অভিজিৎ রায় প্রত্যেক বছর ২৩শে জুন মুর্শিদাবাদের দিকে দৌড়োন কেন আর কেনই-বা ৩০০ বছর আগে উমাকান্ত রায় মুর্শিদাবাদের দিকে দৌড়েছিল? অভিজিৎ রায় নাহয় দ্বারকানাথ হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক, কিন্তু, উমাকান্ত রায় কে? মুনিরাম রায়ই-বা কে? মুনিরাম রায়, অঁরি ব্লাশেঁ, গঞ্জালো পেরেরা আর মুর্শিদ কুলি খান--- এই চারজনের মধ্যে মিলই-বা কোথায়?
ইতিহাসে অনুল্লিখিত বা স্বল্পোল্লিখিত চারজন মহিলার জন্যে কীভাবে বাংলার এবং এক হিসেবে গোটা হিন্দুস্থানের ইতিহাসের ধারাবদলে গেল তার এক বিস্তারিত আলেখ্য ধরা রয়েছে এই উপন্যাসে। পড়তে পড়তে বোঝা যায় কত সাধারণ, আপাততুচ্ছ ঘটনা কার্নির্ণিশে-গজানো গাছের মতো ডালপালা মেলে দিয়ে একটা গোটা সাম্রাজ্যকে ধসিয়ে দিতে পারে। হয়তো একজনের আকাঙ্ক্ষা যদি গগনচুম্বী না হত, কিম্বা, একজনের সন্তানস্নেহ প্রায় ধৃতরাষ্ট্রের পর্যায়ে না পৌঁছোত, তাহলে হয়তো ভারতে ইংরেজ শাসন কায়েম হত না! কে জানে?
ইতিহাস-আশ্রিত এই উপন্যাসের পাতায় পাতায় সেই রোমাঞ্চ ধরা থাকল।
সৌমিত্র বিশ্বাস-এর জন্ম ১৯৬৫ কলকাতায়। শিক্ষা নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলে। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অর্থনীতির ছাত্র। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাঠ শেষে রাজ্য সরকারের আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বাংলার অধ্যাপিকা মৈত্রেয়ী সরকারের অনুপ্রেরণায় আরও মনোযোগী হয়ে ওঠেন সাহিত্যে। দেশ পত্রিকা আয়োজিত রহস্য গল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করে তাঁর ‘মুখোশ’ গল্পটি। দ্বিতীয় গল্প ‘নাস্তিক’ও প্রশংসিত। প্রথম উপন্যাস ‘হেরুক’। আবাল্য সত্য সাইবাবার শিক্ষায় অনুপ্রাণিত মানুষটি ভালবাসেন আড়ম্বরহীন, সৎ জীবনযাপন আর সমাজসেবা। বই ও বন্ধুদের সঙ্গে মননশীল আড্ডায় সমান উৎসাহী।