ভীষণ অবাক হয়ে মফিজ সাহেব তার ছেলের প্রেমিকা মিতুকে বলেন, ‘আম্মাজান, ভাত খেয়ে তুমি হাত ধুচ্ছো কেন!হাতের সঙ্গে অনেক তেল লেগে আছে, তেলগুলো সাবান দিয়ে ধুয়ে না ফেলে মাথার চুলে মাখো। এতে মাথায় তেলও দেয়া হবে, আর সাবানের ক্ষারে হাতও নষ্ট হবে না তোমার।’ দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবে, সে জন্য না, দাঁও পরিষ্কার করতে হলে ব্রাশ আর টুথপেষ্ট কিনতে হবে, দাঁত ব্রাশও করেন না মফিজ সাহেব। খুব কৃপণ একজন সাহেব। এতদিন তিনি ভালোই ছিলেন, হঠাৎ একটা মুশকিলে পড়েছেন তিনি-তার একমাত্র ছেলে বিয়ে করতে চায়। অবশ্য কথাটা সে মুখে বলে না, আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়-তার একজন বউ দরকার।কিন্তু ছেলেকে তিনি বিয়ে করাবেন না। কারণ বিয়ে করাতে হলে অনেক টাকা খরচ হবে, কাউকে তিনবেলা খেতে দিতে হবে, আরো অনেক কিছু। ছেলে কিন্তু বিয়ে করবেই-সে ও শুরু দেয় অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কাণ্ড। মাঝরাতে হঠাৎ একদিন মফিজ সাহেবের ঘরে একজন মানুষ আসে। তারপর থেকেই কেমন যেন হয়ে যান তিনি।বাড়িতে চোর ঢোকে, কিছুদিন পর পর চুরি হয় তার বাড়িতে। তারপর একদিন........।
Sumanto Aslam ( Bengali: সুমন্ত আসলাম) is a Bangladeshi journalist and novelist. He was the sectional editor of Alpin, the weekly satirical supplement of Prothom Alo and wrote his editorial under the banner "Boundule". Now he is the sectional editor of Pachal.
মফিজ সাহেব চরিত্রটি যেন একেবারে জীবন থেকে তুলে আনা—তার কৃপণতা, চিন্তাধারা, কথাবার্তা এতটাই বাস্তব আর মজার, যে না হেসে থাকা দায় । লেখকের ভাষা সহজ, সাবলীল আর হাস্যরসের জায়গাগুলো বেশ স্বাভাবিকভাবে এসেছে ।
গল্পে শুধু কৌতুক নয়, মানব স্বভাব আর পারিবারিক দ্বন্দ্বের এক চমৎকার মিশেল আছে । হালকা ধাঁচের হলেও গল্পে একটা টান রয়েছে, ফলে এক বসায় পড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে ।
যারা ব্যস্ত জীবনে একটু হালকা হাসির খোরাক খুঁজছেন—তাদের জন্য একদম পারফেক্ট একটা বই। রিফ্রেশমেন্টের জন্য দারুণ পছন্দ ।
একরকম খেয়ালের বশেই বইটা কিনেছিলাম। ফ্ল্যাপের লিখাও ভালভাবে পড়া হয় নাই। রম্য রচনা টাইপ লেখা শেষ কবে পড়েছিলাম খেয়ালে আসে না। তাও বলতে হবে যে কিছু জায়গা বেশ কৌতুককর, আবার কিছু জায়গা জোর করে হাসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। হালকা কিছু পড়ার জন্য মোটামুটি বেশ ভাল একটা বই।