Kaushik Roy is Reader in History at Jadavpur University, India and Global Fellow of the Peace Research Institute Oslo, Norway. He is the author of many articles and books, including Military Manpower, Armies and Warfare in South Asia (2013), The Army in British India (2012) and The Oxford Companion to Modern Warfare in India (2009). He is also the co-author of Armed Forces and Insurgents in Modern Asia (2016; with Sourish Saha) and the co-editor, along with Scott Gates, of War and State-Building in Afghanistan (2015).
রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে শিল্পপতির মেয়ের বিয়ের আগেরদিন রাতে কিছু একটা ঘটল। বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতে বসা ছেলেটি সদলবলে হারিয়ে গেল। নিজের বাড়ি থেকে হারিয়ে গেল মেয়েটিও! পার্টির জায়গায় পাওয়া গেল চাপ-চাপ রক্ত, ভাঙা কাচের টুকরো, এমনকি বুলেট। অপহরণ? কিন্তু তাহলে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসছে না কেন? দারুণ চাপে পুলিশের তরফে শেখর রুদ্র তাঁর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অফিসারদের দায়িত্ব দিলেন— যাতে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়ে আনা যায় অপহৃতদের। শিবানী ও তাঁর সঙ্গীরা যথাসম্ভব কপিবুক মেনে এগোতে সচেষ্ট হল। তবে প্রদোষ চ্যাটার্জি এর জন্য যাবতীয় আইন-কানুন কিছুক্ষণের জন্য উপেক্ষা করে কাজে লাগাতে চাইলেন এক দুর্ধর্ষ অপরাধীকে। সে এক ভয়ংকর খুনি; কিন্তু তার অবিশ্বাস্য স্মৃতিশক্তি, ফরেন্সিক বিজ্ঞানে গভীর জ্ঞান, আর বাস্তব অভিজ্ঞতার কোনো জুড়ি নেই। তার নাম আদিল। তারপর কী হল? অজস্র মিথ্যার গোলকধাঁধায় কমে আসতে থাকা সময়ের মুখোমুখি হয়ে সত্যকে কি উদ্ধার করতে পারল পুলিশ? আদিল কি পারল তার ম্যাজিক দেখাতে? একইসঙ্গে পোলিস প্রোসিডিওরাল এবং ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে রচিত হয়েছে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী উপন্যাস। ফরেন্সিকের খুঁটিনাটির সঙ্গে ষড়রিপুর বিচিত্র চলন একে ছুটিয়ে নিয়ে চলে। তবে এই বইয়ের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ নিঃসন্দেহে আদিল। ভরসা রাখি যে লেখক রুদ্র পরিবারের অন্যদের নিয়ে লেখার পাশাপাশি এই বর্ণাঢ্য চরিত্রটিকেও ফিরিয়ে আনবেন তাঁর লেখায়। বইটি সুমুদ্রিত। বেশ কিছু পাতাজোড়া অলংকরণ এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বইটা শেষ করার পর তার প্রথম দিকে উৎসর্গের পাতাটা পড়ে জবরদস্ত ঝটকা খেলাম। সেটা প্রায় ভূমিকম্পের আকার নিল বইয়ের ভূমিকা পড়ে। সঙ্গে খুব-খুব ভালোও লাগল। কথাগুলো সন্ধ্যাভাষা বলে মনে হলে আমাকে মাফ করবেন। তবে মোদ্দা কথা হল, এটি একটি সলিড থ্রিলার। এই ধারার লেখাপত্রে অনুরাগী হলে বইটি অবশ্যই পড়তে অনুরোধ করব। নিরাশ হবেন না বলেই আমার ধারণা।