Jump to ratings and reviews
Rate this book

पथ के दावेदार

Rate this book
अपूर्व के मित्र मजाक करते, ''तुमने एम. एस-सी. पास कर लिया, लेकिन तुम्हारे सिर पर इतनी लम्बी चोटी है। क्या चोटी के द्वारा दिमाग में बिजली की तरंगें आती जाती रहती हैं?''


अपूर्व उत्तर देता, ''एम. एस-सी. की किताबों में चोटी के विरुध्द तो कुछ लिखा नहीं मिलता। फिर बिजली की तरंगों के संचार के इतिहास का तो अभी आरम्भ ही नहीं हुआ है। विश्वास न हो तो एम. एस-सी. पढ़ने वालों से पूछकर देख लो।''


मित्र कहते, ''तुम्हारे साथ तर्क करना बेकार है।''


अपूर्व हंसकर कहता, ''यह बात सच है, फिर भी तुम्हें अकल नहीं आती।''


अपूर्व सिर पर चोटी रखे, कॉलेज में छात्रवृत्ति और मेडल प्राप्त करके परीक्षाएं भी पास करता रहा और घर में एकादशी आदि व्रत और संध्या-पूजा आदि नित्य-कर्म भी करता रहा। खेल के मैदानों में फुटबाल, किक्रेट, हॉकी आदि खेलने में उसको जितना उत्साह था प्रात:काल मां के साथ गंगा स्नान करने में भी उससे कुछ कम नहीं था। उसकी संध्या-पूजा देखकर भौजाइयां भी मजाक करतीं, बबुआ जी पढ़ाई-लिखाई तो समाप्त हुई, अब चिमटा, कमंडल लेकर संन्यासी हो जाओ। तुम तो विधवा ब्राह्मणी से भी आगे बढ़े जा रहे हो।''


अपूर्व हंसकर कहता, ''आगे बढ़ जाना आसान नहीं है भाभी! माता जी के पास कोई बेटी नहीं है। उनकी उम्र भी काफी हो चुकी है। अगर बीमार पड़ जाएंगी तो पवित्र भोजन बनाकर तो खिला सकूंगा। रही चिमटा, कमंडल की बात, सो वह तो कहीं गया नहीं?''


अपूर्व मां के पास जाकर कहता, ''मां! यह तुम्हारा अन्याय है। भाई जो चाहें करें लेकिन भाभियां तो मुर्गा नहीं खातीं। क्या तुम हमेशा अपने हाथ से ही भोजन बनाकर खाओगी?''


मां कहती, ''एक जून एक मुट्ठी चावल उबाल लेने में मुझे कोई तकलीफ नहीं होती। और जब हाथ-पांव काम नहीं करेंगे तब तक मेरी बहू घर में आ जाएगी।''


अपूर्व कहता, ''तो फिर एक ब्राह्मण पंडित के घर से बहू, मंगवा क्यों नहीं देतीं? उसे खिलाने की सामर्थ्य मुझमें नहीं है-लेकिन तुम्हारा कष्ट देखकर सोचता हूं कि चलो भाइयों के सिर पर भार बनकर रह लूंगा।''


मां कहती, ''ऐसी बात मत कह रे अपूर्व, एक बहू क्या, तू चाहे तो घर भर को बिठाकर खिला सकता है।''


''कहती क्या हो मां? तुम सोचती हो कि भारतवर्ष में तुम्हारे पुत्र जैसा और कोई है ही नहीं?''


और यह कहकर वह तेजी से चला जाता।


अपूर्व के विवाह के लिए लोग बड़े भाई विनोद को आकर परेशान करते। विनोद ने जाकर मां से कहा, ''मां, कौन-सी निष्ठावान जप-तपवाली लड़की है, उसके साथ अपने बेटे का ब्याह करके किस्सा खत्म करो। नहीं तो मुझे घर छोड़कर भाग जाना पड़ेगा। बड़ा होने के कारण लोग समझते हैं कि घर का बड़ा-बूढ़ा मैं ही हूं।''


पुत्र के इन वाक्यों से करुणामयी अधीर हो उठी। लेकिन बिना विचलित हुए मधुर स्वर में बोली, ''लोग ठीक ही समझते हैं बेटा। उनके बाद तुम ही तो घर के मालिक हो। लेकिन अपूर्व के संबंध में किसी को वचन मत देना। मुझे रूप और धन की आवश्यकता नहीं है। मैं स्वयं देख-सुनकर तय करूंगी।''

ebook

First published January 1, 1926

107 people are currently reading
1565 people want to read

About the author

Sarat Chandra Chattopadhyay

260 books931 followers
Complete works of Sarat Chandra (শরৎ রচনাবলী) is now available in this third party website:
http://sarat-rachanabali.becs.ac.in/i...

Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.

His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.

He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.

Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.

Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.

Some of his best known novels are Palli Samaj (1916), Charitraheen (1917), Devdas (1917), Nishkriti (1917), Srikanta in four parts (1917, 1918, 1927 and 1933), Griha Daha (1920), Sesh Prasna (1929) and Sesher Parichay published posthumously (1939).

"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
617 (40%)
4 stars
543 (35%)
3 stars
285 (18%)
2 stars
58 (3%)
1 star
24 (1%)
Displaying 1 - 30 of 85 reviews
Profile Image for Ashik.
220 reviews40 followers
June 29, 2025
ক্ল্যাসিক পড়ার এই যা মজা! যতবার পড়া হয় ততবারই নতুন করে, ভিন্ন আঙ্গিকে কিছু না কিছু দেখা যায়, জানা যায়।
অনেক বছর আগে পড়া হয়েছিল, আবার পড়লাম। সেই প্রথমবারের মতো ভালো লাগা, তার রেশ একটুও কমেনি।
2 reviews18 followers
August 26, 2019
অসাধারন বই ,একদিকে ভালোবাসা অন্যদিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে অসাধারন এক বই ।
Profile Image for Tamim Mostafa.
24 reviews2 followers
September 26, 2019
Outstanding and brave narration which challenged the orthodox society to change their mindset in the righteous way. This book will give the readers an idea about the liberating, modern and brave mindset of Sharat Chandra, who was clearly ahead of his contemporary generation. No wonder the book was banned, even Rabindranath was afraid to endorse it, in fact he rather criticized the book in favor of the British, but Sharat Chandra stood his ground fearlessly. It proves how strong and righteous his ethics and values were.

The storytelling was so fluid and dynamic, and the ending was truly epic! This book will stand the test of time, and I wish people will read it even after 500 years or more.
Profile Image for musarboijatra  .
283 reviews351 followers
January 22, 2025
'পথের দাবী' আমার জন্য ছিল তেমন আরেকটা উপন্যাস, যেটা সামনে থাকা সত্ত্বেও হাতে নেওয়া হয়নি উপযুক্ত রিভিউ পাইনি বলে। দুর্দান্ত! ক্ল্যাসিক উপন্যাসে নারীবাদ, আন্দোলন, সামাজিক গল্প এত রকম দিক থাকবে প্রত্যাশা করিনি। এবং 'দেবদাস, 'বড়দিদি' পড়ে শরৎচন্দ্র-কে যেমন চিনেছিলাম, তাঁর কাছ থেকে এমন 'পলিটিকালি কন্সার্নড' লেখা আমার জন্য ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত!

উপন্যাসে রাজনৈতিক সোচ্চারতা যাঁদের পড়তে পছন্দ, এবং কোনো একসময় Ban হওয়া বই পেলেই যাঁদের আগ্রহ বেড়ে যায়, তেমন বাঙালী পাঠকদের অবশ্যই পথের দাবী পড়া উচিৎ! ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরের বছরেই ব্রিটিশ রাজ-রোষের মুখে বাজেয়াপ্ত হয় বইটি, এমন একটা সময়ে, যখন ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন তুঙ্গে। বঙ্গবাণী পত্রিকায় ধারাবাহিক পত্রিকায় প্রকাশের সময় থেকেই সরকারি মহলে বিষোদগার শুরু হয় উপন্যাসটি নিয়ে, শেষে সরকারি গেজেটে তাকে নিষিদ্ধ করা... তারপরেও এই নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে বেশ আন্দোলন হয়েছিল জনতার মাঝে।

কর্মসূত্রে রেঙ্গুনে আসে বাঙালী ব্রাহ্মণ ছেলে অপূর্ব, যে আগাগোড়া সংস্কারের প্রতিভূ। ঘটনা-দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় ভারতী'র সঙ্গে, যে ব্রাহ্মণ মেয়ে বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে এখন এক ইংরেজের পরিবারে আশ্রিত, ধর্ম পাল্টে হয়েছেন মিস ভারতী গোমেজ। যে অপূর্ব'র ভীষণ সংস্কারে কিনা ভারতীর হাতে জল খেলেও জাত যেতে পারে, সে অপূর্ব-ই অবস্থার ফেরে রীতিমতো নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ভারতীর ওপর। এই অব্দি ধর্মীয় সংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করে একটা সামাজিক ও রোমান্টিক গল্প বলতে পারতেন শরৎচন্দ্র, কিন্তু এরপর থেকেই গল্পের রাজনৈতিক সচেতনতা সামনে প্রকাশ পায়। ইতিমধ্যে রেঙ্গুনের ইংরেজ মুল্লুকে বিরাজমান ইংরেজ-প্রভাবিত বৈষম্যের ছবি পাঠক দেখতে পেয়েছে অপূর্ব'র চোখে। এবার ভারতীর সাথে গিয়ে পরিচিত হয় সমাজকে পাল্টাবার এক সংগঠনের সাথে, যার নাম 'পথের দাবী'

'পথের দাবী' মূলত সমাজ সংস্কার এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে, দরিদ্র শিশুদের শিক্ষাবিস্তারেও। শ্রমিকের পাশে এসে দাঁড়ানোর মাঝে হয়তো কিছুটা কম্যুনিস্ট ভাবধারা প্রকাশ পায়। কিন্তু সমিতি'র গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক, 'ডাক্তারবাবু', পুরোদস্তুর অ্যানার্কিস্ট, এবং শাসকদলের বিপক্ষে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িত। সশস্ত্র সংগ্রামীরূপে দেখা যায় দলের অধিকাংশ সদস্যকেই। এ যে তৎকালীন অনুশীলন সমিতি এবং সশস্ত্র আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি, তা ধারণা করাই যায়। এমনকি পথের দাবী'র প্রকাশকাল মিলে যায় সূর্যসেন-এর তৎপরতার সময়ের সাথেও।

তাই পথের দাবী উপন্যাসের শুরুতে মূল চরিত্রে অপূর্ব আর ভারতীকে দেখতে পেলেও, অর্ধাংশ থেকে আমাদের নজর ঘুরে যায় ডাক্তারবাবু'র দিকে। যাঁর কন্ঠে লেখক উচ্চারণ করেছেন পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করার মন্ত্র, কাহিনীতে যাঁর উপস্থিতি, সংলাপ, কাজ যেন শরৎচন্দ্রের লেখা মেনিফেস্টো। তবু এই চরমপন্থী বিপ্লবী চরিত্রকে তিনি হিরো ওঅরশিপের চোখে দেখেননি, সমালোচনা করেছেন আশপাশের চরিত্রগুলোর হাতে। এভাবেই ভারতী বা সুমিত্রা'র মতো শক্তিশালী নারী চরিত্রগুলো উজ্জ্বল ছিলেন নিজ জায়গায়। শক্ত প্রশ্নটা করেছেন সুমিত্রা, যিনি হতে পারতেন ডাক্তারের সংক্ষুব্ধ জীবনের একমাত্র ঠাঁই, প্রশ্ন করেছেন এই ধ্বংসাত্মক জীবনযাত্রায় আসলে মনুষ্যত্ব টিকে থাকতে পারে কি না। একেকটা চরিত্র'র একেকটা গল্প এঁকেছেন লেখক, কিন্তু শেষে অধিকাংশকেই সম্পূর্ণ character arc দেননি, যেন তাদের গল্পের চাইতে গুরুতর ছিল তাদের উপস্থিতিতে যে রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরেছেন লেখক, সেটা।

পথের দাবী ভীষণ Politically Opinionated একটা উপন্যাস, এবং বলা বাহুল্য, এর লেখক আমার এতদিনকার চেনা শরৎচন্দ্রের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে যেমন বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণা আছে, 'পথের দাবী' তেমন প্রভাব রেখেছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে হয়।

পুনশ্চ : ১৯৭৭ সালে উত্তম কুমারকে নায়ক করে 'পথের দাবী'র সিনেমা এডাপ্টেশন হয়, সব্যসাচী নামে। পরিচালনায় ছিলেন পীযুষ বোস।
66 reviews4 followers
May 27, 2017
I really liked it though the translation was disjointed in places.
The characters are quite 3 dimensional. The author paints a good picture of 1910s Rangoon and is very evocative with the feeling of Indians under colonial rule. Sarat Chandra does fall into the trap of Bengali ethnocentricism while also displaying appreciation for other Indian cultures. His treatment of women is quite empathetic.
Its a commentary through the hero, the Doctor, on what was necessary to win Independence. In the end, he is the only one willing to do whatever it takes while the other characters start losing their way one by one.
Profile Image for Anie .
92 reviews30 followers
April 13, 2016
This novel is Sarat Chandra’s best creation. Its depicts the importance of feelings of patriotism and service to the country. This novel was first published in Bengali and it created a great sensation and British government banned this book. The great Rabindranath Tagore also praised this creation of Sarat Chandra. Readers will enjoy reading it.
167 reviews1 follower
September 20, 2017
Fascinating...every Bengali must read it. Wonderful piece of literature and describes an angle to the anti colonial movement which many may not be aware of...describes perfectly well how the brits were nothing but brutes and the anglos their hangover mistakes..
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
November 28, 2024
২০২৪ এর শেষে এসে যদি গল্পের সাথে সময়ের খাপ না খায় সেটা আপনার ব্যার্থতা।
তৎকালীন সমাজ আর রাজনৈতিক অবস্থার সমন্বয়ে এর থেকে দারুন কোনো ফিকশন আছে কিনা আমার জানা নেই। যদিও আমার জানার গন্ডি অতি সীমিত।
সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা রিডিং এক্সপেরিয়েন্স ছিল। তৎকালীন সমসাময়িক আর তার সাথে রিতীমত থ্রিলার ভাইভ এর লিখে গেছেন লেখক।
Profile Image for Agniva Sanyal.
23 reviews3 followers
August 18, 2023
'পথের দাবী' উপন্যাসটিকে নিয়ে ব্রিটিশ রাজশক্তির ক্ষোভ এবং প্রকাশের কয়েকমাসের মধ্যেই গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। কিন্তু রাজশক্তির রোষে কেন পড়েছিল শরৎচন্দ্রের উপন্যাস, তা জানতে হলে আদ্যোপান্ত উপন্যাসটির নিবিড় পাঠ ছাড়া গত্যন্তর নেই।
এই উপন্যাস গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে, যখন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রায় তুঙ্গ মুহুর্ত স্পর্শ করেছে। একের পর এক আন্দোলনের ঢেউ ভেঙে আরো বৃহত্তর বিদ্রোহের বীজ ভারতভূমির চেতনগর্ভে সুপ্তিমোচনের প্রতীক্ষায়। এমন এক সময়ে শরৎচন্দ্র লিখলেন - 'পথের দাবী'।
এই উপন্যাসের তিন জন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল অপূর্ব, ভারতী এবং ডাক্তার। অপূর্ব আধুনিকতার বিপ্রতীপে প্রাচীনপন্থী হিন্দু আচারসর্বস্ব মানুষ। উচ্চশিক্ষা শেষ করে বর্মায় যায় মোটা মাইনের চাকরি করতে। তার অন্তরে পরাধীনতার গ্লানি। কিন্তু যাপিত জীবনের অভ্যাস এবং নিরুপদ্রব সুখভোগের কামনায় সেই গ্লানিমোচনের নিষ্ক্রিয়তায় তার মধ্যে আসলে ফুটে উঠেছে শিক্ষিত নাগরিক সমাজের সচেতন কাপুরুষতা এবং ভীরু পলায়নপরতার চিত্র। ভারতী সততই পরাধীন ভারতাত্মার মূর্ত রূপ। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের মেয়ে হয়েও জীবনের বিড়ম্বনায় পিতার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে তার ঠাঁই হয় সাহেব পরিবারে এবং ধর্মান্তরিত হয়ে তার নাম হয় মিস জোসেফ ভারতী। তার নামকরণ এবং জীবনপ্রবাহের এই টুকরো চিত্রে শরৎচন্দ্র ভারতবর্ষেরই করুণ পরিণতি যেন ফুটিয়ে তুলেছেন। ভারতীকে তিনি শেষ পর্যন্ত দাঁড় করিয়েছেন সংগ্রামের দ্বিধাকীর্ণ পথে।
তবে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অবশ্যই ডাক্তার ওরফে সব্যসাচী ওরফে মহাপাত্র ওরফে শৈল। সব্যসাচী চরিত্রটি নির্মিত হয়েছে চরমপন্থী বিপ্লবী নেতার আদলে। বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শরৎচন্দ্র সব্যসাচী চরিত্রটিকে সর্বাঙ্গীনভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেন, যার প্রভাব অসাধারণভাবে উপন্যাসে ফুটে উঠেছে।
সব্যসাচীর জীবন অনিকেত সংগ্রামমুখর। পরাধীন ভারতবর্ষকে শৃঙ্খলমুক্ত করাই তাঁর সাধনা। তাই বর্মায় কুলিমজুরদের মধ্যে সংগ্রামী চেতনাকে সংক্রমিত করার লক্ষ্যে তিনি তৈরী করেন 'পথের দাবী' নামে এক বিপ্লবী সংগঠন। ভারতী এবং তার হাত ধরে অপূর্ব ক্রমশ এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং এই সংগঠনের ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে উপন্যাসটি এগিয়ে চলে।
এই উপন্যাসের প্রথম অংশ অপূর্বনির্ভর এবং দ্বিতীয় অংশের কেন্দ্রে রয়েছে ভারতী। প্রথম অংশ ঘটনাবহুল হলেও দ্বিতীয় অংশে লেখক ভারতী এবং সব্যসাচীর সুদীর্ঘ কথোপকথনের মধ্য দিয়ে উপন্যাসটির উদ্দেশ্যকেই মূলত তুলে ধরেছেন। সব্যসাচীর সংলাপে তাই খুব সচেতনভাবে তিনি পরাধীন দেশের সুপ্ত যুবসমাজের মহাজাগরণমন্ত্র ধ্বনিত করেছেন।
এই উপন্যাসের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এখানে পরাধীন ভারতবাসীর উপর রাজশক্তির অত্যাচারের সাথে সাথে সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণীর ওপর পুঁজিবাদীশক্তির আগ্রাসনের নির্মম চিত্রও ফুটে উঠেছে। সব্যসাচী চরিত্রটিও প্রকৃত অর্থে কমিউনিস্ট চিন্তাধারায় লালিত। তাই তাঁর কার্যপ্রণালীতে শ্রমিকস্বার্থ এবং সংলাপে নাস্তিকতার সুর সুস্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে শরৎচন্দ্র এই উপন্যাসটিকে কেবলমাত্র একটি সার্থক সাহিত্যকৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাননি। সেজন্যই অন্যান্য উপন্যাসের মতো চরিত্রদের কোনো স্পষ্ট পরিণতিবিন্দুর দিকে নিয়ে যাননি তিনি। বরং বিক্ষুব্ধ যুগের এক ত্রস্ত কালবেলায় দাঁড়িয়ে উপন্যাসটিকে তিনি নির্মাণ করেছেন পরাধীন দেশের বিপ্লবী ম্যানিফেস্টোরূপে, যেখানে বহু স্বরের সমন্বয়সাধন হলেও শেষ অবধি পরাধীন দেশের শৃঙ্খলমোচনের নিঃস্বার্থ সংগ্রামের উদাত্ত আহ্বানই প্রধান হয়ে উঠেছে।
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
June 6, 2024
বইয়ের শুরুটা একদম ঢিমেতালে আগাচ্ছিলো, তাই প্রথম অর্ধেক অংশ ঠিক হৃদয়ঙ্গম করতে পারছিলাম না। কিন্তু যত আগাচ্ছিলাম রাজনৈতিক উপন্যাসের সার্থকতা ততই প্রকট হতে শুরু করে এবং শেষটায় এসে পুরোপুরি সার্থক করে তোলে। অনেকদিনের যাত্রায় আগ্রহে ভাটা পড়েছিলো কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতাকামী মানুষের পিপাসার খোরাক এনে দিয়েছে। হ্যাপি রিডিং💙
Profile Image for Nuhash.
221 reviews8 followers
May 18, 2023
'পথের দাবী' শরৎচন্দ্রের দেখা আঁধার ঠেলে সকাল বেলার রক্তিম সূর্যটা। ভারববর্ষের স্বাধীনতা, বিপ্লব সংগঠন, সাথে ভালোবাসার মেলবন্ধন, আর মায়ার করুণ চিত্র তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। অবিসংবাদিত ভাবে তিনি নতুন আঙ্গিকে ভারতের স্বাধীনতা আনার কথা বলেছেন। শিক্ষিত জনগণ যখন বিপ্লব আনবে সে বিপ্লব সর্বান্তকরণে সফল হবে, এবং হাজারো মানুষের রক্তের স্রোত বইবে তাতে শরৎ বাবু তা নির্নিমেষ ভাবে বলেছেন। ভারতের যা গর্ব করা তা যেন সময়ের সাথে বদলে যায় তা ফুটে উঠেছে। ধর্মকে আঁকড়ে ধরে যে মানুষের শুধু আত্ম-প্রবঞ্জনা হয় শুধু, নিজেকে ভুলিয়ে রাখা তা যেন ভারতে স্বাধীনতার পথে অন্তরায় না হয়।

আড়ালে আবডালে আকাশের মেঘ বৃষ্টি হয়ে কাঁদতে পারে, আমি তো মানুষ। আমার যে ভালোবাসার পতনে, দুঃখে বুক ভেসে যায় কান্নায়। মানুষ কেমন করে নিজের থেকেও দেশকে বেশি ভালোবাসে তা সব্যসাচী চরিত্র না দেখলে জানতাম না। তার এ্যানার্কিস্ট হয়ে উঠার পিছনের গল্প যেন বাংলার স্বাধীনতা। বিপ্লবী হয়ে উঠা সহজ, বিপ্লবটা নয়। তার মত অসীম হৃদয় আর জ্ঞানের পরিসীমা নিয়ে কেউ কখনো শান্ত ও প্রদীপ্ত মুখে জেগে থাকি নি স্বাধীনতা আসবে বলে! যার কাছে ভালোবাসা বিদ্যুৎ রেখার মত অকস্মাৎ হারিয়ে যায়।

বিপ্লবের সাথে ভালোবাসা যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর বিপ্লবী হলে যে ভালোবাসা যায় না, ভালোবাসাকে রাখতে হয় আলমারির বাক্সে বন্দী করে লেখক তা বলতে ভুলে যান নি। যে গরুটার দড়ি লঘু করে বেঁধে তাকে বলা হয় ঘাস খেতে সে তো কখনো ঘাসের নাগাল পায় না। ইংরেজরা যে আমাদের এমন করে আইন কানুন দিয়ে বেঁধে রেখেছেন লেখক তা বলতে দ্বিধা করেন নি। বাস্তবতার নিরিখে ভারতের স্বাধীনতা যে কত আমূল-পরিবর্তন প্রয়াসী তা সব্যসাচী চরিত্র দিয়ে লেখক বুঝিয়েছেন।

মনে বিষন্নতা দীর্ঘশ্বাস হয়ে উঠে ভারতীর জন্য। যে মেয়ে ভালোবাসার একটি দেবী মূর্তি হয়ে সকল কিছু আগলে রেখেছেন। সবার মাঝে মৌন থেকেও সে উজ্জ্বল। তার ভালোবাসার যে সীমানা আছে তা কেউ কখনো দেয়াল এঁকে দেখাতে পারবে না। যে নিশ্চল হয়ে সকলকে নিয়ে ভালোবাসতে চায়। মতভেদ থাকলেও অপরকে মতামতকে শ্রদ্ধা করার প্রয়াস তাকে করেছে অনন্য।

অপূর্বকে নিয়ে আমার ক্ষোভ ছিল অনেক জায়গায়। সংশয় ছিল এত ভীরুতা দিয়ে লেখক কেন গড়েছেন তাকে? আবার মনে হয়, প্রয়োজন ছিল যে ও তার বড্ড বেশি। তার নিষ্পাপ মন, তার হিন্দু ধর্মের কুসংস্কার, জাত মেনে চলা দিয়ে লেখক কটাক্ষ করেছে পুরো সমাজকে। সারাজীবন এমন করে চললে যে ভারতের স্বাধীনতা আসবে না লেখক তাই প্রকাশ করেছেন তার চরিত��র দিয়ে। তাকে সত্য ধর্মের সন্ধান কোনটি লেখক শেষ মুহুর্তে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সব্যসাচী তো পুরো উপন্যাসের প্রাণ কেন্দ্র। তাকে বোঝা যায় না, না বুঝলে লেখাও যে সম্ভব নয়।

উপন্যাসটির সারমর্ম হলো, অপূর্ব কলকাতার গোঁড়া হিন্দু পরিবারের ছেলে। বর্মা যায় চাকরীর জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে বারবার সে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। যে ভারতীর সাথে পরিচয় হওয়ার পর যোগ দেয় 'পথের দাবী' সংগঠনে। যা বিপ্লবীদের গ্রুপ। কিন্তু যে দূর্বল প্রকৃতির মানুষ। তার ধারা যে দেশেন হিত সাধন হবে না ভারতী তার আভাস পায় সেদিন, যেদিন দেখে সামান্য হাতের জন্য তার ক্রদন। সব্যসাচীর দেখানো স্বাধীনতা পথের দাবী, ভারতীর অসংশয় প্রকাশ বইটিতে।
Profile Image for Sajid.
457 reviews110 followers
July 5, 2019
পথের দাবী হচ্ছে স্বাধীনতার সাধনা,মুক্তির সাধনা ও মানুষের মর্যাদার অঙ্গীকার।সেই ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলার মানুষের দেশের প্রতি নিজ অধিকার হারিয়েছিল,মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুর ন্যায় জীবন-যাপন করছিল;এই নির্যাতিত জীবন পদ্ধতিকেই গরীব-অসহায় মানুষরা মেনে নিয়েছিল।পরাধীন দেশের মানুষকে দৈনন্দিনের এই দৌরাত্ম থেকে মুক্ত করার জন্য একদল বিদ্রোহী মানুষ মুখ তুলে লড়াই করছিল ইংরেজদের অনৈতিকতার বিরুদ্ধে।এই বিশাল ও শক্তিশালী ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জয়ী হওয়াটা সম্ভব নয়;তবুও দেশের প্রতি ভালোবাসা তাঁদেরকে সংগ্রামের পথে নিয়ে যায়। দেশের ভালো হোক বা খারাপ হোক সেটা তাঁরা বুঝতে চায়না;বরং তাঁরা কেবল দেশকে স্বাধীন করতে চায়–তাতে যদি হাজার মানুষের প্রানও যায় তাঁরা সেটা দ্বিধা করেনা।
এইরুপ আইডিয়ার দ্বারাই পথের দাবী উপন্যাসটি।
অপুর্ব'র বর্মাতে যখন চাকুরির জন্য যখন আসে,তখন ভারতী নামের ক্রিশচিয়ান মেয়ের সাথে দেখা হয়;তখন তাঁর প্রতি যদিও ঘৃণা ছিল,কেননা অপূর্ব জাতে ব্রাহ্মন।কিন্তু ধীরে ধীরে এই ঘৃণাই পরিনত হয় শ্রদ্ধায়। ভারতী চরিত্রটি নিতান্তই রহস্যময়ী, তাঁর কোনো কাজ-কর্মের উদ্দেশ্য অপূর্ব খুঁজে পায়না।অন্যদিকে বর্মায় সব্যসাচী নামক বিদ্রোহীর খোঁজে পুলিশেরা উদগ্রীব ও হয়রান।অপূর্ব একদিন আকস্মিকভাবে ভারতীর প্রভাবে "পথের দাবী" নামক দলের সাথে জড়িয়ে পরে এবং সেখানেই তাঁর সাথে দেখা হয় সব্যসাচীর;যদিও আগে একবার দুজনের দেখা হয়েছিল।আপাতদৃষ্টিতে পথের দাবীর সভাপতি সুমিত্রাকে মনে হলেও, ধীরে ধীরে এর রহস্য উদঘাটন হতে থাকে।অপূর্বকে জানানো হয় পধের দাবীর উদ্দেশ্য হচ্ছে গরীব-অসহায় মানুষদের দৈন্দদিন চলার পথের অধিকার ও মর্যাদার অর্জন করা;কিন্তু এর আসল উদ্দেশ্য যে কী তা বুঝতে অপূর্বর আর বিলম্ব হয়না।
সব্যাসাচী হচ্ছে এই গল্পের মূল চরিত্র–তাঁর আদর্শ,তাঁর জ্ঞান ও নৈতিকতা সবকিছুই যেনো সকলকিছুর ওপরে;যে কারনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সবারই উর্ধ্বে,বিশেষ করে ভারতীর একটু বেশিই।সব্যসাচীর দেশের প্রতি ভালোবাসা যেনো সকলকিছুকেই অভিভূত করে দেয়।সূর্যের আলোর কারনে জীবজগত যেমন প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারে;সেইরুপ সব্যসাচীও সূর্যের ন্যায় দলের সবাইকে আলো দেখায় ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করায়।কিন্তু সূর্যের প্রবল উত্তাপ যেমন পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে;সব্যসাচীও তাঁর শত্রুকে পুড়িয়ে ছাই করে–সে সবকিছুই সহ্য করতে পারে;কিন্তু শত্রুর জয় ও নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে পারে না।যার কারনে নিজের জীবনের প্রতি তাঁর কোনো ভালোবাসা নেই;দেশকে শত্রুর হাত রক্ষা করাই তাঁর একমাত্র ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য।
Profile Image for A. M. Faisal.
76 reviews20 followers
February 9, 2020
প্রথমদিকটা ছাড়া ছাড়া মনে হলেও গল্প আগানোর সাথে সাথে জোর অনেক বাড়ে। শরৎবাবু ১৯২৬ সালে এমন ধারণা নিয়ে গল্প ফেঁদে বসে আছেন, এটাই আশ্চর্যজনক। নবজাগরণের ডাক দিয়েছেন, নারীমুক্তির জয়গান গেয়েছেন আবার স্বাধীনতা অর্জনের কণ্টকসহ ফুলের বাগান এঁকেছেন পরম যত্নে। এক ক্রান্তিকারী পশ্চিমা সভ্যতাবিদ্বেষীর সমগ্র এশিয়া জুড়ে বিপ্লবের আগুন জ্বালানো এক সূক্ষ্ম জীবনদর্শনের পরিচয় পাওয়া যায় মূল চরিত্রে। তার পথের সাথী হয় অগ্নিতুল্য নারী একজন এবং দেশমাতার রূপক এক স্নেহময়ী যুবতীর। কাহিনীর শুরু যে চরিত্র দিয়ে সে ধীরে ধীরে অবান্তর হয়ে গেলেও ফিরে আসে নতুন ভাবাদর্শে এবং লেখক আমাদের তাঁকে দিয়ে ভিন্ন এক আলোর পথ দেখান। চরিত্রগুলো নানা মতে দর্শী হলেও মূলত সকলের সুর এবং গন্তব্য একই সুরে গাঁথা। অদ্ভুত উদাস সুর পুরো উপন্যাস জুড়ে। তবুও আশার সঞ্চারী। কথাসাহিত্যের জাদুকর শরতবাবু এমনি এমনি না। পরাধীনতায় আবদ্ধ জাতির সখ আহ্লাদ কত স্থানে বাধাপ্রাপ্ত আর সে থেকে বেরোতে বিপ্লবী চেতনা জরুরি নাকি রাজনৈতিক জাগরন প্রয়োজন নাকি শিক্ষিত হওয়ার দরকার বেশি - জাতিগঠনে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী কাদের জরুরত বেশি এসবের তর্কে বারংবার চিন্তার খোরাক জোগাতে বাধ্য। কিছু তিক্ত সত্য যেমন আছে, তেমনি আছে প্রহেলিকার ঘনঘটায় বিপর্যস্ত সামাজিক আচার-আচরন। বিদ্যাসাগর, গান্ধীর আলো যেমন দেখা যায় তেমনি ভগত সিংসহ সূর্যসেন ও নেতাজীর স্ফুলিঙ্গ দেখা যায় কিছু চরিত্রে। সর্বোপরি উপভোগ্য।

ভাল বক্তার কাছে জনতা যুক্তিতর্ক চাহে না, যাহা মন্দ তাহা কেন মন্দ এ খবরে তাহাদের আবশ্যক হয় না, শুধু মন্দ যে কত মন্দ অসংখ্য বিশেষণ যোগে ইহাই শুনিয়া তাহারা চরিতার্থ হইয়া যায়।

বিপ্লব মানেই, ভারতী, কাটাকাটি রক্তারক্তি নয়। বিপ্লব মানে অত্যন্ত দ্রুত আমূল পরিবর্তন।


কিছু চোখে লাগার মত উক্তি। তাছাড়াও কেন ভারতবর্ষের এহেন দুরবস্থা, কিসে কৃষকের মুক্তি, কি তার দরকার, কিসে স্বাধীনতা আসবে, কারা তার কারিগর এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা সত্যিই আগ্রহোদ্দীপক। আমার পাঠের প্রথম শরৎ রচনা হিসেবে সার্থক।
Profile Image for Pratibha Suku.
159 reviews94 followers
June 27, 2018
इस उपन्यास का केंद्र बिन्दु संघर्ष है।

अब वो कभी देश की स्वतंत्रा के लिए,तो कभी अपने समाज के पीढ़ियों के रूढ़िवादी सामाजिक नियम को बचाने चेष्ठा। सामाजिक वर्गीकरण और समाज में महिलाओं से जुड़ी समस्याओं को भी दर्शाने की कोशिश की गई है।
सभी पात्रों को सिलसिलेवार तरीके से कहानी में पिरोया गया है। पात्रों की अपनी विचारधारा है, जिसे वो कभी बचाने की कोशिश करते है तो कभी दुसरो पर थोपने की। अतंह कभी ये सही लगेंगे, कभी गलत।

अन्य पाठको की तरह मुझे इसके हिंदी अनुवाद में कोई बुराई या निराशता नहीं लगी। एक बार भी नहीं लगा की बंगला भाषा पढ़ी होती।

जो लोग ब्राह्मण समाज के नियम कानून को चाहते है उनके लिए भी यहाँ उपयोगी ज्ञान है :P !

अंतः कह सकते है ये उपन्यास एक खिचड़ी की तरह है। कभी पसंद आएगी तो कभी नापसंद।
शरद चंद्र जी की बहुत सुन्दर रचना है अवसर मिले तो पढ़े।
Profile Image for Amit.
401 reviews12 followers
July 16, 2008
The translation seems inadequate. I wish I knew Bengali. Still, even in translation it's a very interesting book.
Profile Image for Nahian.
20 reviews
April 9, 2020
শরৎচন্দ্র লিখতে চেয়েছিলেন তাঁর রাজনৈতিক ভাবনা – তাই লিখেছেন কিন্তু লিখেছেন প্রবন্ধ আকারে নয়, উপন্যাস হিসেবে । এধরনের উপন্যাসে সচারচর যা ঘটে - দুটি চরিত্রের মাঝে কৃত্রিম আরোপিত দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের অবতারনা – পুরোদমে রয়েছে। বলাবাহুল্য, আমার কাছে সুখপাঠ্য মনে হয়নি।

কাহিনীর শুরু ‘অপূর্ব’ নামের একটি ছেলের মোটা মাইনের চাকরিতে রেঙ্গুন যাত্রা দিয়ে। এই গোঁড়া হিন্দু ব্রাহ্মণের “ম্লেচ্ছ” দেশে নিজের জাতপাত বাঁচিয়ে টিকে থাকা নিয়েই গল্প এগুচ্ছিলো। সকল দিক থেকে সংকীর্ণমনা এই অপূর্ব আবার স্বদেশী ও বটে। রেঙ্গুনে তার প্রতিবেশি এক ভারতীয় খ্রিষ্টান পরিবারের মেয়ে ‘ভারতী’ এর সাথে তার পরিচয় হয়। উল্লেখ্য, ভারতীর প��রকৃত পিতা ব্রাহ্মণ। যখন তার ভৃত্য অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন অপূর্ব সাংসারিক কাজে ভারতীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে আর ভারতী বিনাযুক্তিতে তার সেবা করতে শুরু করে । ব্যস, হয়ে গেল প্রণয় !

যাইহোক, এই ভারতীর সূত্র ধরেই অপূর্ব এসে পড়ে একেবারে বিপ্লবীদের দঙ্গলে। এই বিপ্লবী দলের চাঁই আবার একজন অতি-অতি অতিমানব। পুলিশের খাতায় তার নাম ‘সব্যসাচী’ আর সকলে ‘ডাক্তার’ বলে ডাকে। তিনি ডাক্তারি পড়েছেন জার্মানি থেকে; ইঞ্জিনিয়ারিং - ফ্রান্স; আইন – বিলেত; আবার একটি আমেরিকান ডিগ্রি ও আছে। এই বিদ্বান ব্যক্তি খালিহাতে দশজনকে ঢীট করে দিতে পারেন। সিরিয়াস উপন্যাসে এমন বালখিল্য সুপারহিরোর অবতারনা দুঃখজনক। যাহোক এই সুপারহিরোর জীবণের উদ্দেশ্য একটিই আর তা হলো – ভারতের স্বাধীনতা। বার্মা, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপসমূহে তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য কি বিপ্লবী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছেন তা বোধগম্য হয়নি।

ঊপন্যাসের দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা জুড়ে রয়েছে ডাক্তার ও ভারতীর কথোপকথন । ভারতীর ন্যাকামো ধ্যাষ্টামো বিরক্তিকর লেগেছে। সর্ববিজ্ঞ ডাক্তার অসংখ্যবার “মুচকিয়া” হেসে দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বয়ান দিয়েছেন। তার রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো সম্ভবত শরৎচন্দ্রের নিজের। ডাক্তারের দেশ ও জাতির ধারনা বেশ ভালোভাবেই ধর্মাশ্রয়ী। মুসলমান তার কাছে বাঙালি বা ভারতীয় হয়না – কেবলি বহিরাগত। এক সময়ে বাহির থেকে আগত আর্যদের নিয়ে অবশ্য কোন বক্তব্য নেই। তবে সবচেয়ে মন্দ চরিত্রটি যে হিন্দু হলে ও অনার্য তা উল্লেখ আছে।

আমার কাছে মনে হয়েছে, ইংরেজ শাসনামলে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা এই উপন্যাসের সুখ্যাতির মূল কারণ। ঊপন্যসটি কালোত্তীর্ণ হয়নি; কালোত্তীর্ণ হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ।
Profile Image for Ujjwala Singhania.
221 reviews69 followers
May 21, 2021
शरतचंद्र कि प्रसिद्ध उपन्यास पथ के दावेदार एक कथा से बढ़ कर एक दार्शनिक संभाषण है l लेखक ने कहानी के मुख्य पात्रों के माध्यम से जीवन और समाज के क्या आधार है इस पर चर्चा की है I एक देश जो अपनी स्वतंत्रता के लिए जूझ रहा है उसके अन्दर के विकार का क्या? किसका मूल्य अधिक है - क्रान्ति या प्रेम? जीवन के और रिश्तों के अपने क्या मूल्य हैं? देश की स्वतंत्रता के लिए की क्रांति और उससे होने वाली हिंसा कहाँ तक सही है? कथा के पात्र सव्यसाची में बोस बाबू का स्मरण हो आता है, शायद ये भी एक कारण हो कि इसे अंग्रेज़ी सरकार ने बैन कर दिया था I
Profile Image for Asadullah Hill Galib.
44 reviews2 followers
April 10, 2020
শরৎচন্দ্রের জীবদ্দশায় সবচেয়ে বেশী বিক্রি হওয়া বই সম্ভবত - পথের দাবী।

গোঁড়া এক ব্রাহ্মণ যুবকের বার্মা গমন, সেখানে এক খ্রিস্টান মেয়ের (ভারতী) সাথে প্রথমে ঝগড়া, পরে সহযোগিতা্র সম্পর্ক, শেষে বন্ধুত্ব হয়ে তা একেবারে ভালবাসায় রূপ নেয়। মাঝখানে অনেক কাহিনী, অনেক ট্রাজেডি। 

উপন্যাসের একটি শক্তিশালী চরিত্র এক উগ্র দেশপ্রেমিক (ডাক্তারবাবু)। শরৎচন্দ্র এই ডাক্তারবাবুর ছুতো ধরে, পথের দাবী নামে এক সংগঠনের ছায়ায় অনেক জ্ঞান দিয়েছেন সুযোগমত। জ্ঞানের বিষয়বস্তু - ব্রিটিশ আমলের দেশপ্রেম, বিপ্লব, ইত্যাদি, ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যে বিপ্লবের অনেক ছড়াছড়ি, এবং তার দরুন বিপ্লবের বই টই পড়ার অভ্যাস থাকায় এই বইয়ের এত বিপ্লবের কচকচানি ভালো লাগে নি খুব একটা। বিপ্লবের অংশ বাদ দিলে ভালই লেগেছে বইটা।    

ভারতীও বেশ শক্তিশালী চরিত্র। শরৎচন্দ্রের বইগুলোর এটা একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট, উনি নারী চরিত্রকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে সাজান, এবং প্রায়শই নায়ককে ডিঙ্গিয়ে নায়িকাকেই প্রধান চরিত্র রূপে উপস্থাপন করেন - চরিত্রহীন, শেষ প্রশ্ন ইত্যাদি বইতেও এ ব্যাপারটা লক্ষণীয়। সেই যুগের হিসেবে এই ধরনের নারী কেন্দ্রিক লেখনী বেশ শক্তি বহন করে, নারী জাগরণের অন্যতম মাধ্যম হওয়ার কথা এই বইগুলোর। অথচ বেগম রোকেয়াদের সাথে শরতবাবুর নামটা কখনও আসতে শুনি নি।

যাই হোক, এই বইতে ভারতীর মাধ্যমে হিন্দু সমাজে ছোঁয়াছুঁয়ি টাইপের কুসংস্কারগুলোকে বিদ্রুপ করেছেন লেখক, একই সাথে নারী জাগরণ নিয়েও কিছু মেসেজ দিয়েছেন।

Profile Image for Saumen.
256 reviews
April 24, 2024
ইয়েস, বইয়ে যে জাত বর্ণ নির্বিশেষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, সত্যি। এব্যাপারে শরৎবাবু শক্ত মতামত দিয়েছেন।তার মধ্যে একটুখানি শরৎচন্দ্রীয় প্রেমও আছে। আর প্রেমের দার্শনিক রূপব্যখ্যায় শরৎ তো একমেবাদ্বিতীয়ম।

তবে তিনি প্রেমের সাথে বিপ্লবের যে ডুয়াল ফ্রন্ট ওপেন করেছেন, তাতে করে বিপ্লবের আগুনটা কেমন যেন মিইয়ে গেছে। ব্রিটিশ রাজশক্তি এই দুর্বল আগুনে বইকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, তাহলে স্বদেশি বিপ্লবের সপক্ষে জোরালভাবে লেখা বইগুলি তো সাক্ষাৎ শমন!

কাহিনীর প্রেমিক নায়কের হৃদয়ের দুর্বলতায় বিপ্লবের ভাষা ঠিক জোর পায়নি। More fire was needed.
Profile Image for Jamil Ahammed.
5 reviews9 followers
Read
December 6, 2016
শরৎচন্দ্রের এই লেখা― উপন্যাস কম ছেলেভুলানো প্রোপাগান্ডা অধিক হইয়াছে। নাকিকান্নার একসা করে ছেড়েছেন এই ফিচকাদুনে লেখক। শরৎচন্দ্রের প্রতি স্কুলের গন্ডি না পেরুনো বালকের গমগমা প্রেম ২০১২তে আসিয়া উবিয়া গেলো। আহা!
Profile Image for Alvi Rahman Shovon.
467 reviews16 followers
July 11, 2025
প্রায় ১০০ বছর আগে লেখা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পথের দাবী' উপন্যাসটি। লেখকের অন্যান্য উপন্যাসগুলোর তুলনায় ‘পথের দাবী’ একদম আলাদা ধাঁচের। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী সব্যসাচী এবং তার দলের সংগ্রামের কাহিনী এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়।

নানান ধরনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড, দুর্গম পথ ধরে যাতায়াত, মতবিরোধ প্রভৃতি নিয়েই উপন্যাসের কাহিনি এগিয়ে গেছে। পুরো বই জুড়ে সব্যসাচী বা ডাক্তার বা অ্যানার্কিস্ট যে নামেই ডাকা হোক না কেন চরিত্রটি শক্তিশালী এক ভূমিকা রেখেছে। বিপ্লবী হলেও সব্যসাচীর মনে ছিলো অবাধ অপরিসীম ভালোবাসা নিজের প্রিয়জনদের জন্য যার প্রতিফলন আমরা পাই ভগ্নিতুল্য ভারতীর প্রতি অপার স্নেহ, ভারতীর ভালোবাসা কে অনুধাবন করে অপূর্বকে মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচানো, কবি শশীর শোক অনুভব করার মাধ্যমে।

তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে ১৯২৭ সালে ‘পথের দাবী’ নিষিদ্ধ হয়। এই নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে সে সময় প্রতিবাদ সংগঠিত ���য়েছিল।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
December 2, 2023
সত্যি সত্যিই আশাহত হয়েছি।প্রথমটা যেভাবে শুরু হয়েছিলো ভেবেছিলাম অনেক সুন্দর কিছু একটা হবে।কিন্তু নাহ!অর্ধেক যাবার পরে প্রচন্ডরকম বিরক্ত লাগতে শুরু হয়।এমনকি আর পড়তেও ইচ্ছে করছিলো না।যাইহোক,বিরক্তি নিয়েই বাকী অর্ধেক শেষ করেছি।
Profile Image for Israt Sharmin.
276 reviews1 follower
December 17, 2025
“আমরা সবাই পথিক। মানুষের মন্যুষত্বের পথে চলবার সর্বপ্রকার দাবি অঙ্গীকার করে আমরা সকল বাধা ভেঙ্গেচুরে চলব।।”

-----এটাই হল পথের দাবীর মূলমন্ত্র।

শরৎচন্দ্রের সময়টা ছিল বৃটিশ শাস��ত। পরাধীনতার শেকল ভেঙে এক নতুন জাগ্রত সমাজ তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তারই তো প্রতিচ্ছবি পথের দাবী।
Profile Image for Shihab Ahmed Tuhin.
25 reviews120 followers
February 1, 2021
উপন্যাসটা ভালোই লেগেছিলো। কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো কোনো উপন্যাস নয়, প্রবন্ধ পড়ছি। এতো বড়ো বড়ো ডায়লগ! অবশ্য লেখক সচেতনভাবেই এমনটা করেছেন বলে মনে হয়।

তার উদ্দেশ্য যতোটা না ছিল শিল্পগুণ ঠিক রেখে উপন্যাস লেখা, তারচে' বেশি উনার মনোযোগ ছিল উপন্যাসের মাধ্যমে মানুষের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেয়া। আমার ধারণা সে বার্তা তিনি সফলভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন।
Profile Image for Anupam Sengupta.
15 reviews1 follower
June 12, 2020
উপন্যাসটি প্রকাশিত হবার পরেই রাজরোষে পড়েছিল।উপন্যাসের যা বিষয়বস্তু, তাতে ইংরেজ শাসনের রক্তচক্ষু এড়িয়ে চলা সম্ভব ছিলো না। লেখকের মৃত্যুর পরে বইটি রাজরোষমুক্ত হয়।
ভারতের মূল ভূখণ্ডের বাইরে, ভারতীয় বিপ্লবীদের পরাধীন দেশকে মুক্ত করার সংগ্রাম উপন্যাসটির পটভূমি। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাসবিহারী বসু সহ অন্যান্য ভারতীয় বিপ্লবীদের ছায়া চরিত্রগুলোতে দেখা যায়। লেখক যে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন, উপন্যাসের ছত্রে ছত্রে তার পরিচয় মেলে। বিপ্লবীদের দেশ স্বাধীন করবার চারিত্রিক দৃঢ়তা, অধ্যবসায়ের বর্ণনা করতে গিয়ে কিছু স্থানে চরিত্রগুলো অতিমানবিক লেগেছে। তবে, উপন্যাস প্রকাশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করলে মনে হয় এরকম উপস্থাপন দরকার ছিল।
Profile Image for Harshit Gupta.
287 reviews35 followers
September 5, 2015
Probably not the best of Sharatchandra. He tackles society well, but somehow some of his characters become a little too much to be real in this one, with all their stoicism. Still, a good read, especially towards the end.
Displaying 1 - 30 of 85 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.