খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি উপন্যাস লেখা যায়। তবে তাতে রাজনীতি আসবেই। মুশকিল হলো, এ দেশে অনেকেই ব্যক্তিপূজায় অভ্যস্থ। তাঁরা চান প্রিয় নেতাকে নিয়ে একটি বন্দনাগীতি। অথচ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চোখে তিনি দানব, তাঁর সবটাই মন্দ। এই দুই ধারার পাঠকের মধ্যে পড়ে হিমশিম খেতে হয়। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন- এই যে তথ্য দিলেন, এর সূত্র কী? অর্থাৎ কিছু লিখলে সঙ্গে সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে এই তথ্য নির্ভুল। এটা মনগড়া কেচ্ছা নয়। সেজন্য ব্যবহার করতে হয় সূত্র। আর সূত্র ব্যবহার করলে উপন্যাসের মেজাজ থাকে না। নিজেকে সুরক্ষা দিতে তাই রেফারেন্স-কণ্টকিত একটি রচনা লিখতে হলো। এটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের আখ্যান।
জন্ম ১৯৫২, ঢাকায়। পড়াশোনা গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মুহসীন হল ছাত্র সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএলএফের সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দৈনিক গণকণ্ঠ-এ কাজ করেছেন প্রতিবেদক ও সহকারী সম্পাদক হিসেবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সুংকোংহে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাস্টার্স ইন এনজিও স্টাডিজ’ কোর্সের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অধ্যাপক। তাঁর লেখা ও সম্পাদনায় দেশ ও বিদেশ থেকে বেরিয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা অনেক বই।
বইয়ের পাতা মোটা করে, ফন্ট বড় করে, ব্যাপক স্পেস দিয়ে যা হয় তাই। এটা স্রেফ বাটপারি বই। এর থেকে লেখকের বেলা অবেলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম- এসব অনেক ভালো ছিলো। আমি তোতাপাখির মতো তথ্য তুলে ধরা ছাড়া কিছুই পেলাম না।
বইটা বেশ তথ্যবহুল। তবে প্রচলিত অর্থে খালেদা জিয়ার আত্মজীবনী নয় এটা। তাঁর ও বিএনপির চলার পথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা ও এর ফলাফলের আখ্যান এ বই। প্রচুর রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে এতে। রাজনীতির মাঠে খালেদা জিয়ার উত্থান চিত্রটা বিধৃত হয়েছে এ বইয়ে।