তেল আবিবের অভিজাত এলাকা জাফার একটি ফ্ল্যাটে নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলো রানা। ঘুম ভাঙল নরওয়ের অসলো শহরে এক হোটেল কক্ষে।
হাতের ঘড়িটা বদলে গেলো কি করে? পরনে পাজামা এল কোত্থেকে? রাস্তার দু'পাশে দোকানগুলোর সাইনবোর্ডে দুর্বোধ্য, অচেনা ভাষা কেন? স্বপ্ন দেখছে?
বাথরুমে ঢুকল রানা। থমকে দাঁড়াল আয়নার সামনে। কে ও? চিনতে পারছে না নিজিকে! আশ্চর্য! স্মরণশক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে ও। শুধু মনে আছে, ওর নাম মাসুদ রানা। মনে আছে, ও একজন দেশপ্রেমিক ইসরায়েলী!
কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। কাজী আনোয়ার হোসেন সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। এর কিছু আগে কুয়াশা নামক আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র তার হাতেই জন্ম নিয়েছিলো। কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র নাম ব্যবহার করে থাকেন।
শেষ কবে এরকম অ্যাকশন-কমেডি বই পড়েছি, মনে পড়ে না। পুরো কাহিনীর পরতে পরতে ছিলো হাস্যরসের ফুলঝুড়ি। বিশেষ করে যে জায়গাগুলোতে ডনকে রানা অপদস্থ করেছে, পাঠক না হেসে পারবে না। এরপর ধরেছিলো জুনেস্কিকে, তবে তার পর্বটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আবারও রানার আরেকটি মাস্টারপিস বই পড়লাম।
প্লটটা পড়ে ইন্টারেস্টিং লাগে যে রানার চেহারা বদলিয়ে ফেলা হয়েছে, কিন্তু বইটা শেষ করার পর বলতে বাধ্য হচ্ছি একদমই বাজে, ফালতু লেগেছে। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু লাগল না আমার কাছে।