খুবই অগোছালো লেখা। সম্ভবত ডায়েরিতে যা লেখা হয়েছিল, সেটাই তুলে দেয়া হয়েছে। তবে লেখাটার গুরুত্ব আছে; লেখিকা উপমহাদেশের জেলগুলোর অমানবিক বাস্তব ছবিটা তুলে ধরেছেন। কয়েদীরা বেশিরভাগই ছিঁচকে অপরাধের কারণে জেল খাটছে, আর নাহলে রাজনৈতিক বন্দী। রাঘব বোয়াল নেই বললেই চলে। অবস্থা যা ছিল, তাই আছে, এই উপলব্ধিটাই পাওয়া।
ভীষণ সহজ আর সুখপাঠ্য ভাষায় লেখা সুরমা ঘটকের এই অভিজ্ঞতাটি আমাদের জানান দেয় অন্য এক জগতের কথা, যেখানে পৃথিবীর সমস্ত কদর্যতার কারণ সন্ধানের প্রয়াস পাওয়া যায়। জেলে যাওয়া মানুষগুলোর স্বরূপ আর তাদের প্রকৃতিসন্ধানই এই বইয়ের বিষয়বস্তু আর তার গুরুত্বও এখানেই। ৪.৫/৫
প্রথম দিকে যতোটা ভাল লেগেছিলো,শেষতক এতোটা থাকেনি। ভারতবর্ষ ভাগের পর অধুনা ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলনে বন্দী হন লেখিকা।সেই একবছরকাল জেলবাসের কাহিনি বইটাতে।হয়তো ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী বলেই এক্সপেক্টেশন আরেকটু বেশি ছিল।সাহিত্যমূল্যের বাইরেও বইটির গুরুত্ব আছে,পঞ্চাশের দশকের কমিউনিস্ট ভাবাদর্শ ও শাসকগোষ্ঠীর বিচার-আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে এটায়।