Jump to ratings and reviews
Rate this book

অশ্লেষার রাক্ষসী বেলায় : স্মৃতিপটে শেখ মুজিব ও অন্যান্য

Rate this book

136 pages, Hardcover

First published January 1, 1996

32 people want to read

About the author

সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম (১৯২৫-১৯৯৯) সাংবাদিক, আমলা, কূটনীতিক ও লেখক। ১৯২৫ সালের ১ জুন ঢাকায় তাঁর জন্ম। তিনি ১৯৪২ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৪৪ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই.এ পাস করেন এবং ১৯৪৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে বি.এ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন।

নাজমুদ্দীন হাশেম সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি রেডিও পাকিস্তানের বার্তা সম্পাদক ও সম্প্রচারক (১৯৪৮-১৯৬২), পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন ব্যাংকের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা (১৯৬২-১৯৬৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাওয়ালপিন্ডিস্থ ব্যুরো অব ন্যাশনাল রিসার্চ ও রিকন্সট্রাকশন-এর উপ-পরিচালক (১৯৬৬-১৯৬৮), পাকিস্তান কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (১৯৭০-১৯৭২), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (১৯৭৪-১৯৭৫) এবং ১৯৭৫ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ছিলেন। নাজমুদ্দীন হাশেম ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ছিলেন। নাজমুদ্দীন হাশেমের কূটনৈতিক কর্মজীবন ছিল সুদীর্ঘ। তিনি ফ্রান্সে পাকিস্তান দূতাবাসের প্রথম সচিব (১৯৬৮-১৯৭০), লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার (১৯৭৯-১৯৮০), বার্মায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং সিঙ্গাপুরে হাইকমিশনার (১৯৮০-১৯৮২), সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফিনল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (১৯৮৪-১৯৮৬) ছিলেন।


সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তাঁর কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থ বন্দীশালা পাকিস্তান (১৯৯৪), অশ্লেষার রাক্ষসী বেলায়: স্মৃতিপটে শেখ মুজিব ও অন্যান্য (১৯৯৬), সমুদ্যত দৈব দুর্বিপাকে (১৯৯৯), The Devotee, the Combatant: Selected Poems of Shamsur Rahman (2000)। তিনি ১৯৯৯ সালের ১৮ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
2 (50%)
4 stars
1 (25%)
3 stars
1 (25%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 3 of 3 reviews
Profile Image for Shadin Pranto.
1,471 reviews560 followers
October 2, 2019
সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা নাজিমুদ্দীন হাশেমের 'বন্দীশালা একাত্তর' যারা পড়েছেন, তারা জানেন কতটা শক্তিশালী নাজিমুদ্দীন হাশেমের কলম। সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় ছত্র থেকে নেওয়া নাম 'অশ্লেষার রাক্ষুসী বেলায়' গ্রন্থটি তাঁর স্মৃতিকথাধর্মী কয়েকটি প্রবন্ধের সংকলন।

এই বইতে তিনি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, সানাউল হক, সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী, রাজনীতিবিদ তমিজউদ্দিন খান, সুলতান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।

এই বইয়ের রত্ন হলো শেখ সাহেবের শাসনকাল এবং তাঁর নির্মম হত্যাপরবর্তী এদেশের রাজনীতি নিয়ে লেখা প্রবন্ধটি। অনেক অজানা তথ্যের আকর এই স্মৃতিকথাটি। তাতে শেখ সাহেবের উত্থান থেকে একেবারে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কে ধরতে চেয়েছেন নাজিমুদ্দীন হাশেম।

একদা বঙ্গীয় রাজনীতির সংবাদ সংগ্রহের কাজ করেছেন সৈয়দ নাজিমুদ্দীন হাশেম৷ তাই পাকিস্তান আমলের ঝানু রাজনীতিক হতে শুরু করে হক সাহেব, সোহরাওয়ার্দীকে নিয়েও বিশ্লেষণ করার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী ম্যাজিকে তাঁর বিশ্বাস নেই। বুঝতেই পারছেন শহীদ সাহেবকে কীভাবে ট্রিট করেছেন নাজিমুদ্দীন হাশেম।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ মৌলবি তমিজউদ্দিন খান লেখকের আত্মীয় ছিলেন। তাঁকে নিয়ে লেখাটা খুবই সুন্দর। রাজনীতির অন্দরমহলের অনেক খবরই গল্পের ঢঙে জানা যায়।

নাজিমুদ্দীন হাশেম খুবই পড়াশোনা জানা মানুষ। তাঁর লেখার ধাঁচই এই সাক্ষ্য দেয়। হয়তো লেখকের সকল বক্তব্য এবং মতবাদ আপনার মনোঃপূত হবে না। কিন্তু পড়তে ভালো লাগবেই।
Profile Image for Saiful.
18 reviews6 followers
September 18, 2020
'উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তারাতো রাষ্ট্রপতি নিধনে তখন ঢাকা সেনানিবাসে বিজয়োৎসবে মশগুল, যেমন অসম্ভব ক্ষমতালিপ্সু উপসেনাধ্যক্ষ জেনারেল জিয়াউর রহমান, উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিফ অব জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, সুযোগসন্ধানী ঢাকা ব্রিগেডের অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিল। তাইতো রাষ্ট্রপতি ও সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবের হত্যার পরও অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। বরং বিদ্রোহীদের ট্যাঙ্ক বাহিনীর গোলাবারুদের ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ, সম্ভাব্য প্রতিরোধ রুখতে তিনিই দুটি ফাইটার জেট পাঠিয়েছিলেন সাভারের রক্ষী বাহিনীকে ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে।'

লেখক খালেদ মোশাররফকে নিয়ে যে ন্যারেটিভটা দিলেন সেটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঠেকল! অন্যান্য সব বইপত্রে খালেদ মোশাররফকে ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়টায় আর্মিতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনার সদিচ্ছায় থাকা সেনা কর্মকর্তা হিসেবেই দেখে এসেছি বলে মনে পড়ে। ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টার সাথে সেনাবাহিনীতে তার নিজস্ব অস্তিত্বের হিসেব নিকেষ নিয়ে অন্য আলোচনা হতে পারে। কিন্তু ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী ঘন্টাগুলোতে খালেদ মোশাররফের সক্রিয় অংশগ্রহণের এহেন দাবী এই প্রথমবারই চোখে পড়ল! এই ন্যারেটিভের সত্যিই কি কোন ভিত্তি আছে?
Profile Image for শিফাত মহিউদ্দিন .
114 reviews3 followers
March 7, 2020
বিদগ্ধ এক মানুষ সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম, তার কলমের খোঁচায় তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন তার সময়ের নানা ঘটনাকে। সেই ঘটনাগুলো তার অন্যরকম লিখনশৈলীতে হয়ে উঠেছে আরো অনন্য। কালের সাক্ষী সৈয়দ নাজমুদ্দীন হাশেম চাকরীসংক্রান্ত নানা সংশ্লিষ্টতার সুবাদে দেখেছেন ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া নানা ঘটনা। সেইসব ঘটনার প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান ও একটা নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি এই বইয়ে।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখাটি নিবন্ধটি নিঃসন্দেহে এই বইয়ের শ্রেষ্ঠ সংযোজন যেখানে তিনি নিজেকে শেখের সমসাময়িক বলে দাবী করেছেন। সেই দাবি মোটেই অপ্রতুল নয়, দেশভাগের পর থেকে নানা সময়ে তিনি এবং বঙ্গবন্ধু একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের মধ্যে মতের অমিল হলেও মনের অমিল কখনো হয় নি। নিজের চোখে দেখা স্রেফ 'মজিবরের' বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার সরাসরি সাক্ষী তিনি। এই দুর্বিপাকের যুগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এরকম পরিচ্ছন্ন, গঠনধর্মী লেখা আরো প্রয়োজন, নইলে এই তরুণ সমাজ বুঝে উঠতে পারবে না মানুষটার মাহাত্ম্য।

লেখকের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ছিল বিখ্যাত লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাথে। চাকরীর সুবাদে দুজন একই সময়ে ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন। সেখানে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি 'সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: কিছু খণ্ডচিত্র' লেখাটিতে। ওয়ালীউল্লাহকে আরো চেনা ও জানার সুযোগ হল এই লেখাটির মাধ্যমে। মানুষ ওয়ালীউল্লাহ ক্রমাগত কী সব আদর্শ ও বাস্তবতার টানাপোড়েনে বসবাস করতেন তার নিখুঁত বর্ণনা আছে বইয়ে।

এছাড়া শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও মৌলবি তমিজউদ্দিন খানকে নিয়ে লেখা দুটো নিবন্ধে প্রায় স্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়া দুজন অসাধারণ রাজনীতিবিদের মনমানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
Displaying 1 - 3 of 3 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.