চক্রবাক কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ১৯টি। এই কাব্যে নজরুল বেদনার ছবি তুুুলে ধরেছেন; এতে রয়েছে প্রেমের অনুুুভূতি এবং অতীত সুুখের স্মৃতিচারণা।
কবিতার তালিকাঃ
তোমারে পড়িছে মনে বাদল-রাতের পাখি স্তব্ধ রাতে বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি কর্ণফুলী শীতের সিন্ধু পথচারী মিলন-মোহনায় গানের আড়াল তুমি মরে ভুলিয়াছ হিংসাতুর বর্ষা-বিদায় সাজিয়াছি বর মৃত্যুর উৎসবে অপরাধ শুধু মনে থাক আড়াল নদীপারের মেয়ে ১৪০০ সাল চক্রবাক কুহেলিকা
Kazi Nazrul Islam (Bengali: কাজী নজরুল ইসলাম) was a Bengali poet, musician and revolutionary who pioneered poetic works espousing intense spiritual rebellion against fascism and oppression. His poetry and nationalist activism earned him the popular title of Bidrohi Kobi (Rebel Poet). Accomplishing a large body of acclaimed works through his life, Nazrul is officially recognised as the national poet of Bangladesh and commemorated in India.
চক্রবাক বইয়ের প্রতিটি কবিতা এত্ত সুন্দর যে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। যেমন সমুদ্র দেখলে এর সৌন্দর্য দেখা যায়, এর কোন েবর্ণনা দিতে হয় না। আমি যদি কবিতার কিছু লাইনও উদ্বৃতি করতে যাই, তবুও চিন্তায় পড়ে যাব, কোনটা আনব। কবি গ্রাম বাংলার চিরাচরিত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। নদী, সবুজ ঘাস, সাথে প্রেমিকার আবহ কালের ধরে বয়ে চলা মুখ প্রতিটি কবিতার চরণে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রেমিক হল বিদ্রোহীরা। কবি তো প্রেমের প্রতীক।
সুক্ষ্ম বিচার ধারায় নন্দিত একটি কাব্যগ্রন্থ। প্রতি চরণে কর্ণফুলী, ভাগীরথী, যমুনা দোল খোলায়। তিনি যেদিন প্রেমিকাকে দেখে নি, সেদিন যেন দেবতাকেও তিনি দেখতে পাননি। তিনি তো দেবীর পূর্জারি ছিলেন। তার কন্ঠে শত গান দেবীর পায়ের চরণে তিনি দান করেন। দিবস রজনী ঘুরে তিনি আনেন দেবীর জন্য স্বর্ণলতা।
তিনি আকাশে উড়ে বেড়ান বাতাসের হিল্লোলে। তার হৃদয়ে কেন লজ্জা নেই, যে তাকে অপমান করে বারবার তিনি তাকে চায় বুক ভরে। তটিনী ডুবে যায়, তিনি আস্তিন জুড়ে ডুবে যাওয়া তারাদের দেখেন। তারা তার বাড়ির আঙিনায় লুকোচুরি খেলে, লুটোপুটি খায় প্রেমিকা রূপে।
তবে, বইটিতে গ্রামের বনলতার, নদী, গাছের যে উপস্থাপন তিনি করেছেন তা অমূল্য এক সম্পদ। এত সুন্দর করে বউ কথা কও শুধু তার আকাশে উড়তে পারে।