এই দীর্ঘ উপন্যাসের পটভূমি ছড়িয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ, ফয়সলাবাদ, করাচি, বহাওয়ালপুর, মুলতান এবং কোয়েটা জুড়ে। যে দেশে ভারতীয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়াই সবচেয়ে বিপজ্জনক, সেখানে ভারতীয় গুপ্তচরেরা কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপন করে টিকে থাকে? প্রতিমুহূর্তে তারা কী সব ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়? কাদের সাহায্য নিয়ে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করে তাঁরা? যেখানে প্রত্যেকদিন পাকিস্তানের আনাচে-কানাচে নতুন জঙ্গি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কোনওদিন কি প্রতিবেশী দেশটাকে জঙ্গিশূন্য করে তোলা সম্ভব হবে?
সম্প্রতি পাকিস্তান, বিশেষ করে বালোচিস্তানে কিছু "আননোন গানম্যান"-এর কার্যকলাপ চোখে পড়েছে। ধরে নিন এ তাদেরই গল্প। কিংবা কয়েকটা দুর্ভাগ্যজনক "ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর" এর পিছনে যতগুলো অজানা সাকসেস স্টোরি থাকে, তার গল্প। গল্প এক দুর্ভাগা দেশের, যাদের প্রতিনিয়ত উন্নতির থেকে বেশি নজর দিতে হয় সুরক্ষাতে, কারণ প্রতিবেশী হিসাবে সে পেয়েছে এক সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর।
উপন্যাসটি লেখকের স্পাই ইউনিভার্সের "সাম্প্রতিকতম উপন্যাস" (জটায়ু অ্যাকসেন্টে পড়তে হবে)। এখানে সায়ক আছে, সৈকত আছে, আছে রানা আর অমল, এবং আরও অনেক নতুন চরিত্র। আগের বইগুলি পড়া থাকলে ভালো। তবে না থাকলেও ভীষণ কিছু সমস্যা হবে না।
হ্যাপ্পি রিডিং ♥️
পুনশ্চ: শেষ এক সপ্তাহ পাকিস্তানেই ছিলাম। থ্যাঙ্কস ফর দ্যা ভার্চুয়াল ট্যুর স্যার 🙏🏻
অভীকের লেখার ভক্ত আমি। কিন্তু এই লেখাটি একদমই জমল না। পড়ে কেন জানি না মনে হল খুব জলদি জলদি কম চিন্তাভাবনা করেই আর কিছুটা পিয়ার প্রেসারে পড়ে লেখা। লেখাটি পড়ে সর্ব প্রথম মনে হল এটাই যে এটা সাহিত্য কম চিত্র নাট্য বেশি। প্রথম ১৫০ পাতার মধ্যেই গোটা ৩০-৩৫ চরিত্র যদি চলে আসে সেক্ষেত্রে তাল রেখে চলা খুব মুশকিল, যে সমস্যাটা আগের বই গুলোতে হয়নি। এটা আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতার কারণ ও হতে পারে। তবে আমি বেশ আশাহত। আশা করি পুরোনো অভীক দত্ত কে আমি ফিরে পাবো জলদিই।