেয়।
নাটকটা অনেক আগে দেখলে ও বই টা পড়া হয়নি। সেটা এবার শেষ করলাম। মধ্যবিত্ত একটা পরিবারের গল্প। যেখানে মুনা নামের একজন সাহসী, দৃঢ়, বুদ্ধিমতী মেয়ে বাস করে। সে হাজার প্রতিকূলতার মধ্যে ও তার পরিবারের হাল ধরে রাখে। পরিবারের সবার কথা ভাবতে গিয়ে সে হয়ে পড়ে নিঃসঙ্গ! তার পছন্দের মানুষ ছিল বাকের। সেই বাকের ভাই ও চলে গেলে জগৎ সংসারে একদম একা হয়ে পড়ে মুনা। ওর কোথাও কেউ নেই।
আমি ভালো মতোই অবগত এই রেটিংয়ে আমি মাইনোরেটি পর্যায়ে কিন্তু এই বইটা এতো ডিপ্রেসিং! মানে এই বইয়ের নাম হওয়া উচিত ছিলো ট্রাজেডির ট্রেন কিভাবে? ১. সব কারেক্টার গুলোকে মেরে ফেল ২.যারা মরবে না তাদের রোগী বানিয়ে দাও ৩. নিতান্তই ভালো মানুষকে খারাপ বানিয়ে দাও কি এগুলো? আমার দৃঢ় বিশ্বাস বইটা আর ১০ পেজ বড় হলে বাবুকে ব্রেইন টিউমারের রোগী বানিয়ে দেওয়া হত
যাই হোক মামুন নামক চরিত্রটা নিয়ে দুই লাইন না লিখলেই না দুনিয়াতে ভিক্টেম কার্ড প্লেয়ারদের থেকে খারাপ কেউ কি আছে? সে পুরাই ভিক্টেম কার্ড প্লেয়ার, প্রথমে প্রেমিকাকে হেনাস্তা করলো এখন বিয়ের পর বউয়ের কাছে মেকি কান্না করছে
মানুষের জীবনের মোড় কিভাবে বদলে যায় ।কারণে , অকারণে!! নইলে মুনাও হয়তো মামুনের সাথে ঘর বাধতে পারতো। প্রয়োজনের তাগিদেই একজন নারীকে তার কোমলতার খোলস ছেড়ে শক্ত হাতে জীবনের হাল ধরতে হয়। সমাজে এমন হাজারটা মুনার সন্ধান হয়তো পাওয়া যাবে - চলতে ফিরতে যাদের পেছনে বলা হয় মেয়েটা কেমন, মেয়েরা এমন হবে কেন! সাধেই কি আর এমন হয় কেউ? সমাজ ,পরিবেশ আর পরিস্থিতিই নিজ দায়িত্বে সব তৈরি করে। যার প্রেক্ষিতে কেউ হয় মুনা নয়তো কেউ বাকের ভাইয়ের মতো। এ সমাজ বদলাবে কবে?
THE GREATEST, THE BEST, THE AWESOMEST NOVEL by Humayun Ahmed Ever written. There's just Nothing like this novel anywhere else... Don't know about others opinion, but to me, this is THE TOP. THE ONE. NUMERO UNO.
একরাশ বিষন্নতা। দিনশেষে মানুষ বড্ড একা। বাকের ভাইয়ের মত নিঃস্বার্থ ভাবে কারোর ভালোবাসা । মুনার জীবন । আহা আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের বেস্ট লেখা মনে হয় এটা।
কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল "বাকের ভাই"। বাকের ভাই গুন্ডা প্রকৃতির লোক এবং তার সঙ্গী ছিল "বদি" আর "মজনু", তারা তিনজনই মোটরসাইকেলে করে চলাফেরা করতো। অধিকাংশ সময় মোটরসাইকেল চালাতো মজনু, বদি বসতো পিছনে, বাকের ভাই বসতো মাঝে। বাকের ভাইয়ের একটা মুদ্রাদোষ ছিল, সে একটা চেইন হাতের তর্জনিতে অনবরত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচাতো, আবার উল্টোদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচ খুলে আবার প্যাঁচাতো। সক্রিয় ডায়লগ না থাকলে প্রায়ই তাকে এরকম করতে দেখা যেত। বাকের ভাইকে পছন্দ করতো "মুনা"। মুনা এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সে চাকরি করে, এবং তার মামাতো ভাই-বোনদের দেখাশোনা করে। বাকের ভাই এলাকার মাস্তান হলেও অধিকাংশ মানুষ তাকে ভালোবাসতো, কারণ সে ছিল সত্যের পূজারী-নিপীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে যেমন কুন্ঠিত হতো না, তেমনি সমাজের অন্যায়কেও মুখ বুজে মেনে নিত না, নিজের গুন্ডাদের দিয়ে তা কঠোর হস্তে দমন করতো। ঘটনাপ্রবাহে বাকের ভাই রেবেকা হক নামের এলাকার প্রভাবশালী এক নারীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ঐ নারী তার বাড়িতে অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন, বাকের ভাই তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করে। এই প্রভাবশালী নারী তার বাড়িতে কুকুর পালন করতেন বলে বাকের ভাই তাকে কুত্তাওয়ালী বলেন। এরই মধ্যে রাতের অন্ধকারে "কুত্তাওয়ালীর" দারোয়ান তার বাড়িতে খুন হয়। ফাঁসানোর জন্য এই খুনের দায় দেয়া হয় বাকের ভাইকে, সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয় কুত্তাওয়ালী'র সাজানো সাক্ষী এলাকার নব্য ছিনতাইকারী মতি। যদিও পদে পদে মতির মিথ্যা সাক্ষ্য বাকের ভাইয়ের উকিল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন আদালতের কাছে, কিন্তু এদিকে বাকের ভাইকে ফাঁসানোর জন্য কুত্তাওয়ালী লোভ দেখিয়ে বাকের ভাইয়েরই সাগরেদ বদিকে হাত করে নেয়। বদি নিরুপায় হয়ে আদালতে শপথ করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বাকের ভাইকে পাকাপোক্তভাবে ফাঁসিয়ে দেয়। আদালত ঐ খুনের দায়ে নির্দোষ বাকের ভাইকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকের ভাইয়ের পক্ষে উকিল হিসেবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন উকিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তে যেন মরে যায় মুনার মন। এদিকে মুনার ঘরের সবাইও বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি জমান। এই একাকিত্বের দিনে এক ভোরে, আধো অন্ধকারে, চারদিকে যখন ফজরের আযান হচ্ছিল, জেল গেট দিয়ে বাকের ভাইয়ের লাশ বের করে দেয়া হয়। কেউ ছিল না সেই লাশ গ্রহণ করার জন্য মুনা ছাড়া। সৎকার করার পর, মুনা বড় একা হয়ে যায়। তার যেন আর কেউ রইলো না কোথাও। নাটকের নামকে সার্থক করে মুনা ধারাবাহিকের শেষ দৃশ্যে ভোরের ���লো অন্ধকারে ছায়া হয়ে একা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
I liked the drama far better. উপন্যাসটা বহু আগে একবার পড়েছিলাম, এখন আবার পড়লাম। লেখাতে বাকের ভাই আর মুনার চরিত্রায়ণের ডিটেলিং নাই, যেভাবে প্লট সাজানো হয়েছে তাও ভালো লাগে নি। নাটক যেভাবে ছুঁয়ে গেছে, এর ধারে কাছে যায় নি (আমার ব্যক্তিগত অভিমত)৷ হুমায়ূন আহমেদ নিঃসন্দেহে প্রতিভাবান একজন সাহিত্যিক। কিন্তু অধিকাংশ লেখার মত এই লেখাতেও তার অগোছালো লেখনীর ছাপ পড়েছে। পড়তে গেলে এগুলো বড্ড চোখে লাগে, মনে হয় লেখক নিজেই নিজের চরিত্রদের চেনেন না। যেমন, প্রথমে লেখা হয়েছিলো বকুলের ঘুম পাতলা। পরে লিখেছেন, বকুল এমনভাবে ঘুমায় কেউ তুলতে পারবে না। এছাড়া, বইয়ে বকুলের অসুস্থতার ব্যাপারটা খুব টেনে লেখা হয়েছে, অসংলগ্নও লেগেছে কিছুটা। এক পর্যায়ে বিরক্তি ধরেছে। আর মামুনের চরিত্রায়ণ তো নাটকে বেস্ট। মানুষের চরিত্রের বদলের দিকটা পর্দার মামুন তুলে ধরেছে, যেটা গল্পের মামুন পারেনি। শেষটা নিয়ে আর না বলি। লেখকের অন্যান্য লেখা আমার বহুগুণে প্রিয়, যেমন- শঙখনীল কারাগার, মধ্যাহ্ন, আমি ও কয়েকটি প্রজাপতি ইত্যাদি।
কত অদ্ভুত ধরনের সুন্দর একটা গল্প। পড়া শেষ করার পর লেখকের মত বলতে ইচ্ছা করছে 'মনটা হু হু করছে '। হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা উপন্যাস গুলোর একটি নিসন্দেহে। ৫/৫
কিছু কিছু বই পড়লে সে সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বইয়ের ভিতরের শক্তি মাঝে মাঝে এতটা বেশি হয়ে যায় যে তখন আশেপাশের পরিবেশেও তার একটা প্রভাব ফেলে দেয় । মন খারাপ করার মত বই । নি:সন্দেহে । বলা যায় এরকম বই খুব কমই পড়েছি আমি ।
হালকা spoiler থাকতে পারে। . . শেষটা সম্পর্কে যদিও জানতাম কিন্তু পড়ার পর মানতে এত কষ্ট হচ্ছিল। কিছু কিছু মানুষ এত কাছের হয়, এত আপন হয়, তাও বলতে হয় "ও আমার কেউ না।"
the series hit differently, but this book, oh my god! it shattered me all over again, just on another level. It’s so different from the series in so many ways, in the best way. i can’t even pinpoint how, but both stand strong in their own worlds. the writing is just beautiful.
people often assume that the story revolves only around ‘muna’, but every character including babu, mama,mami, bokul, mamun, baker bhai carries their own loneliness at different moments. that’s exactly why the title ‘kothao keo nei’ fits so perfectly.
i was in tears when i reached the ending. baker bhai and muna deserved so much better. in some parallel universe, they’re still together, arguing, loving and keeping each other company forever. this remains my top humayun ahmed surreal read for a reason
ইয়ে মানে, মানে...ইয়েএ...মা... চা, চা আর চা! চায়ের গন্ধে ভুরভুর করছে বইটা!! আর, ইয়ে.. ট্র্যাজেডিরও তো একটা লিমিট থাকা দরকার! নাকি? বিটিভির ধারাবাহিক দেখা হয়নি আমার। না দেখেই ভালো হয়েছে বোধ হয়! বাকের ভাই মরে গেলো? না! পরিশিষ্ট অংশ অগ্রাহ্য করে, আমার কল্পনায় নীল আকাশে সোনালী ডানার চিল চক্রাকারে ঘোরে, মুনা অপেক্ষা করে বাকেরের জন্য। একসময় বাকের ভাই ছাড়া পায়... কল্পনাই তো বেশ! মন্দ কি?
ফেসবুকে "আজ রবিবার" নাটক নিয়ে কিছুদিন ধরে বেশ হাইপ চলছে দেখে পুনঃপাঠের শখ হয়েছিল। মেয়েদেরকে "মেয়েমানুষ" হিসেবে আখ্যায়িত করে লম্বা ত্যানা প্যাঁচানো এই গল্পও এককালে ভালো লেগেছিলো! ভাবতেই রাগ লাগছে।
চোখে মারাত্মক ঘুম নিয়ে রিভিউ লিখতে বসলাম কেন জানিনা। তবে না বলে ঘুমাতে ইচ্ছা হচ্ছে না। এই বই ক্লাস ফোরে থাকতে পড়তে নিয়েছিলাম, শেষ আর করতে পারিনি। দুঃখওয়ালা বই পড়তে ভালো লাগে না বলেই এতোকাল আরো এড়িয়ে গেছি, কী মনে আবার শুরু করলাম এবং হারিয়ে গেলাম...
একটানা যে পড়েছি তা না, বিরক্ত হয়েছি, রেখে দিয়েছি কিন্তু এবার শেষ না করে থাকতে পারলাম না। চরিত্রগুলো কেমন যেন, একদম চেনাজানা। মুনার জন্যে মায়া হয়, যে সবাইকে আগলে রেখে ভাবে যে সবাই তাকে দূরে সরিয়ে দেয়। কিছু কিছু কথায় বা মন্তব্য দেখে রাগ লেগে যায়, তখন বই রেখে অন্যকিছু করি- কিন্তু আরেকবার পড়ি, আরেকটু অন্যভাবে চিন্তা করি এমন করেই এগিয়ে গেছে।
সবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি যে এইটা মনে দাগ কাটার মতই একটা গল্প; পরিচিতই সব তবে, বলার ধরনটাই অনন্য।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিটিভি তে প্রথমবারের মতো কোথাও কেউ নেই দেখা হয়। নাটকটা কম-বেশি আমাদের সকলেরই চেনা। এর কথা উঠলেই হয়তো সবার আগে আমাদের মনে আসে, "হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মেরা লাল দোপাট্টা…" তবে মূল গল্প এক হলেও, নাটকের সাথে বইয়ের বিস্তর তফাৎ রয়েছে। বইয়ে বদি কিংবা মজনু নেই, আরো অনেক কিছুই অন্যরকম (নাটকটা অনেকদিন আগে দেখেছি বলে অনেক কিছু মনে নেই)। আমার কাছে অবশ্য নাটকটাই বেশি ভালো লেগেছিল (সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত)।। অনেকদিন পর লিখতে বসেছি, মাথা ফাঁকা হয়ে আছে, মাথায় শুধু তড়িৎ বর্তনী আর অস্থি-তরুণাস্থি ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভেবেছিলাম অনেক কিছু লিখব, হলো না, তার বদলে হিজিবিজি হিজিবিজি বকবক করলাম, দুঃখিত।।
অসাধারণ!!!! আমি নাটক দেখিনি,তবে বই পড়েই বাকের ভাইকে ভালোবেসে ফেলেছি। ‘যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি বাড়ি যায়, তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।’ Hats Off, sir! শুধুমাত্র আপনার দ্বারাই এমন কিছু লিখা সম্ভব। মাস্টারপিস!