পাণ্ডব গোয়েন্দার অভিযান মানেই ঠাসবুনোট এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনী। যে-কাহিনীর পাতায় পাতায় শিহরন। এবারের এই অভিযানের শুরুতেই চমক। পাণ্ডব গোয়েন্দা জুটি বাবলুকে উপহার দিল এমন একটা স্কুটার যার নম্বর ট্রিপল সেভেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় একটা ব্যাঙ্ক থেকে লুঠ হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকা। বাবলু তার আশ্চর্য স্কুটারে চেপে ডাকাত-দলকে ধাওয়া করে উদ্ধার করে আনল সেই টাকা। কিন্তু আসল বিপত্তি শুরু হল এর পরেই। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের শিশুপুত্র বাবুয়াকে লোপাট করে দিল দুষ্কৃতীরা। পাণ্ডব গোয়েন্দারা কি আর বসে থাকতে পারে? তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল রহস্যের ঘূর্ণি প্রবাহে। ততক্ষণে ঘটনাও বেঁকে গিয়েছে দুরন্ত স্রোতের মতো। বাবুয়ার মতো অপহৃত হল মিষ্টি মেয়ে অলি চৌধুরী, সুদর্শন জয়দীপ। তাদেরই খোঁজে গিয়ে পাণ্ডব গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছে জব্বলপুরের রাগিণীকে। পঞ্চুর বিক্রম আর পাণ্ডব গোয়েন্দার দুর্জয় সাহসের সামনে হেরে গেছে আলেকজান্দার মারিয়া নামে এক কুখ্যাত শয়তান। নর্মদা প্রপাত থেকে অপ্সরা প্রপাত, জটাশংকর গুহা থেকে পাণ্ডব কেভ—সবই এই রোমাঞ্চকর কাহিনীর পটভূমি হয়ে উঠেছে। চিত্তরঞ্জনের হিল টপ থেকে যে-অভিযানের শুরু তারই পরিসমাপ্তি ঘটেছে সাতপুরা পর্বতমালার অরণ্যনির্ঝর পরিবেশ, শৈল শহর পাঁচমারিতে। কিন্তু ধূপগড়ের সূর্যাস্তের মুহূর্তে কী হয়েছিল?
না, আর বলা যাবে না। এবার, তোমাদের পড়ে নেওয়ার পালা।
Sasthipada Chattopadhyay (born 9 March 1941) was an Indian novelist and short story writer predominantly in the Bengali language. He was a well-known figure, famous for his juvenile detective stories, namely, the 'Pandob Goenda' series, as well as his contribution to children's fiction in general.
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম ২৫ ফাল্গুন ১৩৪৭। ইংরাজি ১৯৪১। মধ্য হাওড়া খুরুট ষষ্ঠীতলায়।
কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্য সাধনার শুরু। ১৯৬১ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয় আলোচনীর সঙ্গে লেখালেখি সূত্রে যুক্ত থাকলেও ১৯৮১ সালে প্রকাশিত ছোটদের জন্য লেখা ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’ই লেখককে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র জনপ্রিয়তার পর থেকে বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন একটির পর একটি বই। মূলত অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাই দেশে দেশে ঘুরে যে-সব দুর্লভ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তাঁর প্রতিটি লেখার ক্ষেত্রে।
বাচ্চা কাচ্চা ছেলের হাতে পিস্তল? ট্রেনিং ছাড়াই অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ? একের পর এক মানুষ মরে যাচ্ছে কোন রকম সাইকোলজিকাল ইম্প্যাক্ট নেই? বলতেই হচ্ছে সিরিজটি হতাশা জনক, এনিড ব্লাইটনের মত করে লিখলেও হত, বাচ্চারা বাচ্চাই, জেমস বন্ড বানানোর মানে নেই তাদের।