Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #14

প্রিয়তমেষু

Rate this book
"প্রিয়তমেষু" উপন্যাসের শুরু খুব ছোটখাটো সাধারণ দুটি পরিবার নিয়ে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিশাত এবং পুষ্প। এই নিশাত আর পুষ্পের সংগ্রামী এক কাহিনী নিয়েই লেখা "প্রিয়তমেষু" উপন্যাস। নিশাত বেশ অবস্থাসম্পন্ন সচ্ছল ঘরের মেয়ে। শিক্ষিতা, রুচিশীল একজন নারী। নিশাতের স্বামী জহির। দুজনের ঝামেলাহীন সুখের সংসার। পুষ্প নিশাতের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে। নিশাতের প্রতিবেশী। অল্প বয়সী একটা মেয়ে পুষ্প। পুষ্পের স্বামী রকিব আর একমাত্র ছেলে পল্টুকে নিয়ে তার সংসার। পুষ্পের স্বামীর একটা ছোটখাটো চাকরি। রকিবের এক আত্মীয় তাদেরকে তিন মাসের জন্য এই ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছে। নাহলে তাদের এতো বড় ফ্ল্যাটে ভাড়া দিয়ে থাকার সামর্থ্য নেই। দুই পরিবারের অার্থিক অবস্থা আলাদা হলেও পুষ্প এবং নিশাতের ভিতর আপন বোনের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিশাতের কোন বাচ্চাকাচ্চা না থাকায় পুষ্পের ছেলে পল্টুকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখে, তাকে নিয়ে ঘুরতে যায়। ভালোই দিন চলতে থাকে! মিজান, পুষ্পের স্বামী রকিবের এক বন্ধু। মিজান পুষ্প-রকিবদের একটা বাসা খুজেঁ দিতে চায়। সময়-অসময়ে বাসায় এসে হামলা চালায়। স্বামীর বন্ধু বলে পুষ্প মুখ বুজে সহ্য করে। সেই মিজানই এক নির্জন দুপুরে ধর্ষণ করে পুষ্পকে। পুষ্পের স্বামী সব জেনেও পুষ্পকে নিয়ে থানায় যেতে চায় না লোক-লজ্জার ভয়ে। সে কোনভাবেই বন্ধুর নামে মামলা করতে চায় না। পাশের বাসার সেই পাতানো বোন নিশাতের হাত ধরে পুষ্প থানায় যায়। পুষ্পের এই ব্যাপারে নিশাতের জড়িয়ে পড়াটা ঠিক মেনে নিতে পারে না জহির। এমনকি নিশাতের বাবাও তাকে না করে। কিন্তু তবুও নিশাত এগিয়ে যেতে চায়, শেষ দেখতে চায় এই কাহিনীর। পুষ্প, নিশাত একাই লড়তে চায় সেই অমানুষের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত কি হয় তাদের? সেই কাহিনী জানার জন্য পড়তে হবে

88 pages, Hardcover

First published June 1, 1988

24 people are currently reading
648 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
486 (38%)
4 stars
509 (40%)
3 stars
231 (18%)
2 stars
26 (2%)
1 star
6 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 119 reviews
Profile Image for রিফাত সানজিদা.
174 reviews1,356 followers
September 11, 2016
হুমায়ূনের যে উপন্যাস নিয়ে তূলনামুলকভাবে অনেক বেশি আলোচনা হবার কথা ছিল, উচিত-ও, কিন্তু যতদূর চোখে পড়ে,হয়নি, সে খানা 'প্রিয়তমেষু'।
হু. আ লিখেছেন প্রচুর, সেই অতিদীর্ঘ তালিকায় শঙ্খনীল কারাগারের মতো মাস্টারপিস আছে, আছে শেষবয়সে ওগড়ানো মধ্যাহ্ন বা নীল মানুষের মতো অখাদ্য।
কিন্তু প্রিয়তমেষুর লেভেল একটু আলাদা।

বাংলাদেশে মেয়েরা যে আপ্তবাক্যটি মন ও মননে গেঁথে নিয়ে বড় হয়, সেটা শুনতে খুব সরল, মেনে নিতে নয়।
গলির মোড়ের বখাটে ছোঁড়া বলেছে কিছু কোচিং ফিরতি পথে? পাশের রিক্সা থেকে ছিটিয়েছে নোংরা কোন মন্তব্য? পাশের ডেস্কের কলিগ অশালীন ইঙ্গিত করে কিংবা বস? স্যার, টিউশন বা ইউনির? বাসে, গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করেছে মাঝবয়সী দাড়িওয়ালা আংকেল? দূর সম্পর্কের চাচা/মামা আদরের ছলে কিলবিলে স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে শরীরময়?
'চুপ চুপ, কেউ যেন কিচ্ছু জানতে না পারে'।

এক অনলাইন গ্রুপে পড়েছিলাম, এক নারী নিপীড়িত হয়েছিলেন তার পিতৃসম শ্বশুরের হাতে। বাল্যবন্ধুটি সচলায়তনে সাহস করে লিখেছিল নিজের অভিজ্ঞতা, পড়ে ঘুমোতে পারিনি ঐ রাতে, রাতভর দেখেছি দু:স্বপ্ন।
কোথায় নিরাপদ, 'মেয়েমানুষ'?

পুষ্পের মতো সাধারণ ঘরোয়া মেয়ে, ঘা খেয়ে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর সাহস করে দাঁড়িয়েছিল বিচার চাইবে বলে। রকিব, অর্ধাঙ্গ, পাশে ছিলো না, তাও। নিশাত, সুশিক্ষিতা তরুণী, সেই সাহসটুকু-ও জুটিয়ে উঠতে পারলো কই? দূরের কেউ তো নয়, আপনা লোক, ঘরের-ই, আপন দুলাভাই! কী চমৎকার, হাসিখুশি, জমাটি একজন পিওর ফ্যামিলিম্যান! একদিন দুপুরে ঢুকে পড়েছিলো কলেজপড়ুয়া নিশাতের ঘরে, জোর করে!
তারপর কতগুলো বছর..নিশাতের নিজের কাছেই নিজেকে ভুলে থাকতে হয়েছে সেইসব!

মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, অন্তত বলা তো হয় তাই। সেই শ্রেষ্ঠতর মানুষ আবার স্বীয় পৌরুষ প্রমাণ করে গায়ের জোরে। এবং সেই পিশাচ, পশুপুরুষের ব্যাটাগিরির জেরে উল্টো নারীকে ট্যাগ দেয়া হয় অপমানিতা, ধর্ষিতা, সম্ভ্রমহীনা ইত্যাদি। আকারে এবং শক্তিতে কম জোরালো বলে মুরগি জবাই করে কেটেকুটে খাই আমরা, মানুষেরা। তেমনি শরীরে জোর এবং সামাজিক বর্মের আড়াল আছে বলে পুরুষসিংহটি (!) বুক ফুলিয়ে হাঁটেন, ক্রস এক্সামিনেশনের নামে কদাকার সব বাক্য আর প্রশ্নে পুনঃ পুনঃ নির্যাতিত নারীটি ওড়নার আড়ালে মুখ লুকিয়ে সাংবাদিকদের এড়াতে দ্রুত হেঁটে যান অন্ধকার কোণে।

রামায়ণ-মহাভারত যুগের সীতা দিয়েছিলেন আদিম অগ্নিপরীক্ষা, 'পাকসাফ' আছেন কিনা প্রমাণ দিতে। আর ২০১৬তে এসেও টিউশনি সেরে একা বাড়ি ফেরার পথে তনুরা মৃত পড়ে থাকে ঝোপের আড়ালে। ছোঃ, মঞ্চনাটক করা মেয়ের আবার চরিত্র কিসের, শুনতে হয় একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে জীবন্মৃত মা-বাবা'কে। নো ওয়ান কিলড তনু, নো বডি রেপড হার। সব মিডিয়ার সৃষ্টি। অতএব, দু'দিন পর আমরাও সব ভুলে যাই, সব...
হা ঈশ্বর!
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
November 10, 2018
'প্রিয়তমেষু', রীতিমতো হৃদয়ে দাগ কেটে রেখে গেল উপন্যাসটি । অসাধারণ।এর জায়গা অবশ্যই মোস্ট ফেভারিট শেলফ এ। হুমায়ুন আহমেদের অন্য কোন উপন্যাস শেষে একদম পরের লাইনেই যে কথাটা লেখা থাকে না তা রয়েছে এই উপন্যাসে। লেখক লিখেছেন, ''উপন্যাসে বর্ণিত সকল ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক।'' অথচ আমার কাছে মনে হয়েছে, সত্যিই যদি কোন উপন্যাসকে বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও জীবনঘনিষ্ঠ হিসেবে অভিহিত করা যায়, তবে 'প্রিয়তমেষু' হল হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

সত্যিই মনকে ছুঁয়ে যায়।
Profile Image for Daina Chakma.
440 reviews772 followers
August 14, 2023
এই বইটি এতো আন্ডাররেটেড কেন?? এই বইটি তো হুমায়ুন আহমেদের শীর্ষ উপন্যাসের তালিকায় স্থান পাবার কথা ছিল! শুধুমাত্র জমজমাট শিরোনামের জোরে হলুদ হিমু কালো র‍্যাব, হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী কিংবা হিমু রিমান্ডের মতো ট্র‍্যাশ বই বইমেলা মাতিয়ে ফেলে আর এমন একটি শক্তিশালী বই নিয়ে কোনোদিন চায়ের কাপে তুমুল আলোচনা হয়না। ভুলে ভরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস জোছনা ও জননীর গল্প পাঠকের টপ টেন লিস্টে থাকে, অথচ বইয়ের ট্যাবু টপিকের জন্য এই বই প্রায় নিষিদ্ধতার পর্যায়ে চলে গেছে!

অনেকদিন আগে এক পত্রিকার শিরোনাম পড়েছিলাম '২০১৭' সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধর্ষণ!" আহা.. রেকর্ড করার মতো আর কোনো বিষয় অবশিষ্ট ছিলনা! এই রেকর্ড সংখ্যাটা ছিল প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি। কি ভয়াবহ একটা ব্যাপার! অথচ এই সংখ্যাটা কেবল দায়েরকৃত মামলাকে রিপ্রেজেন্ট করে। চক্ষুলজ্জায় আর আদালতে গিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ধর্ষিত হবার ভয়ে অধিকাংশ নারীই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কিংবা রেপের ঘটনা চেপে যায়। কারণ সমাজ ধর্ষণকে জায়েজ করার জন্য রীতিমতো ওঁৎ পেতে থাকে। আমাদের সমাজে ধর্ষক বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় বরং ধর্ষণের ভিকটিমকে অচ্ছুৎ বলে নানাভাবে ছিঃ ছোঃ করা হয়। এর বিপরীত চিত্র সত্যি হলে সকল রেপ ভিক্টিমরা সামনে এগিয়ে এসে বিচার চাইতো আর তখন দেখা যেতো ধর্ষণের রেকর্ড সংখ্যাটা চার হাজারের দিগুণ তিনগুণে গিয়ে দাড়িয়েছে!

তথাকথিত XY ক্রোমোজমের হোমো স্যাপিয়েন্সরা সম অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলেই বাসে সংরক্ষিত মহিলা সিটের উদাহরণ টানে। ওদের ঝুলিতে ওই একখানা মাত্র উদাহরণ আছে কিনা! তবে ওদের বলি, একজন নারীকে পাবলিক বাসে চলতে গেলে কতজন পারভার্ট লোকের স্পর্শ বাঁচিয়ে চলতে হয় সেটা জানেন?? এজন্যই আসলে ইক্যুইটি মেইনটেইন করতে হলে ওই সংরক্ষিত নারী আসনের প্রয়োজন। ইদানীং তো আবার পাবলিক বাস পরিণত হয়েছে ধর্ষণশালায়! এতো অন্যায়ের বিচার কে করবে??

তবে কিনা নারীরা তো বাড়িতেও নিরাপদ নয়। মামা-চাচা কিংবা দুলাভাই নামের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পুরুষেরা ইচ্ছেমতো এবিউজ করছে সংসারের "মেয়েমানুষ" নামক ভোগ্যপণ্যদের। একবারে দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও ওদের কাছ থেকে নিস্তার পায়না। আক্ষেপের ব্যাপারটা হলো, অতি আপনজনের তথাকথিত ভালোমানুষি মুখোশ সবার সামনে উন্মোচন করার সাহস বা রুচি সবার থাকেনা। নিশাতের মতো হাজারো শিক্ষিত মেয়েও নীরবে সয়ে যায় ওদের অত্যাচার। তবু মুখ ফুটে প্রতিবাদ করেনা। তা না হলে সংসারের বাঁধন আলগা হয়ে যাবে যে!

আর যদি পুষ্পের মতো অতি সাধারণ মেয়েরা একদিন সাহস সঞ্চয় করে বিচার চাইতে আসে তবে তাদের পাশে কিন্তু সবচাইতে আপনজন স্বামীকেও পাওয়া যায়না। সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে ওরা ঘরে দুয়ার এটে বসে থাকে! প্রিয়তমেষু গল্পের চরিত্রদের খুঁজলে বাস্তব সমাজেই ভুরিভুরি পাওয়া যাবে। লেখক যেন আশেপাশের কোনো জায়গা থেকেই ধরেবেঁধে উপন্যাসে ওদের ঢুকিয়ে দিয়েছেন সমাজের গালে চপেটাঘাত করার জন্য। তবু যদি সমাজের বোধোদয় ঘটে!
Profile Image for Harun Ahmed.
1,646 reviews418 followers
October 3, 2022
গল্পটা প্রথম শুনেছি আমার এক শিক্ষকের কাছ থেকে। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি লেখাটা হুমায়ূনের। ভেবেছি নিশ্চয়ই স্যারের স্মৃতিভ্রম হয়েছে। পরে "প্রিয়তমেষু" পড়ে আমি বোকা হয়ে গিয়েছিলাম। আসলেই হুমায়ূনের লেখা!

"প্রিয়তমেষু" লেখকের সবচেয়ে দলছুট উপন্যাস।ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে নির্মোহভাবে লেখা এ উপন্যাসটির কাহিনি আমাদের খুব চেনা। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। হুমায়ূন আহমেদ এই নাতিদীর্ঘ কাহিনিতে উত্তেজনা, শঙ্কা ও অস্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন দক্ষ হাতে আর শেষে দিয়েছেন এক মোক্ষম ঝাঁকুনি। এ গল্প নাড়া দিয়ে যায়। আর আফসোস বাড়ায়। কেন যে হুমায়ূন গুরুতর বিষয়ে লিখতে আগ্রহী হলেন না!
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
May 15, 2022
হুমায়ুন আহমেদের কিছু দুর্লভ বই আছে যা পড়লে আপনার মনে আজীবন একটা তৃপ্তির হাসি লেগে থাকবে, বুকের একপাশে হাহাকার করে উঠবে আহা এমন সুদৃশ্য ব‍্যঞ্জনখানি এত সহজেই শেষ হয়ে গেল!

শঙ্খনীল কারাগার,কোথাও কেউ নেই,অয়োময়, বহুব্রীহি এগুলো পড়ার পর যখন আবেগের আতিশয্যে অন‍্য কোনো বই হাতে নিয়েছি ভগ্ন মনোরথে উৎসাহের জোয়ারে ভাটা পড়েছে এত দ্রুততম সময়ে যে হতবাক হয়ে নিজের মনকে প্রবোধ দিয়েছে আচ্ছা ঠিক আছে সবসময়ই যে রাজভোগের আনন্দ পাবো তা তো নয় একটু আধটু ভালো কিছুর জন্য উপোস করাও মন্দ নয় 😋, সবুরে মেওয়া না কি যেন একটা ফলে !

সে ও নর্তকী পড়ার পর মেজাজ খানা যারপরনাই বিরক্ত হয়ে গেছিল, চিন্তায় ছিল আগামী একমাস হুমায়ুননামা নিষিদ্ধ, কিন্তু হল টা কি 😏?প্রতিজ্ঞার পরেরদিন ই বসলাম প্রিয়তমেষু নিয়ে।

আর বসে এবার আর আক্ষেপ করতে হয়নি,গত কয়েকবারের মন খারাপ নিমিষেই উধাও হয়ে গেছে, চল্লিশ মিনিট একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম, এরকম একটা স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে কী সুন্দর সাবলীল অথচ তিতো সত‍্য ক্ষুরধার লেখনিতে ফুটে উঠেছে।

কেউ কেউ বলবে আচ্ছা বিষয়টা তো শারীরিক, স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া,এখন সেটা একবার হয়ে গেলে এত শোরগোলের কি আছে?

জি আপনারা একদম ঠিক,ব‍্যাপারটা একদম নরমাল, কিন্তু কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার সন্মানের সাথে ছেলেখেলা করা, সারাজীবন মানসপটে এই ভয়াবহ স্মৃতি আর প্রতিনিয়ত নিজের এবং সমাজের সাথে যুদ্ধ করা মোটেও সহজ নয়.হয়ত আপনার ঘরেই কোনো কোনে বুকে পাথরচাপা দিয়ে বসে আছে নিশাত কিংবা হতবিহ্বল পুষ্প।

ব‍্যাপারটা না আজকের দিনেও পরিবর্তন হয়নি একবিন্দু ও, যেখানে নির্যাতিতার পাশে আমাদের দাঁড়ানোর কথা সেখানে আমরা করি সেই সব বীরপুরুষদের (পিশাচ)পৃষ্ঠপোষকতা।নীতি নির্ধারকদের যেখানে হওয়ার কথা ছিল অনমনীয় এই বিষয়ে তারাই আজকে বলেন ধর্ষণমুক্ত একটা দেশ দেখান তো দেখি।

পুরাকালে দ্রৌপদীর সন্মান রক্ষার্থে মহাভারতের মহাগাথা শুরু হয়েছিল, দুঃশাসনের রক্ত দিয়ে খোলোকেশে স্নান করে শুদ্ধ হয়েছিল পাঞ্চালি।রামের কথাই ধরুন না,সীতার জন্য রাবনের সেই লঙ্কাপুরীতে দক্ষযজ্ঞ বাধিয়ে দিয়েছিলেন।

হয়ত এদেশে একদিন নিশাতরা মুখ খুলতে পারবে,বুকের মধ্যে আটকে থাকা জমাট বাঁধা কষ্ট গুলোকে কোনো ,মনের কোনে জমে থাকা মেঘগুলোকে বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবে।হয়ত এদেশে আর কোনো পুষ্প থাকবে না। মাঠেঘাটে প্রান্তরে দমকা হাওয়ার মতো পাখির মতো কলকাকলিতে ভরে উঠবে তাদের পদচারনা দিনেরাতে যেকোনো সময়ে, নির্ভয়ে।

কি এগুলো খুব বেশি চাওয়া মনে হচ্ছে?

পারলে নিজেকে তার জায়গায় বসিয়ে দেখুন,দূর থেকে কাশবন ঘনই লাগে কাছে গেলে বোঝা যায় কোনটা ফাঁকি আর কোনটা সত্যি।বুঝতে শিখুন এই পৃথিবীর বুকে আপনি পুরুষ বলে যাচ্ছেতাই করার অধিকার নিয়ে জন্মাননি।

মনে আছে একটা কথা
"কোনোকালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি
শক্তি দিয়েছে প্রেরণা দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী"


সেই লক্ষ্মীকে ভক্তিভরে প্রসারের জন্য ,কালিকে শক্তির জন‍্য যদি পাথুরে মূর্তি পূজনীয় হয় তবে রক্তে মাংসে গড়া মানবীতে কেন এত অনীহা, অবহেলা,অবজ্ঞা,অসন্মান!

নাকি চপলা থেকে কবে তারা চন্ডী রূপে খড়গ হাতে নেমে আসবে তারাই অপেক্ষায় আছেন সবাই?

রেটিং' :🌠🌠🌠🌠🌠 এর বেশি দেওয়ার সুযোগ থাকলে নির্দ্বিধায় দিতাম।
Profile Image for Shreya ♡.
134 reviews205 followers
February 19, 2022
আমি হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করতাম
কেন ওনার সৃষ্টি করা মেয়ে চরিত্রগুলো এত ন্যাকা, এত বোকা, এতটা মর্ষকামী, যেন কষ্ট পেতেই ওরা ভালোবাসে।

উনি মেয়েদের নিয়ে বই লিখেছেন অনেক, কিন্ত আমার মত মেয়েদের নিয়ে উনি একটা বইও লেখেননি।

মেয়েদের কথা বাদ থাক,তিনি কোন স্বপ্ন দেখা-স্ট্রাগল করা-হোঁচট খাওয়া, আবার ভাঙা স্বপ্ন জোড়া দেয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত স্বাভাবিক ছেলেকে নিয়েও একটি বাক্য ব্যয় করেননি।

হিমু আর কতগুলো পেডোফাইল বুড়োর পেছনে দিস্তা দিস্তা কাগজ আর এক সমুদ্র সময় নষ্ট করে সুন্দর স্বাভাবিক কষ্টগুলো নিয়ে ভালো করে লিখতে এত কুন্ঠায় ছিলেন কেন তিনি?

জানা আর হলো না!

আর এই বইটা মন্দের ভালো, কিন্ত খুব যে ভালো তা-না।

আর হ্যাঁ এই বই অবাঙালী কোন লেখক লিখে থাকলে এক/দুই তারার বেশি দিতাম না! খুব তাড়াহুড়োতে লেখা বই।
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
September 28, 2015

আমার আলসেমি রোগ আছে। ভয়াবহ ধরনের আলসেমি । এইজন্য ইদানিং রিভিউ লিখিনা। কিন্তু আমার মনে হয় পাঠক হিসেবে প্রতিটা বইয়ের রিভিউ লেখা একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমি এই দায়িত্ব ফাঁকি দেবার জন্য করলাম কি – বসে বসে এক বিশাল বুদ্ধি বের করলাম। বুদ্ধি হলো একমাত্র যেসব বই পড়ে আসলেই মনের মধ্যে কেমন কেমন করে উঠবে এবং সেই কেমন কেমন করাটা অনেক অনেকদিন থাকবে, শুধুমাত্র সেইসব বইয়ের উপর রিভিউ লিখবো (যেটা মোটেও কোন ভাল বুদ্ধি না)।কথা হচ্ছে অনেকদিন পরে আমি আমার খুব প্রিয় একজন লেখকের বই হাতে নিয়ে বসেছিলাম এবং বই পড়া শেষ করে মনে হয়েছে এই জিনিস আমি এতদিন কেন ফেলে রেখেছি, পড়িনি কেন। কোন এক অলস দুপুরে হাতে তুলে নিয়েছিলাম হুমায়ূন আহমেদের প্রিয়তমেষু বইটা এবং প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা খানিকটা কষ্ট করে পড়ে যাবার পর রীতিমত গোগ্রাসে গিলেছি বলা চলে।বিশেষ করে বইয়ের একদম শেষ প্যারাটা পড়ে মনে হয়েছে আসলেই পুরা কাহিনীর মোড় ঘুরিয়ে দেওার জন্য বা কারো মনে আজীবন ছাপ রেখে যাওয়ার জন্য খুব অল্প কিছু শব্দের প্রয়োজনীয়তাই যথেষ্ট, তার জন্য আবার আলাদা করে আরেকটা উপন্যাস লিখবার দরকার হয়না।
আমাদের আশেপাশের নিশাত জহির, পুষ্প রকিবকে নিয়ে লেখা উপন্যাসে অর্থ, ব্যাক্তিগত সুখ এর সাথে সাথে প্রধান বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে আরো ডালভাতের মতো গা সয়ে যাওয়া ধর্ষণ নামক অত্যাচারের কথা।ধর্ষিতার লড়াই, তার নিজস্ব অনুভূতি, ফাটল ধরা সংসারে মোমের প্রলেপ লাগিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা, মানসিক অস্থিরতার মতো জটিল ব্যাপারগুলোকে এত সহজে প্রকাশ করার ক্ষমতা যে হুমায়ূন আহমেদের লেখনীতেই প্রকাশ পাওয়া সম্ভব তাতো জানা কথাই।তবে যাদের আমার মতো খানিকটা মনে অশান্তি লেগে থাকেই ��ই ভেবে যে হুমায়ূন আহমেদ তার বেশিরভাগ লেখায় স্পষ্ট সমাপ্তি আঁকেন না তাদের জন্য এই বইটা ম্যাজিকের মতো কাজ করবে সেই ক্ষোভ দূর করতে। বিশেষ করে শেষের প্যারাগ্রাফ পড়ে পাঠকের মনে আবার ফিরে আসবে সেই একি প্রশ্ন যে এই নারী স্বাধীনতার যুগেও কেন একটা মেয়েকে মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে যেতে হবে, আর কবেই বা মেয়েরা নিজেদের গলা খুলে নিজেদের সব কথাগুলো কোন লোকলজ্জা-অপমান এর তোয়াক্কা না করে বলতে পারবে।
আমি আজীবন মনে করে এসেছি এবং করে যাবো যে এই পৃথিবীর প্রতিটা মেয়েই কোন না কোনভাবে, কোন না কোনসময় যৌননিপীড়নের শিকার হয়েছে, হয়ে যাবে।এ���ন সংকীর্ণমনারা যদি শুধু মাত্র ধর্ষণকেই যৌননিপীড়ন মনে করে তবে বলবো এটা তাদের একটা বড় ভুল।বাবা-দাদার বয়সী যে লোকটা আদর করার ছলে কোন অবুঝ পাঁচ বছরের শিশুর গায়ে হাত বুলিয়ে দেয় সেটা কি নিপীড়ন না?কথা হল মেয়েদের জিনগত ক্ষমতা বা অন্যকিছুর কারনেই হোক , ঐ পুতুল খেলার বয়সেও কিন্তু সে ঠিকই বুঝে কার চোখের দৃষ্টি কি প্রকাশ করছে। তারপরও আমাদের মহান সমাজ ব্যাবস্থার জন্যই নিজের সবচেয়ে কাছের বান্ধবী, বা নাড়ির সম্পর্কের মায়ের কাছেও সেসব কথা বলতে গিয়ে মেয়েরা আটকে যায়। এই যে বাঁধাটা, এই বাঁধাটা দূর করে দাঁড়ানোর স্বপ্ন হাতে গোনা কয়েকজন পুষ্প দেখতে পারে এবং নিশাত এর মতো অল্প কয়েকজন সেই স্বপ্ন পূরণ করার সময় পুষ্পদের হাত ধরে দাঁড়ায়। কিন্তু নিশাত- পুষ্পদের বিরুদ্ধেও যে কতজন হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে তাঁদেরও তো দেখতে হবে নাকি? পুষ্পরা কি পারে নিজেদের কথা সবার মাঝখানে তুলে ধরতে? পুষ্পদের প্রিয়তমেষুরা কি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হলে বইটা পড়তে হবে এবং পড়ে শেষ করার পর অনেক্ষন মন কেমন কেমন করা নিয়ে বসে থাকতে হবে।হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য ঝালমুড়ি টাইপ বই পড়তে পড়তে প্রায় আশা ছেড়ে দেওয়া আমি আমার কেমন কেমন করা মন নিয়ে বলতে পারি আমি অনেকদিন পর প্রিয় বইয়ের তালিকায় যোগ করবার জন্য প্রিয় লেখকের একটা বই খুঁজে পেয়েছি এবং এটা নিঃসন্দেহে পাঠক হিসেবে আমার জন্য একটা অনেক বড় উপহার।
Profile Image for Zarif Hassan.
121 reviews42 followers
October 6, 2020
হুমায়ূন আহমেদের লুতুপুতু প্রেম মঞ্চে ঢোকার আগের বই। মার্কেট চাহিদা নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই নিশ্চয় লিখেছেন। হিউম্যান সাইকোলজি খুব ভালো ধরতে পারতেন তিনি। উকিলের মনস্তত্ত্ব উকিলের জায়গায়; পুষ্পের স্বামীর মনস্তত্ত্ব ও একদম ঠিক জায়গায়। কোথাও কৃত্রিমতা পাওয়া যায় না। মেলোড্রামার সুযোগ তো ছিলো। পাশ কাটিয়ে সেখান থেকে কী নিদারুণ আবেগশূণ্যভাবে স্পর্শকাতর ব্যাপারগুলোর বিবরণ দিয়ে গেলেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েও দিলেন সমাজের দৃষ্টিকোণ + অপরাধীর সুযোগ সেই এক ট্যাবু লজ্জাবতি গাছের শিরায় শিরায়; তখনো ছিলো, এখনো আছে।

কী প্রাসঙ্গিক! কী দুঃসহ প্রাসঙ্গিক
Profile Image for Omar Faruk.
263 reviews16 followers
June 3, 2023
শেষটা দারুণ ছিল। এককথায় অসাধারণ।
Profile Image for Mitul Rahman Ontor.
161 reviews57 followers
April 17, 2021
হুমায়ূন আহমেদের বই পড়লাম সম্ভবত বছরখানেক পর।
ছোটবেলায় বই পড়ার শুরুর দিকে আমার ধারণা ছিল হুমায়ূন আহমেদ এবং জাফর ইকবাল এই দুই ভাইয়ের বই ছাড়া অন্য কোনো লেখকের বই আমার দ্বারা পড়াই সম্ভব না। চেস্টা করেও আগাতে পারতাম না।

উপায় না পেয়ে হুমায়ূন আহমেদ এবং জাফর ইকবাল ই পড়েছি। তাদের যত বই পেয়েছি তত। হার্ডবুক, ইবুক সব। ২০১৫ সালের রমযান মাসেই হুমায়ুন আহমেদের ৬০-৮০টি বই শেষ করেছিলাম!
বাসায় সবাই ভাবত আমি ঘুম। আমি সেদিকে কাথার নিচে ঢুকে পিডিএফ পড়ছি। সেহরি পর্যন্ত। আম্মু সেহরিতে ডাকার আগে দিয়ে মরার মত ঘুমের ভান।
আহা কি দিন ছিল!!

হুমায়ূন আর মুজাই শেষ করার পর, অন্য কারো বই পড়তে না পেরে তাদের বইগুলোই ২য় বার পড়া শুরু করেছিলাম।
তবে এতদিনে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্যান্য বইও পড়তে পারি টুকটাক!

এতদিন জানতাম যে, না হলেও হুমায়ূন আহমেদ এর বই সব শেষ আমার। এখন গুডরিডসের কল্যাণে জানতে পারি যে - হুমায়ূনও বেশ কিছু বাকি।

সেগুলো পড়া যায় ধীরে ধীরে। যেই ভাবা সেই কাজ।
কৈশোরের সমান মুগ্ধতার খোঁজ, এখন করা বোকামি - জেনেই প্রিয়তমেষু পড়েছি।

প্রিয়তমেষু অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় আমাদের সমাজের "ধর্ষন" এর প্রেক্ষাপটে লেখা। সবমিলিয়ে বইটি ভালো। অন্য লেখক এই সেন্সিটিভ ইস্যুতে লেখার সাহস সচরাচর করে না। কিন্তু হুমায়ূনের কাছে এটাই এক্সপেক্টেড।

তবে এক্সপেকটেশন আরো বেশি ছিল৷ প্রিয়তমেষু হুমায়ুনের তাড়াহুড়োয় শেষ করে ফেলা বইগুলোর একটি হবে। খুব বেশি সময় এর পিছনে তিনি দিয়েছেন বলে আমার মনে হয় না। তিনি দিতে পারতেন। আরো বড় পরিসরে, আরো দারুন কিছু লিখতে পারতেন। সমাজে নাড়া দেয়ার মত কিছু।
হুমায়ুন আহমেদের সেই প্রভাব এবং লেখনীতে সেই ক্ষমতা - দুটোই ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে তার যথোপযুক্ত ব্যবহার হয় নি।

এখনো মাঝেমাঝেই একজন হুমায়ূন আহমেদের বড় অভাব মনে করি আমাদের দেশে।
Profile Image for Tasnima Oishee.
140 reviews26 followers
April 19, 2022
হুমায়ুন আহমেদের বই এর গভীরতা সম্পর্কিত নানান মতবাদ আমাদের আশেপাশেই ঘুরে বেড়ায়। তবে কিছুদিন আগেই চোখ আটকে গিয়েছিলো খুব সুন্দির একটা লেখায়, যেখানে লেখক খুব সুন্দর কিছু যুক্তি দিয়ে বলছিলেন কেন হিমুর মতো অগোছালো চরিত্রটিও আপাতদৃষ্টিতে অগভীর মনে হলেও খুব স্ট্রং। পড়ে ভালো লেগেছে, কারণ হিমু আমার একটা বয়সের পরে আর ভাল্লাগতোনা। মিসির আলিকে যতোটা স্ট্রং লাগতো, হিমুকে ততটাই দুর্বল। কিন্তু লেখাটি পড়ার পরে মনে হয়েছে, হয়তো হিমুকে বুঝতেই পারিনি আমি, নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতা গ্রাস করেছে আমার সাহিত্যপাঠকেও। পাঠক হিসেবে এই ব্যর্থতা কই রাখি!

এ তো গেলো তবলার টুংটাং। অনেক বছর হয় সেভাবে হুমায়ুন পড়িনা। ভাবছিলাম হয়তো সব উপন্যাস পড়া শেষ। নতুন সেদিন এই বইটি পেলাম।

ধর্ষণের মতো প্রেক্ষাপটে যে হুমায়ুন আহমেদের বই আছে, জানা ছিলো না। ধর্ষণ একান্তই যে একটি মেয়ের লড়াই হয়ে দাঁড়ায়, এবং এই একটি মাত্র অপরাধ যে অপরাধীর সাথে সাথে বিচ্ছিরি ভাবে ভিক্টিমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করায়, তা তো সবাই জানি! কিন্তু কোনো কোনো ভাবে, একটি মেয়ের ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াইটা হয়ে উঠে আরেকটি মেয়ের অতীতের কোনো ঘটনা থেকে বের হয়ে আসার অস্ত্র। একইসাথে, সমাজের উচ্চস্থানীয় ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে আইন কিভাবে প্রটেকশন দেয় কিংবা আইনজীবী আর পুলিশরা কিভাবে একটু সাহায্য করলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মেয়েগুলোকে বিচার পেতে সাহায্য করে সেই দিকটাও এই বইটাতে সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠেছে।

কেন একটি মেয়ের উপর কোনো অত্যাচার হলে বাকি মেয়েরাও এভাবে আর্তনাদ করে উঠে, এবং আশেপাশের বাকিরা কেউ ব্যাপারটা যে কেন বুঝে উঠতে পারে না, সেই জিনিসগুলোকেও এখানে খুব গুরত্ব দিয়েছেন লেখক।
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
February 16, 2023
আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদের সেরা কাজগুলোর একটা এই 'প্রিয়তমেষু'। লোকলজ্জা আর আইনের অপশাসনের ফলে যে কত নারী মুখ লুকিয়ে চোখ বুজে সয়ে যায় 'ধর্ষণ' নামক এক ক্যান্সার কে, ৮৮ সালের প্রেক্ষাপটে সেটা কেমন হতে পারে তা উঠে এসেছে মাত্র ৮৮ পৃষ্ঠার উপন্যাসে। সেই সাথে আমাদের "ঘরের শত্রু বিভীষণ"রাও যে কিভাবে পার পেয়ে যায় এবং " ভাসুরের নাম মুখে নেয়া যায় না" টাইপ ট্যাবুগুলো মূর্ত হয়ে উঠে নিশাত নামক এক চরিত্রের ছায়া হয়ে। সুখপাঠ্য এবং এক বসায় শেষ করা যায় এমন একটি উপন্যাস অনবদ্য সৃষ্টি।
হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Samsudduha Rifath.
425 reviews23 followers
September 4, 2023
কিছু কিছু বই আছে যেগুলোর রিভিউ লজিক দিয়ে না আবেগ নিয়ে দিতে হয়। 'প্রিয়তমেষু' বইটাও তেমনই। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের রিভিউ দেওয়ার যোগ্যতা নেই আমার শুধু অনুভূতিটাই প্রকাশ করছি। প্রিয় একজন মানুষ বইটা পড়ার জন্য বলেছিলেন। পড়ার আগেও জানতাম না যে এটা একদম ভিন্ন কিছু। হুমায়ূন আহমদের দলছুট উপন্যাস হচ্ছে "প্রিয়তমেষু"। আর সেই সাথে আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা বই হয়ে থাকবে আজীবন।

ধর্ষণ নামক স্পর্শকাতর ব্যাপারটা হুমায়ূন আহমেদ তুলে ধরেছেন। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে। আমরা যেটা আড়াল করে রাখতে চাই সেটাই এই বইয়ে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। সমাজের বাঁকা চোখের জন্য কতো মেয়েরা যে এভাবে লুকিয়ে রেখেছে এই পাশবিক অত্যাচার তা মনে পড়লে তীব্র বিষাদে ছেয়ে যায়। প্রিয়জন কি আসলেই প্রিয়? নাকি শুধু সু্যোগ সন্ধানী? সেই উত্তর নাহয় বই পড়েই জানেন। পুষ্প আর নিশাতের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। গুছিয়ে লিখতে না পারার জন্য দুঃখিত।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
August 21, 2022
রেপ কেস নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কোনো বই আগে পড়িনি। এটা পড়লাম, মুগ্ধ হলাম, কষ্ট পেলাম, আনন্দ পেলাম। এরকম রেপ এর ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে, ঘটছে, আরো ঘটবে কিন্তু সামাজিক বাঁধা, চাপ এসবের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে এমন মেয়ে খুব বেশি পাওয়া যায় না। এই গল্প সাহস দিক সে সব ভিকটিম মেয়েদের যারা নীরবে রেপড হয়েছেন।

আমার নিজের পরিচিত একজনের কথা মনে পড়লো যার জীবনেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সে কাউকে বলেনি, বলতে পারেনি, বাবা-মাকেও বলতে পারেনি। এই গল্প এমন সব মেয়েদের সাহস দিক।
Profile Image for Farzana Raisa.
41 reviews4 followers
September 9, 2024
আজ অব্দি হুমায়ূন আহমেদের যত উপন্যাস পড়েছি, তার মধ্যে এটার সমাপ্তি সবচেয়ে সন্তোষজনক ছিলো।
Profile Image for Samiha Kamal.
121 reviews118 followers
June 3, 2025
এই বই আমার আগে পড়া হয় নাই এটা অবাক করা ব্যাপার। কাঠামো ভালো লেগেছে, বিল্ড আপে গতি ছিলো। সেনসিটিভ একটা বিষয় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। এই কাহিনীর উপর বোধহয় কোন বাংলা সিনেমা হয়েছে। আমার আবছা মনে পড়ে টিভিতে কোন ঈদে এই কাহিনীর একটা সিনেমা/নাটক দেখেছিলাম।
Profile Image for Dhiman.
177 reviews14 followers
December 17, 2024
যখন কিছু পড়ার থাকে না বা বলা ভাল পড়তে ভাল লাগে না তখনই হুমায়ূন পড়ি। প্রথম দিকে পড়তে পড়তে ভাবছিলাম হয়তো হালকা ফুলকা একটা উপন্যাস হবে। কিন্তু পরে দেখলাম যে কত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে উপন্যাসটি। সমাজের এই ব্যাধি দূর হোক। মুক্তি পাক জড়াগ্রস্থ কিছু আত্মা। আসলেই তিনি জাদুকর।
Profile Image for Shahriar Kabir.
107 reviews42 followers
August 11, 2016
বই পড়িয়া মুহুর্মুহ আবেগাক্রান্ত হইয়া গিয়াছিলাম। তাই ১০ দিন পর আসিয়া অনুভূতি লিখিতে বসিলাম।
এখন বসিয়া অনুভুতি লিখিতে গিয়া দেখি বই ভুলিয়া গিয়াছি!
নিশ্চয়ই গল্পগুলো সুন্দর ছিল, মোহময় ছিল! আমরা সুখের কথা ভুলিয়া যাই, দুঃখের ব্যাপারে আবেগ কাজ করে, স্মৃতি হয়ত চায় না মনে রাখিতে।
কিন্তু ঐ যে, কী ভুলিয়া যাওয়া উচিত তা বারংবার নিজেকে মনে করাইয়া দিতে চাওয়াই হয়ত কাল হয়।
এতগুলো প্রেমের গল্প একত্রে পড়িয়া, চোখে তো রঙ ছলছল লাগিয়াই ছিল, হয়তবা ঘুমেও কিছুটি চোখের পাতার ভিতর ভিতর পাতার পাতা গল্প হইয়া থাকিবে।
সবই ভুলিয়া বসিয়াছি। ভুলিয়াই থাকি না!
কী দরকার মনে করিবার?
শেষে না আবার ব্যাথার স্মৃতি হইয়া জড়ায়!
ব্যথা তো মৃতকে চিনিতে পারে না।
যাহা সতেজ তাহাকেই পাকড়াইয়া ধরিয়া দম চাপাইতে চাহে।
ভুলিয়া থাকাই শ্রেয়। কারণ, হয়ত, গল্পগুলো সুখের রাগ বাজাইয়াছিল।
তাহারা সুখে থাকুক।
প্রিয়তমেষুর প্রতিটি পাতা।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
March 1, 2022
পরীক্ষার পড়া পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে ভাবলাম চা-কুঞ্জ থেকে গুড়ের চা খেয়ে আসি। সেখানে চা খেতে খেতে বই পড়ার সুন্দর ব্যবস্থা করে রেখেছে। মুডটা হালকা করতে হুমায়ুনের বই থেকে চমৎকার আর কি হতে পারে? ' প্রিয়তমেষু ' নাম থেকে ভাবলাম প্রেমের উপন্যাস হবে হয়তো। চা অর্ডার দিয়ে মন ভালো করতে বই নিয়ে বসলাম আর বই শেষ করে ভীষণ মন খারাপি ও বিষাদ নিয়ে উঠলাম।

' রেপ ' জিনিসটা আমার সবচেয়ে ঘৃৃনিত জিনিসের একটা এবং এই বইয়ের বিষয়বস্তু ও বটে। শুরুতে ধোঁকা খেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম টিপিক্যাল হুমায়নী আরেকটা উপন্যাস বুঝি। কিন্তু রেপ এর মতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে তিনি এতো সাবলীলতার সাথে ক্রাফ্টিং করে উপন্যাসটা লিখেছেন যে শেষ করবার পর বিষয়টা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হয়। আমাদের তথাকথিত সমাজের হিপোক্রেসি,মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, ক্ষমতার ধর্ষকামী মনোভাবের নির্মম বাস্তবতার কথা ভেবে একরাশ মনোবেদনা বইশেষে মনে উদয় হয়। এই বইটা একটু লাইম-লাইটে আসা উচিত।

৩.৫/৫
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
August 19, 2021
সব কাছের মানুষই কি প্রিয় মানুষ হয়? রকিব কি হতে পেরেছিলো পুস্প'র কাছের মানুষ? নাকি কদিনের পরিচয় হওয়া নিশাত, যে কিনা পুস্প'র চরম বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো, সে হয়ে উঠেছিলো প্রিয় মানুষ?

'প্রিয়তমেষু'তে হুমায়ূন আহমেদ খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ধর্ষণ নিয়ে ৮০'র দশকের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। আফসোসের বিষয় হচ্ছে, এ গল্পের প্রেক্ষাপটের সময় থেকে ৪০ বছর এগিয়ে এসেও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একটুকু বদলায়নি।

আজ এ বই নিয়ে আর কিছুই বলবো না। বইটা পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেছে। শুধু বলবো, হুমায়ূন আহমেদের 'প্রিয়তমেষু' অনেক আন্ডাররেটেড একটা বই। এই বইটা আরো আলোচনার দাবি রাখে। সময় পেলে অবশ্যই বইটা পড়বেন।
Profile Image for Sabiba Hossain.
185 reviews19 followers
January 3, 2021
ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ এরকম একটা বই লেখার জন্য !!!!
প্রিয়তমেষু গল্পটি একজন শারীরিকভাবে নির্যাতিত একজন নারী ও তার সমাজের। গতানুতিক গল্পের মত এখানে দেখানো হয়নি মেয়েটি নির্যাতিত হবার পর কী কী সমস্যার সমুখীন হয় বা কিভাবে সে সমাজের দ্বারা হেয় হয়। বরং এখানে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, বিচারের কথা বলা হয়েছে এবং একই সাথে দেখানো হয়েছে কিভাবে নারীরা অহরহ ��াদের নিকটাত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হন। এটা কেবলই একটা উপন্যাস, কিন্তু এর বিষয় ব্যাপ্তি অনেক বিস্তৃত।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
July 20, 2020
প্রিয়তমেষু-Beloved one! প্রিয় মানুষের বিপদে কি সবাই দাড়ানোর ক্ষমতা রাখে? সব সময়ই কি পাশে দাড়ায়??

সামাজিক অবস্থান আর মান-সম্মান রক্ষা করার জন্য অধিকাংশ নারীই তার উপর হওয়া পৈশাচিক অত্যাচারের কথা চেপে যায়। সেই সাথে তৈরি হয় আরও কিছু অঘটন ঘটার সম্ভাবনা, মুক্ত পাখির মতো ঘুরে বেড়ায় ধর্ষক আর শেকলে বাধা পড়ে নারী! আবার কেউ কেউ বিচার পাবার আশায় ঘুরে দাড়ালেও টাকা আর অন্যায় এর জোরে বসে পড়তে বাধ্য হয়। বিচার হতে গিয়েও হয় না ফল স্বরূপ পুষ্পের মতো ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে। নারী কোথায় নিরাপদ? কোথাও নাহ! না বাইরে না ঘরের ভিতরে। পুষ্প আর নিশাত তো আমাদের সমাজেরই প্রতিনিধি! সেই সাথে ইয়াকুব আর মিজানের মতো মানুষও এই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
"উপন্যাসে বর্ণিত প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক"- উপন্যাসের সর্বশেষ লাইন! সফল না বিফলে যাওয়া লাইন?
আমার কেন জানি সফল মনে হয়। এই যে নিশাতের মতো একটা মেয়ে পুষ্পের পাশে এভাবে দাড়ালো, এমন ঘটনা কি ঘটতে দেখা যায় আদৌ? এটা তো কাল্পনিক বলেই মনে হয় অনেকাংশে!!!!
Profile Image for Akash.
446 reviews148 followers
June 4, 2023
মনের অন্তঃপুরে বিষাদের নৃত্য শুরু হয়ে শেষে আনন্দের সুরে নৃত্য শেষ হল। একরাশ মুগ্ধতা সহকারে হুমায়ূনের সেরা একটা উপন্যাস পড়ে শেষ করলাম কাক ডাকা ভোরে। অদ্ভূত সুন্দর এবং স্মরণীয় বইটা মনের গোপন কোণে গাঁথা থাকবে।

আমরা তাদের দুঃখ-বিপদই ভাল করে অনুধাবন করতে পারি যাদের মতো দুঃখ-বিপদের মধ্যে আমরা অতীতে ছিলাম। তখন আমরা সেই দুঃখী মানুষটা হয়ে যাই। বিপদে পড়া মানুষটার প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতা, সহানুভূতিশীল হয়ে যাই। তার বিপদে পাশে দাঁড়াই। তার দুঃখ দূর করার চেষ্টা করি। কারণ আমরাও যে তার মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম অতীতের কোনো এক সময়ে। এবং সেই দুঃখে ভারাক্রান্ত, বিপদে মুষড়ে পড়া মানুষটার বিজয়ে আমাদের মুখেও হাসি ফুটে; আমরা বিজয়ী হই।

নিশাত-পুষ্প আপুরা ভাল থেকো। ভয় পেয়ো না। সর্তক থেকো ভদ্রবেশী শয়তানদের থেকে। পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করো না। প্রতিবাদ করতে ভয় পেয়ো না। লজ্জা পেয়ো না।

তুমি যখন হাস তখন দেখবে অনেকেই তোমার সঙ্গে হাসছে, কিন্তু তুমি যখন কাঁদ তখন দেখবে কেউ তোমার সঙ্গে কাঁদছে না।

পয়লা নম্বরী সুন্দরীর সঙ্গে করতে হয় ফষ্টিনষ্টি, দু নম্বরী সুন্দরীর সঙ্গে করতে হয় প্রেম। বিয়ে করতে হয় তিন নম্বর সুন্দরীকে

এই পৃথিবীর মেয়েরা তাদের পরিবারের কাছেও নিরাপদ না।.
Profile Image for Samiur Rashid Abir.
217 reviews45 followers
September 19, 2023
জয়জয়ন্তী এর সাথে কাহিনীতে কিঞ্চিৎ মিল আছে। কাহিনী খুব সম্ভবত প্যারালাল ইউনিভার্সে ঘটলে যে ভিন্ন ঘরানার হতে পারত সেটাই হয়ত দেখানোর চেষ্টা করছেন হুমায়ূন সাহেব।
Profile Image for Maliha Tabassum Arna.
186 reviews49 followers
August 29, 2021
এই একটা বই, পারলে সবাইকে এটা পড়তে বলব।🥺
Profile Image for Sherazum Munira  Tisha.
3 reviews1 follower
October 7, 2023
নিঃসন্দেহে হুমায়ূন আহমেদের বই গুলোর মধ্যে "প্রিয়তমেষু" বেস্ট একটা বই। আমি খুবই অবাক হলাম বই টা পড়ে এই ভেবে যে, এতো ভালো একটা বই অথচ এই বই নিয়ে তেমন কোনো লেখালেখি হয়না। কিন্তু অনেক ফালতু টপিক নিয়ে লেখা বইয়ের মাঝে মাঝে কত হাইপ দেখি। হুমায়ূন আহমেদের এই বই টা সবার অবশ্যই পড়া উচিত।

বইয়ের একদম শেষে লিখা ছিলো "উপন্যাসে বর্ণিত প্রতিটি চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক " অথচ পড়ার সময় একবার ও আপনার সেটা মনে হবেনা। কারণ বাংলাদেশে এই ঘটনা অহরহ হয়ে থাকে। যেনো বাস্তব ঘটনাই বইয়ে লিখা হয়েছে।

উপন্যাসের মূল চরিত্র পুষ্প এবং নিশাত।
পুষ্পের জন্য খুব কষ্ট হয়।পুষ্পের সাথে অনেক বড় অন্যায় ঘটে যাওয়ার পরেও পুষ্পের হাজবেন্ড রাকিব সমাজের মানুষের কথা বা লোকলজ্জার ভয়ে স্ত্রীর পাশে দাঁড়ায় না দেখে খুব রাগ হয় আমার। কিন্তু একজন আদর্শ স্বামী হিসেবে তার উচিত ছিলো স্ত্রীর হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা। যেটা সে করেনি।

অন্যদিকে নিশাত পুষ্পের প্রতিবেশী হয়ে পুষ্পের পাশে থেকেছে এবং শেষ পর্যন্ত অপরাধীর শাস্তি পাবার জন্য লড়াই করেছে। নিশাতের মতো এরকম নিঃস্বার্থ মানুষ কম ই আছে।
তবে লাস্টের টুইস্ট টার জন্য একদম ই প্রস্তুত ছিলাম না।

২ জন সাধারণ মেয়ে কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অপরাধী আদৌ শাস্তি পায় কিনা এটা জানার জন্য এই বইটা পড়তে পারেন।

এই বই এর শিক্ষণীয় দিক হলো :
১/উপকার করলেই সবাই বন্ধু হয়না।
২/ নিকট আত্নীয় হোক কিংবা খুব কাছের বন্ধু হোক তাদের অন্ধবিশ্বাস করা ঠিক না কারণ যত কাছের ই হোক না কেনো আপনার মেয়ে,বোন বা বউ কোনো পুরুষের কাছেই নিরাপদ না।
Profile Image for Md Shariful Islam.
258 reviews84 followers
November 13, 2020
লেখকের জন্মদিনে লেখকের একটা বই পড়ার প্ল্যান বেশ কয়েকদিন আগেই করেছিলাম। কিন্তু পড়ব কোনটা? তখনই গত পরশু ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক পোস্ট থেকে বইটার কথা জানতে পারি যেখানে পোস্টদাতা দাবি করেছেন যে এই বইটা নিয়ে যতটা আলোচনা হওয়া উচিত ততটা হয় না এবং এটি লেখকের সেরা সৃষ্টির একটি। লাইন দুইটা শোনার পরপরই মনে পড়ে এই বইটা নিয়ে এমনই এক মূল্যায়ন শুনেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আজম স্যারের কাছ থেকে যে অনুষ্ঠানে তিনি আলোচনা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ বহুল পঠিত এবং জনপ্রিয় হলেও তিনি কতটা ‘ভুলভাবে পঠিত' তার উপর। তো দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বইটা শুরু করে ফেলি এবং ৭২ পৃষ্ঠার বইটা ঘন্টাখানেকের মধ্যেই শেষ করে ফেলি।

বাড়তি কথা বলার আগে সংক্ষেপে গল্পটা বলে নিই। পাশাপাশি দুটো ফ্ল্যাটে থাকে রকিব-পুষ্প এবং জহির-নিশাত দম্পতি। বিভিন্ন দিক দিয়ে পুষ্প এবং নিশাতের অনেক পার্থক্য থাকলেও কয়েকদিনের ভেতরেই তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই যখন অবস্থা, তখন এক দুপুরবেলা রকিবের বন্ধু মিজানের দ্বারা নিগৃহীত হয় পুষ্প। অতি পরিচিত এক ব্যক্তির দ্বারা এমন ভয়াবহ ঘটনায় স্বভাবতই শক্ড হয় পুষ্প। কিন্তু সে চায় মিজানের শাস্তি হোক। স্বামী রকিব যখন লোক জানাজানির ভয়ে থানা-পুলিশের ঝামেলা এড়াতে চায় তখনই পুষ্পর পাশে এসে দাঁড়ায় নিশাত।

বইটটার নাম দেখে আমি ভেবেছিলাম হয়তো বইটা কোনো প্রেমের উপন্যাস। কিন্তু কয়েক পাতা পড়তেই হোঁচট খেতে হলো আমাকে। ধর্ষণ, ধর্ষণ পরবর্তী ভিক্টিম-ব্লেমিং এবং ধর্ষণের সামাজিক ও আইনি বাধা-বিপত্তি হলো বইটার মূল কথা। আর বইটার বিশেষত্ব ঠিক এখানেই। আজ থেকে ত্রিশ-বত্রিশ বছর আগে লেখক সমাজে হার হামেশা ঘটা অথচ এড়িয়ে যাওয়া একটা বিষয়কে বইয়ের পাতায তুলে এনেছেন। মেয়েরা কিভাবে তাদের অতি পরিচিত মানুষদের দ্বারাই বেশি নিগৃহীত হয়, সমাজ কিভাবে ভিক্টিমকে চুপ করে তার সাথে ঘটা অন্যায়কে মেনে নিতে বলে, স্বজনরা কিভাবে ‘সম্মানের’ জন্য চুপ করে থাকে, আইন কিভাবে অপরাধীদের ঢাল হয়ে দাঁড়ায় যেখানে অপরাধী শাস্তি তো পায়-ই না বরং আরও অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ হয় – সেসব বিষয়কেই তুলে এনেছেন লেখক।

ধর্ষণের ক্ষেত্রে সামাজিক ( মামলা না করা, ভিক্টিম-ব্লেমিং) ও আইনি ( দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন, জামিন, প্রভাবশালীর প্রভাব, ক্রশ এক্জামিনেশন) বাঁধাগুলো বইয়ে এসেছে বিস্তারিতভাবে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি বিষয় লেখক তুলে এনেছেন বইটাতে। যেমনঃ পুষ্পকে নিয়ে রকিবের চিন্তাধারা বা পুষ্পর মনঃকষ্ট। বৃহত্তর অর্থে যদিও এসব সামাজিক প্রভাব কিন্তু ধর্ষণকে আমরা কিভাবে দেখছি সেটা বোঝা যায় ওদের চিন্তা থেকে। রকিব চিন্তা করতে থাকে সে অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী কাউকে বিয়ে করলেই হয়তো তাকে ওতটা ঝামেলা পোহাতে হতো না। এ থেকেই স্পষ্ট আমরাও মেনে নিই অপরাধী তো অপরাধ করবেই, দোষ আমাদেরই! আবার পুষ্পও ঘটনার পর চিন্তা করতে থাকে তার স্বামী তাকে মেনে নেবে কি না বা তাকে সে ঘৃণা করছে কি না। আরেকটা বিষয়ও উল্লেখ করার মতো, সেটা হলো জহিরের চিন্তাধারা। সে চায় না তার স্ত্রী অন্যের সন্তানকে আদর করুক, ধর্ষণ মামলার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখুক, সে চায় পুলিশি সমস্ত ঝামেলা থেকে দূরে থাকতে, কেস নিয়ে নিশাতের উদ্বেগের সময়ও তার কাছে বড় হয়ে দাঁড়ায় ‘নিজেদের সমস্যা' আর সেটা হলো ফুলগাছের মৃত্যু! লেখক এখানে জহির চরিত্রটার মাধ্যমে গড়পড়তা মধ্যবিত্ত বাঙালির চরিত্র তুলে ধরেছেন যারা শুধু নিজেকে নিয়েই বাঁচতে চায়, শত অন্যায়-অনিয়ম দেখেও যারা না দেখার ভান করে চলে, যাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নিজে ভালো থাকা বা ‘ ঝামেলা না বাড়ানো'।

এসব কিছুর পরও বইটা ধর্ষণের একটা দিকই তুলে ধরতে পেরেছে। যাদের নিশাতের মতো বন্ধু নেই তাদের কি হবে? যারা নুরুদ্দিনের মতো এত দ্বায়িত্ববান পুলিশের জিম্মায় নয় বরং সেসব অফিসারদের কবলে পড়ে যারা থানাতেই দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে তাদের কি অবস্থা? বা যারা সরদার এ করিমের ন্যায় উকিল পায় না তাদের? বা যেসব অপরাধীর নামে আগে কোনো মামলা নেই?

বইটা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। এখন ২০২০ শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু ফেসবুক বা সংবাদপত্র খুললেই আমরা দেখতে পাব এখনও হাজারও পুষ্প এমনভাবে নির্যাতিত হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীও থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদিও লেখক বইয়ের শেষে বলেছেন সব চরিত্র ও ঘটনাবলী কাল্পনিক – কিন্তু আসলেই কি তাই? এমনও মিজান, পুষ্প বা রকিবের বসবাস তো আমাদের আশেপাশেই। তো লেখক যেটা বলতে চেয়েছেন, আমাদের আরও বেশি বেশি নিশাতকে দরকার, পুষ্পর মতো নির্যাতিত মেয়েদের এগিয়ে আসা দরকার, কথা বলা দরকার। শেষের ছোট্ট একটা অনুচ্ছেদের মাধ্যমে লেখক যে ধাক্কাটা দিয়েছেন তাতেই বোঝা যায় আমাদের আশেপাশে এমন অনেক শয়তান আছে যারা দরবেশের মুখোশ পরে থাকে। আর মিজানরা যে বিচারহীনতার ফসল সেটা তো একদম স্পষ্ট-ই করেছেন লেখক।

শেষ করি। তার আগে লেখকের জন্মদিনে লেখককে একবার শুভেচ্ছা না জানালেই তো নয়। শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ!
Profile Image for Huzaifa Aman.
143 reviews5 followers
September 30, 2025
হুমায়ুন আহমেদ এর সাধারণ একটা বই। সাধারণ বইটাতেও কত অসাধারণ বর্ণনাভঙ্গি। হুমায়ুন এর কিছু বই আছে যেগুলো নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হওয়া দরকার ছিল কিন্তু হয়নি।প্রিয়তমেষু'ও সেরকম একটা বই। সমাজের কিছু ঘটনা আমরা লুকিয়ে রাখতে চাই ,, লেখক সেটাকেই যেন আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়েছেন। আর শেষ পৃষ্ঠার টুইস্ট টা ,, একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
October 25, 2024
এত এত এত সুন্দর একটা উপন্যাস। বইটা পড়ে এত এত এত বেশি ভাল লাগছে। ইন্ডিংটা আমার মন খুশিতে ভরিয়ে দিয়েছে।
হুমায়ূন স্যারের উপন্যাস আমার সবসময়েরই অতি প্রিয়। আমার ওনার লেখা পচ্ছন্দ হওয়ার পিছে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে উনি খুব অসাধারণ করে বর্ণনা করেন। পড়ার সময় একটুও মনে লাগে না যে এটা ফিকশন।
এই উপন্যাসটা দুইটা দম্পতিদের নিয়ে, এবং...
আমি বইটা শেষ করে এতটা এক্সাইটেড, যে আমি হয়ত বেশি কিছু বলতে গেলে ডাইরেক্ট স্পয়লার দিয়ে ফেলব।
বইটা পড়ার সময় দমবন্ধকর একটা অবস্থা তৈরি হয়। মনে হয়, দিনশেষে জয় হবে কার? সত্যের ?
বইটা আমি সব হুমায়ূন প্রেমিদের হাইলি রিকমেন্ড করব। অবশ্যই এই বইটা পড়বেন। এবং হুমায়ূন স্যারের চিন্তা শক্তিতে বিস্মিত হয়ে উঠবেন।
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
September 22, 2025
"There is no greater agony than bearing an untold story inside you."

হুমায়ুন আহমেদ প্রিয়তমেষু বইতে সমাজের ভণ্ডামির একেবারে কেন্দ্রে গিয়ে আঘাত করেছেন। এ সমাজে ধর্ষককে আড়াল করা হয়, কারন সে ক্ষমতার অংশ। আর ধর্ষিতার ছবি ছাপা হয় ফ্রন্টপেজে। এভাবে ধর্ষিতাকে সে বলতে চায়, দেখো সে ভিন্ন, সে কলঙ্কিত এবং তাকে নিয়ে ফ্রন্টপেজে রগরগে ক্যাপশন সহ নিউজ করাই যায়।

সমাজ ভুক্তভোগীকে বলে—“চুপ থাকো, মান-সম্মান নষ্ট হবে।” ফলে সে দ্বিগুণ শাস্তি পায়: প্রথমে ধর্ষণের, পরে নীরবতার। অন্যভাবে বললে, এটা হচ্ছে “দ্বিতীয়বার ধর্ষণ”—তাকে আবারও নিস্তব্ধ করে দেওয়া।সমাজের বড় অংশ ভুক্তভোগীকে মানুষ হিসেবে দেখে না, বরং এক টুকরো কলঙ্ক হিসেবে দেখে। এই ডিহিউম্যানাইজেশন আসলে নৈতিক দেউলিয়াপনা। মানুষ যখন ভুক্তভোগীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে অক্ষম হয়ে যায়, তখন সে নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে।

ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি অপরাধের শিকার, অথচ সমাজ তাকে অপরাধের মালিকও বানায়। একদিকে তার দেহে জোর করা হয়েছে, অন্যদিকে তার অস্তিত্বে দায় চাপানো হয়েছে। তাকে ক্রমাগত victim আর culprit—এই দ্বৈত পরিচয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। এভাবে সত্যকে বলা হয় নৈতিকভাবে বেআইনি, অথচ মিথ্যাকে বলা হয় সামাজিকভাবে বৈধ। নৈতিকতার ভেতরে এই উল্টোপথ—যেখানে ন্যায় আর অন্যায় বিনিময় হয়ে যায়—একটা “নৈতিক প্যারাডক্স” তৈরি করে।
পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী—যারা হওয়া উচিত ছিল আশ্রয়, তারা পরিণত হয় কারাগারে। ফলে ভুক্তভোগী আর সমাজের সম্পর্ক কেবল আইনগত নয়, ontological ভাঙনের দিকে যায়। সে আর মানুষ নয়, বরং এক ধরনের “অপবিত্র প্রতীক” এ পরিনত হয়—যাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়।

হুমায়ুন আহমেদ ধর্ষনের মতো একটা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে নির্মোহভাবে লিখে গিয়েছেন এই গল্পে। তিনি মানুষের সাইকোলজি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পারতেন। সেটা ব্যবহার করেই তুলে ধরেছেন সমাজের নগ্ন এবং বিভৎস দিকটিকে। এই গল্পটা তার অন্য অনেক গল্প থেকে আলাদা। কেবল প্রকাশকদের চাপে পড়ে লেখা না, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখা।

এ সমাজে ধর্ষকদের বিচার হলেও সেটা কয়েক বছরের জেল-জরিমানা। তবে একই সাথে ধর্ষিতারও যে সম্পূর্ণভাবে মানসিক মৃত্যু হয়, তা নিয়ে কেউ কথা বলেন না। পুলিশি তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ, ক্রস এক্সামিনেশন এর নামে ধর্ষিতাদের যে দ্বিতীয়বার ধর্ষন করা হয়, সে বিষয়েও কেউ কথা বলেন না। সেই বাধা পুষ্পরা কাটিয়ে উঠতে পারলেও নিশাতরা তা পারেনা। হুমায়ুন আহমেদের হিমু-মিসির আলী'র মতো বইগুলো নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও এই বই নিয়ে তার ছিটেফোঁটাও হয় না। অথচ হওয়া উচিৎ ছিল, কারন বাস্তবতা এখনো ভীষণ প্রাসঙ্গিক, ভীষণ দু:সহ।
Displaying 1 - 30 of 119 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.