তিনযুগ আগের ঘটনা মীমাংসা করতে হবে বাস্টার্ডকে আর সেজন্যে পাড়ি দিতে হবে বারো শ’ মাইল, যেতে যেতে হবে এ বিশ্বের সবচেয়ে অরাজক আর বিপজ্জনক শহর করাচিতে। প্রথমে টার্গেট সহজ আর মিশন কঠিন ভাবলেও অচেনা করাচি তাকে বার বার চমকে দিতে শুরু করলো। অপ্রত্যাশিত সব ঘটনার মুখোমুখি হতে হলো তাকে। একটা সময় মনে হলো টার্গেটের নাগাল পাওয়াটা শুধু কঠিনই নয় অনিশ্চিতও বটে। তবে হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নয় সে। চূড়ান্ত আঘাত হানার সময় বুঝতে পারলো দুনিয়া কাঁপানো একটি ঘটনার মধ্যে ঢুকে পড়েছে অযাচিতভাবে! নেমেসিস-এর ৩টি সিকুয়েল কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস আর কনফেশন-এর পর করাচি একটি প্রিকুয়েল। যেখানে পাঠক খুঁজে পাবেন সেই পরিচিত বাস্টার্ডকে।
MOHAMMAD NAZIM UDDIN (Bengali: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন) is a writer and Translator of more than 26 novels..His original works are NEMESIS, CONTRACT, NEXUS, CONFESSION,JAAL, 1952: nichok kono number noy, KARACHI, RABINDRANATH EKHANE KOKHONO KHETE ASENNI and KEU KEU KATHA RAKHE. These six Thriller novels are highly acclaimed by the readers.
বাংলায় রহস্য উপন্যাস পড়তে গিয়ে দুটো জিনিসের অভাব দেখে বরাবর কষ্ট হত। সেদুটো ছিল:- ১. যৌনতার সহজ ও স্বাভাবিক প্রকাশ তথা ব্যবহার: এপার বাংলার নামজাদা ঔপন্যাসিকরা রহস্য উপন্যাসেও যৌনতা বলতে পরকীয়া আর নারীশরীরের বর্ণনা ছাড়া বিশেষ কিছু লেখেন না বা লিখতে পারেন না। কিন্তু যৌনতা যে একটা ধারালো অস্ত্র, তা বাংলা থ্রিলারে পড়ার সৌভাগ্য বিশেষ হয়নি। ২. সমকালীন রাজনীতি: অজস্র রক্তের নদী বয়ে গেছে এই উপমহাদেশে কতবার। কিন্তু মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা বা অন্য কোনো বাধ্যবাধকতার বশেই হয়তো এপারের সাহিত্যিকেরা সেসব নিয়ে লেখেন না বা লিখতে সাহস পান না। এই দুটো কারণে এপারের অধিকাংশ রহস্য উপন্যাস আমার কাছে পানসে বা নীরক্ত ঠেকেছে। আর ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের রহস্যরোমাঞ্চ সাহিত্য আমার অকুণ্ঠ তারিফ আদায় করেছে। এমন নয় যে তাতে রদ্দি জিনিস নেই। শুনেছি, দুধে গোমূত্র না মেশালে নাকি চরণামৃত বানানো যায় না। তাই বাংলাদেশের থ্রিলার সাহিত্যে বেশ কিছু মাকালফল পাওয়া নিতান্ত স্বাভাবিক ঘটনা। তবে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন হচ্ছেন যথার্থ শিল্পী। তাই তাঁর কাছ থেকে আমরা সর্বোত্তম হিমসাগর বা ল্যাংড়াই পাই। যেমন এই বইটি। কন্ট্র্যাক্ট কিলার বাস্টার্ডকে একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব নিয়ে যেতে হল করাচি। সেখানে নিজের মতো করে শিকারকে নিশানায় রেখে এগোতে গিয়ে সে জড়িয়ে পড়ল এক অন্য, অনেক-অনেক বড়ো ঘটনায়। তারপর কী হল? সেটা জানতে গেলে আপনাকে এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারটি পড়তে হবে, যাতে বিন্দুমাত্র ভাট না বকে, এক সার্থক অ্যান্টিহিরো-র মাধ্যমে, আমার উপরোক্ত দুটি আক্ষেপই ষোলো আনা মিটিয়ে দিয়েছেন লেখক। বাংলায় যে এমন নির্মেদ, গতিময়, নির্মম, ও নিপুণ থ্রিলার লেখা যায়, এটাই বিশ্বাস হতে চায় না। আর কতদিন পিটুলিগোলাকে দুধজ্ঞানে পান করবেন? সত্যিকারের থ্রিলার উপভোগ করুন। বইটা, এবং এই সিরিজে আর যা পান, সত্বর পড়ে ফেলুন।
উপন্যাসের মান এত নিচে নেমে যাওয়ার কারন কি? সিরিজের উপন্যাসের সং্খ্যা বাড়ানো? নাকি লেখকের ব্যার্থতা? করাচি বেগ বাস্টার্ড সিরিজের বই হিসাবে যায়গা করে নিলোই বা কিভাবে?
আসলে থ্রিলার সিরিজ গুলো আমি যতই দেখেছি ততই আমার মনে হচ্ছে যে এধরণের সিরিজ গুলতে লেখার মান বজায় রাখা আসলেও কঠিন কাজ । যতই ভালো হোক না কেন সিরিজ এর নির্দিষ্ট কোন একটা বইকেই মনে হয় যে সব থেকে ভালো । তো এক বছর বিরতি দিয়ে আবার বাস্টার্ড এর বই । বলা বাহুল্য যে আমার খুবই পছন্দের একজন লেখকের লেখা পছন্দের একটা সিরিজ । বইটার জন্যে অপেক্ষা করে ছিলাম অনেক দিন । অনেক এর রিভিউ দেখে হতাশ ই হয়ে গিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম যে ভালো লাগবে ণা একদমই । কিন্তু সত্যি কথা বলতে একেবারে খারাপ লাগে নি । কিছু কিছু যায়গায় বেশ ভালো লেগেছে ।
এটা সিরিজের সিকুয়েল না প্রিকুয়েল । নেমেসিস এর ও আগের কাহিনি । সেই অর্থে বলতে গেলে আমরা যখন থেকে বাস্টার্ড কে দেখে অভ্যস্ত তার ও বেশ আগের কাহিনী । তো স্বাভাবিক ভাবেই বই এ সেই বাস্টার্ড কে খুজে পাওয়া যায় নি । তবে আমার কাছে তেমন একটা পরিবর্তন লাগে নি । বইটা আরেক দিক দিয়ে অন্যরকম যে এর কাহিনী বাংলাদেশে না । পাকিস্তানের করাচি তে । কাহিনি হচ্ছে যে বাসটার্ড তার এক কন্ট্রাক্ট মত একজন কে খুন করতে গিয়ে করাচীতে আরো বড়সড় এক ঘটনার সাথে ফেসে যায় । তবে সে তার মতই ঠান্ডা মাথায় কাজ করে করে এক সময় ঘটনা থেকে বের হয়ে আসে। তবে বইটাতে কাকতালিয় ঘটনা প্রয়োজনের চেয়ে একটু যেন বেশীই । থ্রিলার উপন্যাসে এরকম থাকবেই । কিন্তু এটাতে যেন একটু বাড়াবাড়ি ই হয়ে গেছে কেননা মেইন প্লট এর অনেকটাই এর উপর নিরভর করে গড়ে উঠেছে ।
সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে আমার ভূমিকা টা । মেইন গল্পের সাথে কোনরকম সামঞ্জস্য ই নেই । বরং এটা পড়ে অনেকের বাস্টার্ড এর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা করতে পারে। আশা করা যায় সিরিজ এর পরের বই এর চেয়ে ভালো হবে ।
যেহেতু এটা সিরিজের ৫ম বই তাই ভেবেছিলাম হয়তো এটা কনফেশনের শেষ অংশ নিয়েই ফ্লো করেছে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। জেফরি বেগের কোনো আগমন নেই । নেই পরিচিত দেবদূতরূপী ঠান্ডা মাথার খুনিটিও আছে অচেনা বাস্টার্ড। কারণ এটা এই সিরিজের পরের সিক্যুয়েল নয় এটি মূলত প্রিকুয়েল। নেমেসিসের আগের কাহিনী।করাচি এর শেষ পাতা নেমেসিসের কাহিনীর দিকেই নিয়ে যায়। সত্যি বলতে এটা ভালো লাগে নি। খুবই স্লো ছিল, মনে হচ্ছিল শুধু শুধুই টেনে টুনে বড় করা হয়েছে। এর দরকার ছিল কিনা জানি নাহ। আগের চারটিতে পাঠকরা নিশ্চয়ই বেগ-বাস্টার্ডের যুগলবন্দী খুব উপভোগ করেছে,আমিও করেছি। কাজেই এটায় বেগের উপস্থিতি আমার কাম্য ছিল। পূর্বের কাহিনীগুলোতে কিছুটা মিস্ট্রি থেকেই যায়।বাবলু আর বেগের চেহারার সাম্যতা, শিশুকালের অসহায়ত্ব অন্যদিক ইঙ্গিত করে! সিরিজটা কি থেমেই থাকবে!? এর আরও কোনো সিক্যুয়েল আসবে কিনা আমি জানি না। কিন্তু আসার তো প্রয়োজন ছিল। সময় তো ভালোই কেটে গেছে! তাহলে কি বেগ আর বাস্টার্ডের ব্যাপারটা রহস্যই থাকবে???
২.৫ প্লট অসাধারণ- স্বীকার করতে হবে। থ্রিলারে কাকতালীয় ব্যাপার আসবে সেটিও জাস্টিফায়েড। কিন্তু প্লটহোল ভরাট করতে অতিরিক্ত কাকতালীয় ব্যাপার চলে আসা কিংবা পুরো প্লট টা যখন অতিরঞ্জিত কাকতালীয় ব্যাপারের ওপর ভিত্তি করে দাড়ালো সে জিনিস টা ভালো লাগেনি। তারপরেও প্লটহোল থেকে গিয়েছে বলে মনে হলো।
অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু সেগুলো বললে স্পয়লার হয়ে যাবে। আগাগোঁড়া বইয়ের বিবরণী সাবলীল মনে হয়েছে, তবে সমস্যা গল্পের দ্বৈত প্লটের ট্র্যাঞ্জিশনে। এখানে একটি ঘটনা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়, এবং যেহেতু সেটাকে মূল প্লটের থেকেও বেশি প্রয়োজনীয় করে দেখানো হয়েছে সেহেতু মূল প্লটের সাথে আরও কিছুটা যৌক্তিকতা টানলে মন্দ হতোনা।
যাই হোক, এর আগের চারটি বই-ই আমার অনেক ভালো লেগেছে, এবং এই সিরিজের প্রতি ভালোবাসা জন্মাতোই না সেগুলো না থাকলে। তাই আশা রাখছি ভবিষ্যতে গল্পের প্রফেশনাল কিলারের আচরণ একজন প্রফেশনাল কিলারের মতোই হবে, কেবল একজন সদ্য কাজে নামা শার্প শুটারের মতো হবেনা। যেহেতু গল্পটি সিরিজের প্রথম বইয়ের মাত্র কয়েকদিন আগের কাহিনী-ই বর্ণনা করে সেহেতু সেই বইয়ের সাথে এই বইয়ের নায়কের বুদ্ধিমত্তার স্পষ্ট তফাৎ অত্যান্ত দৃষ্টিকটু লেগেছে।
আশা করছি আগামী বই আরও ভালো হবে। নতুন কোনও আর্চ-এনিমি/প্রতিদ্বন্দ্বী আসবে, এবং সেই জের ধরে একটি স্টোরি আর্ক কয়েক বই ধরে চলবে।
গল্পের গরু কোনটা যে কোন গাছ দিয়ে উঠে কোন দিক দিয়ে নামলো বুঝা গেল না। একদিকে মুম্বাই হামলা, একদিকে করাচি, সেটার সাথে মৌলবাদবিরোধী কিছু গালভরা বাণী, একাত্তরের সেন্টিমেন্ট, সব মিলিয়ে জগাখিচুড়ি। পুরানো নাজিমুদ্দিন সাহেব ব্যাক ইন ফর্ম। এক তারা।
টাইমলাইন ধরে দেখতে গেলে এই গল্প নেমেসিস এর আগে ঘটেছে। তার কিছু ইঙ্গিত আবার কন্ট্রাক্ট এ দেওয়া হয়েছিল, তখনই ধরেছিলাম। তবে গল্পের গতি অনুযায়ী দেখতে গেলে এটা সবার শেষেই হয়।
😎 এই গল্প বাস্টার্ড কে নিয়েই। সে ফিরে এসেছে সঙ্গে তার সেই থুতু ফেলার মত আওয়াজ করা বা ভোঁতা শব্দ করা বন্ধুটি।
🔥 যাই হোক, এই থ্রিলারের থ্রিল এবারও আরও এক লেভেল ওপরে। আগের সিরিজ গুলো পড়ে মনে হতে পারে, মার্ডার, কিডন্যাপ, গুন্ডা দল কে শেষ করা এই সব হয়ে গিয়ে থাকলে লেখক আর কি আনতে পারে? উত্তর হল সন্ত্রাসবাদ। সাধারণ ক্ষেত্রে যা হয়, এই টপিকে গল্প লিখতে গেলেই সেই গতে বাঁধা গপ্পো দিয়ে দেয় সবাই। হিরো গিয়ে সব সন্ত্রাসী দের একাই পিটিয়ে দিচ্ছে, সবাই বোম মেরে বেড়াচ্ছে ইত্যাদি। কিন্তু লেখক এখানে বেশ আলাদা কিছু ছোঁয়া রেখেছেন।
👆 মুজাহিদ এর মনের ওই প্রশ্নগুলো একটা আলাদাই মাত্রা দেয় প্রেক্ষাপটকে। সবাই যে আমরা মানুষ সেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়।
✌️ আইনাতের চরিত্রটিও বেশ দৃঢ় এবং সবল। খুব ভালো লাগে এমন চরিত্র দেখলে, তবে পরিণতিটা ঠিক ভালো লাগেনি। মানছি continuity রাখতে ওসব করতে হয়, কিন্তু তাও। কেমন যেন অনেকটা potential ছিল মনে হয় চরিত্রটায়।
🤌 বাস্টার্ড এর সেই প্ল্যানিং আর প্ল্যান fail করলে সেই improvisation সবই আগের মত বহাল। এত ঠান্ডা মাথার খুনি দেখলে ভালো লাগতে বাধ্য।
বাকি গল্প নিয়ে তো কিছু বলা যাবে না। Spoiler হয়ে যাবে। 😋 তাই নিজেই পড়ে নিন। বেশ দ্রুত গতির 312 পাতার বই। ছেড়ে উঠতে পারবেন না। ঝড়ের বেগে শেষ করুন।
দুঃখ : এক micro-second এর জন্যও জেফরি বেগের আগমন হয়নি ( খুব খুঁজছিলাম কিন্তু দাদাকে 😅)।
মোটের উপর আমার একটুও ভালো লাগেনি।সেটা হতে পারে রিলিজিয়াস সেন্টিমেন্টাল পার্সপেক্টিভ থেকে অথবা অন্য কিছু।তবে আমি মনে করি লেখক তার সক্ষমতা অনুযায়ী এরচেয়ে ভালো প্লট ক্রিয়েট করতে পারতেন, এভাবে আনকোরা ধর্মীয় অজ্ঞতার ভিড়ে না গিয়ে।একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।🙂
This entire review has been hidden because of spoilers.
সবার কাছে অল্পবিস্তর নেগেটিভ রিভিউ পাওয়া সত্তেও আমার কাছে খারাপ লাগে নি গল্প টি।
তবে হ্যা থ্রিলার হিসেবে বইটা তে এত বেশি কিছুই থ্রিল এর ছিলো না । কাহিনী একটা সমান্তরাল ভাবে চলেছে। কিন্তু এই সিরিজ এর পাঠক হিসেবে বই টা না পড়া ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না ! ৪/৫
বেগ বাস্টার্ড সিরিজের ৫ম বই এটা। আমি যখন পড়ছি এটার আরো দুইটা পার্ট বের হয়ে গিয়েছে। জানি না ঐগুলা কবের দিনে পড়বো।
বেগ বাস্টার্ড সিরিজের কোনো বই যে শুধু বাস্টার্ডকে নিয়ে হতে পারে এটা জানা ছিল না। পুরো বইটাতে একবারও জেফরি বেগের কথা আসি নি। পরে বোঝলাম এটা সিকুয়েল না প্রিকুয়েল। মানে এটা "নেমেসিস" এর আগের ঘটনা,তাই জেফরি বেগ এখনও বাস্টার্ডের জীবনে আসে নি। বইটা মূলত লেখা হয়েছে করাচিতে করা বাস্টার্ডের এক মিশন নিয়ে। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীকে মারার জন্য করাচি গিয়ে আলাদা কিছু ঝামেলায় জড়িয়ে পরে বাস্টার্ড।
ভেবেছিলাম বইটাতে আরো কিছু ভালো ভালো টুইস্ট থাকবে তবে তেমন কিছুই ছিলো না।
লেখকের উচিত "কন্ট্রোল" দিয়েই এবার এই সিরিজটা শেষ করার। টুনটুনি ও ছোটাচ্চুর মতো একই লেবু কচলিয়ে যাচ্ছেন।
রিভিউ:: নাম :করাচি(বাস্টার্ড সিরিজ এর পঞ্চম বই) লেখক:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশক :বাতিঘর প্রকাশনী মূল্য :৩০০
পেশাদার খুনি বাস্টার্ড এর নতুন ভিন্ন একটি কন্ট্রাক্ট দেয় জামিল আহমেদ আন্দোলন একজন শহিদ সন্তান। ১৯৭১ এ ১৪ ই ডিসেম্বর রাজাকার এর দোসর মাওলানা ইউসুফ হোসাইনী তার বাবাকে তার চোখের সামনে ধরে নিয়ে যায়, সেই পর থেকে তার বাবাকে আর পায়নি। জামিল একবার বিমানে তার বাবার খুনিকে দেখে এবং জানতে পারে সে পাকিস্তান এর করাচিতে অবস্থান করছে। সেই থেকে তারভিতর প্রতিশোধ এর আগুন জ্বলে উঠে। এবং পেশাদার খুনি বাস্টার্ড কে কন্টাক্ট দেয় মাওলানা ইউসুফ হোসাইনীকে হত্যা করতে হবে সুদূর পাকিস্তান এর করাচিতে গিয়ে। আপতত দৃষ্টিতে বাস্টার্ড এর কাসে রিসোর্স ছারা একটি কন্টাক্ট হলেও সে তা করার জন্য করাচি যায় কিন্ত করাচিতে গিয়ে একটি ইসলামি জিহাদি গোপন বাহিনীর মিশনে জরিয়ে পরে। সুতরাং শেষ পরিনতি কি পারবে বাস্টার্ড একাত্তর এর ঘাতককে হত্যা করতে???
পাঠ প্রতিক্রিয়া : বাস্টার্ড সিরিজ এর অন্যান্য বইগুলোর মতো এটা অবশ্য ওতোটা ভালো লাগেনি,,পাকিস্তান এ গিয়ে হত্যা করা গোপন সংগঠন এর মিশনকে ভঙ্গ করা,ইত্যাদি আগের মতো তেমন উত্তেজনাকর মনে হয়নি,, আবা�� কাহিনীটাও অনেক ঝুলে পরছে এবার। তারপর আবার এখানে জেফরি বেগ, রেবা,জামান বা হোমিওসাইড ডিপার্টমেন্ট এর কেউ একবারের জন্যও নেই। যাই হোক এটা আহমরি লাগেনি। তবুও হয়তো কিছু পাঠকের কাসে ভালো লাগবে, অবশ্যই লাগবে নাজিমুদ্দিন এর থৃলার বলে কথা ভালো লাগতেই হবে। গল্পের মাঝে আয়নাত চরিত্র টাকে আমার কাসে অনেক ভালো লেগেছে আর জাভেদ কেও ভালো লেগেছে ওর জন্য ই বাস্টার্ড এর মিশন পুরা হয়েছে।
বাস্টার্ড সিরিজ শেষে দুটি কথা: বাস্টার্ড সিরিজ এর প্রথম বই নেমেসিস,দ্বিতীয় বই কন্টাক্ট, তৃতীয় নেক্সাস, চতুর্থ কনফেশনস, পঞ্চম করাচি। ৫টি বইয়ের গল্প পাচটি ভিন্ন আঙ্গিত এ। পাচটি বই পাঠকে পাচ ভাবে আনন্দ দিবে। যাই হোক পুরো সিরিজ শেষে এটা বলা যায় যে কোন বই কোনটা থেকে কম না। থৃলিং কাহানি প্লট পেক্ষাপট সব কিছু পাঠককে পুলোকিত করবেই। আর বাস্টার্ড সিরিজ এর ষষ্ঠ বই নেক্সট, শুধু নাম টুকুই জানি,এটা নিয়ে নাজিমউদ্দিন স্যার কাজ করা শুরু করেছে কিনা বা কবে নাগাত প্রকাশ পাবে এখনো কেউ বলতে পারে না,,, তবে আর্শাবাদি অদূর ভবিষ্যত এ পাঠক পাবে।।
I'd say, this one is the best of the series. Although we haven’t been lucky enough to have read the book "Next". However, the storyline, the concept and versatility of this book is remarkable mash'Allah!
শুধুমাত্র মুম্বাই অ্যাটাক টান দিয়ে লেজ লাগানোর জন্য, দুইয়ের বেশি গেল না। একটু হাস্যকর কিন্তু মনে হচ্ছে, এই করাচির,,,, জন্যেই জি ফাইভ ওয়েব সিরিজ বানালো 🤣🤣
"এই শ্রাবণ ধুয়ে ফেলুক এই রাস্তা-ধুলো, এই শ্রাবণ ভিজিয়ে দিক দীর্ঘ ছায়াগুলো। এই শ্রাবণ নেভাক আগুন, এই ফুটপাথের রাত, এই শ্রাবণ মনে পড়াক পুরনো আঘাত।"
জামিল আহমেদ আন্দোলন। একজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান। একাত্তরের চৌদ্দ ডিসেম্বর চোখের সামনে বাবাকে চলে যেতে দেখেন চিরতরে। একদল লোক হাত বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। মায়ের কাকুতি মিনতি মন গলাতে পারেনি লোকগুলোর। এই ঘটনার লিডার মাওলানা ইউসুফ সেখানেই ছিল। ছোট্ট আন্দোলন সেই চেহারা দেখেছিল। হাতে লোকটির ছয়টি আঙুল। এখন জামিল আহমেদ আন্দোলনের পরিকল্পনা বাবা হ*ত্যার বিচার। শাস্তি তিনি নিজের হাতে দিতে পারবেন না বলেই পেশাদার খু*নী বাস্টার্ডের শরনাপন্ন হলেন। বাস্টার্ডকে একটা মিশন নিয়ে যেতে হবে বিশৃঙ্খলা আর অরাজক শহর করাচিতে। টার্গেট সহজ কিন্তু মিশন কঠিন। সেই মাওলানা ইউসুফের এবার ম*রার পালা। তার সাথে এতবছর পর জামিল আহমেদের আলাপ হয় প্লেনে। ঠিক পাশের সিটের যাত্রী ছিল লোকটি।
বাস্টার্ডের টার্গেট নিয়ে সে চিন্তিত নয়, তার চিন্তা করাচি শহর নিয়ে। সেখানে তার কোনো সোর্স নেই সাহায্যের। প্রথমে বাস্টার্ড একটু দোটানায় ছিল কিন্তু এরপর তার পুরনো পরিচিত শুটার সামাদের কাছে গিয়ে বিষয়টা খুলে বলে। মাওলানা পর্যন্ত পৌঁছাতে তাকে সাহায্য করে অবশেষে শুটার সামাদের লোক জাভেদ ওয়ার্সি। বিশ্বস্ত এবং শুটার সামাদের পরিচিত পাকিস্তানি তরুণ। জাভেদকে নিয়ে মাওলানার খোঁজে বিজনেস কার্ডের সূত্র ধরে ছক কষতে থাকে বাস্টার্ড।
কাহিনির এক পর্যায়ে বাস্টার্ডের সাথে পরিচয় হয় আইনাত নামের এক রহস্যময়ী মেয়ের সাথে। আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ একটা মিশন ধীরে ধীরে অসাধারণের দিকে সিঁড়ি বাইতে থাকে। কারণ বাস্টার্ড জানতে পারে আইনাত মাওলানারই মেয়ে! আইনাতের মাধ্যমে কী মিশন আরো সহজে হবে? যদি একবার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করা যায়!
করাচির অজ্ঞাত এক সেইফহোমে আছে কিছু তরুন। তারা এখানে সমবেত হয়েছে বড় একটি পরিকল্পনা নিয়ে। যেটা বাস্তবায়ন করতে পারলে পুরো পৃথিবী কেঁপে উঠবে আতঙ্কে। এরজন্য এদের ট্রেনিংও দেয়া হচ্ছে। আস্তে আস্তে এদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে জি*হাদী বীজ। কিন্তু এদের পরিকল্পনা কী? আর এই তরুনদের পরিচালনার পিছনেই বা কারা আছে? কোনো অঘটনের দিকে কী এগিয়ে চলেছে সবাই!
🫙পাঠ প্রতিক্রিয়া🫙
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বেগ বাস্টার্ড সিরিজের বই "করাচি" পড়ার আগেই জেনেছিলাম বইটিকে একপ্রকার প্রিকুয়াল বলা যায় অর্থাৎ ঘটনার আগেও পূর্বের ঘটনা। আমার কাছে মনে হয় করাচি, নেমেসিস এভাবে করে সাজালে পড়তে আরও বেশি সুবিধা হবে। কারণ বাস্টার্ড যখন তার করাচি মিশন শেষ করে দেশে আসে তখনই অমূল্যবাবুর থেকে তার পরবর্তী মিশনের কথা জানতে পারে যেটা নেমেসিসের গল্প।
করাচির গল্পে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা অংশ ছিল মুম্বাই হা*মলার ঘটনা। এবং করাচি শহরের নানান দিক যেমন এখানে উঠে এসেছে তেমনি করাচির আলাদা সৌন্দর্যও ধরা পড়েছে। এই শহরে যেমন র*ক্তের ফোয়ারা ছোটে, দা*ঙ্গা হা*ঙ্গামা হয় তেমনি রাতের করাচির আছে আলাদা সৌন্দর্য। করাচিতেও আছে সমুদ্র সৈকত। আর অবাক করার মতো কান্ড ডিসকো! এমন রক্ষনশীল দেশে ডিসকো! ভাবা যায়!
'করাচি' তে আমার কাছে মনে হয়েছে কাহিনী কেমন জমছে না। কেন জমছে না খুঁজতে গিয়ে বোধহয় জেফরি বেগের অনুপস্থিতি টের পেলাম। আসলে বেগ এবং বাস্টার্ড দুজন দুজনের সম্পূরক হয়ে গেছে। একজনের অনুপস্থিতি যেন গোটা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই জুটি আসলে অলিখিতভাবে পাঠকদের প্রিয় হয়ে উঠেছে। বাস্টার্ডের একলা মিশনে অনেক বৈচিত্র ছিল, বিভিন্ন চরিত্র ছিল কিন্তু সব থেকেও যেন নেই। সেটা জেফরি নেই বলে। তেমনি লেখক যদি আবার শুধু জেফরিকে একা নিয়ে কোনো গল্প লিখতেন সেটাও ভালো লাগতো না বাস্টার্ড ছাড়া।
'করাচি' উপন্যাসে লেখক কিছু মানুষের জটিল অথচ বাস্তবধর্মী মনস্তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। এখানে এক অন্ধকার জগতের কথা এনেছেন। আমার কাছে মনে হয় বেশ ভালোভাবে মুম্বাইয়ের ঘটনার আনুষাঙ্গিক স্টাডি করে লেখা। কীভাবে এইসব সংগঠন কাজ করে যেন সবকিছু তুলে ধরেছেন।
পাকিস্তানের অরাজক পরিস্থিতি, ধর্মের আড়ালে করাচি'র ভয়াবহ রূপ আর রাতের করাচি'র কথা যেন করাচিকে অন্যভাবে তুলে ধরেছে আমার কাছে। তবে কাহিনী হিসেবে গোটা বইটি আমাকে অতটাও আকর্ষন করেনি যতটা "কন্ট্রোল" এবং "কন্ট্রাক্ট" পড়ে লেগেছিল। করাচির মাধ্যমে সিরিজের সাতটা বই শেষ করলাম। অভিমত দিতে গেলে বলবো সবমিলিয়ে বেশ ভালো। সামনে আরো বই আসবে কী না এই সিরিজের জানি না তবে বেগ বাস্টার্ড জুটি আমার মনে থেকে যাবে।
নাজিম ভাইয়ের লেখা বরাবরই ভালো লাগে। খুব দ্রুত এবং সাবলীল লেখনী। দারুন সাসপেন্স তৈরী করতে পারেন বলেই বোধহয় থ্রিলারে ওনার এমন সাফল্য। একজন লেখকের সব বই আহামরি হবে তা নয় কিন্তু তবুও সবমিলিয়ে একেবারে খারাপ নয়। তবে আমি অবাক হয়েছি বাস্টার্ডকে নাচতে দেখে। সে যে নাচতেও পারে তা তো জানতাম না হিহিহিহি।
শেষ কথা আর কী বলি, আমি চাইবো যতদিন সম্ভব যেন নাজিম ভাই বেগ বাস্টার্ড সিরিজ নিয়ে বিরতি নিয়ে হলেও লেখেন। নতুন বই আসার আশা রেখেই বরং এবার ওনার বাকী বইগুলোতে মনোনিবেশ করি।
🫙বইয়ের নাম: "করাচি" 🫙লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন 🫙প্রকাশনা: বাতিঘর প্রকাশ��ী 🫙প্রকাশকাল: বই মেলা ২০১৫ 🫙পৃষ্ঠা: ৩১৮ 🫙প্রচ্ছদ: সিরাজুল ইসলাম নিউটন
লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রচ্ছদঃ সিরাজুল ইসলাম নিউটন প্রকাশনীঃ বাতিঘর মূদ্রিত মূল্যঃ ৩৬০ টাকা
তিনযুগ আগের একটি ঘটনার জন্য বাস্টার্ড কে হায়ার করা হলো। সেটার মীমাংসা করার জন্য তাকে যেতে হবে ভয়ংকর শহর করাচিতে। শুরুর দিকে সাদামাটা এক মিশন ভেবে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বাস্টার্ড কল্পনাও করতে পারেনি করাচি তাকে এতোটা তাজ্জব করে দিবে। আপাত সাধারণ এক মিশন গিয়ে ঠেকলো অনেক বিশাল এক ঘটনার মাঝে। বেগ বাস্টার্ড সিরিজের আগের ৪ বইয়ের প্রিক্যুয়েল এই বইটিতে পাঠক আলাদা একটা ফ্লেভার পাবেন।
#পর্যালোচনাঃ অবশেষে সিরিজটা শেষ করলাম। সিরিজের ১ম তিনটা বই যতোটা উত্তেজনাকর আর কৌতুহল উদ্দীপক, পরের দুইটা ততটাই ম্যাড়মেড়ে মনে হয়েছে আমার কাছ। এই বইটাকে অবশ্য আমি বেগ বাস্টার্ড সিরিজের অন্তর্ভুক্ত করতে রাজী নই। এখানে যে প্রিয় ডিটেকটিভ চরিত্র জেফরি বেগই নেই!! বইতে নেই কোনো রহস্য, নেই সূত্র ধরে ধরে রহস্যের সমাধাণের চেষ্টাও, তেমন কোনো একশন সিকুয়েন্স কিংবা টানটান উত্তেজনার মুহুর্তও চোখে পড়েনি। তবুও এই বইটা আমার কাছে কনফেশনের তুলনায় ভালো লেগেছে। কারন হলো, এটলিস্ট পুরোনো কাসুন্দি না ঘেটে নতুন কিছু পড়ার সুযোগ পেয়েছি।
পুরোপুরি বাস্টার্ড কেন্দ্রিক এই বইটা স্ট্যান্ড এলোন একটা একশন বই হিসাবে চালিয়ে নেয়া যায়। কিছুটা বলিউডি অজয় দেবগন/ অক্ষয় কুমারের দেশাত্ববোধক মুভির মতো মনে হলেও, ২০০৮ সালে ঘটা ভয়ানক আর নৃশংস মুম্বাই হামলার সাথে বেশ সুন্দর যোগসাজশ করেছেন লেখক। তবে এটা আরো বেটার হতে পারতো। বিশেষ করে সিমের নাম্বার নিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা নিয়ে বাস্টার্ড বড় ধরণের কোনো বিপদে পড়বে এমনটা আশা করেছিলাম আমি। তেমন কিছুই হয়নি, উপরন্তু পিজ্জা ডেলিভারির মতো বহুল চর্চিত ক্লিশে ব্যাপারটাকে উপস্থাপন করা একেবারেই হাস্যকর মনে হয়েছে। বইজুড়ে "তাজ্জব" আর "বাঁকা হাসি" পড়তে পড়তে আমার ঠোঁটেও সম্ভবত হাসি ফুটে উঠেছিলো 🙄।
ভালো লাগার মধ্যে ছিলো করাচি শহরের বর্ণনা। পাকিস্তান সম্পর্কে অলমোস্ট কিছুই জানতাম না। এট লিস্ট এখন তাদের একটা শহরের ব্যাপারে টুকটাক জানি। পাকিস্তানের মুখরোচক খাবারের আরো একটু বিশদ বিবরন পেলে খুশী হতাম। ওভারঅল চলে টাইপ বই মনে হয়েছে আমার কাছে। চোর পুলিশের খেলা পাবো না জানতাম, তবুও আরো কমপ্লেক্স কিছু আশা করেছিলাম।
#চরিত্রায়নঃ বাস্টার্ড এজ ইউজুয়েল বাস্টার্ডের মতোই ছিলো। কিছু কিছু সিচুয়েশনে আর বুদ্ধিমত্তার তারিফ করতে হয়৷ আইনাত চরিত্রটাকে ভালোই লেগেছে। তার জীবনের দুর্বিষহ সময়টার উল্লেখ থাকলেও সেখানে তার জন্য কোনো সমবেদনা তৈরী হওয়ার মতো সিচুয়েশন লেখক তৈরী করেননি। আর বাদ বাকী টুকটাক চরিত্রগুলো গতানুগতিক ছিলো।
#প্রোডাকশনঃ বানান ভুল এই বইয়েও ছিলো, কিছু বাক্য গঠনে অসামঞ্জস্যতার দেখা পেয়েছি। একটা সিচুয়েশনে একই চরিত্রের বর্ণনায়নে একই রকম শব্দের ব্যবহার বিরক্তির উদ্রেক করে, এটা সম্পাদনা জনিত ত্রুটি। প্রচ্ছদ টিপিক্যাল, বাঁধাই এবং পেইজ কোয়ালিটি ভালোই মনে হয়েছে এই বইয়ের।
#রেটিংঃ ৬/১০ (আমি পার্সোনালি রহস্য পছন্দ করি। এই ধরণের মুভি টাইপ বই পড়তে ব্যাপক অনাগ্রহ আমার। তাই এই রেটিং।)
#পরিশিষ্টঃ বেশ ভালোভাবে শুরু হওয়া এই সিরিজটা দূর্দান্ত গতিতে পাঠকের মনে জায়গা করে নিলেও এরপর এসে খেই হারিয়ে ফেলেছে। অন্তত আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। জানি না সিরিজটাকে সামনে আর কতোদূর টেনে নেয়ার ইচ্ছে আছে লেখকের, তবে চাইবো যদি ভালো কিছু না হয় তাহলে যেনো সিরিজটার একটা সুন্দর সমাপ্তি দেয়া হয়।
বাস্টার্ডের সোলো অ্যাডভেঞ্চার , করাচী তে স্টেল্থ একটা মিশন । অনেক দারুন কিছু হতে পারতো , কিন্তু হতে হতেও হয়নি । কিছু টা হতাশ , অনেক স্লো বিল্ডাপ হয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় পে-অফ অনেক অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্টিক লেগেছে । তাই ৭/১০ এর বেশি দিতে পারছি না । বরাবরের মতই মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর সাবলীল লেখা , একটানা পড়ে যাওয়া যায়, ক্লান্তি লাগেনা , কিন্তু কি যেন মিসিং ছিলো । শুরু থেকেই গল্পে দুটো প্লট প্যারালালি রান করে , একটা বাস্টার্ডের কিলিং মিশন , আরেকটা জঙ্গি গোষ্ঠীর প্লান বাস্তবায়ন যা কিনা রিয়েল লাইফ মুম্বাই টেররিস্ট এটাক কে চিত্রিত করেছে , কিন্তু বাস্টার্ডের সাথে এইটা লুজলি কানেক্টেড , এতোটা ফোকাস দেওয়ার প্রয়োজন কি ছিলো ?
আমি এক্সপেক্ট করেছিলাম বাস্টার্ড খুনটা গল্পের ফার্স্ট হাফে করে ফেলবে , আর বাকি হাফে তার আফটারম্যাথ সামলাবে , হয়তো টার্গেটের শক্তিশালী টিম কে কুপোকাত করে দেশে ফিরে আসবে , সেরকম টা হয়নি , বরং অনেক স্লোলি সবকিছু এগিয়ে একদম শেষে যেয়ে কাজটা করেছে ।
শেষ টা নেমেসিসের সাথে কানেক্ট করা হয়েছে, ভালো প্রিকুয়েল , ভালো গল্প কিন্তু চমৎকার স্ট্যান্ড অ্যলোন গল্প হয়ে ওঠেনি ।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী এক ব্যাক্তিকে হত্যা করার সুপারী আসে প্রফেশনাল কিলার বাস্টার্ডের কাছে। মক্কেলের বাবাকে একাত্তরে এই ব্যক্তি হত্যা করে পালিয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার বসবাস এখন পাকিস্তানের করাচীতে। এই কন্ট্রাক্ট নিয়েই বাস্টার্ড যায় পাকিস্তানে। এই হইল কাহিনী। মোটামুটিভাবেই বলা যায় জমে নাই ব্যাপারটা। গল্পটা অনেক এঙ্গেলে নিতে চাইলেও ভাল লাগে নাই বলা যায়। আর অযথা অনেকটুকু টানা হয়েছে। বাস্টার্ডকে খুব একটা উজ্জ্বল মনে হয় নাই। আর জেফরী বেগ তো নাইই গল্পে। আর শেষে এসেও গল্পটা হুট করে শেষ হয়ে যায়। আসলে ২.৫ দিতাম, যদি ওই সিস্টেম থাকত।
শেষ করলাম নাজিমউদ্দিন পর্ব। সংগ্রহে ৭ টা বই ছিলো উনার আজকে সবগুলা শেষ হলো। করাচিতে ভালো রকম থ্রিল দিতে পেরেছেন লেখক আর সব থেকে বড় কথা ছেঁড়া সূতোর মেলবন্ধনটা চমৎকার ভাবে করেছেন। তবে মনে হলো লেখক কাকতালীয় ঘটনা একটু বেশিই ঘটালেন।
এই সিরিজের লিখা বই গুলির মধ্যে এটা আমার কেন জানি পছন্দ হয় নাই -_- । কনফেশন এর পরের কাহিনি এর কিছু টা টাচ থাকা উচিত ছিল।মানে সেটা নিয়ে ধারণা টা দেয়া উচিত ছিল।আমি কেন যেন হতাশ হলা! 😐