রহস্যসাহিত্য জগতের তাবড় তাবড় সব লেখকের গল্প নিয়ে সাজানো এই বইটি।
অশ্ব রহস্য, রেইগেটে রক্তপাত, নকশা গায়েব – আর্থার কোনান ডয়েল । তিনটা তিন ধরনের, কিন্তু সবগুলোই দারুণ গল্প।
ক্যামডেনের খুনী – রিচার্ড অস্টিন ফ্রিম্যানের চিকিৎসক-গোয়েন্দা ডক্টর থর্নডাইকের গল্প। ফ্রিম্যানের লেখা আগে পড়িনি। গল্পটা খারাপ নয়।
পার্টিতে গোলমাল, নরসুন্দর – ডরোথি এল সেয়ারস প্রথম গল্পটা সেই খেয়ালি সম্ভ্রান্ত বংশীয় গোয়েন্দা লর্ড পিটারের, খারাপ নয়। আর দ্বিতীয়টা, নরসুন্দর, খুব মজার একটা গল্প।
একবারই ফাঁসি হয় – ডাশিয়েল হ্যামেট। নায়ক সেই আইকনিক হার্ড বয়েল্ড ডিটেকটিভ, স্যাম স্পেড।
চুরি – আগাথা ক্রিস্টি। পার্কার পাইনের সব গল্পের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল এই গল্পটা।
ফারাও সম্রাটের অভিশাপ – আগাথা ক্রিস্টি। পোয়ারো-র আরেকটা ভালো গল্প, কি বিষয়ক সেটা নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
ইসমাইল আরমানের সাবলীল ও আকর্ষণীয় ভাষায় অনুবাদ করেছেন গল্পগুলো। তবে গল্পগুলো দীর্ঘ অনেক বছরে বিভিন্ন সময়ে রহস্যপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তাই সবগুলোতে অনুবাদের মান ঠিক এক নয়।
গল্প সংকলন টা আমার কাছে দুর্দান্ত লাগছে। না বলব না যে রহস্য আর রোমাঞ্চ এ ভরপুর ছিল গল্পগুলো কিন্তু সেরা সেরা ডিটেকটিভ দের নিয়ে সাজানো গল্প গুলো আমার মত ডিটেকটিভ পাগল গল্পখোরের কাছে এক্সসাইটিং একটা ব্যাপার। একটা গল্প কে এভারেজ লেগেছে এটা বাদে বাকি গল্প গুলো ভালই লেগেছে বিশেষ ডরোথি লেই সেয়ার্স এর গোয়েন্দা চরিত্র টা আমার কাছে অজানা ছিল।এই বইয়ের কল্যানে তা পড়তে পারে আমি যারপরনাই আনন্দ অনুবাদের কথা না বলি। বরাবরের মতই টপ নচ✌️
বইটা পড়েছিলাম অনেক আগে। সব গল্পের কাহিনীও মনে নেই।তবে এতখানি মনে আছে এই বইটা পড়ার আগে সংকলন আমি পড়তাম না।এই বইটা পড়েই এখন সংকলন পেলেই পড়ে ফেলি।অনুবাদকের সহজ সাবলীল অনুবাদের কারনে বইটি আমার কাছে অন্যতম একটি সংকলনে পরিনত হয়েছে।