এই কাহিনীর সঙ্গে বাস্তব জীবনের কোন মিল নেই। নীল অপরাজিতার মূল চরিত্রে আছেন-একজন ঐপন্যাসিক। পাঠক-পাঠিকারা যদি আমাকেই সেই ঔপন্যাসিক ভেবে বসেন তাহলে আমার জন্যে খুব অস্বস্তির ব্যাপার হবে। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল। ঢা.বি।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
হয়ত আমি উপন্যাসটা সেভাবে বুঝি নাই আর না হয় উপন্যাসটা হুমায়ূন আহমেদের পাখি আমার একলা পাখি কিংবা দাঁড়কাকের সংসার... মাঝেমাঝে তব দেখা পাই এর মতন। একজন বয়স্ক মানুষের সাথে, অল্প বয়সী একটা মেয়ের সক্ষ্যতা গড়ে উঠা এবং তা নেক্সট লেভেলে চলে যাওয়া। আমার বিদঘুটে লাগে জিনিসটা। এই উপন্যাসেও গল্পের টার্ন অনেকটা তেমনই। যদিও তার স্ত্রী এবং বাচ্চার কথা বারবার বলা হয়েছে কিন্তু তবুও অল্প বয়সী একটি মেয়ে, তার যেমন বয়স্কের প্রতি বাড়তি সেবা এবং বয়স্কের ও প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কম বয়সী এক মেয়ের সাথে ফাউ আলোচনা উভয় আমার কাছে উদ্ভট লাগছে।
অথচ উপন্যাসের শুরুটা ছিল অসম্ভব সুন্দর। মনে মনে ভেবেছিলাম হয়ত গ্রামীণ সহজ সরল মানুষের পরেই কাহিনিরা বিরাজমান থাকবে কিন্তু... যাইহোক! ভাল্লাগে নাই!
এই উপন্যাস টুকু শেষ করতে পারলাম না। বস্তুত হুমায়ূন আহমেদ যে কারণে হুমায়ূন আহমেদ তা এই উপন্যাসে নেই। উপড়ি পাওনা হিসেবে শওকত সাহেব আর ইন্টার পড়ুয়া পুস্পের ক্রিঞ্জি প্রেম বড়ই বিরক্তিকর ঠেকলো!
'it was ok' kind of rating because it could've been so much more if it wasn't this plain boring.
“- আপনি লিখেছেন মানুষ হলো আয়নার মতো। ভালবাসার আলো সেই আয়নায় পড়লে ফিরে আসবে। মানুষ আয়নার মতো না, আমার চেয়ে ভালো সেটা আপনি জানেন। একটা ভুল কথা লিখেছেন কিন্তু আবার সুন্দর করে লিখেছেন যেন পড়লে সত্যি মনে হয়। মন অসম্ভব ভালো হয়ে যায়। - মন ভালো হওয়াকে তুমি তুচ্ছ মনে করছ কেন? - ভুল কথা বলে মন ভালো করলে সেটাকে তুচ্ছ করা উচিত না?”
“আমি পৃথিবীকে যেমন দেখি যেমন ভাবি তেমন করেই লিখি। সত্যিকার পৃথিবী কেমন তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। সত্যিকার ছবি হচ্ছে ফটোগ্রাফি। সাহিত্য ফটোগ্রাফি নয়, সাহিত্য তৈলচিত্র।“
these are the types of lines that keep me going back to Humayun Ahmed again and again, and, again.
কিছু কিছু বই থাকে যাদের শেষটা সুন্দর।নীল অপরাজিতাও এই ধাচেরই বই।
নীল অপরাজিতা গল্পের মূল চরিত্র একজন লেখককে কেন্দ্র করে যিনি নিজের লেখায় প্রকৃতির ছোয়া আনার জন্য অজপাড়াগাঁয় কিছুদিন ভ্রমণের জন্য যান।বইটিতে গ্রামের ঝড়,বৃষ্টি, নদী সবকিছুরি খুব সুন্দর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।এমনকি গ্রামে বসে লেখকের নিজের স্ত্রী রানুর কাছে লিখা চিঠি থেকে বোঝা যায় লেখক তার স্ত্রীকে বেশ ভালোবাসেন।কিন্তু গ্রামে লেখকের আশ্রয়দাতা করিম সাহেবের মেয়ে পুষ্পর জন্য কেমন যেনো একটা অদৃশ্য আকর্ষণ বোধ করতে থাকেন লেখক।
এই বইয়ের শেষদিকে লেখক তার প্রেমের থিওরি সম্পর্কে বলেন এবং এই থিওরিতেই লুকিয়ে আছে লেখকের পুষ্পের প্রতি আকর্ষণের কারণ। বইটির সবথেকে সুন্দর লাইনটি হলো -প্রকৃতি মাঝে মাঝে আসল ডিজাইনের দুটি মানুষকে একত্র করে আবার দূরে সরিয়ে দেয়।কারণ তারা এক হলে ঘটবে এবসিলিউট বিউটি। প্রকৃতি এতো এবসিলিউট বিউটি সহ্য করে না।
ফ্ল্যাপের কথা উপেক্ষা করেই বইটি পড়লাম, কিছুটা অটোবায়োগ্রাফি হিসেবেই পড়লাম কারণ লেখক ও প্রধান চরিত্রর মিল খুবই বেশি, শেষের চিঠিটা পড়লেই বুঝা যায় এটি হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিনকেই লিখছিলেন
বইয়ের নামঃ নীল অপরাজিতা লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ প্রকাশনাঃ মাওলা ব্রাদার্স প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৬৯ গায়ের মূল্যঃ ১৬০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.০০/৫.০০
জীবন মানে অজস্র অনুভূতির এক সমন্বয়...... জীবন মানে অজস্র গল্পের সমাহার, সাথে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা। এসব মানুষ সবসময় পূর্বপরিচিত হয়না। কখনো কখনো একদম অপরিচিত মানুষ-ও কালের পরিক্রমায় অতি আপনজন হয়ে ওঠে। আগে কখনোই যার মুখ দর্শন-ও করা হয়নি, এমন মানুষেরাও হয়ে ওঠে খুব কাছের লোক। কখনো কখনো এসব মানুষেরা যত দ্রুত জীবনে আসে, তত দ্রুতই হারিয়ে যায়। কিন্তু এসব স্বল্প পরিচিতির রেশ অনেক দিন রয়ে যায় জীবনে।
এমনই এক গল্প নিয়ে হালের জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচনা করেছেন "নীল অপরাজিতা" উপন্যাসটি। স্বল্পপরিচিত মানুষের হঠাৎ জীবনে আগমন ও হঠাৎ-ই মিলিয়ে যাবার গল্প এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়। এর পাশাপাশি সৃজনশীল মানুষের প্রচলিত নীতিবিরুদ্ধ জীবনযাপনের গল্পও উঠে এসেছে এ উপন্যাসের প্রতিটি পরতে পরতে।
গল্পের সূচনা হয় শওকত সাহেব নামক একজন সাহিত্যিকের অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়ে। শহর জীবন থেকে সাময়িক মুক্তিলাভের আশায় তিনি নদীর তীরবর্তী এক নির্জন গাঁয়ের পানে পা বাড়ান। কিন্তু সেখানে গিয়েই যত রাজ্যের বিপত্তি। আজীবন শহুরে জীবনে অভ্যস্ত সাহিত্যিক গ্রাম্য জীবনে নিজেকে ঠিক মানিয়ে নিতে পারেন না। ঘটতে থাকে নানা রকমের বিপদ। সময়ের প্রয়োজনে পরিচয় হয় নানা মানুষের সাথে। এভাবেই এগিয়ে ��ায় উপন্যাসের গল্প! এর মধ্যে এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা তিনি কখনো কল্পনা পর্যন্ত করেননি। কী সেসব ঘটনা? জানতে হলে পড়তে হবে উপন্যাসটি।
এবার ��সি চরিত্র বিশ্লেষণ সংক্রান্ত আলোচনা। প্রসঙ্গত, হুমায়ূন আহমেদের লেখা এমন ধরনের হয়ে থাকে যে তাতে গম্ভীর কোনো বিষয় থাকে না। তাই অনেকের অভিযোগ থাকে, তার লেখার চরিত্রের বিশ্লেষণ করবার মত তেমন কিছুই থাকে না। এ ব্যাপারটা মাথায় রেখেই চরিত্র বিশ্লেষণ অংশ শুরু করছি। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রে রয়েছেন শওকত সাহেব নামক এক সাহিত্যিক। লেখালেখির নতুন উদ্দীপনা লাভের জন্য চিরচেনা পরিবেশ ছেড়ে গ্রামে আসেন। পরিচিত হন অনেক অচেনা, অজানা মানুষের সঙ্গে। একেকজন একেক কিসিমের মানুষ। কারো সঙ্গে কারো যেন মিল নেই কোথাও! নতুন পরিবেশে এসে নানা রকম সংকটের সম্মুখীন হতে হয়। এ চরিত্রে ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের জীবনের ছাপ পাওয়া যায়, যদিওবা বইটির ভূমিকাতে তিনি এটাকে তার "অস্বস্তির কারণ" বলে উল্লেখ করেছেন। এভাবে গল্প এগিয়ে চলে এক চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। কী সেই পরিণতি? প্রিয় পাঠক! এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে চোখ রাখতে হবে উপন্যাসের পাতায়।
উক্ত সাহিত্যিক ছাড়াও আরেকজনকে প্রধানতম চরিত্রে রাখা হয়েছে। তার নাম পুষ্প। গ্রামের স্কুল মাস্টারের মেয়ে সে। সাহিত্যিক গ্রামে বেড়াতে গেলে তাদের বাড়িতেই আশ্রয় নেন তিনি। সাহিত্যিকের সার্বিক দেখভালের দায়িত্ব তার উপরে অর্পিত হলে তার সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পায় মায়া। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক অঘটন। নানা টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে চলে এক সমাপ্তির দিকে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রাখা হয়েছে মোফাজ্জ্বল করিম নামে এক ব্যক্তিকে। পেশায় গ্রাম্য হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ লোকটা খুব বাকপটু স্বভাবের। অনর্গল কথা বলতে পারবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে তার। তার এ স্বভাব নির্জনতাপ্রিয় লেখকের অত্যধিক বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবুও তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই এ নিয়ে। সবকিছু জেনে-বুঝেও চুপ করে থাকেন তিনি। মুখে যেন কোনো রা নেই।
উপরোক্ত চরিত্রত্রয় ছাড়াও আরো কিছু চরিত্র ঔপন্যাসিক তার উপন্যাসের গল্পের স্বার্থে সৃষ্টি করেছেন। এগুলোর মধ্যে বাবু, বজলুল হায়দার, ওসি সাহেব প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। এদের পাশাপাশি লেখকের স্ত্রী ও তার কন্যা স্বাতী উপন্যাসের গল্পে সক্রিয় কোনো চরিত্র না হলেও তারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক স্থান দখল করে আছে এ উপন্যাসে। এসব চরিত্রের সংমিশ্রণ গল্পটিকে আলাদা এক ব্যঞ্জনা দান করেছে। সৃষ্টি করেছে নতুন কোনো পথের, যে পথ ধরে ক্রমশ এগিয়ে গেছে উপন্যাসের প্রবাহমান স্রোতধারা।
উপরোক্ত আলোচনার পরে যে অংশের আলোচনা আসে, তা হচ্ছে ভাষাগত বিশ্লেষণ। ঔপন্যাসিক তার রচিত অন্যান্য বইয়ের মত ভাষারীতির একই ধারা এ বইটাতেও বজায় রেখেছেন। বরাবরের মত সহজ শাব্দিক প্রকাশে তিনি নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি, কীভাবে গল্পে জটিলতা সৃষ্টি করে পাঠককে পরবর্তী অংশ পাঠে অধিকতর মনোযোগী করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে তিনি বরাবর-ই সিদ্ধহস্ত বলে প্রমাণিত। এ বইটাতেও তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
এসব তো গেল ভালো দিককার কথা। এবার মন্দ দিক নিয়েও কিছু কথা হোক। নইলে তো এ লেখাটাকে পক্ষপাতদুষ্ট রিভিউ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রথমত, ব্যক্তিগতভাবে উপন্যাসের গল্পে শুধু পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখবার জন্য অপ্রয়োজনে জটিলতা বাড়ানোর ব্যাপারটা তেমন ভালো লাগেনি আমার কাছে। দ্বিতীয়ত, গল্পের শেষ পরিণতি বেশ আকর্ষণীয় হলেও মাঝে কিছু ব্যাপার জগাখিচুড়ি টাইপের মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, এসব দিকে আরো কিছু মনোযোগ দিলে হয়ত শ্রেয় হত। তাতে গল্পের কিছু দিক আরেকটু পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারত হয়ত। ব্যক্তিগতভাবে গম্ভীর ধরনের লেখা পছন্দ হওয়ায় হয়ত এমন লেখা খুব একটা ভালো লাগেনি আমার। তাই বলে সকলের যে লাগবে না, তা কিন্তু নয়।
পরিশেষে বলতে চাই, উপরোক্ত বিষয়গুলো বাদ দিলে তেমন খারাপ ছিল না বইটি। মানব জীবনের নানা দর্শন এতে ফুটে উঠেছে, যা যেকোনো মানুষের উপকারে আসবে বলে আমার ধারণা। এছাড়া, পাঠকদের মধ্যে যারা বিশেষত উঠতি সাহিত্যিক রয়েছেন, তারা এ বইটি পড়লে বহুলাংশে উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস। সবমিলিয়ে, বইটি পড়ে দেখতে পারেন আপনিও। এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, কোনো পণ্ডশ্রম হবে না।
সবশেষে, আন্তরিক ধন্যবাদ ও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই তাকে, যিনি এ বইটি আমাকে গিফট করেছেন।
নীল অপরাজিতা উপন্যাসটি কেন লিখলেন হুমায়ুন আহমেদ? শুধুমাত্র লিখতে হবে এজন্য? আমার মনে হয়েছে, এমনটাই। জানিনা হয়তো লেখকের আরো নিগূঢ় কোন উদ্দেশ্য ছিল। একজন লেখকের স্বেচ্ছা নির্বাসন শুধু লেখালেখির স্বার্থে? এটা আমার কাছে নতুন মনে হয়নি। হুমায়ুন আহমেদের এরকম আরো সৃজনশীল কাজ রয়েছে। লেখকের একাধিক অসাধারণ নাটক রয়েছে ঠিক এমনি এক লেখকের চরিত্র নিয়ে। আমি দু’টি নাটক দেখেছি, যদিও নামগুলো ভুলে গিয়েছি। আসি উপন্যাসে। হুমায়ুন আহমেদ গ্রামের এক স্কুল শিক্ষক মোফাজ্জল করিমের মেয়ে পুষ্পকে একজন অতীব মেধাবী হিসেবে তুলে ধরেছেন। যে কিনা খুব পড়াশোনা না জেনেও শহর থেকে গ্রামে নর্িাসনে যাওয়া লেখকের প্রায় সবকিছুই বুঝে ফেলেন। হুমায়ুন আহমেদ কিন্তু পুষ্পকে কোন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে তুলে ধরেননি, তুলে ধরেছেন একজন মেধাবী, সাহিত্য, জ্ঞান জগত সম্পর্কে জানাশোনা লোক হিসেবে। যার সঙ্গে লেখক এক ধরনের হৃদয়ের টান অনুভব করেছেন পুরো উপন্যাসে। ঠিক পুষ্পও লেখকের প্রতি এক ধরনের দূর্বলতা বোধ করতেন। কিন্তু লেখক হয়তো তার বয়স ও ব্যক্তিত্বের কারণেই পুষ্পর্কে তেমন নিজের বলয়ে স্থান দিতে চাইতেন না। প্রতিশোধ স্বরুপ পুষ্প বাবু নামে তার এক দূর সম্পর্কের ভাইকে নিয়ে আসেন এবং লেখকের কাছ থেকে ইচ্ছাকৃত দূরে থাকেন। যা লেখক ধরে ফেলেন। উপন্যাসের একবাবে শেষে পুষ্প তা স্বীকার করে। একজন মানুষের একাংশ পুরুষের কাছে থাকলেও অপর অংশ থাকে তার প্রিয় কোন নারী বা বিপরীতে অবস্থানকারী লোকের কাছে। উপন্যাসে লেখকের নীল অপরাজিতা পাথরের অথবা প্রেমের ডিজাইনের অপর অংশ হয়তো পুষ্প’র কাছে রয়েছে। কারণ, উপন্যাসের গতিধারায় বুঝা যায়, লেখকের স্ত্রীর সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক খুব একটা নেই বা কখনো ছিলনা। উপন্যাসটির গল্পের ধারা তারপরেও আমাকে ধরে রেখেছিল, মনে হয় এটা হুমায়ুন আহমেদের লেখা বলেই। তাঁর অসাধারন লেখন পদ্ধতির কারণে। ওই যে যেকোন সাধারণ বিষয়কেও অসাধারণভাবে তুলে ধরা। মাঝে মাঝে রসিকতা, কোথাও অতি সামান্য বিষয়ে সিরিয়াস লেখনি, অদ্ভূত সব চরিত্র, এবং যেকোন বিষয়ে প্রাথমিক বিরক্তির পর আস্তে আস্তে বিয়টি ভালো লেগে যাওয়াসহ-হুমায়ুন আহমেদের লেখনির অনেক কিছুই ছিল এই উপন্যাসে। যেমন- স্কুল শিক্ষক মোফাজ্জল করিমের বাড়ি প্রথম ভালো লাগেনি, পরে লেগেছে। এমনকি স্কুল শিক্ষক মোফাজ্জল করিমকেও। আরেকটি বিষয় ছিল, একান্ত দেশী, বা আরো বললে গ্রামীণ বিষয়গুলো ফুটে ওঠে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসে, যেটা এখানেও ছিল। যেমন-আয়ুর্বেদী চিকিৎসার বই, এবং গ্রামের হোমিও চিকিৎসকের নির্ভূল জ্বরমাপা এবং নিখুত চিকিৎসা, স্থানীয় গায়কদের হাজির করার তোড়জোর। উপন্যাসে জ্ঞানের বা জ্ঞানীর কদরের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন লেখক। যেমন- এক জায়গায় বলছেন, বিখ্যাত মানুষেরা গ্রহের মতো। সাধারণ লোকেরা উপগ্রহের মতো তাদের ঘিরে থাকে। অপর স্থানে বলেছেন, সৃষ্টিশীল মানুষের ঈশ্বরের মতো, ঈশ্বর যেমন মন্দ কিছু করেন না, এরাও এমন। পরিশেষে বললো, নীল অপরাজিতা উপন্যাসটি আমার খুব ভালো লাগেনি। হুমায়ুন আহমেদের রচনা বলেই আমি গুরুত্ব দিয়েছি। গল্পের কারণে নয়।
এটা একটা ছেলে হওয়ার জন্য না কি জানি না। একজন পুরুষ যে বিবাহিত, সে নিজের স্ত্রী কন্যা থাকার পরেও অন্��� কোনো মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট এটা ভাবতেই বেকার লাগে। যদিও এখানে তাদের ভালোলাগা পরিনতি পায়নি, তবু মনে একটা ঠিক খুঁতখুঁতে ভাব থেকে যায়। হুঁ, যদি এটা তাদের বিবাহের পূর্বের প্রম হতো যেটা পরে হারিয়ে যায়। আর সময়ের ঘেরাটোপে তারা আবার এক অপরের সঙ্গ পায় তাহলে তবুও মানা যায়। কিংবা 'নক্ষত্রের রাত ' উপন্যাসের মতো যদি হয়। যেখানে বিবাহের পর তাদের ঠিক করে বন্ধন তৈরি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি দূর করে রাখে আর সেখান থেকেই অন্য কাউকে ভালো লাগা শুরু হয় সেটাও মানা যায়। কিন্তু এই উপন্যাসের যা ধরন সেটা পড়তেই বিরক্ত লাগে। আর যে 'লেখক' চরিত্রটা এখানে রয়েছে সেটাকেও খুব একটা ভালো লাগেনি। মনে হয়েছে যে লেখক সে মানুষকে এতো ছোটো করে দেখে?
হুমায়ূনের আরেকখানা ছোট্ট সৃষ্টি। বইটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চাইলে হয়ত ক'টা তারা খসে যেতে পারে। কী পড়লাম, কেন পড়লাম, লেখকই বা লিখলেন কেন অতসব হিসেব সরিয়ে "ময়ূরাক্ষী"-র পর এবার "সোহাগী" নদী আবিষ্কারের উচ্ছ্বাসটুকু নাহয় আজলা ভরে তুলে নিলাম।
বইটায় কিছু ব্যাপারে অনেকখানি স্পষ্টতা আছে, কিছু ধোঁয়াশা সৃষ্টির প্রচেষ্টাও আছে। শওকত সাহেবের খ্যাতির বিড়ম্বনার গোটাটাই লেখক নিপাট বিরক্তি অথচ তীব্র আগ্রহ নিয়ে বর্ণনা করেছেন। ঝড়বাদলার দিন, বজরার ঢিমে তালে নানা ভাবনার আনাগোনা, আপন অস্তিত্বের সেই একই ডিজাইনের অপর অংশটুকুর খোঁজে ছন্নছাড়া হয়ে পড়া এই সুতো ছড়ানো গোটা গল্পের সারাংশ একটাই- "প্রকৃতি এবস্যুলিউট বিউটি পছন্দ করে না...! "
এ বইয়ের নাম জানছিলাম আসিজ নজরুলের 'কয়েকজন হুমায়ূন আহমেদ' বই থেকে। ওখানে ৯০ এর দশকে শীলা আহমেদের একটা ছোট্ট সাক্ষাৎকার আছে যেখানে শীলা আহমেদকে তার বাবার লেখা কোন বইটা তার ভালো লাগে নাই প্রশ্ন করা হইলে এইটার নাম আসে। বইটা পড়ে ফেলেন একটু অবাক হবেন কারণ এই বইটার মূল কাহিনী তার বাবার পরবর্তী জীবনের সাথে মিলে যায় অনেকটা। তখন শীলার এ বইটা ভালো না লাগার কারণটা জানা নাই তবে ব্যাপারটা চরমমাত্রায় কাকতালীয়!
এই উপন্যাসের শুরুতেই লেখক "এই উপন্যাসের সব চরিত্র কাল্পনিক" বলে নাম নিজের সাথে যে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করেছেন, তা যে শুধুই ভনিতা - সেটা আশা করি নিজের জীবন থেকে পরেই বুঝেছেন। শুধু জানতে ইচ্ছা করে, উনি যদি চিরযৌবন লাভ করতেন আর তার ২য় স্ত্রী ও প্রকৃতির নিয়মে একসময় বৃদ্ধ হয়ে যেতেন; তাহলে তার "নিখুঁত নকশা" র বাকি অংশ কী নতুন কোন কিশোরীর কাছে পৌঁছাত?
This entire review has been hidden because of spoilers.
এক সময় রাগ অভিমান গুলোও বন্ধ হয়ে যায়, সুর কেটে যায় স্বপ্নের, আশার। মানুষ খোজে নতুন কোনো স্বপ্নের, নতুন কোনো রাগ অভিমান করার যায়গা। সেটাও কি কখনো স্থায়ী হয়? খোজ কি থামে কখনো আসলেও? বই টার রেটিং নিয়ে এখনো বেশ কনফিউজ আমি
উপন্যাসটি একজন ঔপন্যাসিককে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। শওকত নামের এই লেখক তার লেখার কাজে একটি অজপাড়াগাঁয়ে যান। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় পুষ্প নামের একটি রূপবতী মেয়ের। মেয়েটির সাথে তার সম্পর্কের জটিলতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এভাবে আগাতে থাকে উপন্যাসের কাহিনী।