Jump to ratings and reviews
Rate this book

মৈমনসিংহ গীতিকা - মহুয়া ও দেওয়ানা মদিনা

Rate this book
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আনুকূল্যে চন্দ্রকুমার দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মৈমনসিংহ গাথা সংগ্রহাক হিসেবে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন মহাশয়ের কাছ থেকে পালাগুলো সংগ্রহ করে আনেন। মৈমনসিংহ গীতিকার মূল বইতে অনেকগুলো পালা থাকলেও এই বইতে শুধু ২ টি পালা আছে।

যে পালাগুলো আছেঃ
মহুয়া (রচয়িতা দ্বিজ কানাই)
দেওয়ানা মদিনা (রচয়িতা মনসুর বয়াতী)

111 pages, Hardcover

First published August 1, 2008

20 people are currently reading
196 people want to read

About the author

Dinesh Chandra Sen

58 books10 followers
Rai Bahadur Dinesh Chandra Sen (Bengali: দীনেশ চন্দ্র সেন) was a Bengali writer, educationist and researcher of Bengali folklore. He was the founding faculty member and the Ramtanu Lahiri Research Fellow of the Department of Bengali Language and Literature of the University of Calcutta.

In 1882, he passed his University Entrance examination from Jagannath University in Dhaka. In 1885, he passed his F.A. examination from Dhaka College. He passed his B.A. examination with Honours in English literature in 1889 as a private student. In 1891, he became the headmaster of the Victoria School in Comilla. During 1909-13, he was a Reader in the newly founded Department of Bengali Language and Literature of the University of Calcutta. In 1913, he became the Ramtanu Lahiri Research Fellow in the same Department. In 1921, the University of Calcutta conferred on him the Doctorate of Literature in recognition of his work. In 1931, he received the Jagattarini gold medal for his contribution to the Bengali literature. He retired from service in 1932.

He worked on collection and compilation of Bengal folklore. Along with Chandra Kumar De, he published Mymensingh Gitika (Ballads of Mymensingh), a collection of 21 ballads.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
19 (34%)
4 stars
16 (29%)
3 stars
5 (9%)
2 stars
6 (10%)
1 star
9 (16%)
Displaying 1 - 4 of 4 reviews
Profile Image for Mosharraf Hossain.
Author 3 books57 followers
December 23, 2014
হুট করেই নীলক্ষেত থেকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে কেনা একটা বই এতোটা মুগ্ধ করবে সেটা কল্পনাতেও ছিলো না। ইদানীং বই পড়ার জোশে আছি বলে সংগ্রহের যে বইগুলোর প্রতি আগ্রহ কম খুঁজে খুঁজে সেই বইগুলো বের করে পড়তে শুরু করেছি। মৈমনসিংহ গীতিকা সেই কম আগ্রহের বইয়ের একটা।

শুরুতেই দেয়া আছে বইয়ের পালা গুলো সংগ্রহ করতে গিয়ে চন্দ্রকুমার কে কি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে তার কিছু বর্ণনা। পালাগুলোর বেশির ভাগই রচনা করা চাষিদের মুখে মুখে, ছিল না কোন লিখিত রূপ। লোকের মুখে মুখে প্রচলিত এই সব পালার শ্রোতার অভাবে একসময় হারিয়ে যেতে শুরু করলো। একটা সম্পূর্ণ পালার একেকটা গান হয়তো একেকজন মনে রেখেছে, তাদের সবার কাছ থেকে শুনে পুরো পালাটা চন্দ্রকুমারকে সংগ্রহ করতে হয়েছে।

পালাগান গুলোর অধিকাংশই ময়মনসিংহের কোন কোন ঘটনাকে অবলম্বন করে রচিত। যে ঘটনা লোকজন শুনেছে কান্না ভেজা চোখে, যে সকল অবাধ, বাধাহীন অত্যাচারকে প্রতিহত করার ক্ষমতা কারো ছিল না, যে সকল নির্যাতনে পিষ্ট হয়েছে নিরীহ প্রাণ, সেই সকল করুণ কাহিনীগুলোকে গ্রাম্য কবিরা নিজেদের মতো করে সুর বেঁধে কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন। যারা গান বেঁধেছে তাদের হয়তো অক্ষর, মাত্রা, শব্দ, ছন্দের কোন জ্ঞান ছিলোনা, তবে ছিল কবিত্বের প্রতি, ছন্দের প্রতি অফুরন্ত টান।

পৌরাণিক উপাখ্যান বিষয়ক কাব্যকথা প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যে অনেক পাওয়া যায়, সাহিত্যের মূল্য মান বিচারে তারা অবশ্যই অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। কিন্তু “মহুয়া”, “মলুয়া”, “দেওয়ানা মদিনা” এদের তুলনা যে সেই সকল পৌরাণিক কাব্যকথার সাথে কোনভাবেই হয় না। পৌরাণিক উপাখ্যানগুলোতে হয়তো সংস্কৃত শব্দের, মাত্রার, ছন্দের যথোপযুক্ত ব্যবহার আছে, আর এই সব গীতিকাতে আছে পাড়া গায়ের সহজ, সরল কথা, যাতে নেই সংস্কৃতের কোন ছোঁয়া, যারা তাদের নিজ গুনেই অনন্য, অসাধারণ। এই সব পল্লী গাথায় আছে খাটি বাঙ্গালী জীবনের ছোঁয়া, এইসকল পল্লী গাথা স্বর্গ থেকে প্রাপ্ত অমৃত নয়, এটা আমাদের পাশের বাড়ির আমগাছের মৌচাকের মধু, তাই বোধহয় এই মধুর আস্বাদে এতোটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।

সবশেষে একটা আফসোস............... মৈমনসিংহ গীতিকাতে যে পালাগুলো আছে সেগুলো হল,
* মহুয়া (রচয়িতা দ্বিজ কানাই)
* চন্দ্রাবতী (রচয়িতা নয়নচাঁদ ঘোষ)
* কমলা (রচয়িতা দ্বিজ ঈশান)
* দেওয়ানা মদিনা (রচয়িতা মনসুর বয়াতী)
* দস্যু কেনারামের পালা (রচয়িতা চন্দ্রাবতী)
* কঙ্ক ও লীলা
* মলুয়া
* দেওয়ান ভাবনা
* কাজলরেখা
* রূপবতী

কিন্তু আমার কেনা বইটাতে আছে শুধু মহুয়া আর দেওয়ানা মদিনা পালা। এখন এই গীতিকার সম্পুর্ণ টা কেনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হইবো
Profile Image for Monisha Mohtarema.
86 reviews2 followers
June 26, 2022
মহুয়া || দ্বিজ কানাই

নদের চাঁদের বসতভিটা সুসং দুর্গাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং ঝাঞ্ছাজাইল বাজার থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে বাউরতলা গ্রামের পাশে। সুদর্শন পুরুষ নদের চাঁদ ছিলেন এক জমিদারের দেওয়ান। অপর পক্ষে রূপবতি মহুয়া বেদে সরদার হুমরা বেদের পালিত কন্যা, যাকে শিশুকালে হুমরা বেদে নেত্রকোণার কাঞ্চণপুর থেকে ডাকাতি করে নিয়ে আসে। জানা যায়, বেদে মহুয়াও এক সভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন। বেদেরা ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর ফেলত ও হাট বাজারে পাড়ায় সাপের খেলা দেখাত। বেদে মহুয়া যখন নদের চাঁদের গ্রামে সাপের খেলা দেখাতে আসেন তখন মহুয়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে নদের চাঁদ তাকে প্রণয় নিবেদন করেন। মহুয়াও নদের চাঁদের প্রণয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। কিন্তু দুজনের প্রণয়ের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরদার হুমরা বেদে। এক দিন নদের চাঁদ মহুয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে হুমরা বেদে তা জানতে পেরে দলবল নিয়ে তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। অবশেষে তারা মহুয়া এবং নদের চাঁদকে ধরে ফেলে। হুমরা বেদে নদের চাঁদকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। সরদার মহুয়ার হাতে বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে বলে ‘‘যাও নদের চাঁদকে মেরে ফেল’’। বিষলক্ষা ছুরি নিয়ে মহুয়া নদের চাঁদের দিকে এগিয়ে যান। নদের চাঁদের সম্মুখে পৌছে বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে তিনি তাঁর নিজের বক্ষ বিদীর্ণ করেন এবং মাটিতে ঢলে পড়েন। প্রণয় পিয়াসী নদের চাঁদ মহুয়ার এই আত্মত্যাগ সহ্য করতে না পেরে প্রেমের প্রতিদান সরূপ বিষলক্ষা ছুরি দিয়ে নিজ জীবন আত্মহুতি দেন। মহুয়া ও নদের চাঁদের এই আত্ম ত্যাগ চিরন্তন প্রেমকে মহিমান্বিত করেছে। আজও সেই প্রেমের অমর কহিনী লোক মুখে মুখে বিরাজমান।
Displaying 1 - 4 of 4 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.