আশা। দুই অক্ষরের ছোট্ট একটা শব্দ। অথচ প্রচণ্ড ক্ষমতাধর এই শব্দটা।
স্বপ্ন। আমাদের মনের গহীনে থাকা চিন্তা, ভবিষ্যতের কথা, অব্যক্ত বাসনার চিত্রময় প্রকাশ। অনুপ্রেরণা. মন জাগাবার, আলো দেখার অনুভূতি, ভাবনা।
এই আশা, স্বপ্ন, আর অনুপ্রেরণা আছে বলেই আমরা মানুষ, আমরা নই রোবট।
জীবন সবসময় সরলরেখায় চলেনা, সেই জীবনের পথ চলায় কখনো কখনো দেয়ালে ঠেকে যায় পিঠ। আলোর বদলে চোখে ভাসে কেবলই আঁধার। এই বইটা তাদের জন্য, যাদের জীবন থেকে আশার আলো হারিয়ে গেছে, হতাশা আর দুঃখ স্থান করে নিয়েছে মনে।
আমাদের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন জিনিষ হলো আমাদের মন। সেই মন যদি হয় বিক্ষিপ্ত, কিছুতেই মনকে ভালো করতে না পারেন, তবে মনটাকে সারিয়ে নিন। মন প্রকৌশল হলো সেটাই — বেয়াড়া মনকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আনার, স্বপ্ন দেখার অভ্যাস গড়ে তোলার, অনুপ্রেরণা পাবার কলা কৌশল।
বাংলা ভাষায় অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বড়ই অভাব। প্রিয় জিনিষটি না পেয়ে, স্বপ্নের পেশা কিংবা পড়ার বিষয় না পেয়ে জীবন থেকে আশা, স্বপ্ন চলে গেছে বহু মানুষের। এই বইটা তাঁদের জন্যেই লেখা। জীবনের দুঃসময়ে অল্প একটু কথা, অল্প একটু স্বপ্ন দেখাতে পারলেই কারো কারো জীবন যেতে পারে পাল্টে। গত এক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই স্বপ্ন দেখার কথাগুলা বলে প্রচুর মানুষের সাড়া পেয়েছি, স্বপ্ন দেখতে চাওয়া স্বপ্নবাজদের সংখ্যা দুনিয়াতে কম নয়।
এই বইটা আলাদিনের চেরাগ নয়। সবার জীবনের সব সমস্যা রাতারাতি দূর করে দেয়ার মতো জাদুর কাঠি আমার হাতে নাই। কিন্তু এই বইতে যা আছে তা হলো ছোট্ট কিছু পরামর্শ, পথ দেখার নির্দেশনা। মন প্রকৌশলের এসব কাজগুলা করলে, এই লেখাগুলা পড়লে হয়তোবা কেউ না কেউ পাবেন চলার পথের দিশা, দেখতে পাবেন স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন আর অনুপ্রেরণায় গড়ে নিতে পারবেন জীবনকে।
স্বপ্ন দেখার, অনুপ্রেরণায় জীবনকে পাল্টে দেয়ার সময়টা এক্ষুনি। কাল বা পরশু নয়। তাই শুরু করে দিন।
অনেকের কাছেই বইটা কেন ভাল লাগলো না কেন বুঝলাম না। আমার ভালই লেগেছে। এ ধরনের বই ইংরেজিতে পড়ে অভ্যস্ত, বাংলায় সেই কবে সেবা কিছু ট্রাই করেছিল, এরপর দীর্ঘদিন খরা- হতে পারে হয়েছে কিন্তু চোখে পড়ে নি। আরেকটা ব্যাপার হতে পারে ভাল লিখতে পারে শুধুমাত্র এমন ক্ষমতাধর ব্যক্তি থেকে এসব মোটিভেশনাল বই হলে চলে না, যে লিখছে তাকে বেশ সফলও হতে হয়। রাগিব হাসান নি:সন্দেহে বাংলাদেশী তরুণদের মধ্যে অন্যতম সফল ও জনপ্রিয়, তাই তার লেখা যে আগ্রহ নিয়ে পড়েছি অন্য কারোটা হয়তো পড়তাম না।
বইটা পড়ার উৎসাহ পাইছি লেখন এর জীবনী পড়ার পর। স্বপ্ন বাস্তবায়ন নিয়ে লেখা বইটা। লেখকের জীবনী পড়ে হয় তো মনে হতে পারে উনি আতেল ছিলেন। বাট বিলিভ করেন বইটাতে কোথাও আতেলামি করার জন্য বলেন নাই। সারাদিন পড়ালেখাও করতে বলেন নাই। অনেক সুন্দর ইন্সট্রাকশন দিছেন জাস্ট।
বইটি ভালো। কিন্তু এই বইটি তে খুব বেসিক self helf content আছে। যারা self help নিয়ে অন্য কোনো বই পরেছেন বা YouTube এ ভিডিও দেখেন তাদের কাছে নতুন তেমন কিছুই নেই।
যতটা ভালো মনে করেছিলাম, ততটা ভালো লাগে নি। লেখাগুলোতে ভালো ভালো কথা থাকলেও তা যথেষ্ট ছিলো না। বেশিরভাগ লেখাগুলোতে উদাহরন টেনেই শেষ করে দেয়া হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো, লেখাগুলো ছোটছোট হওয়ায় কোনো রকম এক পৃষ্ঠার মাঝখান থেকে শুরু করে অন্য পৃষ্ঠার মাঝখানে শেষ করে দেয়া হয়েছে। যেইটুকু লেখা এক পৃষ্ঠাও না, সেটাকে ঠেলে দুই পৃষ্ঠা বানিয়ে বইয়ের সাইজ বড় করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু মানসম্মত হয়নি।
রাগিব হাসানের বিদ্যাকৌশল বইটার মতো ভালো হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু তা হলো না। লেখক সম্ভবত খুব তাড়াহুড়ো করে বইটা লিখেছেন। আরো বেশি শ্রম ও সময় দেয়া প্রয়োজন ছিলো, তাহলে পাঠকদের ভালো মানের কিছু লেখক দিতে পারতেন।
মন প্রকৌশল বইটি একটি অসাধারন বই। এখানে আপনাকে আপনার স্বপ্ন আর প্রতি ছুটতে সাহায্য করবে। আপনার যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান তার জন্য কি কি প্রয়োজন তা একটি দিক নির্দেশনামূলক বইটি। এই বইতে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়েছে এবং আপনাকে কিভাবে আপনার স্বপ্নের বা আপনার লক্ষ্যের দিকে যাবেন তার একটি নীল নকশা তৈরী করে দিয়েছ এই বইতে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কৌশল দেয়া হয়েছে যাতে আপনার সময়ের কাজ সময়ে করতে পারেন বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করার জন্য কি কি করতে হয় তাও দেয়া হয়েছে।
রাগিব হাসান স্যার এর বই সম্পর্কে বেশি কিছু বলার দরকার নাই। জাস্ট বলতে চাই যে, যদি আপনি নিজেকে একটা সার্টেন টাইমের পরে নতুন উচ্চতাই দেখতে চান তবে রাগিব হাসান স্যার এর বইগুলা আপনাকে দারুণ ভাবে হেল্প করবে। সেই পথে এই বইটা আপনার যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।
I read this years ago and the only bangla non-fic i've read. But I can say as simple and easy the writing is ..it's a really good self-developement book.
বাংলা ভাষাই লেখা প্রথম দিককার মোটিভেশনাল বই গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে রাগিব হাসান স্যার এর লেখা "মন প্রকৌশল স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা "লেখক মোট ১১১ টা (দ্বিতীয় সংস্করণ) ছোট ছোট লেখার মধ্য দিয়ে নানা বিষয় তুলে ধরেছেন।। আমার কাছে লেখার সবচেয়ে ভাল (কিছু কিছু সময় খারাপ ) দিকটা মনে হয়েছে লেখাগুলো ছোট ছোট। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মত অনেকটা ...ফেসবুক পোষ্ট যেমন হয় তেমন।।অনেক লেখা মনে হয় লেখক ফেসবুক এ লেখার জন্য এ লিখেছেন।। বইটাতে স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার কথা বলা হয়েছে।। লেখক নিজে তার শিক্ষাজীবন ও ক্যরিয়ার এ বেশ সফল এ বলা চলে।। তিনি নানা উদাহরণ দিয়ে নানা কথা তুলে ধরেছেন ।। সাফল্য কি? মানুস হিসেবে আমাদের আলাদা কি আছে? তার সাথে পড়াশুনায় মন বসানোর টেকনিক ও আছে।। সব দিক মিলিয়ে বাংলা ভাষায় এখন এই ধরনের বই লেখা হচ্ছে সেটা সবথেকে ভাল কথা।। আসা করা যায় আসছে দিনে এ ধরনের বই আর অনেক দেখা যাবে যা কোন দুর্দশাগ্রস্ত আত্মাকে হয়ত পথ দেখালেও দেখাতে পায়ারে।
Good motivational book in Bengali. The writing is very fun and casual way, so readers will enjoy. But it is bit short, I would say. The writer should add some more, I guess.
Norman Vincent peale ও আত্মোউন্নয়ন মুলক বই লিখেন, রাগিব হাসান, আয়মান সাদিকরাও লিখেন। কিন্তু লেখার সীমিত আকার, আর মোটিভেট করার চেষ্টা দেখে মনে হল-আমি যদি বই পড়ে মোটিভেট না হই, তাতে আমার দোষ। নিতান্ত ছোট লেখা-ফেসবুক অডিয়েন্স কে টার্গেট করে লেখা এগুলি। এতে কথা গুলো মনের ভিতরে দাগ কাটে না। বইয়ের পাঠক আর ফেসবুক পাঠক এক না। বইয়ের পাতায় ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা চোখ রাখতে বিরক্ত হই না-ফেসবুকে পার পোস্ট ৫ মিনিট। আমার মতে মোটিভেটর হতে হলে প্রথমে মোটিভেটর স্পিকার হওয়া দরকার-দেখতে হবে কিসে জনগনের চোখ চিকচিক করে। তরুনরা কিসে উদ্বুদ্ধ হয়। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ভালো বলতে পারবেন। বই পড়ে আমি হতাশ। বারবার মনে হয়েছে-লেখকের নিজের তাড়া আছে-চটপট বলে যাচ্ছেন। যে আশা নিয়ে বই কিনেছিলাম তা ব্যার্থ। শিরোনাম টা সুন্দর। এলোচিন্তা ডট কম এখন কাজ করেনা।
বাংলা ভাষায় মোটামুটি মানের একটি অনুপ্রেরণামূলক বই। আমার কাছে মনে হয়েছে বাক্যগঠন ও শব্দগঠনের দিকে মনোযোগ দিলে বইটির গুণগত গ্রহণযোগ্যতা আরো ভালো হতো। প্রচ্ছদ এবং পৃষ্ঠার মান চমৎকার।