প্রচ্ছদের অস্থির ওপর রাখা হাতটি অনল রায়হানের। ৩০ লক্ষ মানুষের অস্থি মিশে আছে এ দেশের মাটিতে। মিরপুরের নতুন বধ্যভূমিতে পাওয়া অস্থিগুলো আমাদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ২৯ বছর আগের প্রেক্ষাপটে। যখন সদ্য মানুষ হারিয়েছে স্বজন। লাশের সন্ধান পায়নি। আগে মানুষটিকে খুঁজেছেন। এখন অনল রায়হানরা অস্থিতেই অনুভব করেছেন পিতার অস্তিত্বে। অনল রায়হান এখানে পিতা জহির রায়হানের অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে আরো কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন...
[এখানে অফিসিয়াল লিংকের জায়গায় ডকুমেন্টটির স্ক্যানড কপি ডাউনলোড করা যাবে এমন একটি দেয়া হয়েছে। কারণ এই আর্টিকেলটির কোনো অফিসিয়াল লিংক নেই। এবং সাপ্তাহিক ২০০০ এর আর্কাইভেও ১৯৯৯ সালের কোনো সংখ্যা নেই]
অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। আমার সার্চিং প্রতিভা নিম্নশ্রেণীর তাই হাতের কাছের একটা সোর্সে আর্টিকেলটা থাকার পরও পাইনি। পেয়ে ভাবলাম গুডরিডসে এড করে রাখি। লাইব্রেরিয়ান হবার সুযোগে অফিসিয়াল লিংকের জায়গায় পিডিএফ এর লিংকটা দিয়ে রাখলাম। জহির রায়হান মৃত্যু রহস্যের বেশ খানিকটার অবসান এখানে ঘটেছে।
বঙ্গবন্ধুর "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পড়তে গিয়েই এই লেখাটা আবিস্কার করলাম। কখনোই ম্যগাজিন পড়া হয় নি বলে এই ফিচার কভার স্টোরিটা চোখে পড়েনি কখনো। এই লেখা গুলো আসলে ভালো লাগা মন লাগার উর্ধে। কারন এইগুলো বাস্ত ঘটনা, একজন আপনজনকে খুঁজে ফেরার গল্প। একজন সন্তানের পিতাকে, একজন মায়ের সন্তানকে, একজন স্ত্রীর তাঁর স্বামীকে, একজন ছেলের তাঁর মাকে খুঁজে বের করার সত্যিকারের গল্প। এই লেখা গুলো এক একটা দলিল, এইগুলো সংগ্রহে রাখা দরকার, অনলাইনে-অফলাইনে! নিজের ইতিহাস জানা থাকা খুব দরকার, এইগুলো না জানলে নিজের অস্তিত্বকেই না জানা রয়ে যায়। ধন্যবাদ লিংক হিসেবে হলেও এই অমূল্য লেখাকে সবার সঙ্গে শেয়ার করার জন্যে!