এরিস এক্স। ভয়ংকর এক খুনি। দ্য রেবেল। এক বিদ্রোহী দলের নেতা। আযহার। একজন ব্যবসায়ী, যে হারিয়ে ফেলেছে তার অতীতের সব স্মৃতি। রাতের আঁধারে খুন হয়ে গেলেন একজন বিজ্ঞানী। মারা যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ধ্বংস ঘনিয়ে আসছে। ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে রেড আর্মি। কী চায় ওরা? পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রচণ্ড ছোঁয়াছে হেডিস ভাইরাস। মারা যাচ্ছে মানুষ। মাস্ক, গ্লাভসসহ সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করেও লাভ হচ্ছে না। অথচ বিদ্রোহী লিবারেশন ফ্রন্ট বলছে, চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাবে না সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু কেন? কে সেই স্নাইপার, যে খুন করতে চায় দ্য রেবেলকে? এসব কিছুর সঙ্গে আযহার ও তার স্ত্রী জুলির কী সম্পর্ক? এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে সময়ের ছায়ায়, ইনকারনেশনের পাতায়। যেখানে আযহার, এরিস এক্স ও দ্য রেবেলের গল্প এসে মিলেছে এক বিন্দুতে।
নাজিম উদ দৌলার জন্ম ১৯৯০ সালের ৪ নভেম্বর নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জে। পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলায় হলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকার আলো বাতাসের মাঝে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বেশ কয়েক বছর বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি করেছেন।বর্তমানে দেশের প্রথম সারির প্রডাকশন হাউজ আলফা আই-এ ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। লেখালেখির চর্চা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে লিখছেন ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। ২০১২ সালে প্রথম গল্প “কবি” প্রকাশিত হয় কালান্তর সাহিত্য সাময়িকীতে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয় তার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস “ইনকারনেশন”। একই বছর আগস্টে প্রকাশিত হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার “ব্লাডস্টোন” তাকে এনে দেয় বিপুল পাঠকপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত ৬টি থ্রিলার উপন্যাস ও ৩টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। সাম্প্রতিককালে তার চিত্রনাট্যে নির্মিত "সুড়ঙ্গ" সিনেমাটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শান, অপারেশন সুন্দরবন, দামাল, বুকের মধ্যে আগুন, দ্যা সাইলেন্স, লটারি-এর মতো বেশি কিছু আলোচিত সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। অবসর সময় কাটে বইপড়ে, মুভি দেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। সদালাপী, হাসি খুশি আর মিশুক স্বভাবের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের, যেখানে প্রত্যেকটি এক হয়ে মানুষ দেশ গড়ার কাজে মন দেবে।
ভাইয়ার প্রথম বই। কাহিনী সংক্ষেপটা দেখেই বইটার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিলো আমার। তারপর শুরু করলাম। প্রথম থেকে মাঝ পর্যন্ত সব কিছুই ভালো মতো আগাচ্ছিলো। কিন্তু শেষটা....!? শেষর দিকটা মোটেও টানেনী আমাকে। কেমন যেন একটা খাপছাড়া ভাব চলে এসেছিলো ভাইয়ার লেখায়। সত্যি বলতে শেষটা আমার ভালো লাগেনী।
তবে গল্পের প্লটটা বেশ ইউনিক ছিলো। যেহেতু প্রথম বই ভাইয়ার,তাই সবার চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যাশার পুরন না হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমারো হয়নি। তবে ভাইয়া চাইলে আরো ভালো করতে পরতো।
আরেকটা কথা না বললেই নয়, ভাইয়ার প্রথম লেখার সাথে বর্তমান লেখার আকাশ পাতাল পার্থক্য! সময়ের সাথে সাথে একজন লেখকের লেখার ধরনে পরিবর্তন আনাটা লেখালেখির সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা। কিছুদিন আগে ব্লাডস্টোন বইটা পড়লাম। জাস্ট অসাধারণ মাইন্ডব্লোয়িং ছিলো বইটা।
বইয়ের শুরুতে বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে একটা মাত্র দেশ থাকে "ইউনাইটেড আর্থ" কিন্তু বইয়ের অনেক জায়গায় বলা হয়েছে "অন্যান্য দেশ" যা গল্পে অনেক প্রভাব ফেলেছে! এই জিনিসটা ছাড়া বাকি বই চমৎকার ছিল! আমার যেন কেন মনে হইতেসিল আযহার আর এরিস এক্স একই লোক কিন্তু গল্পে হঠাৎ এরিস এক্স এর আগমনের পরও মনে হইসে এক লোক আমি ভাবসি অন্য কেউ প্লাস্টিক সার্জারি করে এসেছে! ক্লোন হবে আশা করিনি! প্রথম বই হিসাবে দারুন ছিল! আশা করি আরও অসংখ্য বই পাব!
প্লট ভাল ছিল। শুরুর দিকের ফাইটিং সিকুয়েন্সগুলাও ভাল ছিল। তারপর, সব ফ্ল্যাট হয়ে পড়ে গেল। বইটা পড়ে মনে হতে বাধ্য, যে লেখক ৪০০ পেজের একটা বইকে ১৬০ পেজে শেষ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টও অদ্ভুত রকমের কনফিউজিং। কাহিনী কিছুক্ষণ পর পর একটা লাফ দিয়েছে, আর আগের পেজে যা ছিল, তা বেমালুম ভুলে যেতে হয়েছে। বইটার সাইজ বাড়ানোর দরকার ছিল। নাজিম ভাইয়ের ছোটগল্প গুলা পড়েছি, এইরকম একটা প্লটে বড়সড় একটা বই লিখতে পারলে এপিক একটা সাইন্স ফিকশন হইতে পারত.....
বানান ভুলের সমাহার, দুর্বল টুইস্টে বড়পুর, ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক স্থানের বর্ণনায় অদরকারী কচকচানি , অহেতুক কথাবার্তা এবং সম্ভোধনের বিভ্রাট ১৬০ পৃষ্ঠার বইটিকে করেছে খুবই অনাড়ম্বর এবং বিরক্তিকর।একটা পর্যায়ে আমার মনে হচ্ছিল কখন শেষ হবে বইটি।
গল্পটার সাথে কানেক্ট হতে বেশ কিছু সময় লাগে। পড়ার সময় মনে হলো এই শুরু এই শেষ। শুরুটা ভালো হলেও শেষটা হতাশা জনক। মনে হচ্ছিল, গল্পটা আরো স্লো হলেই ভালো লাগত। শেষটা একদমি টানতে পারেনি। একশন আরো হলে বেশি ভালো লাগত। লেখকের প্রথম বই যেহেতু, সেই হিসাবে ওতটাও নিরাশ করে নি।
লেখকের প্রথম বই। খুব আগ্রহ থেকে পড়লাম। ভবিষ্যতের পৃথিবীর এক অস্থির অরাজক সময়ের সায়েন্সফিকশন জনরার উপন্যাস। পরিস্থিতির সুযোগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেয় রেড আর্মি। জনগণকে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিশ্রুতি দিলেও আড়ালে রেড আর্মি শুরু করে তিনটি সিক্রেট প্রজেক্ট। উদ্দেশ্য চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকা। একটা প্রজেক্টের নাম ছিলো এরিস। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের উপর গবেষণা করে তাদের বানানো হচ্ছিল রাগ অভিমান, দুঃখ, ব্যাথা বেদনাহীন কিলিং মেশিন। গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর আ্যলেক্স আরভিন। গবেষণা সবাই মারা গেলেও বেঁচে যায় শুধু একজন। তার নাম এরিস এক্স। তাঁকে ব্যবহার করা হচ্ছিল সরকারবিরোধীদের হত্যা করতে। একদিন এরিস এক্সের স্রষ্টা ড. আরভীন বেকে বসেন । ফলস্বরূপ তাকে হত্যা করতে পাঠানো হয় এরিস এক্সকে। কিন্তু ড.আরভিন জানতেন, এরিসের অবদমিত মনের কোন এক কোণায় সঙ্গপনে মানবীয় অনুভূতি আজও লুকিয়ে আছে। তাই মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে একটি সিডিতে তিনি এরিসের জন্য রেখে যান ভয়ানক গোপন কিছু তথ্য। কি ছিল সেই তথ্যে? কে ছিল হিলসিটির আযহার কেই বা তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসা মায়াবতী তরণী জুলিও?
ইনকারনেশন একটি থ্রিলার উপন্যাস যার কেন্দ্রীয় চরিত্রটি একটি বিদ্রোহী চরিত্রের প্রেক্ষিতে আবর্তিত হয়৷ যে কি না নিজের অতীতকে বদলে যেওয়ার প্রয়াসে বর্তমানে ভিন্ন এক পরিচিতিতে জীবনযাপন করছে৷ কয়েকটা ডিজিট স্মৃতিকে সম্বল হিসেবে নিয়ে বিদ্রোহী সে চরিত্রটি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে লড়ে যাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী অদৃশ্য কোন শক্তির সাথে৷
পৃষ্ঠা হিসেবে বলতে গেলে, বেশী একটা বড়সড় উপন্যাস নয় এটি৷ আছে চমক, আছে মানুষের মত ক্ষমতাধর কোন রোবটের গল্প৷ সত্যি বলতে প্রথম দিকে অতিরিক্ত একশন ধর্মী কিছু দৃশ্যের বর্ণনা থাকায় রেস্টিং স্পেস না দেওয়ায় কেমন যেন একঘেয়েমি লাগতে শুরু করছিল৷ পরে নির্দিষ্ট ঘটনাক্রমে আবার আগ্রহ ফিরে পাই এবং উপন্যাসে বুঁদ হতে থাকি৷
সব মিলিয়ে, উপন্যাসটি আমার ভালো লেগেছে৷ মৌলিকত্ব আছে,চমক আছে, ধুন্দুমার একশন আছে। তবে কেন যেন ইমোশনালি বইটা আমাকে স্পর্শ করতে পারে নি৷ বইটাতে একঘেয়ে একশনের পাশাপাশি সিচুয়েশন হালকা করতে কিছু এক্সট্রা জিনিসের অভাব বোধ করেছি বলতেই হবে৷
লেখকের প্রথম উপন্যাস হওয়াতে হয়তো এসবে তেমন রূঢ়ভাবে না জাজ করাই উত্তম হবে৷
প্লট ভালো ছিল। গল্পের শুরু থেকে যে টানটান উত্তেজনা ছিল সেটা শেষ এসে একঘেয়ে লেগেছে। কিছু জিনিস আমার কাছে কনফিউজ�� লাগছে যেমন - প্রথমে বলা হয়েছে এরিস এক্স রোবট। তার মাঝে আবেগ অনুভূতি নাই। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে তার মাঝে সকল আবেগ অনুভূতির প্রকাশ পাচ্ছে। সব থেকে বড় কনফিউশান তৈরি হয়ছে তখন যখন বলা হয়েছে এরিস এক্সের ক্লোন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে একটা রোবটের ডিএনএ কেমনে থাকে??
নাজিম উদ দৌলা এর প্রথম বই হিসেব ভালো লিখছে। ওনার লিখা প্রথম বই দিয়ে ওনার বই পড়া শুরু করলাম। বই এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় একটু সমস্যা ছিল যেমন প্রথম দিকে বলা হয়েছে বর্তমানে কোনো দেশ নেই এখন কিন্তু এর কয়েক চ্যাপ্টার পরে বলে বিভিন্ন দেশ আছে।এই রকম আরো ছোট খাটো ভুল আছে।এই সব ভুল বিবেচনার না আনলে বই টা নতুন লিখা হিসেবে ভালো হয়েছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
'ইনকারনেশান' থ্রিলারটির যে দিকটা আমায় সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে তা হল গতিময়তার অভাব। অ্যাকশন থ্রিলারকে হতে হয় খরস্রোতা নদীর মত উত্তাল, প্রতিটি পাতায় থাকতে হয় টানটান উত্তেজনা। সেই তুলনায় ইনকারনেশান অনেকটা শান্ত সাগরের মত। থ্রিলারের সেই উত্তেজনা খুব একটা নাই ! নাহ, গতিময়তা নাই, ব্যাপারটা ঠিক তেমনও না। এর গতিটা অনেকটা ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালানোর মত। ১০০ কিমি স্পীডে কিছুটা পথ এগিয়েই হঠাৎ করেই হার্ডব্রেক ! তারপর কিছুটা গিয়েই আবার ব্রেক। তারপর ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে যাওয়া...
কাহিনীটা ভালই। মানব জাতি তখন উন্নতির চরম শিখরে। ক্ষমতার লোভে পরাশক্তিগুলো অন্তঃকলহে লিপ্ত। শুরু হল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, চলল পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার। তেজস্ক্রিয়তায় পৃথবীর বেশির ভাগ জায়গাই বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট বাসযোগ্য ভূমিটুকু নিয়ে গঠিত হল নতুন একটা উপমহাদেশ- ইউনাইটেড আর্থ !
ক্ষমতার লোভ মানুষের চিরন্তন রিপুগুলোর মধ্যে একটি। পৃথবীর ভগ্নাংশ ইউনাইটেড আর্থেও মানুষের এই স্বভাব বদলালো না। শুরু হল অরাজকতা। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এল রেড আর্মি নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন - যাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। কিন্তু প্রবাদে আছে না - যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ ! রেড আর্মিও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য সবধরনের ষড়যন্ত্র করতে লাগলো।
মানুষ চিরন্তন মুক্তিকামী। স্বাধীনতার জন্য হাসতে হাসতে তারা প্রাণও দিতে রাজি। আবার শুরু হল স্বাধীনতার সংগ্রাম। একদিকে স্বাধীনতার লড়াকু সৈনিক, অন্যদিকে যেকোন মূল্যে ক্ষমতা ধরে রাখায় বদ্ধপরিকর রেড আর্মি শাসকগোষ্ঠী। কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে।
মূল থিমটা যতটা প্রাঞ্জল, পুরো উপন্যাসটা আসলে ততটা সাবলীল না। তার উপর মড়ার খাড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে প্রচুর বানান ভুল। এক এক পৃষ্ঠায় ৩-৪ টা ভুলও কয়েক জায়গায় দেখা গেছে। দৃষ্টিকটু লেগেছে একই পৃষ্ঠায় হিলসিটির পূর্ব নাম একবার বেশহর অন্যবার বেহশাহর লেখাটা। পড়তে পড়তে একবার মনে হয়েছিল আসলেই কি বইটির প্রুফ রিডিং করা হয়েছিল ? যদি করা হয়ে থাকে তবে ব্যাটা নির্ঘাত তার কাজে ফাঁকি দিয়েছে ! তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে প্রচলিত শব্দের বদলে লেখকের নিজস্ব বানানরীতি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমনঃ মিসাইল এর বদলে লেখা হয়েছে মিজাইল।
বইটির লেখক নাজিম ভাইয়ের লেখালেখির সাথে আমার পরিচয় ২০১৩ - র প্রথমভাগে। তার লেখালেখির স্টাইল, মান, লেখার পেছনে শ্রম, লেখার পেছনে তার ডেডিকেশান সম্বন্ধে আমি যদ্দুর জানি, তার প্রথম বই ইনকারনেশানে এসবের খুব একটা প্রতিফলন দেখতে পাইনি। তার প্রথম গল্পটা পড়ার পর থেকেই আমি তার সেই লেভেলের ফ্যান ! ইনকারনেশান নিয়ে তাই আমার প্রত্যাশাও ছিল অনেক বেশি। সেই তুলনায় বইটি পড়ে রীতিমত হতাশ।
উপন্যাসের শুরুর ভুমিকাটুকুই পড়েই বুঝে গেলাম আমি ঠিক যা খুজতেছি, এটা ঠিক তাই! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের পটভূমি যেখানে মানুষ নতুন করে পৃথিবীকে গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখছে! আমি হচ্ছি সাইফাই থ্রিলার বইয়ের অন্ধ ভক্ত, যেখানে সাইফাই পটভূমিতে দারুণ উত্তেজনা আর একশন থাকবে। আমার মনে হয় “ইনকারনেশন” এই জেনারে বাংলা সেরা বইগুলোর মধ্যে একটা হয়ে থাকবে সব সময়।
শুরুতেই তুমুল উত্তেজনা! লেখক আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন এক ভাড়াটে খুনির সাথে। দারুণ এক অ্যাসাসিনেসন ও স্কেইপ প্ল্যান এর বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। এটুকু পড়ে রিডাররা সবাই কনফিউজড হয়ে যাবেন! প্রথম চ্যাপাটারের ভিলেন দ্বিতীয় চাপ্টারে হিরো হয়ে গেল। কিন্তু থার্ড অধ্যায় থেকেই উপন্যাসের মোড় গেল ঘুরে! ফুল হিট এন্ড রান একশন থেকে এক লাফে চলে এলায় অচেনা অজানা এক পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে “আযহার” খুঁজে ফেরে হারানো কিছুকে। (গল্পের একটা প্রধান চরিত্রের নাম আমার সাথে মিলে গেছে দেখে তাজ্জব হয়ে গেছি!) খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যায় তার জীবনসঙ্গী জুলিকে। কিন্তু জুলির চোখে কেন বিষাদের ছায়া? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে লেখক আবার বিশাল এক একশনদৃশ্যের অবতারনা করেছেন। কিন্তু আযহারের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না কোথাও। তারপর সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য শুরু হল প্রচন্ড এক যুদ্ধ। স্থলে, আকাশে, সাগরে- সর্বত্র! কিন্তু ভাল আর মন্দের যুদ্ধ কি কখনও শেষ হয়? এই প্রশ্নের উত্তর লেখক নিজেও দেন নি। কিন্তু উপন্যাসের শেষ পাতায় দিয়ে গেছেন দারুণ এক টুইস্ট। গোটা উপন্যাস জুরেই ছোট খাট টুইস্ট রয়েছে বেশ কিছু যা আপনাকে সারাক্ষন ধরে রাখবে বইয়ের পাতায়। খালি মনে হবে- দেখি তো এরপর কি হয়? আর শেষ পাতার এই টুইস্ট আপনাকে চমকে দিবে দারুণ ভাবে! আমি অনেক কিছু ভেবে রেখেছিলাম! কিন্তু শেষে এসে দেখলাম সব ধারনাই ভুল! সত্যি অনবদ্য!
কি নেই উপন্যাসে?
সায়েন্স-থ্রিল-একশন-ওয়্যার-রোমান্স-এডভেঞ্চার-গভরনমেন্ট কন্সিপারেসি- সব কিছু। লেখক উপন্যাসটিকে সায়েন্স ফিকশন বলতে নারাজ, তিনি এটিকে থ্রিলার হিসেবে দেখেন। আমারও তাই মত, গতানুগতিক সায়েন্স ফিকশন এর বাইরে একদমই আলাদা স্বাদের এক উপন্যাস! বইটি নিঃসন্দেহে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন হয়ে থাকবে।
3.5 আসলে। চমৎকার প্লট সেই সাথে সাবলীল লেখনী গল্পটাকে এভারেজের চেয়ে ওপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষের একটু আগ থেকে একটা খাপছাড়া লাগা শুরু হয়। তবে কয়েকটা জায়গা অপ্রয়োজনীয় এবং দূর্বল মনে হলেও ইনকারনেশন খুব একটা খারাপ না।
শুরু হিসেবে খারাপ না। অতিরিক্ত বর্ণনা। আর বিদেশী উপন্যাসের অনুকরনে লিখা। প্লট ভালো ছিল। কিন্তু কেন জানি বারবার সুর কেটে যাচ্ছিল। আযহারের ঘটনা থেকে আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। আযহ��র এবং এরিক্স এক্স এর জীবন কাহিনী সমান্তরালভাবে বর্ণনা করলে আরো ভাল হত।
first half was great , i started to expect more , thought it'll be more thrilling afterwards .. but then it all went downwards ... still better than many others though
Golpota khubi ogochalo.Kahini motamuti chilo,but lekhok shob elomelovabe likhechen.Plot hole ato beshi j ta overlook kora oshomvob.Prochondo rokom hotash holam.