ডকের ধারে বহুদিন ধরেই বাস করত এক বুড়ো পাইলট। বেঁচে থাকতে কেউ চোখ ফিরিয়ে তাকায়নি তার দিকে, অথচ মরার পর শুরু হলো তুলকালাম। রহস্যময় চরিত্রে ভরে গেল স্যান পেদ্রো ম্যারিনা। বিপাকে পড়ে গেল বাপ ছেলের দরিদ্র জেলে পরিবার। ঠিক এই সময়, রহস্য সমাধান করতে মাটি ফুঁড়েই যেন উদয় হলো তিন কিশোর-কিশোরী। অয়ন, জিমি আর রিয়া!
হ্যালোউউউহহ! অই চুপ কর। কেন,কি হয়েছে রে? ওকে বিরক্ত করিস না। ও কেবলই আমাদের এত দুর্দান্ত অভিযানের বর্ণনা পড়ে ফেলল,একবার ফিডব্যাক নিয়ে আসি। -হ্যালো,অয়ন-জিমি আঙ্কেল! আঙ্কেল?!আমরা কি বুড়ো হয়ে গেছি! তূর্ণা! ৩০ বছর হল,আর কত... অই কি বললি!৩০ বছর!আমাদের বয়স ১ মিলিয়ন পার হয়ে যাবে,তবুও আমরা কিশোর বালক অয়ন-জিমি! দিল ত বাচ্চা হ্যায় জি... হ্যাঁরে,বাচ্চা ছিলিস বলেই তুই বোকার মত দুবার দৌড়ানি দিলি,হা হা হা! এবার তুই যাবি,আমি ওসব পারব না।শয়তান! -তোমরা থাম,আচ্ছা-তুমিই বলি। হ্যাঁ সেটাই ভাল। হ্যাঁ,তূর্ণা,"কালো মেঘে" ভেসে তোমার কেমন লাগল? -দারুন ছিল।বেশ ভাল লেগেছে আমার।রিয়াকে আমার বেশ ভাল লাগে, এত বুদ্ধিমতী আর সুন্দর... ওহ হ্যাঁ, তুমি একবার ওকে আইরিন অ্যাডলারের সাথে তুলনা করেছিলে,হ্যাঁ, ওকে তকমাটা খুব মানাবে... জি,অন্তত যেভাবে শার্লক সাহেবের মত আমাদের ঘোল খাওয়ায় সারাদিন।কাউয়া বুড়ি কোথাকার!কা কা কা... থাম তুই! ও জানলে তোকে পটাটো চিপ্স বানাবে একদম! তুই একটা ছাগল!ব্যা ব্যা ব্যা করে খালি জ্ঞান দিয়ে বেড়াস।ওরে আমার বিদ্যাসাগর রে! আয় একবার,কানটা মলে একদম লাল বানিয়ে ফেলি,তখন দেখিস মজা! ওরে বাবা!পালাই! -আচ্ছা,বাই!(আমিও এবার পালাই!)
এক বৃদ্ধ পাইলটের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধে উঠল রহস্য, রহস্যের সীমানা আমেরিকা থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত! বুড়ো তো রেখে গেছে একটা পুরোনো প্লেন আর কিছু কাগজপত্র। তাহলে কী খুঁজছে অদ্ভুত মানুষগুলো? কে আসলে কোন পক্ষের? অয়ন-জিমি-রিয়ার একটা জমজমাট উত্তেজনাকর কাহিনী! জিমির বারবার তাড়া খাওয়া বেশ হাস্যরস সৃষ্টি করেছে।