Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
সমাদ্দারের চাবি গল্পটির শুরু হয় রাধারমণ সমাদ্দার নামের এক ধনী বৃদ্ধ প্রয়াত হওয়ার সূত্র ধরে। রাধারমণ বাবু পেশায় উকিল হলেও তাঁর ঝোঁক ছিল গান-বাজনার দিকে, তাই পয়সা ও পসার হয়ে গেলে তিনি ওকালতি ছেড়ে শুধু গান ও বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের দিকে মন দেন। সঙ্গীতের নেশা আর কৃপণস্বভাবের কারণে হাতেগোণা দুয়েকজন বাদে রাধারমণবাবুর সাথে কারোরই খুব একটা যোগাযোগ ছিল না, তাই তিনি মারা গেলে মণিমোহন সমাদ্দার নামের এক ভাইপোর হাতে তাঁর বিষয়-সম্পত্তির ভার এসে পড়ে। সদ্যপ্রয়াত কাকা যে যথেষ্ট ধনী ছিলেন, মণিমোহনবাবু তা জানতেন, কিন্তু কাকার ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বাদ্যযন্ত্র ছাড়া আর কিছু খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি ফেলুদার শরণাপন্ন হন। অনুরোধটি অভিনব, তাই ফেলুদা হারানো টাকার হেঁয়ালী সমাধানে রাজি হয়, কিন্ত তাঁর ধারণা ছিলনা যে প্রয়াত রাধারমণের বুদ্ধি ও বর্তমান চরিত্রদের কার্যকলাপ রহস্যটিকে কতটা প্যাঁচালো করে তুলবে।
হেঁয়ালী যারা ভালবাসেন, তাদের জন্যে গল্পটি থেকে একটি লাইন তুলে দেই – “যার নামে সুর থাকে, তার গলায়ও সুর থাকে।” পড়বার আমন্ত্রণ রইল। 🙂
ফেলুদার আরেকটি ছোট গল। রহস্য শুরু হয় রাধারমণ সমাদ্দারের মৃত্যুর পর। ধনবান কৃপণ বৃদ্ধ তার ধনসম্পত্তি কোথায় রেখেছেন তাই খুঁজে বের করার জন্য ফেলুদার সাহায্য চান রাধারমণের বাইপো মণিমোহন সমাদ্দার। রহস্যের গন্ধ পেয়ে ফেলুদাও লেগে যান কাজে। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলেন না, কারণ রাধারমণ বাবুর ঘরে কিছু বাদ্যযন্ত্র ছাড়া তেমন কিছুই নেই। আর সংকেত বলতে কেবল মৃত্যুর আগে শেষ কিছু অসংলগ্ন কথা। রহস্য প্রত্থম প্রথম সহজ মনে হলেও পরে গিয়ে বেশ জটিল হয়ে যায়। আর রহস্যভেদ করার প্রক্রিইয়াটাও অভিনব। একমাত্র ফেলুদার পক্ষেই এরকম ভাবে তদন্ত করা সম্ভব। টানা দুই গল্পে জটায়ু'র সরব উপস্থিতির পর এ তার গল্পে অনুপস্থিতিতে একটা শূণ্যতা অনুভব করেছি। তবে রহস্য-রোমাঞ্চের কোন কমতি নেই।
গল্পের রহস্য সামাদ্দারকে নিয়ে, রাধারমণ। পেশায় উকিল, কিন্তু শখ তার গানবাজনা আর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে। জীবিত অবস্থায় প্রচুর ধনসম্পদ কামিয়েছেন। কিন্তু কৃপন হওয়ার কারনে সেহারে খরচ তিনি করেননি, আবার ব্যাংকের উপর ভরশা না থাকায় টাকা পয়সা রাখতেনওনা ব্যাংকে। এই কারনেই সামাদ্দার বাবু মারা যাওয়ার পর শুরু হয় রহস্য, সারা বাড়ি খুজেও টাকার টও পাওয়া যায়নি। তার ভাইপো মনিমহন সামাদ্দার তাই দারস্ত হয় ফেলুদার কাছে। ক্লু বলতে শুরু সামাদ্দার বাবুর মৃত্যু অবস্থায় বলে যাওয়া একটা লাইন। সেখান থেকেই ফেলুদাকে উদ্ধার করতে হবে সব রহস্যের।
আমার পড়া সবচেয়ে ছোট ফেলুদার গল্প মনে হয়। ছোট হলেও গল্পের আকর্ষনটা কিন্তু কমেনি। বইটা পড়ার সময় তিনগোয়েন্দার একটা কাহিনীর কথা মনে পড়ে গেল। কেন বলছি যাদের একই সাথে দুইটা বই পড়া আছে তারা বুঝতে পারবেন। (বইটার নাম খুব সম্ভবত ঘড়ির গোলমাল, অনেক আগে পড়া বলে শুধু কাহিনী মনে আছে নাম মনে নেই)
সমাদ্দারের চাবি গল্পটি ইন্টারেস্টিং মূলত তার অনন্যতার কারণে।রাধারমণ সমাদ্দার পেশায় উকিল কিন্তু আগ্রহ গান বাজনা নিয়ে।সেখান থেকেই কাহিনীর সূত্রপাত।ফেলুদাও গান বাজনায় আনকোরা কিন্তু মগজাস্ত্রের খেল দেখিয়ে সে কেস ও সলভ করে ফেলেছেন মূলত ইউনিকনেস এখানটাতেই।ইম্প্রেসিভ!
ফেলুদা আর তোপসে আজ যশোর রোড দিয়ে চলেছে বামুনগাছি। কেন যাচ্ছে সেটা এবার বলা দরকার। কারণ ব্যাপারটা কিন্তু সহজ নয়। একটু ক্লু দিয়ে দেই,
"ভেঙে মোর ঘরের চাবি, নিয়ে যাবি কে আমারে? ও বন্ধু আমার।"
সময়টা ছিল রবিবার। পুজোর ছুটি সবে আরম্ভ হয়েছে। ফেলুদা আর তোপসে দু’জনে ওদের বৈঠকখানায় বসে আছে। তোপসে খবরের কাগজ খুলে সিনেমার পাতায় বিজ্ঞাপন দেখছে, আর ফেলুদা একটা সংখ্যাতত্ত্ব সম্বন্ধে বই খুব মনোযোগের সঙ্গে পড়ছে। এই সময়ে বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে এসে হাজির হল মণিমোহন সমাদ্দার। ভদ্রলোক নিজের পরিচয়-টরিচয় দিয়ে সোফায় বসে ফেলুদাকে বললেন, ‘আমি আপনাদের পাড়াতেই থাকি—লেক প্লেসে।’
ফেলুদা ‘ও’ বলে চুপ করে গেল। তোপসে ভদ্রলোককে আড়চোখে দেখছে। ভদ্রলোক একটু ইতস্তত করে গলা খাকরিয়ে আবার ফেলুদা কে বললেন, ‘আপনি হয়তো আমার কাকার নাম শুনে থাকবেন, রাধারমণ সমাদ্দার।’
‘এই সেদিন যিনি মারা গেলেন?’ ফেলুদা প্রশ্ন করল। ‘যাঁর খুব বাজনার শখ ছিল?’ ‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’ ফেলুদা বলল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, কাগজে পড়েছিলাম। অবিশ্যি মৃত্যু সংবাদটা পড়ার আগে তাঁর নাম শুনেছিলাম বললে মিথ্যে বলা হবে।’ মণিমোহন সমাদ্দার বললেন, ‘সেটা কিছুই আশ্চর্য না। উনি যখন গান বাজনা ছেড়েছেন তখন আপনি নেহাতই ছেলেমানুষ। প্রায় পনেরো বছর হল রিটায়ার করে বামুনগাছিতে বাড়ি করে সেখানেই চুপচাপ বসবাস করছিলেন। আঠারোই সেপ্টেম্বর সকালে হার্ট অ্যাটাক হয়। সেইদিন রাত্রে মা*রা যান।’
নিজের আগমনের কারণ হিসেবে মণিমোহনবাবু বলতে লাগলেন, ‘আমার কাকা ঠিক সাধারণ মানুষ ছিলেন না। ওনার পেশা ছিল ওকালতি, এবং তাতে রোজগারও করেছেন যথেষ্ট। বছর পঞ্চাশেক বয়সে সেটা ছেড়ে দিয়ে একেবারে পুরোপুরি গান-বাজনার দিকে চলে যান। শুধু গাইতেন না, সাত-আট রকম দেশি বিলিতি যন্ত্র বাজাতে পারতেন। সেতার বেহালা পিয়ানো হারমোনিয়াম বাঁশি তবলা এবং এ ছাড়াও আরো কয়েকটা। তার উপরে সংগ্রহের বাতিক ছিল। ওনার বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের একটা ছোটখাটো মিউজিয়াম করে ফেলেছিলেন।’
সমাদ্দার মশাই বলে চললেন, ‘এই সব গুণের পাশে কাকার একটা মস্ত দোষ ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত কৃপণ। এই যে শেষ বয়সে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে দূরে সরে গেলেন, তার একটা প্রধান কারণ হল তাঁর কৃপণতা। এখন আর বিশেষ কেউ নেই। দূর সম্পর্কের আত্মীয় কিছু এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে আছে। আমার কাকারা ছিলেন চার ভাই, দুই বোন। বোনেরা মা*রা গেছেন। ভাইয়ের মধ্যে কাকাকে নিয়ে তিনজন মা*রা গেছেন, আর একজন জীবিত কি মৃ*ত জানা নেই। তিনি প্রায় ত্রিশ বছর আগে সংসার ছেড়ে চলে যান।"
" রাধারমণ নিজে বিপত্নীক ছিলেন। একটি ছেলে ছিল, মুরলীধর, তিনিও প্রায় পঁচ��শ বছর হল মা*রা গেছেন। তার ছেলে ধরণীধর হল কাকার একমাত্র নাতি। ছেলেবেলায় সে কাকার খুবই প্রিয় ছিল। শেষটায় পড়াশুনোয় জলাঞ্জলি দিয়ে যখন ন���ম বদলে থিয়েটারে ঢুকল, তখন থেকে কাকা আর তার মুখ দেখেননি। এই হল আত্মীয়।’'
ফেলুদা জিজ্ঞেস করলো, 'ধরণীধর বেঁচে আছেন?’
‘হ্যাঁ। সে এখন থিয়েটার ছেড়ে যাত্রার দলে যোগ দিয়েছে। কাকার মৃ*ত্যুর পর তার খোঁজ করেছিলাম, কিন্তু সে কলকাতায় নেই। দলের সঙ্গে কোন অজ পাড়াগাঁয়ে টুরে বেরিয়েছে। ওর বেশ নামটাম হয়েছে। গান বাজনাতেও ট্যালেন্ট ছিল, যে কারণে কাকা ওকে ভালবাসতেন।’
মণিমোহনবাবুর সঙ্গে তার কাকার যে খুব একটা যোগাযোগ ছিল তা নয়। বড়জোর দু’মাসে একবার দেখা হত। ইদানীং আরো কম। মণিমোহন বাবুর একটা ছাপাখানা আছে ভবানীপুরে, ইউরেকা প্রেস, তাতে এই গত ক’মাস লোড শেডিং নিয়ে খুব ভুগতে হচ্ছে। ওনার কাকার হার্ট অ্যাটাকটা হওয়াতে ওনার প্রতিবেশী অবনীবাবু ওনাকে টেলিফোন করে খবর দেন, উনি তৎক্ষণাৎ চিন্তামণি বোসকে নিয়ে চলে যান। যখন পৌঁছান তখন জ্ঞান ছিল না। মা*রা যাবার ঠিক আগে জ্ঞান হয়। ওনাকে দেখে মনে হল চিনলেন। দু’একটা ভাঙা ভাঙা কথাও বললেন—ব্যস—তারপরেই শেষ। প্রথমে বললেন—“আমার…নামে…”। তারপর কিছুক্ষণ ঠোঁট নড়ছে, কথা নেই। শেষে অনেক কষ্টে দু’বার বললেন—“চাবি…চাবি…”। ব্যস।’
এখন মণিমোহন সমাদ্দার ফেলুদাকে অনুরোধ করলেন এই চাবি রহস্যের সমাধান করে দিতে। তার কাকা ঠিক কোন চাবির কথা বলেছেন এবং সেটা কী তার টাকাপয়সার সন্ধান দিবে এটা নিয়েও মণিমোহন বাবুর চিন্তা। ফেলুদার হাতে চলে এলো এভাবেই নতুন কেস "সমাদ্দারের চাবি" এবং গন্তব্যস্থল সেই বামুনগাছি।
🌽পাঠ প্রতিক্রিয়া 🌽
সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা নিয়ে আসলে নতুন কিছু বলার অবকাশ নেই। ফেলুদা সবসময়ই পছন্দের। সত্যজিৎ রায়ের লেখনীর তুলনায় অবশ্য সমাদ্দারের চাবি বেশ সাদামাটা ইতি টেনেছেন। তবে ছোট পরিসরে তিনি কিন্তু দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন ঘটনায়। ছোট ছোট সুক্ষ্ম জায়গাগুলি তিনি বাদ রাখেননি। এতে করে আসলে গল্পে আগ্ৰহ বাড়ে। যদি বর্ণনায় বিস্তারিত থাকে তাহলে গোটা ঘটনাটাকেও কল্পনায় আঁকা হয়ে যায়। তাই সবমিলিয়ে বেশ।
হুট করেই পড়ে ফেলা যায় এক বসায়। এবং সমাদ্দারের চাবি বেশ ছোট আকারের গল্প। এখানে তাই চরিত্রের আধিক্য নেই বেশি। তবে স্বল্প চরিত্রে টুইস্ট দিতে চেষ্টা করেছেন লেখক। রহস্য অবশ্য শেষটায় মন ভরেনি। এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেলে আর কী ফেলুদার বইয়ে মজা পাওয়া যায় না। তাই সমাদ্দারের চাবি কে মোটামুটি মানের রাখছি।
ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি সবসময় উপভোগ করি এখানেও দারুন হয়েছে। তবে শেষটা বড্ড যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। এখানে শুরুতে যেটা অনুধাবন করা হয় পরবর্তীতে গিয়ে ঘটনা আসলেই ঘুরে যায়। তবে এখানেও আফসোস মোক্ষম ধাঁচের একটা অপরাধী পেলাম না।
🌽বইয়ের নামঃ "সমাদ্দারের চাবি" 🌽লেখকঃ সত্যজিৎ রায় 🌽ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.১/৫
'আমেরিকার দুজন বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট খুন হয়েছিল জানিস তো?' 'লিঙ্কন আর কেনেডি?' 'হ্যাঁ। আচ্ছা এই দুজনের নামে ক'টা করে অক্ষর?' 'L-I-N-C-O-L-N-সাত। K-E-N-N-E-D-Y-সাত।' 'বেশ। এখন শোন- লিঙ্কন প্রেসিডেন্ট হন ১৮৬০ সালে, আর কেনেডি হন ১৯৬০ সালে- ঠিক একশো বছর পরে। দুজনেই খুন হয় শুক্রবার। খুনের সময় দুজনেরই স্ত্রী পাশে ছিল। লিঙ্কন খুন হন থিয়েটারে; সে থিয়েটারের নাম ছিল ফোর্ড। কেনেডি খুন হন মোটর গাড়িতে। সেটা ফোর্ড কোম্পানির তৈরি গাড়ি। গাড়িটার নাম ছিল লিঙ্কন।....'
This entire review has been hidden because of spoilers.
মনমোহন বাবু হচ্ছেন এই গল্পের মূল চরিত্র। তিনি ফেলুদাকে ডেকে পাঠান কারণ তিনি একটা ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপর ফেলুদা কিভাবে সেই রহস্যটা উদঘাটন করে দেবেন এবং তাতে তাঁর কি লাভ হবে সেটা কিভাবে ফেলুদা ধরে ফেলে সেটাই হলো এই গল্পের মূল বিষয়।
এই পর্ব বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল । উকিল রাধারমণ সমাদ্দার গানবাজনা বেশ ভালোবাসতেন তাই বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করার বাতিকও ছিল। শখের সমাদর করলেও সমাদ্দর সাহেব কৃপণ ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তি তার ভাইপো পান। কিন্তু সে সমাদ্দার সাহেবের ঘরে টাকা পয়সার সন্ধান না পেয়ে ফেলুদার শরণাপন্ন হন। ফেলুদার কাছে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়।
এই বাদ্যযন্ত্র থেকেই ফেলুদা রহস্যের সমাধান করেন :)
যার নামে সুর থাকে তার গলাতেও সুর থাকে। মনীমোহন বাবুর কাকা রাধারমণ সমাদ্দার ছিলেন বিখ্যাত গায়ক এবং মিউজিসিয়ান এবং কিপটা। কিনত মৃত্যর পর তার টাকা পয়সার কোন হদিস করা যাচ্ছিল না। যা হোক হদিস ছিল তার জার্মান বাদ্য যন্ত্রের চাবি তে। “ফেলুদা বলল, ‘চাবি যে বাজনার চাবি সেটা বুঝলেও মণিবাবু বোধহয় রাধারমণের বাকি সংকেতটা ধরতে পারেনি। কারণ অতটা বুদ্ধি ওঁর নেই। এই বাকি সংকেতটা আমি বুঝতে পারি আজ বিকেলে, আর সেটার জন্যেও দায়ী শ্রীমান সাধন।’ এবার আমরা সকলে অবাক হয়ে সাধনের দিকে চাইলাম। সেও দেখি বড় বড় চোখ করে ফেলুদার দিকে দেখছে। ফেলুদা বলল, ‘তোমার দাদু সুরের বিষয় কী বলেছিলেন সেটা আরেকবার বলে দাও তো সাধন। ‘ সাধন প্রায় ফিস্ ফিস্ করে বলল, ‘যার নামে সুর থাকে, তার গলাতেও সুর থাকে।’ ফেলুদা বলল, ‘ভেরি গুড়। এবার রাধারমণবাবুর আশ্চর্য বুদ্ধির দিকটা ক্রমে বোঝা যাবে। যার নামে সুর থাকে। বেশ। সাধনের নামটাই ধরা যাক। সাধন সেন। এবার অ-কার এ-কার বাদ দিয়ে কী দাঁড়ায় দেখা যাক স, ধ, ন, স, ন। অথাৎ গানের সুরের ভাষায় সাধা নিসা নি। এই আশ্চর্য ব্যাপারটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই যেন একটা নতুন দিক খুলে গেল।“আমার নামে…চাবি।” রাধারমণবাবু কি এখানে নিজের নামের কথাটাই বোঝাতে চাচ্ছেন? রাধারমণ সমাদ্দার রে ধা রে মানি স মা দা দা রে! কী সহজ, অথচ কী ক্লেভার, কী চতুর! ধরণীধরও কিন্তু গাইতে পারত, আর তার নামেও দেখছি সুর – ধা রে ণি ধা রে সা মা দা দা রে !”
সমাদারের চাবি is one of the shorter Feluda stories, and while it has Ray’s signature intelligence and charm, it didn’t quite leave a strong impact on me. The mystery felt a bit too simple and ended rather quickly without much buildup or tension. Feluda’s reasoning, as always, is sharp, but the plot didn’t have the depth or excitement that I usually expect from the series. It felt more like a brief puzzle than a full-fledged detective case. I listened to the audiobook version, and the narration was pleasant — it helped make the short story more enjoyable despite its simplicity. Overall, I’d give it 2.5 stars — not bad, but not particularly memorable either. It’s a light, quick listen for Feluda fans who want something short and easy.
মণিমোহন বাবু ফেলুদার কাছে এসেছেন একটি চাবি খুঁজে দেয়ার জন্য। এই চাবি তার কাকার। তার কাকার অঢেল সম্পত্তি কিন্তু সেই সম্পত্তি গেলো কোথায়? মণিমোহনবাবুর ধারণা তার কাকার বাসায় ঘরে একটি সিন্দুক আছে সেই সিন্দুকের ভিতরই অনেক টাকা। কিন্তু চাবি পাচ্ছেন না তাই ফেলুদার কাছে আসা। ফেলুদা মণিমোহন বাবুর কাকার বাসায় গিয়ে সেই সিন্দুকের স্থানটা দেখলো। সেখানে একটি বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। মেলোকর্ড নাম। মণিমোহন বাবুর কাকার আবার বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করার বাতিক ছিলো। ফেলুদা যতক্ষণে বের করে ফেলেছে যে মেলোকার্ডটার ভিতরই চাবিটা, ততক্ষণে মণিমোহন বাবুও জেনে ফেলেছে। সে আসলে চাবিটা বের করে পগার পার হতে চেয়েছিলো। কিন্তু ফেলুদার বুদ্ধি তাকে ঘায়েল করে।
ভ্রমণ বা অফিস শেষ করে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দেহ ও মন নিয়ে বাসায় এসে যখন দেখেন চাবি হারিয়ে গেছে তখন মনে হয় সে যেন এক বিরাটকায় রহস্য।
ফেলুদার আর তোপসের এই অ্যাডভেঞ্চার চাবিকে ঘিরেই। ফেলুদার অসাধারণ সব রহস্য উদঘাটনের মধ্যে এইটে অনন্যসাধারণ।
বরাবরের মতোই রয়েছে নানান সব মজাদার তথ্য। সংগীত ও গণিতের সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে অনেককিছু জানতে পারলাম। যার ফলে সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করার আগ্রহ আরোও প্রখর হয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত চাবি রহস্যের ধাঁধা সমাধান করাটা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর।
গল্পের শেষে ফেলুদা কি সেই রহস্যময় চাবি খুঁজে পেয়েছিল ? নাকি কোনো চাবির অস্তিত্বও ছিল না?
সেটি জানতে তো বইটা পড়তেই হয়।😊
This entire review has been hidden because of spoilers.
Read the English version 'The Key'. It was more of a complex puzzle than a mystery.
First story where no out of state traveling is involved. It's about finding a treasure of an old recluse man from the words he spoke when he was dying, it also involves a relative of the old man who wants to have the entire treasure for himself. Read it to know how the puzzle is solved by Feluda and who the relative is..
অডিওবুক শুনেছি আমি আর ছোট। মিরচি বাংলায় ফেলুদার কণ্ঠে সব্যসাচী কে শুনতে বেশ ভাল লাগে। মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট সংগ্রহকারক সমাদ্দারের বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে কেস এগিয়ে যায়।
বরাবরের মতই ভাল লাগার একটি অডিওবুক, তবে এক জিনিস খেয়াল করলাম, অডিওবুক শুনলে কিছুদিন পর ভুলে যাই কিছু কাহিনী। :( তবে বেশ মনোযোগ দিয়েই শোনা হয়, ঘুমুতে যাওয়ার আগে ছোটর সাথে এই অভ্যাস টা নতুন। ছোটর এতে আগ্রহ দেখে ভাল লাগে, ও-ই জোর করে প্রতিরাতেই শুনতে। এখনো অন্য একটা শুনে ঘুমাতে যাচ্ছি :D
সত্যজিৎ রায়ের কোন গল্পই কোনদিন নিরাশ করে নি, এবারেও মন ভরে গেল। এই কাহিনীটি পড়ার সময় কেন জানি মনে হচ্ছিল লেখক টিনটিনের কমিক্স পড়ে লিখেছেন। বিশেষ করে তোপসে যখন সেই স্বপ্নটি দেখছে যেখানে বিশাল কি-হোলে বিরাট চাবি ঢুকিয়ে রাধারমনের ভাগ্নে আর ফেলুদা তালা খোলার চেষ্টা করছে আর পাশে গান-পাগল সুরজিৎ দাশগুপ্ত এইট-টু-নাইন-ওয়ান বলতে বলতে লাফাচ্ছে, সে দৃশ্যটি যেন হার্জের কমিক্সে বহুবার রয়েছে। এবার লক্ষ্য কৈলাশে কেলেঙ্কারি।।
ফেলুদার এই গল্পে ভ্রমণ না থাকলেও রহস্যটা খুব চমকপ্রদ। ভীষণই কঠিন এই গল্পের ধাঁধা। আর তাই বেশ লেগে থেকেই এর সমাধান করবে ফেলুদা।
সত্যজিৎ রায়ের প্রতিটা গল্পে কিছু না কিছু নতুন জিনিস জানতে পারি। এই গল্পে সংখ্যাতত্ত্ব ও বাদ্যযন্ত্রের বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য জানলাম। গল্পের চারপাশে রাখা পাজলের টুকরোগুলো নিয়ে লেখক শেষে জুড়ে দিয়েছেন যাদুকরের মতো!
অবশেষে পড়লাম। ফেলুদাকে নিয়ে লেখা এটাই আমার পড়া প্রথম বই। মোটামুটি অনেকটা দিন ধরেই আমার কাছে ফেলুদা সমগ্র ১ ও ২ আছে। কিন্তু পড়া হয়ে উঠছিল না। আর ছোটবেলায় ও পড়িনি। আজ এই গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম। হঠাৎ করে আজ মনে হলো সত্যজিত রায়ের লেখা কিছু পড়বো। আর পড়ে ফেললাম।