সমকামিতা কি জন্মগত নাকি আচরণগত? এটি বুঝতে হলে আমাদের যৌনপ্রবৃত্তিকে বুঝতে হবে। আজকের দিনের মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যৌন-প্রবৃত্তির ক্যানভাস আসলে সুবিশাল। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ (বিষমকামিতা) যেমন দৃষ্ট হয়, তেমনিভাবেই দেখা যায় সম লিঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রেম এবং যৌনাকর্ষণ। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি এরা কোন যৌন-আকর্ষণ বোধ করে না, বরং নিজ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এরা আকর্ষন বোধ করে। এদের যৌনরুচি এবং যৌন আচরণ এগুতে থাকে ভিন্ন ধারায় । ব্যাপারটি অস্বাভাবিক নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে অথচ স্বাভাবিক এবং সমান্তরাল ধারায় অবস্থানের কারণে এধরনের যৌনতাকে অনেক সময় সমান্তরাল যৌনতা (parallel sex) নামেও অভিহিত করা হয়। সমান্তরাল যৌনতার ক্ষেত্র কিন্তু খুবই বিস্তৃত। এতে সমকামিতা যেমন আছে তেমনি আছে উভকামিতা, কিংবা দুটোই, এমনকি কখনো রূপান্তরকামিতাও।
[Dr. Avijit Roy is a Bangladeshi-American blogger, published author, and prominent defender of the free thought movement in Bangladesh. He is an engineer by profession, but well-known for his writings in his self-founded site, Mukto-Mona—an Internet congregation of freethinkers, rationalists, skeptics, atheists, and humanists of mainly Bengali and South Asian descent. As an advocate of atheism, science, and metaphysical naturalism, he has published eight Bangla books, and many of his articles have been published in magazines and journals. His last two books, Obisshahser Dorshon (The Philosophy of Disbelief) and Biswasher Virus (The Virus of Faith), have been critically well-received and are popular Bengali books on science, skepticism, and rationalism. }
লেখক হবার কোন বাসনা ছিলো তা নয়। কিন্তু ছোট্ট একটা স্বপ্ন হয়তো ছিলো একটা মনের গহীনে। স্বপ্নটা পালটে দেবার। সেই পালটে দেবার স্বপ্ন থেকেই ২০০১ সালের দিকে একদিন সমমনা কয়েকজন লেখকদের নিয়ে তৈরি করে ফেললাম মুক্তমনা সাইট (www.mukto-mona.com)। এর পর থেকেই সাইটটির বিস্তৃতি বেড়েছে। এখন বাঙালি বিজ্ঞানকর্মী, যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদীদের কাছে মুক্তমনা একটি বিশ্বস্ত নাম। ২০০৭ সালে মুক্তবুদ্ধি, বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্যক অবদান রাখার প্রেক্ষিতে তার মুক্তমনা সাইট অর্জন করেছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক।
শখের বশে টুকিটাকি লেখা লিখছিলাম ইন্টারনেটে, ম্যাগাজিনে আর দৈনিক পত্র-পত্রিকায়। পছন্দের বিষয় প্রথম থেকেই ছিলো আধুনিক বিজ্ঞান এবং দর্শন। আমার সেসময়ের চিন্তাভাবনার গ্রন্থিত রূপ ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫)। এরপর একে একে অনেকগুলো বইই বের হয়েছে। তার মধ্যে, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭, পুনর্মুদ্রণ ২০০৮), স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮), সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০,পুনর্মুদ্রণ ২০১৩), অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১, দ্বিতীয় প্রকাশ: ২০১২, তৃতীয় প্রকাশ: ২০১৪), বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২), ভালবাসা কারে কয় (২০১২),এবং শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪: প্রকাশিতব্য)। পাঠকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, বইগুলো পাঠকদের ভাল লেগেছে। অনেকেই বইগুলোকে ‘ব্যতিক্রমী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, কেউবা আবার আগ বাড়িয়ে বলেছেন ‘মাইল ফলক’। তা যে ফলকই হোক না কেন, আমি এই বইগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখে একটি ব্যাপার বুঝতে পারি যে, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী ও সাধারণ মানুষেরা বিজ্ঞান বিমুখ নয় মোটেই, নয় দর্শনের প্রতি অনাগ্রহীও। ভাল বই তাদের আগ্রহ তৈরি করতে পারে পুরোমাত্রায়।
পেশায় প্রকৌশলী। পড়াশুনা করেছি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), পি.এইচ.ডি করেছি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে (এন.ইউ.এস)। বর্তমানে আমেরিকায় কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত । অবসর সময় কাটে বই পড়ে, লেখালিখি করে, গান শুনে, জীবনসঙ্গিনী বন্যার নিয়মিত বকা খেয়ে, আর নিঃসীম আঁধারে আলোকিত স্বপ্ন দেখে - ‘মানুষ জাগবে তবেই কাটবে অন্ধকারের ঘোর’...
I believe, no matter what we believe in, we should always challenge our beliefs. Like always. This was kind of a brainstorm for challenging our beliefs.
Okay, the problem with us is that we do not want to be challenged, we fear that our POV might change, in a nutshell, WE FEAR CHANGE.
Now, this book is way more informative. I got to learn so many things. One of my best learnings was, "Sex and Gender are two different things." And about the origin, history and somewhat scientific, somewhat psychological reasonings behind our preferences, I came to know about A LOT OF THINGS!
I think, if you are open to discussions, you should read this one.
PS: Its a 4 because all information sometimes made it less fun. But, not less interesting.
যদিও এক দশক আগে লেখা বই, এখন অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে, তারপরও একটা সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য অসাধারণ একটা বই। খুবই সাবলীলভাবে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্যগুলো বর্ণনা করা হয়েছে। প্রবন্ধ হলেও গল্পের মত এক টানে পড়া যায় লেখার গুণে।
তার লেখা পড়লে, তার নামটা মনে হলেও, এত আফসোস লাগে, রাগ লাগে! কি যে হারিয়েছি আমরা নিজেরাও জানি না, জানবও না!
এত বেশি বিভাজন হয়েছে যে বিরক্ত লাগে, এখন আবার আরেকটা শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্সুয়্যাল মাইনরিটি, এ শব্দটা এত ঘৃণা লাগে আমার! আমার আর ভালোই লাগে না এ শব্দটা, সত্যি কথা মনে হয় যে আমার কাছে আরো আলাদা করে দেয়া। মাইনরিটি, মাইনরিটি কী? আমার খুব মেজাজ খারাপ লাগে এ শব্দটা শুনলে। বাধ্য হয়ে ব্যবহার করি। মানুষের কতগুলো পরিচয় থাকে বলেন তো? বাংলাদেশী, বাংলাভাষী, নারী, সমকামি, আবার এখন আরেকটা পরিচয় যোগ হয় ... এটা কেন হবে? তারপরে যেটা হয় যে, ঐ পরিচয়ের সূত্র ধরে মানুষের বিচার করা হয়। এটা এতো বিশ্রী একটা ব্যাপার, আমার কাছে অবাক লাগে মানুষ কেন এ কাজটা করে? মানুষ যৌনতার যদি এ মানুষ হয় তাহলে সে খারাপ, যৌনতার এ মানুষ না হয় তাহলে সে ভালো, ভালো-খারাপ যৌনতার ভিত্তিতে, অপরাধী-নিরপরাধী যৌনতার ভিত্তিতে, পাপ-পুণ্য যৌনতার ভিত্তিতে, অসুস্থ-সুস্থ যৌনতার ভিত্তিতে, এগুলো কেন? যৌনতা তো মানুষের চাহিদা এবং এটা সিম্প্ল একটা জিনিস, এটাকে ধরে সমস্ত কিছু আবর্তিত হবে কেন?
বাংলাদেশী সমকামিদের নিয়ে করা একটা ডকুমেন্টারি থেকে নেয়া। বুড়িগঙ্গায় ভাসতে ভাসতে কথাগুলো বলছিলেন। এতো খারাপ লাগে।
সমকামিতা নিয়ে অনেক ট্যাবু বা কুসংস্কার আছে যেমন যৌনতা দুইটি ভিন্ন লিঙ্গের আকর্ষণ যেহেতু তা বংশ পরম্পরার জন্যে।সমলিঙ্গের আকর্ষণ তাই স্বাভাবিক নই।আবার সকল ধর্মেই এটি নিষিদ্ধ। ধর্ম না হয় মধ্যযুগীয় এক কুসংস্কার ছাড়া কিছু না তবে আজব লাগে ১৯ শতকে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ণ উন্নতি হলেও যৌনতা নিয়ে বিজ্ঞানের উন্নতি হয়নি।অনেক মনোবিজ্ঞানীরা এটিকে মানসিক রোগ হিসেবে দেখেছিল যদিও সেটা কাটিয়ে উঠেছে শেষের দিকেই।তবে এখনো সমকামীতার প্রতি আক্রমণ যাইনি। জেনেটিক বিজ্ঞানীরাও উঠে পড়ে লেগে আছে সেটাকে জেনেটিক রোগ হিসেবে দেখাতে। বাংলাদেশেও অন্যান্য সকল দেশের মতই সমকামিতাকে ট্যাবু করে দেখা হয় তবে সেটা আরও ভয়ংকরভাবে। ধর্মীয় অনুশাসন এবং বুদ্ধিজীবীদের চুপ থাকাটাই(বরং তারা আরও পশ্চিমা বিকৃতি বলেন) সমকামিতাকে ট্যাবু হিসেবে ধরিয়েছে।২০১০ সালে লেখা বই হলেও এটি এখনো প্রাসঙ্গিক। সমকামিতা যে একটা স্বাভাবিক যৌন প্রবৃত্তি সাথে প্রাণিজগৎ এর অনেক প্রাণিই এর সাথে লিংক এই নিয়ে অনেক তথ্যবহুল এবং যুক্তিসম্মত লেখা দিয়েছেন লেখক।অবশ্যই সমকামিতাকে চিনতে হলে এই বই পড়া উচিত।
নাম দেখে একে কোন রগরগে বই ভাববার অবকাশ নেই। এটি নিতান্তই তথ্য-নির্ভর (evidence based) বই। সমকামিতা/উভকামিতা/রূপান্তরকামিতা শুধু আমাদের না অনেক সমাজেই ট্যাবু, যার কারনে এ নিয়ে আমাদের 'ভদ্রসমাজ' কথাই বলতে চান না। সেখানে, এরকম গবেষণামূলক প্রচেষ্টা শুধু সাহসের পরিচয়ই না, মানবিকতারও দৃষ্টান্ত! লেখককে উদৃত করেই বলতে চাই "সীমাহীন বিরোধ আর বংশ পরম্পরায় চলে আসা প্রথা মেনে যাওয়াকেই আমাদের সমাজে ‘আদর্শ’ বলে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইের পা ফেললেই বিপদ।"
এই বইটা আমার অজ্ঞতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ভুল ধারনাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে। বড় অসময়ে ওরা আপনাকে কেড়ে নিল দাদা। আজ অভিজিৎ'দা বেঁচে থাকলে আমরা না জানি আরো কত অসাধারণ বই-ই না পেতাম।
বইটা ১০ বছর আগে লেখা, তখন মানুষ এইসব বিষয় নিয়ে খুব একটা কথা না বললেও এখন বলে। আগে তো নারী-পুরুষ ছাড়া আর কোনো লৈঙ্গিক পরিচয় সমাজে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এখন মানুষজন অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে, অনেক বিষয় জানতে পেরেছে। লেখক বিষমকামিতা, সমকামিতা, উভলিঙ্গ- এসব কিছুই বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে আলোচনা করেছেন।
লেখক অভিজিত রায় সমকামিতা এই বইটিতে চমৎকার ভাবে যারা লেইম্যান তাদের জন্য জেনেটিক্স, সমাজ, বিজ্ঞান আর ইতিহাসের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় আর প্রেক্ষিতকে সমন্বয় করেছেন। বাংলা ভাষায় এত সহজবোধ্য, একাডেমিক রাইটিং এর আদলে সমকামিতা নিয়ে আর বই আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে, আমার ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা থেকে যা জানবার ছিল তার অনেকটাই মিটেছে এই বইটি পড়ে।
সমকামিতাসহ অন্য নানাধর্মী যৌন ভিন্নতাকে অপ্রাকৃতিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু, আসলে এটা ন্যাচারের কাধে বন্দুক রেখে নিজের মতামত কে চাপিয়ে দেয়া। কারো কারো হাস্যকর ধারণা হল এটা একবিংশ শতাব্দীর পুজিবাদী- যৌন রাজনীতি। আমরা মানুষ সামাজিক জীব, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র রাজনীতির প্রভাবযুক্ত। সেখানে Identity politics ই একমাত্র LGBTQA movement কে চালনা করছে এ কারণে একে deny করতে হবে এ ধারণা সঠিক নয় কেননা, একই যুক্তিতে Religious identity, Regional identity, Ethnic identity, Economic Identity (Liberal, Conservative) সব নিয়েই রাজনীতি হচ্ছে। Identity politics এরও বহু আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে সেই বাইবেলের লুতের আমল থেকে মহাভারতের শিখন্ডি পর্যন্ত, সক্রেটিস, মাইকেল এঞ্জেলো, ভিঞ্চি, ট্যুরিং এর সময়েও সমকামিতার সরব অস্তিত্ব। প্রকৃতিতে নানা প��রজাতির মধ্যে সমকামিতা, বিষমকামিতার মতই একটা যেন স্বাভাবিক অভিব্যক্তি। সেখানে কি ধরণের Identity politics হচ্ছে তাহলে? কাজেই একে ন্যাচারাল ফ্যালাসি দিয়ে বিরোধ করাটা বোকামি।
মূলত, রোমান সম্রাটদের বিপক্ষে বিদ্রোহী খ্রিষ্টরা অনেকটা তখনকার রোমান সম্রাটদের ব্যক্তিগত যৌনরুচিকে ইভিল দেখানোর জন্য লুত কে শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে তাদের শাসককে গল্পে যেন অনেকটা এক হাত দেখে নেয়। কালের পরিক্রমায় ৩০০ খ্রিষ্টাব্দের পর খ্রিষ্ট রোমান সম্রাটের মাধ্যমে সমকামিতা সমাজে হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠিত ইভিল। পরবর্তীতে ইসলামও লুতের গল্পটাকে চলমান রেখেছে কারণ পরবর্তী ২০০ বছরে সেটাই সমাজে সেটাই মোরাল হয়েছে। কিন্তু তাই বলে সমকামিতা বন্ধ হয় নি, আলো থেকে অন্ধকারে চলে গেছে কিন্তু তার সরব উপস্থিতি পাওয়া গেছে কবিতায়-সাহিত্যে। মূলত, ধর্ম যখন রাষ্ট্রযন্ত্রে প্রবেশ করে তখন সমাজের মূল্যবোধের দায়িত্ব চলে যায় মোল্লা-পুরুত-পাদ্রীর হাতে। যে গ্রীক সভ্যতায় যৌনতা ছিল অবাধ সেখানে খিষ্টত্ব তাকে ক্রমেই ইভিল করেছে, সমকামিদের করেছে সাবহিউম্যান।
সমকামিতার ব্যাপারটা অনেকটা জেনেটিক। সমকামিতার উৎস খুজতে গিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার উঠে এসেছে, সেটি হল হাইপোথ্যালামাস। হাইপোথ্যালামাসের INAH3 ছেলেদের ক্ষেত্রে মেয়েদের তিনগুণ বড় হয়। সমকামিদের ক্ষেত্রে এটা মেয়েদের সমান হয়। কিন্তু এখান থেকে সমকামিদের ব্রেন মেয়েদের সমান এই উপসংহারেও পৌছানো যাবে না। সরাসরি জেনেটিক লিংক দিয়ে সমকামিতা ব্যখা করতে যাওয়াটা একটু দুধারি তলোয়ারের মত। কারণ, অনেক জেনেটিক রোগের (যেমন, মাইগ্রেন, আলঝেইমার) কাতারে তখন বিপক্ষ গ্রুপের লোকজন একে ফেলে দিতে পারে। বিজ্ঞানী আলফ্রেড কিন্সের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনের ১ জন সমকামি। Outlier বা দুর্লভতা, জেনেটিক রোগ নাকি জেনেটিক প্রকরণ সেটা বোঝার জন্য Mutation-Equilibrium Value কনসিডার করা হয়। যখন এই ভ্যালু প্রতি ১ লাখ লোকে ১ জন পাওয়ার মত দুর্লভ হয় তখন এটাকে Genetic diesease বলা যেতে পারে। সে তুলনায় সবচে কনজারভেটিভ হিসেবে ৫% ও ধরা হয় তাহলে এই সংখ্যা অনেক বেশি। যাকে Mutation-Equilibrium Scale দিয়ে Genetic diesease বলা যায় না। তবে, জেনেটিক্স ছাড়াও পরিবেশের প্রভাবটিও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্বভাব-চরিত্র কিরকম হবে সেটা জিনে কোড করাই থাকে কিন্তু পরিবেশ থেকে সিগন্যাল কিছু জিন এক্টিভেটেড হয় আর কিছু হয় না। এ কারণে এপিজেনেটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে যেখানে জিন আর পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ায় গুণাবলীর প্রকাশকে ব্যখ্যা করা হয়।
তবে এই বইয়ে ডারউইনের বিবর্তনবাদ দিয়ে ব্যখ্যা করতে গিয়ে অনেককেই খেই হারাতে দেখা গেছে। কারণ, বিবর্তন বলে আমাদের প্রজাতি হিসেবে একমাত্র দায়িত্ব হল প্রজন্মান্তরে জিন সঞ্চালন। কিন্তু, সমকামিতা সেই উদ্দেশ্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে। বিজ্ঞানীরা এই ব্যাপার নিয়ে ঘাটতে গিয়ে নানা ধরণের হাইপোথিসিস দাড় করিয়েছে। যেমন, গে চাচা থাকার কারণে প্রাচীন সমাজে বাচ্চাদের লালন পালনে সহায়তা, মেয়েদের দেখে রাখা, কিংবা সমাজে সুপার কমিউনিকেটর ছিল, গোত্রের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা। তবে এইগুলো কারণ নাও হতে পারে। বিবর্তন মানেই যা অপ্রয়োজন তাকে ধ্বংস করে দেয়া নয়। সমকামিতা বিবর্তনের সাইড ইফেক্টও হতে পারে। আমাদের শারীরবৃত্তীয় অনেক ব্যাপারই রয়ে গেছে যেটা টিকে থাকায় কোনো ভূমিকা রাখে না কিন্তু যেহেতু অসুবিধাও করে না তাই প্রকৃতি সেটাকে কারেক্টও করে না। যেমন, হাড়ের সাদা রঙ, কারো বাদামী / নীল চোখ। যৌনতার মূল উদ্দেশ্য যদি ধরা হয় শুধু সন্তান উৎপাদন তাহলে ব্যাপারটা ভূল। সামাজীকীকরণ আর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এই যৌনতা প্রতিষ্ঠিত। প্রাইমেটরা আনন্দের জন্যও যৌনতায় লিপ্ত হয়।
যৌনতার ব্যাপার টা Homosexual আর Heterosexual হওয়ার মত Binary নয়। আলফ্রেড কিন্সে যৌনতাকে ০-৫ স্কেলে রেখেছেন। একজন Heterosexual male হিসেবে তাও নিজেকে আমি ১-২ রাখব Occasional male crush দের জন্য :v এ বিষয়ে পড়ালেখা এবং সামাজিক আলোচনা জরুরী যাতে আমরা এম্প্যাথির চর্চাটা করতে পারি। ১০-১১ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে / মেয়ে তাদের বয়:সন্ধিকালের মনোদৈহিক পরিবর্তন আর বন্ধুদের আলোচনায় নিজেকে প্রথম অন্যরকম হিসেবে আবিষ্কার করা, সামাজিক স্বীকৃতি না থাকা এসবই তাকে ঠেলে দেয় depression এর দিকে আর অনেকে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। আমাদেরই সহপাঠী, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহনাগরিক। সকলের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
This is so good. The language is pretty clear cut. Only criticism...the science sometimes(probably a good 10 percent)is difficult to understand for someone like me who has only 12th grade knowledge of biology. Unconventional is not unnatural. May I always remember that every being on earth is deserving of empathy, compassion and right to exist.