০১ - কিভাবে লেখালেখি করবেন/ How to write ০২ - কিভাবে কুদরতের প্রচার করবেন / How to advertise miracle ০৩ - কিভাবে গবেষণা করবেন/ How to do research ০৪ - কিভাবে সাক্ষাৎকারে সাফল্য অর্জন করবেন / How to do well in an interview ০৫ - কিভাবে বড় ছাগল হবেন / How to become a royal goat ০৬ - কিভাবে প্রেম করবেন / How to make halal love ০৭ - কিভাবে স্বর্গে যাবেন / How to go to Heaven (without trying hard) ০৮ - কিভাবে ত্যানা প্যাঁচাবেন / How to go round and round and round and ... ০৯ - কিভাবে ভ্রমণ করবেন / How to travel like Tareq Onu ১০ - কিভাবে নরম মানুষ হবেন / How to be a moderate monkey ১১ - কিভাবে গুজব তৈরি করবেন / How to cook rumor ১২ - কিভাবে আপনার শাশুড়িকে বশ করবেন / How to train your dragon ১৩ - কিভাবে ইতর্ক করবেন / How to win internet arguments ১৪ - কিভাবে কাঁদবেন / How to cry like a crocodile ১৫ - কিভাবে ডিজিটাল পীর হবেন / How to be a Facebook celebrity ১৬ - কিভাবে অনুভূতির অবমাননা (না) করবেন / How (not) to hurt religious, national and social feelings ১৭ - কিভাবে এক সাবানে কাপড় কেঁচে সেই সাবানে গোসল করবেন / How to be Dr. Jekyll to hide Mr. Hyde
চরম উদাসের দ্বিতীয় বই 'এসো নিজে করি'। সচলায়তনের এই ব্লগারের ব্লগ সংকলনের দ্বিতীয় সিরিজ এই বই। রীতিমত ঈর্ষা করার মত সেন্স অব হিউমারে ভরপুর এই লেখক ১৭ টি শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে সাজিয়েছেন বইটি।
সহজ ভাষায় রচিত কোর্স গুলো এক কথায় যেকোন পাঠককে একবারে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে ছাড়বেই ছাড়বে। উল্লেখযোগ্য কোর্স এর মধ্যে রয়েছে- কিভাবে বড় ছাগল হবেন / How to become a royal goat, কিভাবে ত্যানা প্যাঁচাবেন / How to go round and round and round and, কিভাবে এক সাবানে কাপড় কেঁচে সেই সাবানে গোসল করবেন / How to be Dr. Jekyll to hide Mr. Hyde ইত্যাদি।
এই বই পড়া ছিল এক অভিজ্ঞতা। এত রসালো অভিজ্ঞতা শেষ কবে অনুভব করেছি মনে নেই। পড়তে পড়তে অনেক হেসেছি, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছি, আবার উঠে একই পেজ দুবার করে পড়েছি, আবার গড়াগড়া শুরু করেছি। দু একবার দরজা দিয়ে উঁকি মেরে মা জিজ্ঞাস করে গিয়েছিল, "আমি কি পুরোদমেই পাগল হয়ে গেলাম কিনা?"
লেখকের সবথেকে বড় সাফল্য ছিল হাসাতে হাসাতে আস্তে করে চরম একখান সত্য কথা ঝেড়ে দেওয়া। 'কিভাবে গবেষণা করবেন' শিরোনামের লেখার শেষে লেখক বলেন, "আমাদের স্কুলের শিক্ষরা অনেকে ওরকম মহানুভব ছিলেন যারা নামমাত্র অর্থ উপার্জন করে আমাদের মাঝে আলো জ্বালার চেষ্টা করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশিরভাগেরই ওইসব ঝেড়ে ফেলতে হয়। দেশে থাকলে লাল দল, নীল দল নিয়ে কুস্তাকুস্তি করতে হয়। বিদেশে থাকলে ফান্ড যোগার নিয়ে কুস্তাকুস্তি করতে হয়। সুতরাং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষকতা একটি পেশআ মাত্রই হয়ে দাঁড়ায়।"
'কিভাবে বড় ছাগল হবেন' শিরোনামের লেখায় লেখক বলেন, "মাঝেমধ্যে দেশ বিদেশের নানা খবরের নিচে মানুষের অমানুষিক সব মন্তব্য পড়ে মনে হয়, দুনিয়াতে আসলে ছাগলের সংখ্যাই বেশি। সে ছাগল দেশিই হোক আর বিদেশিই হোক, উপরের চামড়ার রঙ শুধু ভিন্ন, ম্যাৎকারগুলো একই রকম।"
'কিভাবে ভ্রমন করবেন' এই কোর্সে লেখক লেকচার দিতে গিয়ে বলেন, "আমাদের সবার লাইফই কম বেশী Sux। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লোকজনের আহ উহু সমবেদনা শুনে ক্ষণিকের জন্য তৃপ্তি পাওয়া যায় বটে তবে আড়ালে ছিঁচকাঁদুনে অপবাদ জুটে।"
'কিভাবে ইতর্ক করবেন' এই লেখায় লেখক কিছু সুন্দর মতলব দিয়েছেন। যেমন যুক্তিকে আক্রমন না করে যুক্তিদাতাকে আক্রমন করেন, তাহলে এমনিই যুক্তি দুর্বল হয়ে যাবে। লেখক বলেন, "ধরা যাক আপনি বিবর্তন নিয়ে কোনো জ্ঞানীর সাথে তর্ক শুরু করলেন। অনেক সাইন্স-টাইন্স নিয়ে তুমুল ঝড় তোলার পরে এক পর্যায়ে সে জিজ্ঞেস করে বসবে, 'বাঁদর থেকে যদি মানুষ এসে থাকে তাইলে এখন আর কেন বাঁদর থেকে মানুষ হয়না?' এই প্রশ্নের একটাই উত্তর হতে পারে, 'হাম্বা'।
বাংলা ভাষায় এমন একটা পড়া বেশ ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতা। লেখক ভাঁড় না সেজেই আঘাত করেছেন জায়গা মত। সব লাইন তুলে দেওয়ার সাহসও আমার নেই। তবে গন্ডারের চামড়ার অনুভূতি না হলে একশ হাত দূরে থাকুন। লেখক বলেই দিয়েছেন, "বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই রসিকতার প্রতিক্রিয়া দুরকম। হাসতে হাসতে খুন অথবা ক্ষেপতে ক্ষেপতে রসিকতাকারীকে খুন।"
বেশ চমৎকার, পড়ে ফেলতে আটকায় না কোথাও। চরম উদাসের লেখার ধরন আর রসবোধ ব্লগোস্ফিয়ারে সুবিদিত, এই বইটাও তার সিগ্নেচার স্টাইলের বাইরে নয়। আর এইটেই খানিক চোখে পড়ে মাঝেমধ্যে, বইয়ের কিছু কিছু অংশের স্বাদ কেবল মাত্র নিয়মিত ব্লগ পাঠকেরাই আস্বাদন করতে পারবেন। আর ফ্লো চার্ট বা ছবিগুলো আরো খানিক স্পষ্ট হলে দারুণ হতো।
লেখকের সেন্স অফ হিউমার মারাত্মক লেভেলের। বিশেষত,ছাগুবৃত্তির বিরুদ্ধে লেখাগুলো অসাধারণ। রসিকতার মাধ্যমে চরম উদাস গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ দিয়েছেন যা বেশ বাস্তবসম্মত এবং চিন্তারাজ্য ঝড় তুলতে পারে।
বইটা পড়তে অনেক সময় লেগে গেলো। আসলে বইতের পাতায় পাতায় এত রস, যে সব রস একসাথে নেয়া সম্ভব হয় নি! থেমে থেমে পড়তে হয়েছে।
বইটি পড়ে মজা পেয়েছি, যদিও লেখকের লেখার আসল মজা পাওয়া যায় মূলত ব্লগেই। বইয়ের লেখাগুলোকে শুধু রম্য লেখা বললে ভুল হবে। হাসতে হাসতে তিনি কঠিন সব সত্য কথা বলেন, হাসি থামিয়ে ছাড়েন। মাঝে মাঝে কাঁদিয়েও ছেড়েছেন। বইয়ে ফ্লো-চার্টগুলো অস্পষ্ট, কিছু কিছু একদমই বোঝা যায় নি।
বইটি সবার জন্য নয়। যাদের অনুভূতি একটু চড়া সুরে বাঁধা, তাদের এই বই থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ছবির কোয়ালিটি একটা স্টার কমাতে বাধ্য করলো। প্রথম দিকে লেখক যেভাবে হাস্যরসপূর্ণ লেখা লিখতেন শেষের দিকের লেখাগুলো সেরকম না হয়ে কেমন যেন উপদেশপূর্ণ হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে অনুভূতিজনিত সমস্যা না থাকলে হাসার এবং চিন্তা করার জন্য দুর্দান্ত একটা বই।
১০০-১২০ পৃষ্ঠার প্রেম-পিড়িতের কাহিনীর বাইরে বাংলায় কিছু পড়তে পারা এটা একটা বিরাট সৌভাজ্ঞ। বিরক্তিকর ও ভীতিকর বিষয়গুলো নিয়ে দারুণ এক স্যাটায়ার। লেখক ভাঁড় সাজেননি বরং "ইয়ে" কে ইয়ে আর "ড্যাশ" কে ড্যাশ-ই লিখেছেন। যাদের অনুভূতিতে সহজে আঘাত লাগে তারা এই বই না পড়লেই ভালো। কি দরকার যেচে পড়ে নানান অনুভূতিতে আঘাত খেয়ে লেখক কোপানোর ফতয়া দিয়ে !
এসো নিজে করি শিল্পের জনক চরম উদাস তার অসাধারণ বাকপটুতায় আবার জানিয়ে দিচ্ছেন সত্য আর লুকানো সত্যের পার্থক্য। কিভাবে ত্যানা পেচাবেন এর মধ্যে আমাদের আশে পাশে লুকিয়ে থাকা সেই সব ছাগুদের জানিয়ে দিচ্ছেন, কোন নিউট্রাল পয়েন্ট নেই। হয় তুমি বাংগালী অথবা তুমি অন্য কিছু। কিন্তু মাঝামাঝি কিছু নেই। আবারো অভিনন্দন এই চরম সত্য প্রকাশের জন্য
ফেসবুক-ব্লগের জগতে লেখালেখি অনেকে করেন, কিন্তু সমকালের কারো লেখায় মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার ইস্যু, দেশপ্রেম এতটা প্রখর ভাবে উঠে আসে না, পারে না হাসাতে কেউ তার মতো করে, তেমনি কেউ-ই পারেনা উনার মতো নীরবে বুকের মাঝে রক্তক্ষরন ঘটাতে। এই লেখকের নাম “ চরম উদাস ” প্রিয় তপু ভাই। যার একেকটি লেখা আগেরটিকে ছাড়িয়ে যেতে যেনো জন্ম হয়। সুশীল-বামাতি-ডানাতি-ভন্ড-নিরপেক্ষ মানবতাবাদী-ত্যানা প্যাচানো কারী-গুজব সৃষ্টিকারী-প্রোপাগান্ডাকারীদের মুখোশ উনার মতো কেউ খুলে দিতে পারে না। সবকিছু ছাপিয়ে লুকটার সেন্স হিউমার ঈর্ষনীয়। সচলে মুগ্ধ ব্লগারদের একজন। বইমেলায় বেরিয়েছে উনার নতুন বই “এসো নিজে করি”। বইটিতে ১৭ টি শিরোনামে নানান বিষয়ের শিক্ষনীয় কোর্সের দীক্ষা আছে। শিরোনামগুলো হলো...
০১ -কিভাবে লেখালেখি করবেন/ How to write ০২ - কিভাবে কুদরতের প্রচার করবেন / How to advertise miracle ০৩ - কিভাবে গবেষণা করবেন/ How to do research ০৪ - কিভাবে সাক্ষাৎকারে সাফল্য অর্জন করবেন / How to do well in an interview ০৫ - কিভাবে বড় ছাগল হবেন / How to become a royal goat ০৬ - কিভাবে প্রেম করবেন / How to make halal love ০৭ - কিভাবে স্বর্গে যাবেন / How to go to Heaven (without trying hard) ০৮ - কিভাবে ত্যানা প্যাঁচাবেন / How to go round and round and round and ... ০৯ - কিভাবে ভ্রমণ করবেন / How to travel like Tareq Onu ১০ - কিভাবে নরম মানুষ হবেন / How to be a moderate monkey ১১ - কিভাবে গুজব তৈরি করবেন / How to cook rumor ১২ - কিভাবে আপনার শাশুড়িকে বশ করবেন / How to train your dragon ১৩ - কিভাবে ইতর্ক করবেন / How to win internet arguments ১৪ - কিভাবে কাঁদবেন / How to cry like a crocodile ১৫ - কিভাবে ডিজিটাল পীর হবেন / How to be a Facebook celebrity ১৬ - কিভাবে অনুভূতির অবমাননা (না) করবেন / How (not) to hurt religious, national and social feelings ১৭ - কিভাবে এক সাবানে কাপড় কেঁচে সেই সাবানে গোসল করবেন / How to be Dr. Jekyll to hide Mr. Hyde
এটম বোমাকে দেখে যেমন বুঝা সম্ভব না তার ক্ষমতা কত ভয়ংকর, তেমনি একটা আলোচনায় নুতন কাউকে বুঝানো সম্ভব না এই লেখককের লেখা কত গভীর আর কত শক্তিশালী। তারপরও উনার লেখার কিছু অংশ তুলে দেই পাঠকের জন্য।
(১) কারো ফাঁসির খবরে আনন্দিত হবার কিছু নেই। মানুষের মৃত্যুতে আনন্দ করার কিছু নেই। মৃত্যু এক অমোঘ পরিণতি যা সব বর্ণের সব রকমের মানুষকে এক করে দেয়। যতবড় আসামীই তার অধিকার আছে ন্যায় বিচার পাওয়ার। যতবড় অপরাধীই হোক না কেন, তার অধিকার আছে সম্মানজনক একটা শাস্তি পাওয়ার। অনেক সভ্য দেশ থেকেই মৃত্যুদণ্ডের মতো অমানবিক বিধান বাতিল করা হয়েছে। সারাবিশ্বে মানবতা আজ হুমকির মুখে। ঘৃণা, হিংসা, প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষা, চোখের বদলে চোখ কখনো মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, An eye for an eye leaves the whole world blind। একই ধরণের চিন্তাভাবনা ছিল নেলসন ম্যান্ডেলার। সাতাশ বছর যাদের কারণে জেলে কাটিয়েছেন, বের হয়ে ক্ষমতায় এসে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন অবলীলায়। আজ আমি অবাক হয়ে দেখি, চারপাশের মানুষজন কি অদ্ভুত নৃশংসতার সাথে উল্লাস করে যাচ্ছে একজন মানুষের মৃত্যু নিয়ে। এই নৃশংসতা, এই অমানবিকতা মানুষ হিসেবে আমাদের মানবতাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গ্রীক দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী এরিস্টটল আক্ষেপ করে বলেছিলেন ... আজি মানবের ভয়ে কাঁপে মানবতার হাঁটু থাকতে সময় বাঁচাও তবে আপন আপন পুটু
যাক অনেক মানবতাবাদ *দালাম। এবারে একটু হেসে নেই (হি হি হি হি - ওপ্পা মতিকন্ঠ স্টাইল)। আসল কথা হচ্ছে আনন্দ চেপে রাখতে পারছি না। তাই মনের আনন্দে জগা লিখতে বসে গেছি। দেখলেন তো মানবতার *দানো কত সহজ। দুই ফোটা গান্ধী, এক ফোটা ম্যান্ডেলার সাথে কয়েক ফোটা reconciliation, benevolence, compassion, tolerance এর মূত্র মিশিয়ে দিলেই হয়ে গেল মানবতা। সমস্যা একটাই, নিয়মিত যদি এইভাবে মানবতা *দানো হয় তাহলে একসময় মানব জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। একজন আরেকজনকে মারবে, মানবতাবাদী এসে বলবে আহা খোকাটা ভুল করে ফেলেছে। তারপরে আরও খোকারা আরও মারবে, মেরেই যাবে। মানবতাবাদী গাইবে, মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দিবোনা? মানবতাবাদীদের মনে হয় ভানুর সেই কৌতুকের 'দেখি না কি করে' এর মতো। চোর ঘরে ঢুকার চেষ্টা শুরু করলো ব্যাটা বলে, আহা রসো আগে দেখি না কি করে। তারপর ঘরে ঢুকে পড়লো তখনও বলে, আহা আগে দেখি না কি করে। এরপর একে একে জিনিসপত্র নিলো, বস্তায় ভরল, উঠে নিয়ে রওনা দিল তখনও বলে যায়, আহা দেখি না কি করে। ৭১ এর পুরো নয় মাস জুড়ে ইউএন থেকে শুরু করে সকল নপুংসক মানবতাবাদী সংগঠনরা এরকম 'দেখি না কি করে' করেই চলেছেন। কোন বিশিষ্ট ব্যারনেস, কোন দূত, কোন মন্ত্রী, কোন চেয়ারম্যান এর কারণে গণহত্যা বন্ধ হয়নি। হয়েছে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ এর কারণে।
(২) মসজিদের মাইক আর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার মাইক এক জিনিস না। প্রথমটা দিয়ে হাঁক দিয়ে স্বর্গের টিকেট দেখিয়ে লাখ লাখ ডলার চান্দা উঠানো থেকে শুরু করে মানুষ খুন করানো পর্যন্ত সম্ভব অনায়াসে। দ্বিতীয়টায় চার আনা আটআনা টাইপের কিছু ভিক্ষা মিলতে পারে বড়োজোর। ঠিক যেমন আমি জ্ঞান বিতরণ করলে বড় সত্য কথা বলেছেন মাইরি বলে আহা উঁহু প্রশংসা করবে লোকে। কিন্তু আমার ডাকে আন্দোলনে বেড়িয়ে পরবে না। তবে বাঁশের কেল্লার ডাকে দুই চারটা জবাই টবাই করে ফেলা অনায়াসে সম্ভব। আমি মুগ্ধ হয়ে মাঝেমাঝে আমার জ্ঞানী বন্ধুদের আলোচনা শুনি। কে কোরআনের কোন সুরার বাজে ব্যাখ্যা করেছে, আমাদের নবীকে নিয়ে কে বাজে কথা বলেছে সেটা বলতে বলতে উত্তেজনায় তাদের হাত আপনাআপনি মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায়, মাথার দুপাশের শিরা দপদপ করতে থাকে, কেউ কেউ আবেগে কেঁদে ফেলে। অথচ আমি এখন পর্যন্ত এক বালকের পুড়ে কিমা হয়ে যাওয়া দেহ দেখে কাউকে কাঁদতে দেখিনি। মাইক হাতে নিয়ে আজকে যদি পনের বছরের ঝলসানো বালকের কথা বলি, তবে কেউ আমার ডাকে বের হয়ে আসবে না। উল্টোদিক থেকে মাইক হাতে ধরে বিশ্বজিৎ এর কথা বলবে, ফেলানির কথা বলবে, বলতেই থাকবে বলতেই থাকবে। অথচ মাইক হাতে নিয়ে যদি কেউ ডাক দেয় আমাদের নবীর অবমাননা করা হয়েছে তাহলে শতসহস্র ক্রোধান্মত্ত মানুষ বের হয়ে আসবে। কেউ বলবেনা ওই যে রামকে নিয়ে যে বাজে কথা বলা হল, ঐযে বৌদ্ধ বিহারের অপমান করা হল। বছরখানেক আগে কিলিং মিলনের ভিডিওটি দেখে বাথরুমে দাড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম, এতদিন পর পনের বছরের বালকের ঝলসানো শরীর দেখে শাওয়ারে দাড়িয়ে কাঁদি। বালকের জন্য না, অন্ধ মানুষদের জন্য।
(৩) আমি বিশ্বাসী মানুষ। তবুও কিছু ছবি দেখে মাঝে মাঝে বেয়ারা মন অবিশ্বাসী হয়ে উঠে। মনে হয় এমন সময় এটা ঠেকাতে কুদরতি কিছু হবার ভীষণ দরকার ছিল। জরাজীর্ণ ভাইয়ের কোলে তাঁর চেয়েও শতগুণ জরাজীর্ণ একটি শিশু। দুজনেই আকাশ ফাটিয়ে কাঁদছে। ছবিটি দেখা মাত্র কাউকে বলে দিতে হয়না এই ক্রন্দন খাবারের জন্য। মনে হয় যেই ধর্মের যেই সৃষ্টিকর্তাই হোক না কেন, এখানে তার কিছু একটা করা উচিৎ ছিল। পরে আবার ভাবি সেইসময় হয়তো তিনি ব্যস্ত ছিলেন রুটির গায়ে নিজের নাম লিখতে বা বিলাইকে ট্যাটু করে নিজের নাম বসাতে অথবা আগুন থেকে স্বরচিত গ্রন্থটি বাঁচাতে। মাঝে মাঝে না চাইতেও ভয়ঙ্কর সব খবর, ভয়ঙ্কর সব লাইন ভুল করে পরে ফেলি। হায়েনাদের হাতে মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখে মা কাতর অনুরোধ জানায়, বাবারা তোমরা দু একজন আমার কাছেও আসো, ���মার মেয়েটা ছোট, ও মারা যাবে। পড়ে ক্ষণিকের জন্য উদাস হয়ে ভাবি, এমন সময় কেন কুদরতি কিছু ঘটে না। টিকটিকির লেজের মতো করে হায়েনাদের পুরুষাঙ্গ কেন খসে পড়ে না কারো মহিমায়। একজন মুজাহিদের শোকে আরবে পাথর রক্তাক্ত হয়ে শূন্যে ভাসে। ৩০ লাখ লোকে মরে গেলে একটা পাথরও নিউটনকে কাঁচকলা দেখিয়ে মাত্র আধা ইঞ্চি শূন্যে উঠতে পারেনা? দুইএক ফোঁটা রক্তের ছাপও কে ফেলতে পারেনা নিজেদের গায়ে? মনে হয় ৩০ লাখের মধ্যে মুজাহিদ তেমন বেশী ছিলোনা। ধরে যদি অবিশ্বাসীদের বাদ দেই, ধর্ম পালনে অলস গুলারেও বাদ দেই তারপরও কি এক লাখ, নিদেন পক্ষে এক হাজার মুজাহিদও ���াবোনা? আমি নিশ্চিত তাদের শোকে দেশের কোথাও না কোথাও কোন না কোন রক্তাক্ত পাথর শূন্যে ভেসে আছে। এরপরের বার দেশে গেলে আঁতিপাঁতি করে খুঁজবো, কোন পাথর বাদ দিবনা।
সূচিপত্র আর ভূমিকা পড়ে অনেক আশা নিয়ে শুরু করেছিলাম, কিন্তু হতাশ। লেখকের সমসাময়িক লেখা, সাহসী অবস্থান আর মুক্ত চিন্তা প্রশংসনীয় কিন্তু এখানে কিন্তু আছে অনেকগুলো। আমার নিজের ব্যাকরণ কিংবা বানানে যত ভুলি থাকুক না কেন অন্যের ভুল কেবলি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে, আর লেখক হলে তো কথাই নেই। রসবোধ আর বিদ্রূপ ভালো লেগেছে কিন্তু স্থূলতা লাগেনি, মুক্ত চিন্তা তো ভালো কিন্তু অবমাননা আর ঠাট্টারস তো খারাপ, বাকি সবার কথাতে আর দাবীতে সম্পর্কস্থাপনের প্রয়োজন; কিন্তু মশাই আপনার বেলায় কই, রঙ্গিন ছবি সাদাকালো ছাপায় বুঝব কি করে। ভুল ধরলে তো অনেকি ধরা যায়- আপনি যেমন এ মহৎকর্ম ভালোবাসেন, তেমনি তো আমিও :P যাই হোক, আশা করি আমাদের চরম উদাস লেখার বিষয়ে একটু হলেও সচেতন হবেন, শুভকামনা রইল।
The book is a better read in the form of Blogs. The images are not clear and most of the times I couldn't read a word. In the last article (How to be Dr. Jekyll to hide Mr. Hyde), some captions don't match with the images or I couldn't understand them. Pages look nice but printing and binding quality is not that good . Incidentally, I found this year's Ekushey Fair to be very lazy in terms of binding and printing quality of the books.
এই বই পড়া একটা অভিজ্ঞতা... এত হাসি, কৌতুক, পচানোর মাঝেও ঠিকই আসল কথা বলে দিল... কোন দিন সুযোগ হলে অবশ্যই সশরীরে চরম উদাসের সাথে এই জন্যে দেখা করতে চাই... একটা তারা কম দেয়ার কারণ টাও বলে দেই... বইয়ে বেশ বানান ভুল ছিল... যেমনঃ "এতে" এর জায়গায় "মতে" বা "এরমত" এর জায়গায় "এন্মত" ... এ ছাড়া গ্রাফগুলো বেশ অস্পষ্ট আসছে... আশা করি ভবিষ্যতের সংস্করণে ঠিক হবে এই ব্যাপারগুলো... আমি খুবই খুশি যে ২০১৬ এর শেষ দিনগুলো এই বই পড়ে কাটিয়েছি... :) :) :)
লেখক তাঁর লাইনে আসুন দিয়ে কাউকে লাইনে আনতে পারুন আর নাই পারুন, এসো নিজে করি দিয়ে আমজনতার দিব্য দৃষ্টি খুলে দিতে সমর্থ হয়েছেন বলে মনে করি। যারা ত্যানা পেঁচিয়ে ল্যাঞ্জা ঢেকে দিব্যি চলাফেরা করতে সমর্থ ছিল, তাদের গোমর ফাঁস হয়ে গিয়েছে লেখকের চরম উদাসীন ফিলোসফির পরম স্পর্শে। তাই তো কবি বলেছেন, ল্যাঞ্জা ধরে মারো টান, ছাগু বের হবে টন টন।
Writer knows how to lampoon.This book is not for mentally immature. his criticism, statire is really nice.those very liberal, impartial about countries facts,liberation war he nicely criticizes them.Graphs,flow charts is inapparent.
লেখকের লেখার সাথে পরিচয় বেশ আগে থেকেই। তার হিউমার প্রায় সময়ই আমার প্রচন্ড ভালো লাগে... ক্রমাগত হেসে গেছি এই বইটা পড়তে যেয়ে! ছাগুগোষ্ঠী এবং অন্ধদেরকে করা আক্রমণ গুলো নিয়ে কিছু বলবার নাই। অসংখ্য প্রিন্টিং মিস্টেক এবং লো কোয়ালিটির ছবিগুলার জন্য একটা তারা কম দিতে হইল!