Jump to ratings and reviews
Rate this book

পঞ্চগ্রাম

Rate this book
Paperback Mitra & Ghosh Publishers Pvt. Ltd. (1980) Bengali 8172933630 978-8172933630

Hardcover

First published January 1, 1943

6 people are currently reading
163 people want to read

About the author

Tarashankar Bandyopadhyay

130 books287 followers
Tarashankar Bandyopadhyay (Bangla: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়) was born at his ancestral home at Labhpur village in Birbhum district, Bengal Province, British India (now West Bengal, India). He wrote 65 novels, 53 story-books, 12 plays, 4 essay-books, 4 autobiographies and 2 travel stories. For his novel Arogyaniketan, he received the Rabindra Puraskar in 1955 and the Sahitya Akademi Award in 1956. In 1966, he received the Jnanpith Award for his novel গণদেবতা. He was honoured with the Padma Shri in 1962 and the Padma Bhushan in 1969.

Tarasankar is one of those writers of the third decades of the twentieth centuries who broke the poetic tradition in novels but took to writing prose with the world around them adding romance to human relationship breaking the indifference of the so called conservative people of the society who dare to call a spade a spade. Tarasankar’s novels, so to say, do not look back to the realism in rejection, but accepted it in a new way allowing the reader to breathe the truth of human relationship restricted so far by the conservative and hypocrisy of the then society.

He learned to see the world from various angles. He seldom rose above the matter soil and his Birbhum exists only in time and place. He had never been a worshipper of eternity. Tarasankar’s chief contribution to Bengal literature is that he dared writing unbiased. He wrote what he believed. He wrote what he observed.

His novels are rich in material and potentials. He preferred sensation to thought. He was ceaselessly productive and his novels are long, seemed unending and characters belonged to the various classes of people from zaminder down to pauper. Tarasankar experimented in his novels with the relationships, even so called illegal, of either sexes. He proved that sexual relation between man and women sometimes dominate to such an extent that it can take an upperhand over the prevailing laws and instructions of society. His novel ‘Radha’ can be set for an example in this context.

His historical novel ‘Ganna Begum’ is an attempt worth mentioning for its traditional values. Tarasankar ventured into all walks of Bengali life and it’s experience with the happenings of socio-political milieu. Tarasankar will be remembered for his potential to work with the vast panorama of life where life is observed with care and the judgment is offered to the reader. and long ones, then any other author. He is a region novelist, his country being the same Birbhum. He mainly flourished during the war years, having produced in that period a large number of novels and short stories.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
44 (46%)
4 stars
41 (43%)
3 stars
7 (7%)
2 stars
2 (2%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 16 of 16 reviews
Profile Image for Ashik.
220 reviews40 followers
October 10, 2024
তারাশঙ্করকে নতুন করে আবিষ্কার করার অভিযান আমার ব্যর্থ হয়নি, বরং নতুন করে আরো অনেককিছু পেলাম যা আগে পাইনি। আবারো এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যেতে হবে সেটাও ভাবিনি।
শহুরে চার দেয়ালের মধ্যে হাসফাস করতে থাকা মনকে শান্ত করার জন্য এমন স্নিগ্ধ লেখাতে বারবার ফিরে যেতে হবে।

আধুনিক জীবনের আকাশচুম্বী অট্টালিকায় বাস করা সভ্য নাগরিকদের কাছে কুঁড়েঘরে কাটানো মানুষের জীবনের হালচাল জানার আগ্রহ বা উপায় কতটুকুই? সেটুকু সময়-ই বা কোই?

তবুও, সব যান্ত্রিকতা পিছে ফেলে কখনো বারান্দায় বসে তারাশঙ্কর খুলে বসলে খুঁজে পাওয়া যাবে খাঁটি গ্রাম বাংলার স্বাদ। চিরায়ত এসব লেখা কখনো আবেদন হারাবে না, এদের রঙ একটুও ফিকে হবে না।
Profile Image for Aditya.
37 reviews6 followers
November 22, 2025
বাংলার মাটি ও মানুষদের কথা, কৃষকদের কথা তারাশঙ্করের মতো আর কেউ বোধহয় এরকম স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি। ঝরঝরে বর্ণনা, লোককথা শুনে মনে হবে লেখক হয়তো ওই গ্রামেরই মানুষ। 

জমিদারদের অত্যাচার, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষক তার সর্বস্ব হারায়, কিন্তু ক্ষুদার জ্বালা বড় জ্বালা, তার কাছে একসময় হার মানতেই হয় অভাগা চাষীদের।

নতুন যুগেরও কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। চাষাবাদ ছেড়ে কলকারখানায় কাজ করা, জমিদারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, জাত-পাত-ধর্মের বেড়াজাল থেকে মুক্ত কিছু চরিত্রেরও দেখা মিলে।

কিন্তু সবচেয়ে বেশী মনে থাকে দেবু পন্ডিতের কথা। দুর্গা, ন্যায়রত্ন মশায়, ছিরু পাল এসব চরিত্রও বহুদিন মনে থাকবে।

বাংলাসাহিত্যে  তারাশঙ্করকে কেন জানি আমার আন্ডাররেটেড মনে হয়। "কবি", "গণদেবতা" পড়েত মুগ্ধ হয়েছিলাম। "পঞ্চগ্রাম " যেন সেই মুগ্ধতা আরো বাড়িয়ে দিলো। 
Profile Image for Pranta Biswas.
122 reviews4 followers
March 10, 2022
তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কবি' পড়ার পড় তার বাকি লেখাগুলো পড়ার জন্য এক অদম্য লোভের সৃষ্টি হয়। লোভ সংবরন করতে না পেরে 'কবি' শেষ করার পরপরই শুরু করে দেই 'পঞ্চগ্রাম'। অর্ধেক পড়ার পর জানতে পারি এটি 'গণদেবতা' এর পরের খন্ড! বাংলা সাহিত্য নিয়ে ধারনা কম থাকলে যা হয় আরকি। যদিও পুরো গল্পে প্রথম খন্ডের অভাব বোধ হয়নি কখনও। শুধু মনে ক্ষীণ আশা ছিলো লেখক বিলু আর খোকন এর মৃত্যুর ঘটনা কোথাও না কোথাও পরিষ্কার করবে। কিন্তু আমি যে উপন্যাসের পুরো এক খন্ডই যে বাদ দিয়ে পড়া শুরু করেছি তা কি আর জানতাম?
যাইহোক, 'কবি' এর মতো ভাল না লাগলেও চার তারার কম কিছুতেই দেওয়া যায়না এটিকে। আর সমাপ্তি! সম্পূর্ন অপ্রাত্যাশিত। সম্পূর্ন উপন্যাসের সবচেয়ে ভাল লেগেছে দুর্গার মনের সেই সরল ও অকৃত্তিম প্রার্থনা ❝সেদিন যেন জামাই তোমাকে আমি পাই। বিলু-দিদি মুক্তি পেয়েছে আমি জানি। স্বর্ণও যেন সেদিন মুক্তি পায় নারায়ণের দাসী হয়। আমি আসব এই মর্তে—তোমার জন্যে আসব, তুমি যেন এস। আমার জন্যে একটি জন্মের জন্যে এস। তোমার কথা আমি বিশ্বাস করলাম। করছি এই জন্যে। তোমাকে পাবার জন্যে।❞ আহা!!!
Profile Image for Ekhfa Rahman.
6 reviews1 follower
May 31, 2024
পঞ্চগ্রাম আমার তারাশঙ্করের পড়া প্রথম বই। বেশ খানিকটা পড়ার পর জানতে পারি এটা গণদেবতা উপন্যাসের পরের অংশ। গণদেবতা না পড়ার কারণে প্রথমে একটু খাপছাড়া লাগলেও পরবর্তীতে বেশ ভালো লাগতে শুরু করে।

তৎকালীন ভারতবর্ষের সামন্ততন্ত্র এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিকায় উপন্যাসটি লেখা।
ময়ূরাক্ষীর তীরের শিবকালীপুর , মহাগ্রাম, দেখুড়িয়া , কুসুমপুর , কঙ্কনা - এই পাঁচগ্রাম এবং দেবনাথ রায় ওরফে দেবু পন্ডিতকে ঘিরে উপন্যাসের গল্প। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষক ও নিম্নবর্ণের ‌। তবে উচ্চবর্ণের মানুষও বর্তমান। অন্যায়ভাবে জমিদারের খাজনা বৃদ্ধির দাবিতে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামের মানুষ ও পরিবেশ। হিন্দু মুসলমান সব শোষিত মানুষ এক হয় এর প্রতিবাদে। আর এর নেতৃত্ব এসে বর্তায় স্ত্রী সন্তান হারানোর শোকে মুহ্যমান দেবু পণ্ডিতের ওপর। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে‌ এগিয়ে যায় পঞ্চগ্রামের মানুষদের নিয়ে। পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোকে জর্জরিত হয়ে পড়ে মানুষ তবু তারা “বাঁচিতে চায়। তাদের বিশ্বাস মুক্তি একদিন আসিবেই। সেই দিনের দিকে চাহিয়ায় মানুষ দুঃসহ বোঝা বহিয়া চলিয়াছে।”

তারাশঙ্করের লেখায় সামন্ততন্ত্র ও পুঁজিবাদের প্রভাব আছে। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধর্ম কেন্দ্রীক সমাজের ভাঙন , জমিদার কর্তৃক কৃষকদের শোষণ, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। তাছাড়াও সেই সময়কার মানুষের সমাজ , জীবনযাত্রা, চিন্তাভাবনা , মনস্তত্ত্ব , রাজনীতিও ওঠে এসেছে তাঁর উপন্যাসে।
Profile Image for Alimur Razi Rana.
95 reviews5 followers
February 27, 2021
গনদেবতা উপন্যাসের দুই অংশ - চন্ডিমণ্ডপ আর পঞ্চগ্রাম। কিন্তু কোন কারনে চন্ডিমণ্ডপ অংশটাই গনদেবতা নামে পরিচিত। এই কারনে গনদেবতা নামের আড়ালে পঞ্চগ্রাম চাপা পড়েছে। হাহাকার, দুর্দশা নিয়ে গনদেবতা শেষ হয়। পঞ্চগ্রামে সেই বাধা বিপত্তি ঠেলে মানুষ এগিয়ে যায়। বারবার তারা বাধা পায়। প্রকৃতি আর শাসকের কাছ থেকে দুর্যোগ আসে। ক্ষুধা আর দারিদ্রের কাছে বারবার পরাজিত হয়েও তারা নতুন স্বপ্ন দেখে।

দেবনাথ ঘোষ সবার দেবু পন্ডিত কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। কিন্তু সবার দায়িত্ব তার কাছে বারবার চলে আসে। পাঁচ গ্রামের মানুষ বার বার তার কাছে আসে। জমিদার পক্ষ চক্রান্ত করে। দেবু পন্ডিত তার নৈতিকতা নিয়ে সেই বাধা এড়িয়ে চলে। তার সাথী হয় গাঁয়ের সকল শোষিত মানুষ। এর মাঝে আসে চিরকালের হিন্দু মুসলিমের সম্পর্ক। দাঙ্গা করতে তারা যেমন লাঠি ধরে তেমনি একজনের বিপদেও অন্যরা এগিয়ে আসে। আধুনিকতার ধাক্কায় পুরাতন ধর্মব্যবস্থা ভেঙে পড়তে চায়। সেই ধর্মকেই ব্যবহার করে কিছু মানুষ সুবিধা নেয়। এভাবেই এগিয়ে চলে গ্রাম বাংলার জীবন।
Profile Image for Nuzat.
15 reviews
August 11, 2022
গণদেবতা উপন্যাসের দুটি খন্ড, চণ্ডীমণ্ডপ এবং পঞ্চগ্রাম। কিন্তু চণ্ডীমণ্ডপ নামটি ছাড়িয়ে কিভাবে যেন উপন্যাসের প্রথম খন্ডটি গণদেবতা নামে পরিচিত হওয়ায় পঞ্চগ্রাম প্রায় আড়ালে পরে গেছে।
গণদেবতা বা চণ্ডীমণ্ডপ শেষ হয় হাহাকার নিয়ে। পঞ্চগ্রাম শুরু হয় ঠিক সেখান থেকেই। জমিদারের অন্যায়ভাবে খাজনাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবার আশেপাশের পাঁচ গ্রাম রুখে দাঁড়ায়। খাজনা দিতে তারা অস্বীকৃতি জানায়। শ্রীহরি ঘোষ ও অন্যান্য জমিদারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় হিন্দু-মুসলমান সবাই। এদিকে গ্রামের ধনীকশ্রেণির গভীর ষড়যন্ত্র চলে, নিপীড়িত মানুষদের তারাও নানাভাবে জব্দ করে ফেলে। এসব কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চায় দেবু। আপনজনদের আকস্মিক মৃত্যু তাকে স্তব্ধ করে দ���য়েছে। সবার বিপদে এগিয়ে যাওয়া, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা দেবু যেন এসব কাজে ক্লান্ত। তবুও খাজনাবৃদ্ধির বিবাদে জড়িয়ে যায় দেবু, তার উপরই যেন এই নিপীড়িত গোষ্ঠীর নির্ভরতা। খাজনাবৃদ্ধির আন্দোলনে জড়িয়ে পরার দরুন শ্রীহরি ঘোষ ও অন্যান্য সুবিধাবাদী গোমস্তাদের রোষানলে পরতে হয় তাকে, শ্রীহরিদের গভীর ষড়যন্ত্রে তার উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। গ্রামের লোকেরাও দেবুর অপবাদে বিশ্বাস করে। এখানে গ্রামের জনগোষ্ঠীর স্বার্থপরতা চোখে পড়ে। এরই মাঝে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামে প্রচন্ড বন্যা হয়। এসময় গ্রামবাসী কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে শ্রীহরি। গণদেবতা ও পঞ্চগ্রাম দুটি উপন্যাসেই শ্রীহরির অন্যায় মনোভাবের পাশাপাশি উদার মনোভাব চোখে পড়ে। বন্যায় বাঁধ রক্ষা করতে গিয়ে পানির স্রোতের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয় দেবু। তার সাহসিকতার খবর কলকাতার খবরের কাগজ পর্যন্ত ছাপায়। এরপর অনেক জায়গা থেকে গ্রামের জন্য সাহায্য আসতে থাকে। বন্যা হওয়ায় খাজনার ব্যপার নিয়েও মিটমাট হয়। তবুও গ্রামের মানুষের অর্থ ও খাদ্য সংকট যায় না। এরই মাঝে অনিরুদ্ধ ফিরে আসে, যদিও পদ্ম তত দিনে হারিয়ে যায়। অনিরুদ্ধের সাহায্যে গ্রামের মানুষ কলে কাজ করতে থাকে। তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। গ্রামের মানুষদের সমস্যার সমাধান হতে থাকে। দেবুও সব কাজ সমাধা করে তীর্থে যায়। তীর্থ থেকে ফিরে সে এক নতুন শিবকালিপুর কে দেখে, যেখানে মানুষ নিজেদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ‌যদিও গল্পের শেষ এখানেই না। এরপর আবার গ্রামবাসীর আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে, অন্যায়ভাবে আবার মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হয়। এত কিছুর পর আর ক্লান্ত না হয়ে দেবু যেন তখন আবার জীবনের অর্থ খুজে পেতে থাকে, সকল কর্মশক্তি ফিরে আসে তার। গ্রামকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে কাজে নেমে পরে সে।
উপন্যাসের আর উল্লেখযোগ্য চরিত্র বৃদ্ধ ন্যায়রত্ন, তাঁর পৌত্র বিশ্বনাথ, রহম শেখ, তিনকড়ি, স্বর্ণ, জগন ডাক্তার, দুর্গা।
Profile Image for Bubun Saha.
193 reviews6 followers
February 4, 2025
পঞ্চগ্রাম
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
মিত্র ও ঘোষ
মম: ২৮০/-

গণদেবতা যেখানে শেষ হয়েছিল এক মর্মাহত সত্যি নিয়ে, বিলু-খোকন হারা দেবু পন্ডিতের কাঁধে দায় বর্তায় শিবকালীপুর, দেখুড়িয়া, মহাগ্রাম, কুসুমপুর, কঙ্কনা - পঞ্চগ্রামের। ছিরে এখন শ্রীহরি, মস্ত জমিদার। দেবু-শ্রীহরি এখানে প্রোটাগোনিস্ট-এন্টাগোনিস্ট।

ভালো-মন্দ মিশিয়ে চরিত্রগুলো সৃষ্টি করেছে, যা একদম বাস্তবিক চিত্র। পুরোপুরি ভালো বা খারাপ কেউ নয়। এই বইতে স্বদেশী আন্দোলনের কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। চাষের কাজ ছেড়ে শেষ পন্থা হিসেবে জীবিকার খোঁজে শহরে কলের কাজের খোঁজে বেরিয়ে পরে চাষীরা। দশের দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বইতে বইতে একসময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে দেবু, গল্পের শেষে সে স্বস্তি খুঁজে পায়।

পঞ্চগ্রামের পর এর পরবর্তী কোনো খন্ড আছে কিনা জানা নাই। যদি না থাকে, তাহলে আমার কাছে দেবু পন্ডিতের সমাপ্তি সুখের।
Profile Image for Sayeed Lincoln.
16 reviews3 followers
February 10, 2022
এক কথায় অসাধারণ । অনেকদিন পর এত সুন্দর উপন্যাস পড়লাম ।
Profile Image for Rohun.
120 reviews58 followers
April 16, 2024
শেষটা বেশ সুন্দর। কিছুটা বিষণ্ণ হলেও সুন্দর।
Profile Image for Momin আহমেদ .
112 reviews49 followers
June 5, 2021
প্রথম খণ্ড গণদেবতা পড়েছিলাম গত বছর। আজ পঞ্চগ্রাম শেষ করলাম। পঞ্চগ্রাম বইটা যে গণদেবতার দ্বিতীয় খণ্ড সেটা উল্লেখ থাকা খুব ই জরুরি। অনেকেই হয়তো গণদেবতা না পড়েই পঞ্চগ্রাম শুরু করে দিবে। গণদেবতা যেখানে শেষ হয় পঞ্চগ্রাম এর কাহিনী শুরু হয় ঠিক সেখান থেকেই। একই সব চরিত্র নিয়ে একই কাহিনী এগিয়ে চলে।
অবশ্য পুরো উপন্যাস টির নাম নাকি গণদেবতা ছিল। এর দুইটি অংশ ছিল চণ্ডীমণ্ডপ এবং পঞ্চগ্রাম। কিন্তু কালের বিবর্তনে চণ্ডীমণ্ডপ অংশ টুকুই গণদেবতা নামে পরিচিতি পেয়েছে।

বই এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। তারাশঙ্কর আমার দেখা অন্যতম সেরা একজন লেখক। আমি যদিও খুব বেশি পড়িনি। এ পর্যন্ত যা পড়েছি তারাশঙ্কর এর সব গুলো বই একই রকম ভাবে অভিভূত করেছে। একজন লেখকের এমন ধারাবাহিকতা অবিশ্বাস্য।
Profile Image for Rudro Nahid.
59 reviews21 followers
March 12, 2022
ময়ূরাক্ষীর স্রোতের মতো জীবন চলিয়া যায়, কখনো ফিরে তাকায় না, কেউ কারো জন্য জীবন থেমে থাকে না। এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় বাস্তবতা আমাদের জীবনের। যা কিছু হোত মানুষ বাঁচতে চায়। বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। জীবন এক অনবরত সংগ্রাম।

গণদেবতার সাথে যদি পঞ্চগ্রামের তুলনা করি তবে গণদেবতা অনেক এগিয়ে থাকবে। তবে পঞ্চগ্রামও নিজের জায়গায় বেশ ভালো।
Profile Image for Sumaîya Afrôze Puspîta.
220 reviews288 followers
August 16, 2023
যে হাহাকার এবং দুর্দশাগ্রস্ত জনজীবন নিয়ে 'গণদেবতা' শেষ হয়েছিল, পঞ্চগ্ৰামে যেন সেখান থেকেই উত্থান ঘটে পুনরায়। এগিয়ে যাওয়ার জোয়ারে মানুষ গা ভাসিয়ে দেয়।

তবে এর মধ্যেও বিপত্তি কম ঘটে না– নিষ্ঠুর শাসক এবং রূঢ় প্রকৃতি, উভয়েই এই মানুষগুলোর পথে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়। এর মাঝে আবার উপস্থিত হয় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা। তারা একজনের বিরুদ্ধে অন্যজন অস্ত্র‌ও ধরে, আবার বিপদে এগিয়েও আসে। নতুন স্বপ্ন দেখে ভাত আর অভাবের কাছে বারবার পরাজিত হয়েও যেন কথাগুলোকে সত্য করতেই–
“… মানুষ চার যুগ তপস্যা করছে—এই নতুন যুগের জন্যে। এই আশার নিয়মেই রাত্রির পর দিন আসে, দুর্গা। দিনের পর মাস আসে, মাসে মাসে বছরের পর বছর আসে পার হয়। মানুষেরা সেই আশা নিয়ে বসে আছে। সে দিনকে আসতেই হবে।”
49 reviews
May 25, 2025
এক কথায়, অসাধারণ! গণদেবতার থেকে অনেক বেশি ভাল লেগেছে আমার কাছে। প্রতিটি চরিত্র অনবদ্য। ঋত্বিক ঘটকের কথা খুব একটা ভুল না।
Profile Image for Ayon.
5 reviews
June 21, 2025
গণদেবতা এর পরে থেকে এর কাহিনী শুরু হয়েছে । জরাজীর্ণ বাংলার মনে নতুনত্বের জাগরণের দিক আর বাঙালি জাতির মনের স্বভাব আড়ষ্টতা এই উপন্যাসের মুল দিক।
Profile Image for Abul Hossain Moon.
157 reviews1 follower
March 17, 2025
2.5 স্টার।
প্রথম খন্ড গণদেবতার ধারকাছ দিয়েও এই বই যায় নাহ। যতিন এন্ড অনিরুদ্ধ আউট, দেবূ ঘোষ ইন। যতী�� আর অনিরুদ্ধে কামার এই চরিত্র দুটা এই খন্ডে একদম নষ্ট হয়ে গেছে। পন্ডিত দেবূ ঘোষ আপনাকে আটকে ধরে রাখতে পারবে নাহ। তিনি অতিরিক্ত মহান মানব গোছের চরিত্র যা অতি বোরিং। কিছু কিছু জায়গায় অকারণে ইমোশন ঢেলেছেন তারশংকর। এবং শেষে এসে অল্প জায়গায় অনেক খানি সময়ের পরিবর্তন তুলে ধরতে চেয়েছেন। দূর্গা আর শ্রীহরি ঘোষের কোন সমাপ্তিই নাই।
কেমন খাপছাড়া ছিল এই উপন্যাসের শেষটা। নাহ জমে নায়
Profile Image for Kafil Recherche.
61 reviews2 followers
January 18, 2020
তারাশঙ্করকে কেন "কালান্তরের কথাকার" বলা হয় তা আরো দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করলেন। এত সুন্দরভাবে কালের পরিবর্তনকে তুলে ধরেছেন যা আমি অন্য কোন লেখকের লেখায় পায় নি৷ সত্যিই অসাধারণ!
Displaying 1 - 16 of 16 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.