রাতের অন্ধকারে এক গোলকধাঁধায় ঘটছে রোমহর্ষক কাণ্ড। কে ঘটাচ্ছে সেসব? বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক পাখি খুঁজে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে কিছু মন্দ লোক। কে ঠেকাবে তাদের? জঙ্গলের ভেতরে বদ্ধ এক কেবিন থেকে বেমালুম গায়েব হয়ে গেছেন এক জনপ্রিয় লেখক। কীভাবে? মেয়ের জন্য দুর্বোধ্য কিছু ধাঁধাসহ একটি সূর্যঘড়ি রেখে গেছেন সদ্য প্রয়াত এক ভদ্রলোক। কিন্তু কেন?
এমনই চার রকম চারটি রহস্যের ভার নিয়েছে অয়ন ও জিমি। আসুন, দেখা যাক, কীভাবে এসব জটিল রহস্যের জট খোলে ওরা।
আমার কাছে বছরখানেকের মধ্যে পড়া অন্যতম সেরা অয়ন-জিমি পর্ব। চারটা চাররকম গল্পের সঙ্কলন; গা ছমছমে অন্ধকার গোলকধাঁধার প্রেক্ষাপটে প্রথম গল্পটা তেমন আহামরি না হলেও (ভাল মত জমতে না জমতেই হুট করে রহস্য সমাধান হয়ে গেল, অয়ন অন্তর্যামীর মতো গড়গড় করে সব ব্যাখ্যা করে দিলো, কিছু হইলো?) পরের তিনটা গল্পই একটার চেয়ে আরেকটা দুর্দান্ত ছিল। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রিজার্ভ ফরেস্টে পাখি চোরাচালানকারীদের সঙ্গে টেক্কা, যথার্থই একটা দুর্বোধ্য ও দুর্ভেদ্য লকড রুম (মার্ডার?) মিস্ট্রিতে এক লেখক তার সম্পূর্ণ নিচ্ছিদ্রভাবে ভেতর থেকে বন্ধ কেবিন থেকে উধাও হয়ে যাওয়া, আর সূর্যঘড়ির ধাঁধার সঙ্কেত সমাধান করে একখানা চিরসবুজ অয়ন-জিমির বুদ্ধির ঝিলিকে গুপ্তধন উদ্ধারের জমজমাট গল্প। 'দারুণ অয়ন দারুণ জিমি' এবারে প্রকৃতপক্ষেই দারুণ উপভোগ করলাম।