Jump to ratings and reviews
Rate this book

পল্লী-সমাজ

Rate this book
The novel deals with the efforts of Ramesh, a young Roorkee-trained engineer, to bring some change in the caste-ridden village and to elevate the villagers to a better level of existence. It deals in depth with the corruption that infects the village, and Ramesh's efforts to remove it.

Unknown Binding

First published January 1, 1916

54 people are currently reading
708 people want to read

About the author

Sarat Chandra Chattopadhyay

234 books931 followers
Complete works of Sarat Chandra (শরৎ রচনাবলী) is now available in this third party website:
http://sarat-rachanabali.becs.ac.in/i...

Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.

His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.

He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.

Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.

Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.

Some of his best known novels are Palli Samaj (1916), Charitraheen (1917), Devdas (1917), Nishkriti (1917), Srikanta in four parts (1917, 1918, 1927 and 1933), Griha Daha (1920), Sesh Prasna (1929) and Sesher Parichay published posthumously (1939).

"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
345 (37%)
4 stars
354 (38%)
3 stars
189 (20%)
2 stars
35 (3%)
1 star
8 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 62 reviews
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
373 reviews274 followers
October 17, 2015
এটা কী ছিল!! ক্লাস নাইনে বা টেনে থাকতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে বইটি পেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো এক কারণে পড়া হয়নি, পরে অন্যদের অনেকের কাছ থেকেই শুনেছিলাম বইটি ভাল, পড়া উচিত ছিল। আমার পড়া হয়ে উঠতে উঠতে এতটা বছর লেগে গেল। এখন পড়ার পর মনে হচ্ছে না পড়াটাই ভাল আসলে ছিল। :/

শরৎচন্দ্র বেচারা গঠনমূলক কিছু করেন না এই দুর্নাম ঘোচাতে গিয়েই মনে হয় বইটি লিখে ফেললেন। রমেশকে দিয়ে পল্লীসমাজ পরিবর্তন করাতে চেয়েছেন। স্যাডলি, ইট ব্যাক ফায়ার্ড! এভাবে হয় না। কেন হয় না ঠিক গুছিয়ে বলতে পারবো না কিন্তু জানি স্রেফ হয়না। হয়না কারণ প্রগতি এবং প্রতিক্রিয়া হাত ধরে পাশাপাশি চলতে পারে না। হয়না কারণ যারা সমাজ পরিবর্তন করতে চায় তাদের শুধু শিক্ষিত আর মহৎ হলেই হয় না দৃষ্টি ভঙ্গির স্বচ্ছতা প্রয়োজন। এই রকম নাও এক খাবলা উপদেশ, নাও এক খাবলা মহৎ ইচ্ছা, নাও খাবলা প্রতিশোধ পরায়ণতা, নাও এক খাবলা মহত্ত্ব তারপর দাও ঘুটা... এভাবে সমাজ পরিবর্তন??

নাহ, তার চেয়ে শরৎ মানবিক সম্পর্কগুলো নিয়ে যেগুলো লিখেছেন তা মনে হয় এর চাইতে ভাল। লেখক নিজের কাছে সৎ থেকেছেন। এখানেও যে মানবিক সম্পর্কগুলো নেই তা নয়, কিন্তু সম্পর্কগুলোর ভাব-সাবে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যারে ভালবাসি তারে ধরে বাঁশ দিই, বাঁশ দিয়ে পস্তাই কিন্তু একের পর এক বাঁশ দিয়েই যাই (রমা), আবার যে বাঁশ দেয় তারে ভালবেসেই যাই, মাঝে মাঝে কিছু রাগ উঠে কিন্তু সামনে পড়লে সব পানি পানি (রমেশ)। এ আবার কেমন ভালবাসার ছিরি! এমন পানি পানি মানুষ দিয়ে সমাজ পরিবর্তন হয়??

এখানে কিছু যদি থেকে থাকে তা হল কুটিলতার সফল চিত্রায়ন। আমি জানি না তখন পল্লীসমাজ কেমন ছিল। তখন যদি সমাজ এতটাই কুটিল থেকে থাকে তাহলে সফল চিত্রায়ন, যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে অতিরঞ্জিত চিত্রায়ন।

শেষটাও খাপছাড়া। পুরো উপন্যাসে অসঙ্গতি আর অসঙ্গতি... এত অসঙ্গতিতে লেখকের সাথে আর তাল মেলে না অথবা এখানে কোনো তাল-ই নাই!
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews89 followers
February 25, 2021
এ বই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ার জন্য দেয়া হয়। নাইনেই বোধহয়। তখন আমরা সব বন্ধুবান্ধবই কম বেশি শরৎচন্দ্র পড়ছি। কারু সবচে' প্রিয় 'গৃহদাহ', তো কারু 'দেবদাস'। কিন্তু আমার এ উপন্যাসটিই সবচে' ভালো লাগত। শেষে একটা দারুণ ট্র‍্যাজেডি ছিল। আর সবার পক্ষে যে সমাজের বাইরে যাওয়া সম্ভব হয় না এটাও বেশ বুঝছিলাম এখানা পড়ে। এমনকি নিজের ভালোবাসাকেও সমাজের খডগতলে উৎসর্গ করতে হয় মাঝে মধ্যে।

তখন একটা বয়স ছিল, গল্প উপন্যাসকে বড্ড সিরিয়াসলি নিতাম। এ বইয়ের মূল্য তাই আমার কাছে অনেক
Profile Image for Tamoghna Biswas.
361 reviews148 followers
April 17, 2023
**3.2 stars**

I have always heard Sarat Chandra's name spoken with a certain reverence, but, as with most Bengali authors, only his adapted-to-screen works are the most talked about. Besides, this one has a lot of ambivalent takes, which is a first for me.

I don't understand what the fuss is about. First, this is a very well-written socio-political drama about caste discrimination, greed, envy and similar other 'virtues' of the then village society. It is raw and rugged, as ought to be, and does a lot of things but never sugarcoats the words that come out of the characters' mouths. At the same time, it meanders and never quite progresses: not in a cyclical way, but rather, like it oscillates between two fixed points set too close to perceive. It can be described most aptly as a string of events, each about our protagonist simultaneously trying to do good to the village and overcome the obstacles placed in front of him by his opposition.

Also, I never trust a character without a dark side. And the story is in too much black and white. But still, quite a worthy read; one might find structural similarities with Aranyak but that's irrelevant.
Profile Image for Mukid.
149 reviews4 followers
December 8, 2022
এই উপন্যাসের ঘটনা গড়ে উঠেছে কুয়াপুর নামক একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধের পল্লীজীবনের জীবনযাত্রা কেমন ছিল শরৎচন্দ্র তা এই উপন্যাসে আকঁতে চেয়েছেন। আজ থেকে শত বছর আগেও গ্রাম-বাংলার সৌন্দর্যের আড়ালে ছিল সমাজের করুন রূপ.গ্রাম বলতে শুধুই যে ভালো নয়, সেই সঙ্গে রয়েছে কপটতা, কদাচার, মিথ্যাচার ও স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা তা লেখক দেখালেন। তেমনি রয়েছে ব্রাহ্মণ শাষিত সমাজ ব্যবস্থার এক অধঃপতিত দিক। এ উপন্যাসে লেখক তিনটি দিকে নজর দিয়েছেন ঊনবিংশ শতকের গ্রামজীবনের চিত্র, সমাজ ব্যবস্থার বিবর্তনের চিত্র ও সমাজ অননুমোদিত একটি সরল নিষ্পাপ প্রেমের চিত্র।
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
274 reviews19 followers
April 29, 2024
"প্রাণ চায় চক্ষু না চায়
মরি একি তোর দুস্তর লজ্জায় "

এই গানডার লাহান অবস্থা হইছে মোগো আইজকের গল্ফের নায়িকা রমার দশা। হয় হয় একফির কয় রমেশ মোর শত্তুর, আরেকফির কয় রমেশের গুষ্টি মুই উদ্দার হইরা ছাড়মু।

আরে বেডির ফো বেডি তুই নিজে কী চাস হেইডা তো আগে বোজ বইন। সমাজ তোরে কী কইলো তুই সমাজ লইয়া ফইড়া আছো। সমাজ যা কইবে তুই কী আজীবন হেইয়াই হরবি বলদ মাতারি কোনহানকার।

রমার মাসী ওই মাতারিও বাপরে বাপ কম যায় না। মাতারির মুখ ছোডে যেন বারুদের লাহান। রমেশ আইছিলো ভালা মান্তি দাওয়াত হরতে হেই মাতারি গাইলাইয়া দেলো রমেশরে বাইর হইররা।

রমা আবার বিদবা। হের অল্প বয়সে স্বামী মরছে পর ছোড ভাইয়ের হইয়া হে সম্পত্তি দেইক্কা হুইন্না রাহে। ভাই যতীন বইনের ফরানের ফরান। এইক্বুয়া ভাই তো হের লাইজ্ঞা রমাও হেরে বালো পায় অনেক। রমার মাতায় বুদ্ধি ভালোই আছে দেইক্বাই ব্যাডাগো লগে টক্বর মাইরা এহোনো টিইক্বা আছে।

তয় মুখুয্যে বাড়ির ছেমড়ি এই রমার মাতাডা অর্ধেক খারাফ হরছে ওই বেনী ঘোষাল। হেই বেডার ফো নিজের চাহাতো ভাই রমেশের লগে শত্তুতামি হইরা হেইডার সম্পত্তি দহল হরতে চায়। কী পরিমাণ ইবলিশের ছাও চিন্তা হরেন। তোর আফন বাফের ভাইর পোলা হেইডারে তুই কেমনে বঞ্চিত করবি। রমেশের কী ভাগ নাই কিচ্ছু? হের উফর জ্যাডা মরলো তুই ব্যাডা রমারে বুদ্দি দাও ছেরাদ্দ বাড়ি না যাইতে। রমারে বইয়া বইয়া কু বুদ্দি দেস!

তয় এই বেনী ঘোষাল ছ্যাড়ার মা খুব বালো। হে হজ্ঞল সময় রমেশরে বালো পাইছে। রমেশের মায় আর বেনীর মায় দুই জা মিল্লা কত সুখ দুঃখের দিন যে কাডাইছে হেইয়া বেনীর মা বিশ্বেশ্বরী বোলতে পারে না। হের লাইজ্ঞা পোলা বেনীর চইক্ষের আড়ালে পলাইয়া হে আইয়া দেইখখা যায় রমেশরে। এই মাতারি খুব বালো। হে হজ্ঞল সময় রমেশরে কয় ওরে বাপ তুই এই গেরাম থুইয়া কোনোহানে যাইস না, তুই এই গেরামের চেহারা বদলাই দে। ভচকাইয়া যাওয়া এই গেরাম সমাজ তুই পারবি উদ্দার হরতে। তুই যাইস না বাপধন।

গেরামে আছে নানান কিসিমের মানুষ ওই ধর্মদাস, গোবিন্দ ভট্টাচার্য, ভৌরব আচার্য এই মানুষগুলান হইছে দুই মুইক্বা হাপ। একফির এর কতা আরেকজনেরডে আরেকফির কইবে আরেক কতা আরেকখানে। এই মানুষডির আছে খালি সোয়া হাইত্তা জিব্বা। খাওন দেখলে খাইতে পারবে আনে গলা ঠাইসসা কিন্তু কামের সময় পল্ডি লইবে। হেইসময় রমেশরে চেনে না। রমেশের বাফের ছেরাদ্দে কোলো খাইছে আখেরি খাওয়া কিন্তু পল্ডি লইয়া যাইবে বেনীর দলে। নেমখারামের দল কতডি!

এহন একডু রমেশের কতা কইয়া লই। এই পোলা হইছে পাডার ঘরের পাডা। বলদে মোতাহারও কওন যায়। তুই বেডা এদ্দিন বিদ্যাশ থাইক্বা এহন এই গেরামে পইচ্চা মরবি কোন দুঃখে! আইছো বাফের ছেরাদ্দ হইরা ভাইগগা যা, হ্যা থুইয়া এই পোলা শুরু হরছে দ্যাশ উদ্দার। গেরামের মাইনষের লাইজ্ঞা খাইট্টা মরে হুদাই। আরে প���ডার ফো পাডা তোরে কেউ দাম দেয় তুই ক দেহি বোহে হাত দিয়া! তোরে কেডা পোছে! তোর ধার দিয়া টাহা নিয়া হেরপর তোরে চেনে না কেউ। আইছে আমার দাতা কর্ণ!

যেই রমারে তুই মনে মনে বালো পাইতি হেই ছেমড়ি পর্যন্ত পল্ডি লয়। অবশ্য রমা ছেড়ির মনে কী চলে কয়ন যায় না শেষ পরযন্ত রমেশের ধারে রমা ফিইররা আইবো কী না! আর রমেশ ছেমড়ার কফালে কী আছে কেডা জানে! হে যেই কাম শুরু হরছে হেইডা কী সফল হইবো? রমেশ কী বদলাইতে পারবে গেরামের চেহারা? বদলাইতে কী পারবে ওই খাডাশ মাইনেষেগ? জানোনের লাইজ্ঞা পইড়া হালান "পল্লীসমাজ" শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেহা।

//পাঠ প্রতিক্রিয়া:

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেহা লইয়া মোর নতুন হইরা কিছু কওনের নাই। মুই হের লেহার ভক্ত আছি তয় এই বইখান লইয়া মোর কিছু কওনের আছে। পোতম কতা হইতাছে এই বইখানের কাহিনী যে আমলের হেই অনুযায়ী বর্ণনা হজ্ঞল ঠিকই আছে। কিন্তু চরিত্রগুলান ঠিকঠাক জমতে পারে নাই।

পোতমে রমার কতাই কই এই ছেমড়ি শুরুর দিকে ঠিক আছে তয় মাজখানে হের কী ভিটামিনের অভাব হইছে মুই কইতারি না, কেমন জানি ঝিমাইয়া পড়ছে বেরাইম্মা মুরগির লাহান। ছেড়ি তুই একফির পুলিশের ধারে যাও রমেশের নামে নালিশ হরতে আবার নাচতে নাচতে হেরে তারকেশ্বরে বইয়া খাওন খাওয়াও। থাবড় চেনো! আগে ঠিক হর তুই কোনডা চাও। হুদাই ম্যাওম্যাও হরিস না।

হেরফর রমেশের কতা কী আর কমু ওই পাডার ফো পাডার কামকাইজ মোরে আরেকটা থাবড় দেওনের মন করছে ওরে। আইছে বড় দ্যাশ উদ্দার হরতে! রমেশের মইদ্দে মুই অবশ্য শরৎচন্দ্রের ছায়া খুইজ্জা পাইছি। এই ব্যাডাও হের সব লেহায় সমাজের কতা অনেক কয়। হেই আমলে ঠাডাপড়া সমাজে কী কী কুকাম হইতো হেগুলা হে আলোচনা হরে।

এই বইডায় মোর বিশ্বেশ্বরী ওই মাতারিরে একডু বালো লাগছে। হের কতাবার্তা ভালো। বাকি হজ্ঞল চরিত্র ঠেহি জানি মাতা ভাঙ্গা।

গল্ফের আশপাশ ঠিকই আছে তয় মুই শরৎচন্দ্রের থেইকা আরেকডু আশা হরছেলাম। ওনার আরো তো মেলা ভালো বই আছে। থাউক অসুবিধা নাই, দুই এক্বান মাল খারাপ হইতেই পারে। মুই হের লাইগা বুক ফাইট্টা যামু না।

[পুরো রিভিউটি বরিশালের ভাষায় লেখা]

✨বইয়ের নাম: "পল্লীসমাজ"
✨ লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
✨ প্রকাশনী: সূর্যোদয় প্রকাশন
✨ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.৮/৫
Profile Image for Paree Bhattacharya.
12 reviews5 followers
August 25, 2019
A good book will keep you thinking even after you have finished reading it. I think that is why a lot of good authors do not have a definite ending or conclusion in their book and leave it up to the imagination of its readers. Such is the book 'Palli Samaj' written by Late Sarat Chandra Chatterjee, an author who received equal criticism and praises for his work throughout.

This may be a biased review because this is the first Bengali classic that I have picked up and this book has left me mesmerized and emotional. Such beautiful depiction of characters and their personalities were sketched so beautifully - Raw, grey, real, and imperfect.

My grandma always wanted me to learn how to read Bangla so that I could get my hands on a few life-changing classics. That couldn't happen, but thanks to the good translated versions by Prasanjit Mukherjee- the purpose is solved.


About the Author:

Late Sarat Chandra Chatterjee, known for his heart-touching work like Devdas, Srikanto, Choritrohin, etc has never failed to throw light on the practices and beliefs of Rural Bengal and addresses serious issues prevailing in the society.
He had faced a lot of bitter and hostile criticism from many pockets of the society for outlining the realities that hid behind the blanket of casteism, rituals, and blind worship.

About the novel:

The book covers the darker areas of contemporary rural Bengal and how everyone is chained to a mediocre, rather low level, caste-based thinking. This book received a lot of criticism initially because the society back then was not ready to see the reality and the 'bolder' version of the society and labeled it immoral and destructive. A lot of issues addressed in this book may not be relevant today, but I think grey areas still prevail in the so-called modern societies today.

The book lifts the layer of perception that an outsider creates about a rural life and boldly shows the realities prevailing in a rural society. Ramesh, a young Roorke trained engineer tries to change the mindset of the villagers and give them a better approach towards life and living. His journey to make the rural pocket a better place to live is poisoned with casteism and corruption. Winning comes with a cost, and Ramesh had to pay a heavy price throughout the journey to his victory.

My review -

What I loved the most about this book is it's an unfiltered, raw, bold, and real version of our society, whether urban or rural. The shades of grey in every character, including the protogonist, will help you develop a close relationship with them keeping you engaged throughout. Even if you take breaks while reading, you will not lose the link - that is the impact of the story and characters from the book. When the whole village sins, everyone drowns together, and when the whole village finally sees light, it rises together. Sarat Chandra has captured every dirt, filth, politics, poisonous mindsets, narrow mentality, goodness, love, affection, enmity, etc and depicted it beautifully through his work, cover to cover. I do not think it is limited only till rural India but is widespread even to the society where we live in today.

A must-read for all those who are looking forward to getting indulged in reading cult classics of Bengal.

Fav line from the book

I know that those, who aren't afraid of sin or shame, must at least be afraid of their death; otherwise, this world would go to rack and ruin.
Profile Image for Sharmishtha Basu.
Author 43 books23 followers
September 24, 2016
It is a story based in 19th century Bengal, the society was ridden by caste system back then, it was thriving like a poison ivy, covering, choking the entire society. The expertise with which Sharatchandra has captured this poisonous mindset in this novel is powerful, very powerful! It is not for children, teenagers, the young people may fail to grasp its depth, how these customs rot and ruin the society by the poison that rot creates is very directly shared in this story.

Not for feeble hearted people at all. You have to be very open minded too.
Profile Image for Md. Rahat  Khan.
96 reviews25 followers
June 13, 2020
থার্ড রিড! শরৎবাবুর সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস। আমার কাছে মনে হয় শরৎবাবুর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড উপন্যাসও এটিই।
Profile Image for Tasmin Nisha.
163 reviews9 followers
November 4, 2025
ভিনদেশে জীবনের একটা অংশ পার করে বহু আশা নিয়ে রমেশ নিজ জন্মভূমি, নিজ গাঁ "কুঁয়াপুড়ে" পা রাখে, উপলক্ষ্যটা বাবার শ্রাদ্ধকে কেন্দ্র করে হলেও তার ইচ্ছা হয় এখানেই থেকে যেতে। ধূলিমাখা শহরে থেকে রমেশ হয়তো ভাবতো গাঁয়ের অকৃত্রিম সৌন্দর্যতা, গাঁয়ের মানুষের সারল্যতা নিয়ে। কিন্তু বাস্তবে কোথায় সেই সারল্যতা? এখানে বাতাসের সঙ্গেও যেন মিশে আছে কুটিলতা।

তাই তো এখানে শ্রাদ্ধে কত রকমের ব্যঞ্জনের আয়োজন হলো তা নিয়ে লোকের মাথা ব্যথা হয়, সম্পদের বিবাদ সম্পর্কের উর্ধ্বে স্থান পায়, মিথ্যা মামলায় স্বার্থ হাসিল হয়, জাতিভেদ মনুষ্যত্বকে কলুষিত করতে দ্বিধা করে না, জমিদারের দাপটে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায়, মানবতার চেয়ে ধর্মীয় জ্ঞানের মেকি মূল্য বেশি হয়। তবুও গাঁয়ের লোকের অজ্ঞতার কারণেই হোক বা চাটুকারিতা উদ্দেশ্যই হোক রমেশ বুঝতে পারে দিনশেষে একঘরে করে রাখাই তার মতো অদৃষ্টের ভাগ্যে জুটবে। যত সম্মান ও তোয়াজের পাত্র হবে "বেণী" এর মতো চতুর লোকেরা, সমাজপতির স্থান এরাই দখল করবে। রমেশ উপলব্ধি করতে পায় যে স্বপ্ন নিয়ে সে এসেছিল তা বুননে পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হতে হবে তাকে, পায়ে লেগে থাকা কাঁদার দাগ মেটানো দুষ্কর হবে তার পক্ষে।

প্রায় একশো বছর আগে লেখা একখানা বইয়ে লেখক অতীত এবং বর্তমান কিংবা কে জানে ভবিষ্যতের গ্ৰামীণ সমাজের রূঢ চিত্র তুলে ধরেছেন। মনে হলো যেন একই দৃশ্যপট আমিও দেখেছি নিজ গ্ৰামে কিন্তু দুঃখজনক হলেও পরিশেষে পল্লী সমাজের দুঃদর্শার কালচক্র একই হারে চলছে এবং চলবে। বাস্তবে রমেশের মতো লোকেরা ঠাঁই পায় না।
Profile Image for Harish Muralidhar.
29 reviews40 followers
October 23, 2014
My second sarat chandra, as amazing as the first one 'the final question'. The social issues of pre independence era india taken up and addressed through a simple plot cannot lose relevance even today. His works can be used as handbooks on how stigmas and several practices should have been/ should be tackled by the educated. Palli samaj is the story of a wealthy lower cast man who returns to his village after his father's death and sets out to reform the place. His eventual successes at the cost of relationships lost makes this a must read for anyone interested in Indian literature.
Profile Image for Sajid.
457 reviews110 followers
August 14, 2019
আমার কাছে এই উপন্যাসখানা অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও বাস্তব মনে হয়েছে।সেই সময়কার পল্লী-সমাজকে খুব নিঁখুত ভাবে লেখক এখানে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন।গ্রামের অশিক্ষিত মানুষের স্বার্থপরতা ও নির্মতা;অন্যদিকে শহর থেকে নিজ গ্রামে আসা রমেশ–নিজের আপন মানুষরাই যখন তাঁর শত্রু হয়ে দাঁড়ায়,তখনও রমেশ সেই স্বার্থপর মানুষদের উপকার করতে পিছু হয়না;বরং নিজের সর্বস্ব দিয়েই তাদের সাহায্য করে।উপকারীর প্রত্যুপকার করতে হয়;সেই ধারানটুকুই তাদের মধ্যে বিদ্যামান নেই
Profile Image for Neha Gupta.
Author 1 book198 followers
October 9, 2014
Life of a village.. there are times when you get tired of fast & self centered city life and you feel like running away and settling in a small village with simple people and simple lives. But this novel is an eye opener that no matter where you run situation is just the same only the the faces are different, the issues, psychology, problems, evils are just the same. tHe same story applies to our corporate world. No matter where you go the same politics, people & survival of the fittest.

So what is the solution.. the solution is to stay & fight back. May be even the people you love go against you, cheat you, harm you.. but eventually if you are right noone can stop you. Sooner or later the wrong looses and the right wins... Whatever one does s/he has to bear in this life. There is no rebirth or heaven or hell. Everything is here & now.

Quiet a learning but the protagonist of this novel - Ramesh is a hero from the Art movies of Bollywood who sets to put his village - his hometown in place. He tries to fight the caste, illiteracy, ignorance of people, suffers losses, gets cheated & looses money, is plotted against & insulted but he never wanders away form his goal, his beliefs and that is what we should stand for. It was always the power of one which changed the world time & again.. and so it stays...
11 reviews4 followers
May 1, 2018
আসলে শরৎবাবুর লেখা খুব বেশি পড়া হয় নাই। স্কুলের বইয়েই যা একটু আধটু পড়া হয়েছে।
পল্লীসমাজ পড়েছি বেশ আগে। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী থেকে এনেছিলাম সেটা।
উপন্যাস সম্পর্কে কিছু বলতে হলে প্রথমেই আসে বইটায় তুলে ধরা তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন সংস্কার-কুসংস্কার, বর্ণপ্রথার বিভিন্ন দিকগুলোর কথা।
রমেশ চরিত্রটাকে 'পল্লীসমাজ" বইটিতে সমাজের বিভিন্ন অন্ধকার দিকগুলো পরিবর্তনকারীর প্রতীক এবং একদিক থেকে 'বিপ্লবের' প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যদিও শেষ রক্ষা হয় নি।
যা-ই হোক, বইটি আমার বেশ ভালো লাগার কারণ এতে তখনকার সমাজের কুপ্রথাগুলোর বিরুদ্ধে (ফলপ্রসূ না হলেও) বিভিন্ন কথা উঠে এসেছে।
রেটিং- ৪/৫।
Profile Image for Md. Faysal Alam Riyad.
317 reviews26 followers
December 28, 2018
আমরা আমাদের পল্লী সমাজের যে কথা জানি, বস্তুত আমাদের পল্লী সমাজের অবস্থা সেরকম নয়। যতই বলার চেষ্টা করি পল্লীর মানুষ খুবই সাধারণ, কোন প্যাচ বুঝে না, কিন্তু বাস্তবতা তা না। এই উপন্যাসটি পড়ে এই বিষয়টা আরেকটু অনুধাবন করা গেল। তবে তা বলে আমাদের পল্লী সমাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে হবে না। পল্লীর উন্যায়নে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। উপন্যাসটিতে বেশ কিছু অসাধারণ দার্শনিক কথাবার্তাও পড়লাম। বেশ চমৎকার।
Profile Image for Tahmina Tuly.
25 reviews2 followers
February 9, 2023
পল্লীসমাজ
অর্থাৎ বাংলার মানুষ চাষ করার মাধ্যমেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতেন। আগেকার সময়ে অধিকাংশ চাষের জমি থাকতো কিছু জমিদারদের হাতে, এরা ছিলেন সমাজের সম্ভ্রান্ত মানুষ। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তাদের জমিতে ভাগ চাষ করতেন, এবং সেই চাষ থেকে তাদের যে উপার্জন হত তা দিয়েই তারা সারা বছর কাটাতেন।

ফ্ল্যাপ থেকেঃ-

'পল্লীসমাজ' উপন্যাসটি লেখা হয়েছে ‘কুঁয়াপুর' নামক একটি জনপদের পৃষ্ঠভুমিতে। এই জনপদের দুটি সম্ভ্রান্ত পরিবার হল ঘোষাল পরিবার এবং মুখুজ্জে পরিবার। এই দুটি বিত্তশালী পরিবারের কর্তাদের মধ্যে মনোমালিন্য থেকে বিবাদ শুরু হয় এবং ক্রমে তা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। আবার, শুধুই যে পরিবারের মধ্যে বিবাদ তা নয়, নিজ পরিবারের ভাইদের মধ্যেও এই সমস্যা শাখা বিস্তার করেছে।

আজ থেকে শত বছর আগেও গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য্যের আড়ালে ছিল সমাজের করুণ এক রূপ। জমিদারী প্রথা, ধনী–গরীব বৈষম্য, ধর্মীয় কুসংস্কার, হিন্দু–মুসলমান এর অর্থনৈতিক বৈষম্য সহ বাংলার সমাজের সবকিছুই যেন উঠে এসেছে এই উপন্যাসে “পল্লীসমাজ” যেন বাস্তব সমাজের এক খন্ড রূপ যা অতি সূক্ষ্ম ভাবে সমাজের পুরো চিত্র প্রতিফলিত করে।

ব্যাক্তিগত মতামতঃ-

লেখক তার এই উপন্যাসে তৎকালীন পল্লী সমাজের কিছু সাধারণ ঘটনার মধ্যে মানসিক টানাপোড়েন অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

“পল্লীসমাজ” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এক অনবদ্য সৃষ্টি। ঊনবিংশ শতাব্দীর গ্রাম সমাজের মানুষের জীবনধারণের পটভূমি নিয়ে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। যেখানে ওঠে এসেছে উচ্চশ্রেণীর সমাজপতিদের আধিপত্য, নিম্নশ্রেণীর মানুষের দরিদ্রতা, বঞ্চনা, উৎপীড়ন, বিবাদ, কলহ, কুসংস্কার ইত্যাদি। অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজটাকে আলোকিত করার জন্য একজন প্রতিবাদ মুখর সমাজ-সংস্কারকের সাহসিকতাও ফুটে উঠেছে এই বইয়ে।

পছন্দের কিছু অংশঃ

“যে বসন্ত আর্তকে রক্ষা করে না, শুধু বিপন্ন করে, তাহাকেই সমাজ বলিয়া কল্পনা করার মহাপাপ তাহাদিগকে নিয়ত রসাতলের পথেই টানিয়া নামাইতেছে।“

“মানুষ খাঁটি কি না, চেনা যায় শুধু টাকার সম্পর্কে। এই জায়গায় নাকি ফাঁকি চলে না, তাই এইখানেই মানুষের যথার্থ রূপ প্রকাশ পেয়ে উঠে।”

“সংসারে যত পাপ আছে, মানুষের উপর জুলুম করাটা সবচেয়ে বেশি।”

“কয়লাকে ধুয়ে তার রঙ বদলানো যায় না, তাকে আগুনে পোড়াতে হয় ।”

“আগুন জ্বলে উঠে শুধু শুধু নেভে না! তাকে জোর করে নেভালেও সে আশেপাশের জিনিস তাতিয়ে দিয়ে যায় ।

“মিথ্যেকে ঘাঁটঘাঁটি করে জাগিয়ে তুললেই তার পরমায়ু বেড়ে ওঠে। নিজের অসহিষ্ণুতায় তার আয়ু বাড়িয়ে তোলার মত পাপ অল্পই আছে ।”

"যেখানে অভিমানের কোন মর্যাদা নাই, সেখানে অভিমান প্রকাশ পাওয়ার মত বিড়ম্বনা সংসারে অল্পই আছে"
Profile Image for Huzaifa Aman.
144 reviews5 followers
October 19, 2025
অমর কথাশিল্পী সমাজসংস্কারক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পল্লীসমাজ উপন্যাসসে সামাজিক অত্যাচার ও উৎপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ঔপন্যাসিকের প্রধান উদ্দেশ্য। যে সমস্ত দুষ্ট ব্রাহ্মণ প্রকৃতপক্ষে সমকালীন সমাজদেহে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, যাদের বিষবাষ্প সমাজের অস্থিমজ্জায় ছড়িয়ে পড়ে তার স্বাস্থ্য ও শক্তির মূলোচ্ছেদ করেছে, সেই সমস্ত দুরপনেয় কলঙ্কচিহ্নের প্রতি তিনি স্বীয় সমুদয় শক্তি প্রয়োগ করেছেন। সমাজবিধির নিষ্ঠুর ঔদাসীন্য ও প্রতিকূলতা আমাদের আধি ব্যাধিজর্জর-অভাবদৈন্যপীড়িত সংসার যাত্রাকে কতটা নিরর্থক দুর্বিষহ করে তোলে, এই সমস্ত সমাজরচিত শাস্ত্রনির্দিষ্ট বাধার চরিদিকে কত অশ্রু উদবেলিত হয়ে ওঠে, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও পারিবারিক সুখ-শান্তিকে যে এরা কীরূপ দুচ্ছেদ্য নাগপাশের বন্ধনে বেধেছে- 'পল্লীসমাজ' উপন্যাসে আমাদের সমকালীন সমাজিক জীবনের এই করুণ, গভীর ব্যথাভরা দিকটির প্রতিই সর্বাপেক্ষা বেশ ঝোঁক দিয়েছেন। হিন্দুসমাজের বিবাহ বিধিগুলো কতটা অনুপযোগী, সমকালে আমাদের পারিবারিক জীবনে যে এর কত অস্বাচ্ছন্দ্য, নিষ্ঠুরতা ও নৈতিকহীনতার হেতু হয়- এটাই এ উপন্যাসের প্রতিপাদ্য বিষয়। "আচার-নিষ্ঠা ও সমাজরক্ষার অজুহাতে যে কতটা ক্রুরতা, নীচতা, স্বার্থপরতা ও হেয় কাপুরুষতা আমাদের সমর্থন লাভ করেছে, আমাদের জীবন যে কী পরিমাণ পঙ্গু ও অক্ষম হয়ে পড়েছে- সেটাই তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন।
Profile Image for Kashfia .
34 reviews
September 7, 2025
পল্লীসমাজ বই এর নামটা শুনে মনে হয়েছিলো এটা হয়তো গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য্য নিয়ে লেখা। আমার চোখে গ্রাম বাংলা মানেই ছিলো সহজ সরল দু:খী মানুষদের কিছু খন্ডচিত্র।কিন্তু লেখক এই বই এর মাধ্যমে আমার ধারণাই বদলে দেন।তিনি তুলে ধরেছেন গ্রাম বাংলার বিভিন্ন শ্রেনী বিভাজন এবং তাদের মধ্যকার রেষারেষি।দেখিয়েছেন কিভাবে স্বার্থন্বেষী মানুষ নিজের আখেড় গুছানোর জন্য নানান ফন্দি করে এবং "ছোটোলোকের" দুর্বলতার ফায়দা নেয়। তাছাড়াও হিন্দু মুসলমানের জাতভেদ কেও তিনি চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছেন।
Profile Image for Prapti Hiya Nag.
27 reviews3 followers
January 21, 2022
রমেশকে একটু বেশিই শিশুসুলভ মনে হয়েছে। এতো বইপড়া জ্ঞানী লোক সে। তার থেকে একটু হিতাহিত বুদ্ধি আশা করেছিলাম। তার অসংযম আর নির্বুদ্ধিতা দিয়ে পুরো বইটাই মাটি!
Author 1 book24 followers
June 18, 2017
The novel is a very true pen picture of society. Though Sarat chose to call it Polli Shomaj, I think it holds true for every society, be it in a hip city or a satellite town. People are essentially self centered and opportunists and often altruism is looked down upon as a waste of one’s time and effort. The kind man becomes the butt of cruel jokes and an out-caste, till he is able to prove his prowess, by constant sacrifice. But, can human race really survive without such saintly creatures, is a question that requires much pondering.
Profile Image for Habib.
43 reviews1 follower
August 6, 2020
পল্লী-সমাজ হলো কাদামাটির। পল্লী-সমাজে জন্ম নেয়া প্রাণীরাও কাদামাটির। যে যেদিকে নাচাবে তারা সেদিকেই নাচবে। কুসংস্কার যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।

রমেশদের মত আলোর প্রদীপ না থাকলে বেণীরাই সমস্তই গ্রাস করে নেয়। 😶🙄
Profile Image for John Milton.
25 reviews3 followers
July 15, 2020
বাংলাদেশ পুরাটাই একটা পল্লীসমাজ 😂
14 reviews1 follower
July 16, 2020
This book is a true reflection of our society
Profile Image for Solaniya Cottage.
33 reviews
May 29, 2024
কোন অতিরিক্ত কথা বলব না সোজা ভাষায় বলবো আর এই সোজা ভাষাটাও বই দেখে লেখা যে

রমা রোমান্সের প্রেম,গ্রাম সমাজ বাধা
Profile Image for Shihab Ahmed.
2 reviews
November 14, 2022
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের রূঢ় বাস্তবতা উপলব্ধি করতে অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষক আর হয় না। কিন্তু অনেক সময় এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বড্ড দেরি হয়ে যায়, জীবনের অনেকগুলো বছর কেটে যায়। এ ঘাটতি পূরণ করতে পারে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলো।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পল্লী-সমাজ এমনই একটি উপন্যাস। একালের সত্যিকার ভদ্রলোকেরা সেই রমেশ চরিত্রটির মধ্যে কিছুটা হলেও নিজেকে খুঁজে পাবেন। শতবছর আগের সেই বাঙালী হিন্দু সমাজকে আজকের বাঙালি মুসলমান সমাজেরও প্রতিচ্ছবি বলা যায়। বাঙালি মুসলমান সমাজও একটি মৃত, ভণ্ড সমাজ কিনা সে আলোচনা হতেই পারে।

সেদিন একজন বলছিলেন, ‘আমি চাচার কাছ থেকে আমার বাবার সম্পত্তি বুঝে নিতে চাই, অথচ গ্রামে গেলে চাচা খালি হাদিস শোনায়’। এই হচ্ছে বাঙালি মুসলমান সমাজ।

উপন্যাস প্রসঙ্গে আসি। হতাশ রমেশকে বলতে দেখা যায়, “এদের দান করলে এরা বোকা মনে করে, ভাল করলে গরজ ঠাওরায়, ক্ষমা করাও মহাপাপ; ভাবে—ভয়ে পেছিয়ে গেল”।

উপন্যাসের আরেকটি অংশে শরৎচন্দ্র লিখেছেন, “এই-সকল দরিদ্রদিগকে সে যতটা অসহায় এবং কৃপাপাত্র বলিয়া ভাবিয়াছিল, অনেক সময়েই তাহা ঠিক নয়। ইহারা দরিদ্র, নিরুপায় এবং অল্পবুদ্ধিজীবী বটে, কিন্তু বজ্জাতিবুদ্ধিতে ইহারা কম নহে। ধার করিয়া শোধ না দিবার প্রবৃত্তি ইহাদের যথেষ্ট প্রবল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরলও নয়, সাধুও নয়। মিথ্যা বলিতে ইহারা অধোবদন হয় না এবং ফাঁকি দিতে জানে। প্রতিবেশীর স্ত্রী-কন্যার সম্বন্ধে সৌন্দর্য-চর্চার শখও মন্দ নাই”।

আমাদের সমাজ আসলে আমাদের উপকার করছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লেখক: “আজ ইহা মৃত; তথাপি অন্ধ পল্লীবাসীরা এই গুরুভার-বিকৃত শবদেহটাকে পরিত্যাগ না করিয়া মিথ্যা মমতায় রাত্রিদিন মাথায় বহিয়া এমন দিনের পর দিন ক্লান্ত, অবসন্ন ও নির্জীব হইয়া উঠিতেছে, কিছুতেই চক্ষু চাহিয়া দেখিতেছে না। যে বস্তু আর্তকে রক্ষা করে না, শুধু বিপন্ন করে, তাহাকেই সমাজ বলিয়া কল্পনা করার মহাপাপ তাহাদিগকে নিয়ত রসাতলের পথেই টানিয়া নামাইতেছে”।
Profile Image for Rajin.
35 reviews2 followers
October 24, 2024
পার্বতীর দুঃখ,কষ্ট- যন্ত্রনায় দেবদাস নিজেকে তীলে তীলে শেষ করে দেয়।মৃত্যুর আগে পার্বতীকে আরও একবার শেষ বারের মত দেখার জন্য এক তীব্র অন্ধকার শীতের রাতে গরুর গাড়িতে করে পান্ডুয়া থেকে হাতিপোতা গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দেন। কিন্তু দুঃখ জড়জড়িত,ক্ষুধার্ত পিপাসায় ক্লান্ত দেবদাস কাছারি বাড়ি পৌঁছানোর আগেই পথের ধারে এক বটগাছের নিচে আশ্রয় নেন।সেখানেই ধুকতে ধুকতে পার্বর্তী পার্বর্তী চিৎকার করে দেবদাসের ইতি ঘটে।
বলতে ছিলাম শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "দেবদাস"। তখন আমি সপ্তমে পড়ি আমার হাতে এই বইটা এসে পরে। আমার মনে আছে পড়ার সময়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ছিলাম। এরপর আমার আর কখনো এই বই পড়ার সাহস হয়নি।
শরৎচন্দ্রের লেখা কতটা স্ট্রং তার একটা নুমনা দিলাম।
"পল্লীসমাজ" বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় গ্রামের সমাজ। এই উপন্যাসের গ্রামের সাধারণ জীবনধারা উঠে এসেছে।
ছেলেবেলায় একবার রমেশ রমাকে ভালোবেসেছিল। দীর্ঘদিন শহর জীবনে তার পড়াশোনা বাবার মৃত্যুতে গ্রামে ফিরে আশা। বাবার জমিদারি সবমিলিয়ে গ্রামীণ জীবনে তার ব্যস্ত হয়ে পরা। গ্রামীণ জীবনের কুসংস্কার, কুৎসিত রুপ সে দেখতে পায়। রমা প্রতি তার সেই পুরনো টান। দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েন এই গল্পের উপজিব্য।
আমার মতামত:
"সেপ্টেম্বর মাস দীর্ঘ একমাস সবকিছু থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামে চলে যাই। গ্রামীণ জীবন নিয়ে আমার প্রচন্ড আদিখ্যেতা ছিলো,বোধ করি আমার লিস্টে সবাই জানেন।কিন্তু আমার এই দীর্ঘ ছুটিতে সবকিছু উবে যায়। গ্রামীণ জীবন কখনো একটা শহুরে জীবন ধারার মানুষের জন্য হতে পারে না। শরৎচন্দ্রের পল্লীসমাজের বাস্তব রুপ সেখানে এখনো বিদ্যমান। মানুষের নিজের থেকে অপরের খবর ধারী এই জনপদে এখনো বেশ মুখরোচক।এনিওয়ে, আমার ভুল ভাঙার জন্য এই নিজেকে ধন্যবাদ। পল্লীতে বসেই আমি বইটা শেষ করেছিলাম।
গ্রামীণ জীবন ধারার ধারণা পেতে চাইলে বইটা অবশ্যই পঠন যোগ্য।
বই - পল্লীসমাজ।
লেখক :- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
প্রথম প্রকাশঃ জুন, ২০২২
Profile Image for S Pinky.
3 reviews
June 23, 2023
নামেই বোঝা যাচ্ছিলো যে শহর থেকে দূরে কোনো এক পাড়া গাঁয়ের মানুষদের রীতি, নীতি, জীবনযাত্রার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এখানে। কিন্তু এটা আসলে শুধু কাহিনী বললে ভুল হবে, গল্পের আড়ালে লেখক প্রকাশ করেছে তৎকালীন সমাজের আনাচার, কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং সেই সাথে এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার এক অনিশ্চিত সংগ্রামের ব���্ণনা। কাহিনী আবর্তিত হয়েছে রমেশ ঘোষাল, বেণী ঘোষাল এবং রমা মুখুয্যেকে কেন্দ্র করে। ঘোষাল আর মুখুয্যে বংশ হলো এই পাড়া গায়ের জমিদার বংশ, গ্রামের প্রতিটি পরিবার কিভাবে জীবনযাপন করবে তা সরাসরি অথবা আড়ালে যেন তারাই নির্ধারণ করে। পুরো গ্রামকে নিজেদের নখদর্পণে আনতে যেকোনো কলাকৌশল অবলম্বন করতে একটু দ্বিধা নাই, সেটা মিথ্যা মামলার সাহায্যে হোক, বল প্রয়োগ করেই হোক, গ্রামজুড়ে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে হোক কিংবা বংশ মর্যাদার ক্ষমতা দেখিয়েই হোক না কেন। নিম্নবর্গের যারা তারা সব জেনে বুঝেও সব সহ্য করা ছাড়া তাদের উপায় যে নেই, সেটা তাদের সাহসিকতার অভাবেই হোক বা অক্ষমতার অভাবে।
শহরে বেড়ে উঠা রমেশ ঘোষাল জমিদার বংশের হলেও তার ভাবনাচিন্তা বাকি সবার চেয়ে ভিন্ন। পাড়াগাঁয়ের এইসব রীতিনীতি, কলাকৌশল সম্পর্কেও সে ছিলো পুরো অজ্ঞ। তাই শহর থেকে তার নিজ গ্রামে ফিরে সে যত মানুষের এমন স্বার্থান্বেষী আচরণ সম্পর্কে জানতে পারলো, তত বেশি আশ্চর্য আর ব্যথিত হতে থাকলো। অন্যদের সাহায্য করতে চাওয়ায় তার বিরুদ্ধেও শুরু হলো ষড়যন্ত্র। রমেশ কি পারবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে? যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা ভাঙ্গতে? পারবে কি এই অজ্ঞ, অসহায় মানুষদের এই দাসত্বের শিকল থেকে মুক্ত করতে? জানতে হলে পড়তে হবে অপরাজেয় কথাশিল্পীর পল্লীসমাজ উপন্যাসটি।
Profile Image for Kafil Recherche.
61 reviews2 followers
August 18, 2022
“পল্লীসমাজ” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস যেখানে তৎকালীন (কিংবা চিরাচরিত) গ্রামীণ সমাজের নগ্ন চিত্র স্পষ্টভাবে চিত্রিত হয়েছে। শরৎচন্দ্র একজন প্রথাবিরোধী, হিন্দুসমাজ বিদ্বেষী লেখক হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসে তিনি হিন্দু সমাজের বর্ণ প্রথার তীব্র সমালোচনা করেছেন। “পল্লীসমাজ” তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

রমেশকে কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে মনে হলেও, আমার মনে হয় এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সমাজ-ই। কেননা, রমেশের ব্যক্তিজীবনের চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে সমাজ ব্যবস্থা। রমেশ-রমার অস্ফুট প্রেমের চেয়ে বেশি প্রকাশ পেয়েছে সমাজের মানুষের হীনতা, নীচতা, স্বার্থপরতা ও ব্যক্তি বিদ্বেষ।

আমি এ পর্যন্ত শরৎচন্দ্রের যতোগুলো উপন্যাস পড়েছি, “পলীসমাজ” সেগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করি। এখনো “শ্রীকান্ত” পড়িনি। আশা করি “শ্রীকান্ত” পড়লে আমার অভিমতে কিছুটা পরিবর্তন হবে। ক্লাস সিক্সের বাংলা বইয়ে যখন শ্রীকান্তের অংশবিশেষ পড়েছিলাম, আমার তখন মনে হয়েছিল — আমি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গল্পটি পড়েছি।

যাইহোক! পল্লীসমাজ নিয়ে বলছিলাম। পল্লীসমাজকে আমার মনে হয়েছে বিষয়বস্তু অনুসারে অত্যন্ত যথার্থ এবং সার্থক। এখানে নেই কোন বাড়াবাড়ি বা আতিশয্য। কোথাও কোন ঘাটতিও নেই।

আরেকটি কথা। আমি যখন শরৎচন্দ্রের কোন লিখা পড়ি, আমার মনে হয় আমি কোন মুভি দেখছি। কাহিনী, সংলাপ, চরিত্রগুলো — সবকিছু যেন মুভির মতো। তাঁর কিছু গল্প-উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়িত রূপ দেখেছি বলেই হয়তো মনে এরকম মনে হয়। কিংবা তাঁর লিখায় চলচ্চিত্রের অনেক উপাদান অন্তর্নিহিত থাকে বলেই হয়তো।
Displaying 1 - 30 of 62 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.