Chandra Shekhar (1875) is a novel by Bankim Chandra Chatterjee. Recognized as a pioneering work of Bengali literature with universal romantic themes, Chandra Shekhar is a story that engages with the subjects of marriage, suicide, and heredity in Hindu culture. “On the bank of the Ganges, there was seated a boy under the green mantles of the mango groves, enjoying the evening melody of the flowing Bhagirathi. Under his feet lay, on the green bed of grass, a little girl, casting upon his face her lingering glances―silent and motionless.” Along the banks of the sacred river, two star-crossed lovers count the boats as they pass. Although they love one another, Pratap and Shaibalini cannot marry―they are distant relatives, and such a match is forbidden. Distraught, Pratap proposes they commit suicide together by slipping into the slow, silent water, disappearing in a marriage of death. As his head goes under, Shaibalini begins to have doubts, surfacing just in time to see the gallant Chandra Shekhar dive in to save Pratap. Unaware of his intentions, the older man makes sure the younger is alright, then sets his sights on the lovely Shaibalini. Tragic and timeless, Chandra Shekhar is a brilliant romance from a legendary figure in Bengali literature. With a beautifully designed cover and professionally typeset manuscript, this edition of Bankim Chandra Chatterjee’s Chandra Shekhar is a classic of Bengali literature and utopian science fiction reimagined for modern readers.
Bankim Chandra Chattopadhyay (Bengali: বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ('Chattopadhyay' in the original Bengali; 'Chatterjee' as spelt by the British) was a Bengali poet, novelist, essayist and journalist, most famous as the author of Vande Mataram or Bande Mataram, that inspired the freedom fighters of India, and was later declared the National Song of India.
Complete works of Bankim Chandra Chattopadhyay (বঙ্কিম রচনাবলী) is now available in this third party website (in Bengali): https://bankim-rachanabali.nltr.org/
Chatterjee is considered as a key figure in literary renaissance of Bengal as well as India. Some of his writings, including novels, essays and commentaries, were a breakaway from traditional verse-oriented Indian writings, and provided an inspiration for authors across India.
এ জগতে মনুষ্য কে আছে যে, আমার এ ভালবাসা বুঝিবে! কে বুঝিবে, আজি এই ষোড়শ বৎসর, আমি শৈবলিনীকে কত ভালবাসিয়াছি। পাপচিত্তে আমি তাহার প্রতি অনুরক্ত নহি—আমার ভালবাসার নাম—জীবনবিসর্জনের আকাঙ্ক্ষা। শিরে শিরে, শোণিতে শোণিতে, অস্থিতে অস্থিতে, আমার এই অনুরাগ অহোরাত্র বিচরণ করিয়াছে। ------প্রতাপ(চন্দ্রশেখর)
অসাধারণ এই উপন্যাসের সত্যিই প্রেমে পড়ে গেলাম। যদিও নাম চন্দ্র শেখর, কিন্তু ভালো লাগলো প্রতাপ কেই।
"চন্দ্রশেখর" ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস। ইতিহাসের সাথে গ্রামীণ জীবনের প্রেম ভালবাসা তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। শৈবলিনী আর প্রতাপ ভালবাসার এক স্মৃতিস্তম্ভ। তাদের জীবনে প্রেম এসেছে আর্শীবাদ রুপে। চন্দ্রশেখর তার স্ত্রীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এক অসহায় প্রেমিক। তিনি ব্রাক্ষ্মন হয়েও তার কৌমার্য হৃদয়ে ভালোবাসার পুষ্পকরথ রেণু নিয়ে আসে শৈবালের।
"চন্দ্রশেখর" এ মীর কাসেমের সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে তিনি গল্প ফেঁদেছেন। তিনিই প্রথম ইতিহাসের সাথে রোমান্সের সম্পর্ক স্থাপিত করেছেন। তার উপন্যাসে সূর্য উদয় হয় প্রেমের বার্তা নিয়ে। তার প্রতিটি চরিত্র আপনাদের মাঝে সুখী। কুসুমকোমল শরীরে তার চরিত্র গুলোর দুঃখ আমার সহ্য হয় না। শৈবলিনীর তিরস্কার আমার বুকে বাধে। সুন্দরী যখন বলে, "শৈব তুই আর ফিরিস না, মরে যা গঙ্গায় ডুবে।" বুকের ভিতর চিৎকার দিয়ে উঠে ভালোবাসা ছাড়া শৈবলিনী বাঁচবে না রে পৃথিবীতে। পৃথিবী ত্যাগ করিয়া ও কোথায় যাইবে। সুখ তো সে পাবে না, না প্রতাপ তার হইলো, না স্বামীগৃহ তার নিজের আপন গৃহ হইলো।
শৈবলিনীর মতো সুন্দর পুরুষ যেন কোথাও নাই, এমন রুপ কখনও দেখি নাই। আমার কাছে তো মনে হচ্ছে, এ অধম স্ত্রীজাতিও বুঝি কেবল কাঁচামিটে। কুলসুম, ফস্টর, দলনী বেগম, নবাব সবাই যেন নিজেদের মাঝে আত্মলীন। ভাগ্যের কাছে তারা অধরা। সৌন্দর্য সৃষ্টি কিংবা গল্প বলার মত শক্তিশালী ভাষা বঙ্কিম বাবুর ন্যায় কেউ পারবে না। তিনি অতুলনীয় তার মধ্যে।
শিল্পগুণ না থাকলে তিনি শিল্পী তার চরিত্রে জীবনে। তার উপন্যাস পৃথিবী ছাড়াও কিছু আছে, যাদের রক্ত মাংসে গঠন হয়, যেন চন্দ্রকর কি পুষ্পসৌরভকে অশরীরী দিয়ে তার উপন্যাস গড়ে তুলেছে।
#এক্কেবারে পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়, gimmik আর hype-এর ডানায় ভর দিয়ে ভেসে থাকা ওভাররেটেড বই
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : Overrated মানেই খারাপ না। অনেক সময় বইগুলো cultural বা emotional value-র জন্য বড় হয়ে ওঠে, অথচ সাহিত্যমান হয়তো তেমন উঁচু নয়।
বঙ্কিম বাংলা উপন্যাসের পিতৃপুরুষ। কিন্তু সব বাবার সব সন্তানই তো প্রতিভাবান হয় না, তাই না? হ্যাঁ, "চন্দ্রশেখর" সেই হালকা হেমন্তে জন্মানো এক literary offspring, যার আছে heroic হ্যাংলামি, প্রেমের পদ্মপুকুর, আর দেশপ্রেমের বিস্বাদ মশলা—কিন্তু গোটা রান্নাটাই জ্বলে গেছে।
চন্দ্রশেখর নিজে এক বিষণ্ন বিপ্লবী। কিন্তু তার বিপ্লবটা কি, কার বিরুদ্ধে, কেন, কীভাবে—এই প্রশ্নগুলোকে ঠেলে ফেলে দিয়ে তিনি একটা emo journal চালিয়ে যাচ্ছেন। "আমার মরণ চাই", "আমি দেশ বাঁচাব", "ওই যে সে রমণী..." — মানে ভাই, তুমি ঠিক করো তুমি কী চাও!
এমন একজন নায়ক যার স্ট্যাবিলিটি নেই, অথচ তাঁকে বানানো হয়েছে বঙ্কিমীয় আদর্শের প্রতীক। কিন্তু সেই আদর্শ এতটা ওভারড্রামাটাইজড আর বেদনার অন্ধকারে ঢাকা, যে মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা কোনও কিশোর কবির লেখা পড়ছি।
এই উপন্যাসে যেভাবে ঘটনার নাটকীয়তা চরমে পৌঁছয়, তা দেখে দুঃখ নয়, বরং হাসিই পায়। এত অতিনাটকীয় সংলাপ, হঠাৎ হঠাৎ আবেগের বন্যা, আর “নিয়তি-দেবীর” অতিরিক্ত ইনভলভমেন্ট—সব মিলিয়ে উপন্যাসটা যেন একটা low-budget historical serial.
সুখময়ী আর ব্রজেশ্বরীর চরিত্র চন্দ্রশেখরের নাটকের পাশে কেবলমাত্র accessory, যাদের অস্তিত্ব পুরুষজাতির হাহাকার পূরণে। নারী মানেই পবিত্র, ত্যাগী, প্রেমে অন্ধ – এই narrative বঙ্কিমের এই উপন্যাসে ভয়ানক ক্লিশে ভাবে ঠাঁসা। রক্তমাংসের বাস্তব নারী এখানে নেই – কেবল ত্যাগ আর ব্যথার মূর্তি।
"চন্দ্রশেখর"-এ দেশপ্রেম এমনভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন এটি patriotism on prescription. পাঠকের আবেগ চাড়া দেয়ার জন্য দেশমাতৃকার প্রতি এক অদ্ভুত কিন্তু ভাসা-ভাসা শ্রদ্ধা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ রাজনৈতিক দর্শন, বাস্তব সংগ্রাম কিংবা বাস্তবিক অর্থে ‘দেশ’-এর ধারণা রীতিমতো জিরো।
বঙ্কিমচন্দ্রের ক্লাসিক, সংস্কৃত-ঘেঁষা গদ্য—যা এই উপন্যাসে এসে পরিণত হয়েছে এক বিরক্তিকর ভাষাচাপ-নির্ভর সাহিত্যকর্মে। পৃষ্ঠা পর পৃষ্ঠা ধরে যে ভাষায় চরিত্র কথা বলে, তাতে পাঠক আনন্দ নয়, বরং ট্রান্সলেটরের দরকার বোধ করেন।
এমনিতে ভাষা শক্তিশালী, কিন্তু যেটা কাহিনী-প্রবাহের সহায় হয় না বরং বাধা হয়ে দাঁড়ায়—সেটা আর সাহিত্যরস দেয় না, দেয় গলফুলে হাঁপ ধরা।
এটা সেই ধরণের বই যেটা বাংলা সাহিত্যের সোনালি ফ্রেমে বাঁধা, কিন্তু কাঁচের পেছনে একটা faded ছবি – যার শিল্পমূল্য নয়, ঐতিহাসিক নস্টালজিয়াই আসল পুঁজি।
এড়িয়ে যান। ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল পিয়ানো শুনুন ইউ টিউবে বরঞ্চ।
কাহিনী ভাল। কিন্তু উনার মানসিকতা রামের চেয়েও খারাপ। রাম সীতাকে সতীত্বের পরীক্ষা নিয়েছিল। চন্দ্রশেখর শৈবালিনীর পরীক্ষা নেয়। ভালোবাসা আর যুদ্ধের মিশ্রণ বেশ ভালই লেগেছে।