Jump to ratings and reviews
Rate this book

আহমদ ছফার ডায়েরি

Rate this book

80 pages, Hardcover

First published February 1, 2004

4 people are currently reading
217 people want to read

About the author

Ahmed Sofa

71 books596 followers
Ahmed Sofa (Bangla: আহমদ ছফা) was a well-known Bangladeshi philosopher, poet, novelist, writer, critic, translator. Sofa was renowned for his intellectual righteousness as well as his holistic approach to the understanding of social dynamics and international politics. His career as a writer began in the 1960s. He never married. On 28 July 2001, Ahmed Sofa died in a hospital in Dhaka. He was buried in Martyred Intellectuals' Graveyard.

Sofa helped establishing Bangladesh Lekhak Shibir (Bangladesh Writers' Camp) in 1970 to organize liberal writers in order to further the cause of the progressive movement.

Ahmed Sofa's outspoken personality and bold self-expression brought him into the limelight. He was never seen hankering after fame in a trivial sense. His fictions were often based on his personal experience. He protested social injustice and tried to portray the hopes and dreams of common people through his writing. Sofa always handled his novels with meticulous thought and planning. The trend of telling mere stories in novels never attracted him; he was innovative in both form and content.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
18 (25%)
4 stars
26 (36%)
3 stars
25 (35%)
2 stars
1 (1%)
1 star
1 (1%)
Displaying 1 - 10 of 10 reviews
Profile Image for Farhana.
326 reviews202 followers
March 28, 2017
যথেষ্ট narcissism ডায়েরির লেখায় । ambition না বলে বলব মহত্ব, অসাধারণের প্রতি তাঁর স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা ছিল।
নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের জায়গাঁ থেকে মূলত তাঁর মতামত প্রকাশের সোজাসাপ্টা , একরোখা এবং দৃঢ় ভাবটি তৈরি হয়েছে ।
কিন্তু এই আত্মবিশ্বাস , দৃঢ়তার মাঝেও নিজের দ্বিধা, একাকীত্ব, কর্ম , স্থিতি এইসবের ভাবনা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে । আরেকটা জিনিস, সুফিয়া কামালের ডায়েরিতেও যেটা দেখেছিলাম আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতায় মনের ভেতরে যে একটা স্ট্যাবিলিটি তৈরি হয়, তাঁর ক্ষেত্রেও লেখাতে তা দেখলাম ।
Profile Image for Nadia Jasmine.
213 reviews18 followers
April 8, 2025
আহমদ ছফা তাঁর দিনলিপিতে সৎ। তাঁর নিজেকে নিয়ে চিন্তা, তাঁর অসহায়ত্ব, তাঁর এক ধরনের ছটফটানি তিনি তাঁর ডায়েরীতে লিখে ফেলে যেন মুক্তি চাইছিলেন এসব থেকে।

আমরা যাদেরকে বেশ উঁচু জায়গায় রাখি, তারা যে আর দশটা মানুষের মতো মানুষ, তা ভুলে যাই। দেবত্ব আরোপ আমাদের কেন জানি করতেই হবে। আর সেখানে পান থেকে চুন খসলে আমরা হৈ হৈ করে মানুষটাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফেলি। হয়তো ভাবি যে, ভুল শুধু আমরা করব, তাদের হতে হবে নিখুঁতের চেয়েও কয়েক কাঠি নিখুঁত।

ছফার ডায়েরীতে তিনি সেই পথে হাঁটেন নি। পড়ে মনে হয় নি ছফা লিখেছেন কোন এক সময়ে এই ডায়েরী ছাপিয়ে জাতির বিবেক হয়ে যাবেন, এমন ভেবে। ছফার জীবনের মতোই তাঁর ডায়েরীটা সহজ ও সুপাঠ‍্য।

আমার মধ‍্যে দেবত্ব আরোপের প্রবণতা যখন ছিল, তখন এই বই পড়লে কি আমারো মনে হতো, ‘ধ‍্যুর উনি দেখি আর দশটা পুরুষের মতোই নারীলিপ্সু?’ আমার মনে হয়, হতো। কারন, ডায়েরীতেও তো ভান করা যায়। তিনি করেন নি সেটা। সেটা যে একটা পছন্দনীয় ব‍্যাপার, তা হয়তো আমি সে সময়ে বুঝতে অক্ষম হতাম। অকপট এসব বয়ান তখন ভালো লাগতো না।

বইটি বুকক্লাবের কল‍্যানে পড়া হয়েছে। এই বইয়ের অস্তিত্বও সত‍্যি কথা বলতে জানতাম না। শেষ করে মনে হয়েছে ছফার একান্ত গোপন এক দিক জেনে তাঁকে আরো ভালো লাগলো। কারন, তিনি এখানে রক্ত মাংসের একজন মানুষ, কোন বিরাট কিছু নন।

আর ‘পুষ্প, বৃক্ষ, বিহঙ্গ, পুরান….’ এর লেখককে কি করে কখনো খারাপ লাগবে?
Profile Image for Md Sohanoor  Rahman Sohag.
24 reviews15 followers
August 4, 2023
ডাইরি বা দিনলিপি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি অক্ষরবন্দি করে রাখি। আবার ডায়েরির মাধ্যমে আমরা কোন মানুষের ব্যক্তি জীবন তার চিন্তা ভাবনা ও পারপার্শ্বিক অবস্থান সম্পর্কে ও জানতে পারি কিন্তু আহমেদ ছফার ডাইরি যেন একটু বাড়তি সংযোজন।
১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২৯ শে জুন ১৯৬২ সালের বিভিন্ন ঘটনা ও তার প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ৩ ও ৭ ই নভেম্বরের কোন ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় নি যেটি আমাকে খুবই অবাক করেছে।
তার ডায়েরি পড়ার মাধ্যমে যে কয়েকটি জিনিস বুঝতে পারলাম......

. তিনি প্রচুর পরিমাণে বই পড়তেন
. শামীম শিকদার ও "র"নামক কথিত মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করেন
. বিভিন্ন লেখক, শিক্ষক এবং তার নিকটত্বদের বিভিন্ন ঘটনার কেউ বর্ণনা রয়েছে বিশেষ করে আহমদ শরীফ, আব্দুর রাজ্জাক, হুমায়ূন আহমেদ ও অন্যান সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে।



ধন্যবাদ 💙
Profile Image for Shadin Pranto.
1,470 reviews560 followers
October 2, 2019
ছফা নামটা যেন একটা ম্যাজিক্যাল নাম। সেই আশা নিয়ে ই পড়েছিলাম ডায়েরিটা আর পরিনাম ব্যাপক হতাশ। সম্ভবত ছফা সাহেব নিত্যকার কচকচানি লিপিবদ্ধ খাতায় লিখতে আগ্রহী ছিলেন না বা লিখেন নাই। ডায়েরির বেশীরভাগ অংশ একেবারেই (অতি)অপ্রয়োজনীয় কথায় ভরপুর-যা পাঠক কে বেশ বিরক্ত করবে। হয়তো ছফা কখনোই ভাবেন নি তার আজাইরা লেখনী কখনো প্রকাশ হবে তাই ডায়েরি নিয়ে সিরিয়াস হয়নি, লিখেন নি নিয়মিত অথচ বাণিজ্যিক প্রকাশনা স্রেফ ছফার নাম ভাঙিয়ে টাকা আাদায়ের উদ্দেশ্যে ছাপিয়েছে।
Profile Image for Raihan Atahar.
120 reviews26 followers
May 13, 2018
যে কারো ডায়েরি বা দিনলিপি একান্ত ব্যক্তিগত জিনিস, যা কেউ অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চায় না। তবে বিখ্যাত ব্যক্তিদের ডায়েরির প্রতি সবার আলাদা আকর্ষণ থাকে। কারণ, ডায়েরি থেকে ঐ ব্যক্তির অনেক অজানা ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়। শুধু ডায়েরি লিখেই বিখ্যাত হয়ে আছেন আনা ফ্রাংকের মত অনেকেই।

খ্যাতিমান লেখক আহমদ ছফা (১৯৪৩-২০০১) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা লেখক, সাংবাদিক, সমাজসেবক ও সর্বোপরি একজন চিন্তাবিদ। তিনি শুধু লেখার জন্য লিখতেন না, সমাজের ব্যাধিগুলো নিয়ে চিন্তা করে লিখতেন। এজন্যই মূলত তাঁর লেখাগুলো ফিকশনধর্মী না হয়ে প্রবন্ধমূলক হয়েছে। তাঁর সব লেখাতেই তিনি একটি ম্যাসেজ দিতে চেয়েছেন।

ছফার লেখার পরিবেশটি কেমন ছিল, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনটিই বা কেমন ছিল; তা জানার আগ্রহ ছিল অনেক দিন ধরেই। বিশেষ করে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে তাঁর গবেষণাধর্মী লেখা "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ার পর থেকে আহমদ ছফার ভক্ত হয়ে যাই।

আহমদ ছফাকে জানার জন্য তাঁর মিজের ডায়েরির চেয়ে ভালো কোন উপায় আছে বলে মনে হয় না। সে সুযোগটি পাওয়া যাবে "আহমদ ছফার ডায়েরি" বইটিতে। আহমদ ছফার মৃত্যুর তিন বছর পর বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ডায়েরি লেখা শুরু করেন ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে। জার্মান লেখক গ্যয়টের ডায়েরি পড়ে তিনি ডায়েরি লিখতে উদ্বুদ্ধ হন। তবে তিনি একনাগাড়ে ডায়েরি লেখেননি। মাঝে লম্বা সময় বিরতি দিয়েছেন। তাঁর এক বন্ধু বাঁধানো খাতা দিয়ে কবিতা লিখতে বললে নতুন করে ডায়েরি লেখা শুরু করেন। ডায়েরিটি শেষ হয় ২৯ জুন ১৯৮২। এরপরের ঘটনাগুলো সম্ভবত লেখক ডায়েরি আকারে লেখেননি কিংবা বইটিতে ছাপানো হয়নি।

♦আমার পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়াঃ
জ্ঞানী ব্যক্তিরা যা লেখেন তার মাঝে কিছু না কিছু সব সময় পাওয়া যায়। আহমদ ছফার ডায়েরিটিও যেন সাহিত্যের একটি অংশ। সাহিত্য-সংস্কৃতি, সমাজ-রাজনীতি, সভা-সংগঠন কী নেই তার ডায়েরিতে! কখন কী বই পড়ছেন, তা ডায়েরিতে লিখে রাখতেন তিনি। যার ফলে অনেকগুলো নতুন বইয়ের নাম জানতে পেরেছি। প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের কথা বারবার এসেছে তাঁর ডায়েরিতে, যা "যদ্যপি আমার গুরু"র স্মৃতিকে নাড়া দিয়ে গেছে।

যতদিন ডায়েরি লিখেছেন, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের প্রায় সব ঘটনাই ডায়েরিতে লিখে গেছেন ছফা। ছফার জীবনে আসা নারীদের নিয়ে তাঁর অনুভূতি, বিয়ে নিয়ে তাঁর ধারনা - কোন কিছুতেই কোন লুকোছাপা করেননি।

সবশেষে বলবো, "আহমদ ছফার ডায়েরি" পড়ে প্রত্যকেরই ইচ্ছে হবে ডায়েরি লেখার। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে ছিন্নমূল শিশুদেরকে। সবাইকে বইটি পড়ার আমন্ত্রণ রইলো :)
Profile Image for Al Faisal Kanon.
151 reviews1 follower
May 8, 2025
এই ডায়েরির প্রেক্ষাপট টা আগে ব��ি। আহমদ ছফা একবার দার্শনিক গ্যাটের ডায়েরি পড়তে গিয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যান। তিনি ঠিক করেন নিজের চিন্তাগুলোকেও একইভাবে টুকে রাখবেন, যার ফলশ্রুতিতে এই বই। সম্পাদক নূরুল আনোয়ার শুরুতে একটু ইতস্তত বোধ করছিলেন প্রকাশ করতে, কারণ ডায়েরি তো শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত জিনিস, কিন্তু আহমদ ছফার অকপট স্বভাবের কারণে এ কাজে লেগে যান।

ডায়েরির যে ব্যাপারটাই সবচেয়ে ভালো লাগে সেটা হলো, এটা একান্তই নিজের সাথে নিজের আলাপন, ভালো-মন্দ মিলিয়ে নিজের সবটাকে মেনে নিয়েই তার বার্তা। নিজের স্বপ্ন, সাধ, ব্যাকুলতা, আক্ষেপ নিজের করে নেয়া হয় ডায়েরির মোড়কের মধ্যে। আহমদ ছফার ক্ষেত্রেও তাই। সত্যি, অন্যান্য বই থেকে ছফার সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা রূপ পেলাম এখানে। সবচেয়ে বেশী যেটা মনে হয়েছে সেটা হল বড় হবার আকাঙ্ক্ষা। সবসময় ছট ফট করতেন, সময় চলে যাচ্ছে ভেবে অস্থির হয়ে থাকতেন- এই বার্তাটা চোখে পড়ে আগাগোড়া ডায়েরিতে। সবসময় নিজেকে অটো সাজেশন দিতেন অন্তর আর বাহির দুটোকে এক করে সত্যকে প্রকাশ এককাট্টা হতে, সব লাভ-লোভ-রিরংসা থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চাইতেন। আর ছিলেন প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। নিজের সম্পর্কে উচ্চ অভিমত পোষণ করতেন, কিন্তু সেটাকে অহংবোধ বলা যায় না, বরং দৃঢ়চেতা বলাই যুক্তিসংগত হবে। তার নিজের জীবনের একটা মোটামুটি ছকও পাওয়া যায়। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে হাঁটতে যেতেন, এসে গোসল করে হালকা নাস্তা করে আবারো ঘুমাতেন (!)। ওঠে বই পরতেন, লিখতেন, বাইরে গিয়ে অন্যদের সাথে দেখাশোনা, প্রকাশক-ছাপা-পত্রিকা বা অন্যকাজ করে বাসায় এসে আবারো বই পরা, তারপর ঘুম। সারাক্ষণই পড়তেন, কাজের মধ্যে তার বিরতিই যেন ছিল বই… ছফার ব্যাপারে একটা কমন জিজ্ঞাসা হল কেন উনি কখনো বিয়ে করেননি। এই প্রশ্নের উত্তর তিনি এই বইয়ের নানা জায়গায় দিয়েছেন, সব জেনে তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে হয়ে হয়েছে। স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যের কারণে কেবল দৈনন্দিন ফিরিস্তির বাইরে গিয়ে তার জীবন, সাহিত্য, রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে তার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা ফুটে ওঠেছে এখানে। ছফাকে তার নিজের মতো করে জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে এ বই…
Profile Image for Nuhash.
221 reviews8 followers
September 6, 2023
একদিন হয়তো আমি থাকব না। আমার দেখা নতুন ভোর কখনো হবে না! বৃষ্টি ভেজা সকালে খালি পায়ে সারেঙ্গী হাতে আমার হাঁটা হবে না! পৃথিবীটা অনেক বদলে যাবে! আমি চাইতে হবে না, এমনি বদলে যাবে! কিছু জিনিস ধরে রাখতে পারা যায় না যেমন যৌবন, বয়স মানুষ কত আটকাতে চায় পারে না! তেমনি জীবনে গড়পড়তা হিসাবে আমাদের ছুঁটে চলতে হবে! প্রিয় কিছু মানুষের আঙ্গিনায় আগাছা জাগলে কেটে দিয়েই জীবনে বাঁচতে হবে।

এই যে জীবনে প্রতিদিন বাঁচার ইচ্ছে জাগে তা "আহমদ ছফার ডায়েরি" পড়লে জানা যায়। এত নিঃকন্ঠ বাসায় শব্দের অগোছালো মিশ্রণে সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে তিনি ছাড়া কেউ পারবে না। যার দৈনন্দিন জীবন শাদা মাটা অঙ্কের খাম ছিল, পাঠক মিলাতে পারেন না লোকটা বুদ্ধির ধার কত। যতই তর্কমা উপস্থাপন করা হোক তিনি বুদ্ধিজীবি, তিনি মৌলবাদীতার পক্ষের কঠোর জ্ঞানের অধিকারী তার থেকে বড় জিনিস তিনি ছিলেন আত্ম-মগ্ন একটি প্রেমিক।

এই বইটিতে তার দৈনন্দিন কর্ম, রাজনৈতিক চিত্র, ভালবাসা না পাওয়া এক প্রেমিকের আত্ম-বেদনা, তার নিজের জীবনে খুটিয়ে দেখার এক নতুন জীবের সন্ধান মেলে! একজন লেখক যে কতটা সচেতন তার চিন্তা নিয়ে তা আহমদ ছফা না পড়লে জানাটাও সম্ভব নয়। সব লেখক স্বতন্ত্র, বৈশিষ্ট্য আলাদা কিন্তু তিনি অন্যন্যা, অকপট ভাষায় সত্য উপস্থাপন করেন।

প্রতিটি মুহুর্তে নিজেকে আত্ম বিশ্লেষণ করার দিকটা তিনি যে কেমন করে করেছেন তিনি জানেন। মাঝে মধ্যে জীবনে তিনি বুঝেন নি, রোগের বাসা বাঁধা শরীর নিয়ে টেনেছেন সব, রাজনীতি দেখেছেন জঞ্জালে পরিপূর্ণ এক গিবারিশ। নস্টালজিক তার ভালোবাসার মর্মের চির কথন ফুটে উঠেছে বইটিতে।
Profile Image for Tamim Foysal.
20 reviews
Read
June 7, 2024
উনার দিনপঞ্জি। মিডিওকার লাইফ থেকে তিনি মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন। উনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, সেটাকে ঘিরেই পুরো দিনলিপি
Profile Image for Shamim E. Haque .
30 reviews37 followers
March 9, 2017
একজন সাহসী এবং নিরহংকার চিন্তাবিদের সুন্দর ব্যাক্তিগত জগৎটি উদ্ভাসিত হয়েছে এ ডায়েরিতেI স্বল্প পরিসরের এই পুস্তকটি আমাদের কেবলমাত্র সত্তর এর দশকের প্রারম্ভের, শেষের দিকের, আর আশির শুরুর দিককার ছফা অতিবাহিত কিছু দিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়I ছফা বিচ্ছিন্ন ভাবে মাত্র অল্প কয়েকদিন দিনলিপি লিখেছিলেনI তাঁর একাকিত্ব, দুঃখ, ভবিষ্যৎ চিন্তা, কল্যাণবোধ, এবং প্রেম এর বোধ সত্যিই মানুষটিকে আমার মনে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে দিয়েছেI সে সময়কার দৈনন্দিন জীবনেরও একটি অনবদ্য পরিচয় উঠে এসেছে ডায়েরির জবানিতেI ছফার ঘন ঘন নিউ মার্কেট গমন, বই এর দোকান পরিদর্শন, আর দামি বই কেনার বাতিক, প্রকাশকদের সাথে সাক্ষাৎ এর উদ্দেশ্যে বাংলা বাজার এ ঘোরাঘুরি হটাৎ মনে করিয়ে দিয়েছিলো- আহঃ আমিও যদি তাঁর মতো মুক্ত, স্বাধীন, আর সাহসী হতে পারতাম!
Profile Image for Vendetta .
34 reviews1 follower
July 25, 2019
একটা মানুষের মানসিক পরিবর্তন আর ভাবনার এতটা বিকাশ, যা ছফার ডায়েরি পড়ে বুঝা যায়। কামনা, বাসনা, নিজস্বতা, সত্তার কতটা কাছে গিয়েছিলেন তা ডায়েরি মাঝখানের সময়গুলোর বর্ণনা পড়লে বুঝা যায়। নিজের চরিত্র বা নিজেকে চেনা সবার হয়ে উঠে না। ছফা হয়তো পেরেছেন তা।
Displaying 1 - 10 of 10 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.