Jump to ratings and reviews
Rate this book

শ্রীকান্ত #1

श्रीकान्त १

Rate this book
बाँग्ला के अमर कथाशिल्पी शरतचन्द्र चट्टोपाध्याय प्रायः सभी भारतीय भाषाओं में पढ़े जाने वाले शीर्षस्थ उपन्यासकार हैं। उनके कथा-साहित्य की प्रस्तुति जिस स्वरूप में भी हुई, लोकप्रियता के तत्त्व ने उनके पाठकीय आस्वाद में वृद्धि ही की। सम्भवतः वह अकेले ऐसे भारतीय कथाकार भी हैं, जिनकी अधिकांश कालजयी कृतियों पर फिल्में भी बनीं तथा अनेक धारावाहिक सीरियल भी। अपने विपुल लेखन के माध्यम से शरत् बाबू ने मनुष्यों को उनकी मर्यादा सौंपी और समाज की उन तथाकथित ‘परम्पराओं को ध्वस्त किया, जिनके अन्तर्गत नारी की आँखें अनिच्छित आँसुओं से हमेंशा छलछलाई रहती हैं। समाज द्वारा अनसुनी रह गई वंचितों की बिलख-चीख और आर्तनाद को उन्होंने परखा तथा गहरे पैठकर यह जाना कि जाति, वंश और धर्म आदि के नाम पर एक

440 pages, Kindle Edition

First published February 12, 1917

50 people are currently reading
314 people want to read

About the author

Sarat Chandra Chattopadhyay

260 books931 followers
Complete works of Sarat Chandra (শরৎ রচনাবলী) is now available in this third party website:
http://sarat-rachanabali.becs.ac.in/i...

Sarat Chandra Chattopadhyay (also spelt Saratchandra) (Bengali: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) was a legendary Bengali novelist from India. He was one of the most popular Bengali novelists of the early 20th century.

His childhood and youth were spent in dire poverty as his father, Motilal Chattopadhyay, was an idler and dreamer and gave little security to his five children. Saratchandra received very little formal education but inherited something valuable from his father—his imagination and love of literature.

He started writing in his early teens and two stories written then have survived—‘Korel’ and ‘Kashinath’. Saratchandra came to maturity at a time when the national movement was gaining momentum together with an awakening of social consciousness.

Much of his writing bears the mark of the resultant turbulence of society. A prolific writer, he found the novel an apt medium for depicting this and, in his hands, it became a powerful weapon of social and political reform.

Sensitive and daring, his novels captivated the hearts and minds of thousands of readers not only in Bengal but all over India.

Some of his best known novels are Palli Samaj (1916), Charitraheen (1917), Devdas (1917), Nishkriti (1917), Srikanta in four parts (1917, 1918, 1927 and 1933), Griha Daha (1920), Sesh Prasna (1929) and Sesher Parichay published posthumously (1939).

"My literary debt is not limited to my predecessors only. I'm forever indebted to the deprived, ordinary people who give this world everything they have and yet receive nothing in return, to the weak and oppressed people whose tears nobody bothers to notice and to the endlessly hassled, distressed (weighed down by life) and helpless people who don't even have a moment to think that: despite having everything, they have right to nothing. They made me start to speak. They inspired me to take up their case and plead for them. I have witnessed endless injustice to these people, unfair intolerable indiscriminate justice. It's true that springs do come to this world for some - full of beauty and wealth - with its sweet smelling breeze perfumed with newly bloomed flowers and spiced with cuckoo's song, but such good things remained well outside the sphere where my sight remained imprisoned. This poverty abounds in my writings."

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
244 (46%)
4 stars
177 (33%)
3 stars
74 (14%)
2 stars
16 (3%)
1 star
10 (1%)
Displaying 1 - 30 of 35 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
December 28, 2020
‘শ্রীকান্ত’ শরৎচন্দ্রের আত্মজীবনী জাতীয় রচনা যদিও যতদূর জানি এটা প্রকাশিত হয়েছিল ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে । তবে বইটিতে ঘটনার সমাবেশ চোখে পড়ে না; লেখকের অনুভবজ্ঞান এবং আত্ম-আবিষ্কারের এক অপ্রকাশ মহাকাব্য এটি। কল্পনার চেয়ে এখানে অনুভূতির আন্তরিকতা বেশি। লেখকের ব্যক্তিগত আনন্দ ও আত্মার তুষ্টির দেখা মিলবে এই কাহিনিতে। কাজেই ‘শ্রীকান্ত’ একটি সাহিত্যিক-শৈল্পিক আত্মদর্শন, আত্মবিবরণ এবং আত্ম-প্রতিফলন। তবে কাহিনিটিতে উপন্যাসের মতো করে চরিত্ররা ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতকে সম্বল করে সামনে এগিয়েছে সমাপ্তির অনির্ধারিত পথপানে।

শ্রীকান্তের জীবনে ও চলার পথে প্রবেশ করেছে নানান নারী চরিত্র- অন্নদাদিদি, পিয়ারী, রাজলক্ষী, অভয়া, সুনন্দা, কমললতা সকলেই প্রাতিস্বিকতায় আলাদা। স্বাভাবিক সামাজিক অস্থিরতায় আচ্ছন্ন শ্রীকান্ত কোথায় বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি- কোনো নারীর মনেও না; কোনো নারীর জন্যও না। কিন্তু একধরনের স্মৃতিকাতরতা তার মধ্যে ছিল। ফেলে-আসা দিনের কোনো ব্যক্তিকে সে একেবারে হারিয়ে ফেলেনি। যাদের প্রভাব নিজের অনুভবকে তাড়িত ও শাণিত করেছে, তাদেরকে শ্রীকান্ত অনুভবের শৈল্পিক বারান্দায় স্থান দিয়েছেন পরম মমতায়। নির্লিপ্ততা কিংবা অনাসক্তির ভেতরেও যে প্রবল এক আকর্ষণ-আকর্ষণ কিংবা বিকর্ষণ-আকর্ষণ চেতনা খেলা করে তার বাস্তবতাকে শ্রীকান্ত অস্বীকার করতে পারেনি কিছুতেই। আর তাই, প্রেম-বিরহ-আকাক্সক্ষা-আবেগ- এ সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে শ্রীকান্তের আভিজাত্য।
Profile Image for Israt Zaman Disha.
194 reviews622 followers
May 4, 2018
প্রথম যখন পড়েছিলাম রেটিংটা তখন দিলে ৫ ই দিতাম। কিন্তু এখন আর তেমন লাগলো না। শুধুমাত্র প্রথমে ইন্দ্রকে নিয়ে যে গল্পগুলো ছিল সেগুলো আগের মতোই লাগল।
Profile Image for Shahidul Nahid.
Author 5 books141 followers
July 28, 2017
পিচ্চিকালে পড়েছিলাম... আঃ!
Profile Image for Akash.
446 reviews148 followers
November 28, 2022
শরৎচন্দ্রের পড়া আমার প্রথম বই। আমি শতভাগ মুগ্ধ। আমার চারপাশের মানুষগুলো আমাকে শরৎচন্দ্র পড়তে নিষেধ করেছিল। পড়ে নাকি শুধু শুধু সময় নষ্ট। আর আমি তাদের কথা শোনে শরৎ পড়িনি। ভুল করেছি মস্ত বড় ভুল। এজন্যই বলে অন্যের পথে সফল হওয়ার চেয়ে নিজের পথে ব্যর্থ হওয়া ভাল।

নস্টালজিয়া করে দিয়েছে ইন্দ্রনাথ আর শ্রীকান্তের গভীর রাতে নৌকা ভ্রমণ। শৈশবে গভীর রাতে কতশত বার নৌকা দিয়ে বিলেতে-নদীতে ঘুরে বেড়িয়েছি তার হিসাব নেই। জেলের একটা নৌকা একদিন রাগে ভেঙ্গে দিয়েছিলাম উজানের সাথে যুদ্ধ করে হেরে যাওয়ায়। কৈশোরে গভীর রাতে নৌকায় বিলের মাঝখানে বসে কতশত গল্প করেছিলাম গ্রামের বন্ধুদের সাথে। আর এখন গ্রাম ছেড়ে সারাজীবনের জন্য পরিবারসহ শহরের বাসিন্দা হয়ে গেলাম। গ্রাম এখন আর আমার পরিবারকে টানে না; তবে আমায় টানে প্রতিদিন।

শ্মশানে শ্রীকান্তের রাত কাটানোর অংশটা পড়ার সময় ছোটবেলায় চাচাতো ভাইয়ের সাথে শ্মশানের পাশে রাত কাটানোর কথা মনে পড়ে গিয়েছে। আমার শৈশব ইন্দ্রের মতো ছিল। কত দুষ্টু ছিলাম, কত বন্ধু ছিল, কত পিটুনি খেয়েছি। আর এখন ভদ্র, অর্ন্তমুখী, একাকী হয়ে গেছি।

রাজলক্ষ্মী আর অন্নদাদিদির জন্য মন খারাপ তো হবেই। এত নরম মন আমার। কোমল মনের অধিকারী হওয়া কী ন্যাকামি নাকি পাকামি! যাইহোক মন ছুঁয়ে যাওয়া এই দুই দিদির জন্য ভালোবাসা। শরৎ আমার অনেক পড়তে হবে। প্রথম পড়া বইটা প্রিয় বইয়ের জায়গা দখল করে নিল। মানব চরিত্র রহস্যময়। কস্মিনকালেও মানব মনের রহস্যের সমাধান আধুনিক বিজ্ঞান করতে পারবে না।

“আমি টের পাইয়াছি মানুষ শেষ পর্যন্ত কিছুতেই নিজের সমস্ত পরিচয় পায় না। সে যা নয়, তাই বলিয়া নিজেকে জানিয়া রাখে এবং বাহিরে প্রচার করিয়া শুধু বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে; এবং যে দণ্ড ইহাতে দিতে হয়, তা নিতান্ত লঘুও নয়।”
Profile Image for Ujjwala Singhania.
221 reviews69 followers
January 8, 2022
शरदचन्द्र कि श्रिकांत, नायक कि जीवनी है। श्रिकांत के जीवन में आयी हुई स्त्रियों और उनके अपने जीवन पर परे प्रभाव कि कहानी है। एक ओर अपने परिवार और देश-काल के संस्कार और दूसरी ओर आनंदा दीदी, राज्यलक्ष्मी या प्यारीबाई, अभाया…जो उसी समाज के एक दूसरे रूप को दर्शाती हैं। श्रिकांत उनसे प्रभावित होता है, उनकी ओर आकर्षित भी होता है और अपने संस्कारों के तराज़ू में उन्हें तोल्ता भी है। देखते हैं कहानी के दूसरे भाग में क्या होता है।
Profile Image for Lira.
3 reviews
June 10, 2020
চার খন্ডে বিভক্ত শ্রীকান্ত উপন্যাসটির ব্যাপকতা অনেক বেশি। সেটিকে অল্পকিছু শব্দে লিপিবদ্ধ করা বড়ই দুষ্কর । চারটি খন্ড পালাক্রপমে রচিত হয়েছে
১৯১৭ হতে ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ।
উপন্যাসটি শুরু হয় শ্রীকান্তের ভবঘুরে জীবনের শেষপ্রান্তে কোন এক অপরাহ্নবেলায়,কিছু অসমাপ্ত সমীকরণ আর অনেকটা আক্ষেপ
নিয়ে। যেমন করে আমরা জীবনপ্রদীপের শেষ তৈলবিন্দুতে এসে পাওয়া না পাওয়ার হিসেবগুলো মিলিয়ে দেখি ।

শ্রীকান্তের ভবঘুরে জীবনের সূত্রপাত ঘটে ইন্দ্রনাথের মাধ্যমে। বাঁশির মত যার নাক,প্রশস্ত সুডৌল কপাল,মুখে দুই চারিটা
বসন্তের দাগ,বয়সে শ্রীকান্তের চেয়ে কিছু বড়। তার একমাত্র উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল হাত দুটি তার হাঁটুর নিচ পর্যন্ত পড়ত।এই লম্বা দুখানা হাত বাড়িয়েই
সে ইস্কুলের মাঠে ফুটবল ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত উশৃংখলতা থেকে শ্রীকান্তকে উদ্ধার করে । সেই থেকে তার সাহসিকতা আর করুণায় মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রকে
জীবনের আদর্শ হিসেবে ভাবতে থাকে শ্রীকান্ত। ইন্দ্রনাথের সঙ্গ খুবই উপভোগ করত শ্রীকান্ত।তারই রেশ ধরে একদিন গভীর অন্ধকারে দুইজনে ডিঙ্গিতে
চড়ে মাছ ধরতে যাবার অজুহাতে কিছু অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় সে। তাদের সেই ছোট্ট ভ্রমনটিতেই মূলত লেখক আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন
ইন্দ্রনাথ চরিত্রটির সাথে।
ইন্দ্রনাথ মুক্তমনা একজন মানুষ,সংসারের বন্ধন যাকে ছিন্ন করতে পারেনা বাস্তবতা থেকে,মানবতার নিগূঢ় সত্যের অনুসন্ধান প্রাপ্ত এবং সকম জাত-ধর্মীয়
গোঁড়ামিমুক্ত। ইন্দ্রের মাধ্যমেই শ্রীকান্তের জীবনে আসে অন্নদাদিদি,পুরো বইটি জুড়ে বেশ কিছু নারী চরিত্রের সাথে পরিচিত হই আমরা,যার মাঝে ইনিই
প্রথম।অন্নদাদিদি মুসলমান,কূলত্যাগ করে সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে স্বামীর ঘর করতে এসে মাদকাসক্ত স্বামীর অপরিসীম অত্যাচার সত্বেও যে ছিল নিজের
চারিত্রিক মাধুর্যে অটল। তবুও দুমুঠো অন্নের তাগিদে সাপের মন্ত্র দেবার বায়না করে,সাপ খেলা দেখিয়ে সে জীবনযাপন করত।ইন্দ্র তাদের ভন্ডামি জানতে
পেরে ঘৃণাভরে তীব্র তিরস্কার করে দিদির সংস্পর্শ ত্যাগ করলেও শ্রীকান্তের কোমল হৃদয় ঠিকই সেই অসহায় দেবতাতূল্য,স্বামীপ্রেমে অনুরক্ত ন��রীমূর্তিকে
মনের গভীর থেকে ভালবেসেছিল। সর্বংসহা নারীর গভীর স্বামীপ্রেম,আর সততা তার হৃদয়ের মাঝে দাগ কেটেছিল বহুদিন পর্যন্ত।
সময়ের ��রিবর্তনে আমাদের জীবনে যেমন নতুন নতুন মানুষের আবির্ভাব ঘটে তেমনি অনেকে হারিয়েও যায়। তেমনি একদিন শ্রীকান্তের জীবন থেকে
ইন্দ্র চরিত্রটি বিদায় নিল।
এল রাজলক্ষ্মী।
এই উপন্যাসের অন্যতম এবং আমার প্রিয় চরিত্র।
রাজলক্ষ্মীর সাথে শ্রীকান্তের পরিচয় হয় ,তারই সহপাঠী রাজপুত্রের শিকার পার্টির নিমন্ত্রণে। সেখানে রাজলক্ষ্মী ছিল বাইজী,নাম পিয়ারী। এই পিয়ারীর সাথে এক
বিশেষ নাটকীয়তার মাধ্যমে স্মৃতির গভীর তল হাতড়ে শ্রীকান্ত খুঁজে পায় এক কিশোরীর ম্লান মুখ,যে তাকে ছেলেবেলায় কাঁটাযুক্ত বইচিঁ ফলের মালা পরিয়ে তারই অলক্ষ্যে
কবে ভালবেসে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছিল। জীবনের নানা মোড় নানা প্রতিবন্ধকতা পেড়িয়ে যখন দুজনে একিত্রত হয় ,প্রথমটায় রাজলক্ষ্মীকে এড়িয়ে গেলেও শেষে সে-ই
হয়ে উঠে ভবঘুরে শ্রীকান্তের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু । সেই রাজলক্ষ্মীর মাঝেই সে খুঁজে পায় মমতাময়ী মায়ের স্নেহ,বড় বোনের স্নেহময়ী শাসন আবার প্রেমিকার অকৃত্রিম ভালবাসা।
রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্তকে আগাগোড়াই বুঝেছিল। তাই তার ছেলেবেলার হারানোর ভয়,উত্তাল আবেগপূর্ণ ভালবাসা,পয়সার লোভে বাইজী পেশা সবকিছু ছেড়ে যখন ধর্মীয় আদর্শে নিজেকে নতুন
করে গড়ে তুলছিল,তখন শ্রীকান্ত কেও আচলে বেঁধে রাখেনি সে আর। শুধু দূর থেকে মঙ্গল কামনাই হয়ে উঠেছিল ছিল তার ব্রত।
শ্রীকান্তের বর্মায় চাকরি যাত্রার সুবাদে পরিচয় ঘটে আরো একটি অতুলনীয় চরিত্র,অভয়ার সাথে।
অভয়া বাস্তববাদী,সাহসী,আপন যুক্তিতে যার প্রাণ সকল চিরাচরিত নিয়মের বাহিরে গিয়ে গোঁড়ামিমুক্ত সত্যের রস্টুকু আস্বাদন করতে পেরেছিল।
গুণেমানে সে কিছুটা রাজলক্ষ্মীর সমতুল্য,সেই প্রমাণ আমরা পাই,রাজলক্ষ্মী ও অভয়ার পত্র যোগাযোগের মাধ্যমে।
অভয়ার বলা একটি উক্তি আমার খুবই প্রিয়-
"সুখের জন্য দুঃখ স্বীকার করিতে হয় ,এ কথা সত্য; কিন্তু তাই বলিয়া ইহাকে উল্টাইয়া লইয়া যেমন করিয়া হোক কতকগুলা দুঃখ ভোগ করিয়া গেলেই যে সুখ আসিয়া স্কন্ধে ভর করে,তাহা স্বতঃসিদ্ধ
নয়। ইহকালেও সত্য নয় পরকালেও সত্য নয়।"

এবং,
"নিরর্থক ত্যাগের নিষ্ফল মহিমা ,একেবারে ব্যর্থ,একেবারে ভুল।"

এভাবে আরো একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র আসে ,তা হল কমলিলতা। কমলিলতা শ্রীকান্তকে ভালবেসেছিল সত্য, তবে সেই ভালবাসার সীমানা ছিল,আর ছিল তার ঠাকুরদেবতার প্রতি অগাধ বিশ্বাস,শুধুমাত্র এই বিশ্বাসের
জোরেই যে একদিন গন্তব্যহীন পথে যাত্রা করে নতুন জীবনের সন্ধানে।
শেষ হয় শ্রীকান্তের ভবঘুরে জীবনের যাত্রা। সবশেষে রয়ে যায়,সেই রাজলক্ষ্মী।
বিভিন্ন নারীর ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস,সাহসিকতা যেভাবে ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে তাতে,সর্বংসহা নারীর অতুলনীয় ধৈর্য এবং বাস্তববাদীতা,সংসারের দুঃখ কষ্টকে অলংকারের মত গলার জড়িয়ে যারা নিত্যদিন হাসিমুখে
ভালবেসে যায় নিঃস্বার্থভাবে, শরটচন্দ্র তা-ই খুব দরদী হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন।এখানে শ্রীকান্ত চরিত্রটি ভবঘুরে এবং কতকটা মেরুদন্ডহীন করে তুলে ধরার একটি কারণ হতে পারে নিরপেক্ষতা। কেননা,
সমাজের খুব উঁচু কিংবা নিচু পর্যায়ের মানুষ,যারা কিনা শুধু জীবিকার পেছনে ছোটে,সময় যাদের কাছে মহামূল্যবান,যারা শুধু একটা ছোট্ট গন্ডির মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখে ,মানুষের অন্তরের গভীরতা
এবং প্রকৃতির রহস্যময়তা তাদের অগোচরেই রয়ে যায়। শ্রীকান্ত যার বিপরীত স্রোতে গিয়ে সেই সন্ধান খুঁজে পেয়েছিল।


আমার কিছু প্রিয় উক্তি-

"কালোর যে এত রূপ ছিল,সে তো কোনদিন জানিনাই।তবে হয়তো মৃত্যুও কালো বলিয়া কুৎসিত নয়;একদিন যখন সে আমাকে দেখা দিতে আসিবে,তখন হয়ত তার এমনি অফুরন্ত সুন্দর রূপে আমার দুই চক্ষু জুড়াইয়া
যাইবে।আর সে দেখার দিন যদি আজই আসিয়া থাকে, তবে, হে আমার কালো ! হে আমার অভ্যগ্র পদধ্বনি ! হে আমার সর্বদুঃখ-ভয়-ব্যথাহারী অনন্ত সুন্দর! তুমি আমার অনাদি আঁধারে সর্বাংগ ভরিয়া আমার এই দুটি
চোখের দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ হও,আমি তোমার এই অন্ধতমসাবৃত নির্জন মৃত্যুমন্দিরের দ্বারে তোমাকে নির্ভয়ে বরণ করিয়া মহানন্দে তোমাকে অনুসরণ করি।"

"সত্য যখন সত্যই মানুষের হৃদয় হইতে সম্মুখে উপস্থিত হয়,তখন মনে হয় যেন ইহারা সজীব;যেন ইহাদের রক্তমাংস আছে;যেন তার ভিতরে প্রাণ আছে-নাই বলিয়া অস্বীকার করিলে যেন ইহারা আঘাত করিয়া
বলিবে,চুপ কর। মিথ্যা তর্ক করিয়া অন্যায়ের সৃষ্টি করিয়ো না।"
Profile Image for Rust Cohle.
43 reviews1 follower
January 20, 2022
ক্লাসিক যাকে বলে আরকি। এসমস্ত বইকে রিভিউ দেওয়ার মতো দুঃসাহস আমার ভেতর কোনোকালেই জন্মাবেনা। বলাই বাহুল্য, আমি শরৎচনন্দ্রের ভক্ত। শৈশবে সবাই যখন মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা পড়তো তখন সেসব কেনার অর্থের অভাবে আমার ভাগ্যে জুটেছিলো কেবল শরৎচন্দ্র। বলাই বাহুল্য তার একখান সমগ্র গিফট হিসেবে পাওয়া। ওই একটাই বই ছিলো আমার কাছে, একই বই বারংবার পড়া হতো। তা ভালোই হয়েছে আমার জন্য। Blessing in disguise যাকে বলে আরকি।
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
July 28, 2017
শ্রীকান্ত বড় হইয়া যাইবার পরের কাহিনী মনকে আর বেশি টানিতে পারেনাই। ইহার কারণ বিধাতা ব্যতীত আর কাহারো পক্ষে বলা অসম্ভবই বটে!
Profile Image for Jihad Islam Niloy .
43 reviews
December 31, 2023
আমি সমস্তই দেখিলাম, সমস্ত বুঝিলাম। যে গোপনেই আসিয়াছিল, তাহাকে গোপনেই যাইতে দিলাম। কিন্তু এই নির্জন নিশীথে সে যে তাহার কতখানি আমার কাছে ফেলিয়া রাখিয়া গেল, তাহা কিছুই জানিতে পারিল না।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
November 7, 2023
আহা!কি সুন্দর!মন জুড়িয়ে গেলো।শ্রীকান্ত অনেক দিন থেকে পড়বো পড়বো করে পড়া হয়নি।পড়ে ফেললাম প্রথম পর্ব।কি নেই এই প্রথম পর্বে?সবথেকে বড় প্রাপ্তি এখানে ইন্দ্রনাথ।আহা!কি চরিত্র।পছন্দের চরিত্রের তালিকায় অনায়াসে ঢুকে পড়েছে ইন্দ্র।
মেজদার মতো মজাদার চরিত্রের কথা কিভাবে ভোলা যায়?এছাড়া,হাইরে অভাগিনী অন্নদাদিদি!তোমার কথা আর কি বলবো!আর রয়েছে পিয়ারী বা রাজলক্ষ্মী।শ্রীকান্তের নাম নিলেই রাজলক্ষ্মীর নাম এমনি এমনিই চলে আসবে।সব মিলিয়ে সুন্দর বই।
Profile Image for Imran Shorif Shuvo.
86 reviews30 followers
August 20, 2021
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা মাথায় নিয়ে কেন এই বস্তু পড়ছি তা বোধগম্য হচ্ছে না।
দ্বিতীয় বারের মত পড়া, প্রথমবারের থেকে যে মন্দ লাগেনি তা বলতেই পারি।
Profile Image for Riddhiman.
157 reviews14 followers
December 16, 2017
This is undoubtedly the best work by the author (I mean this first part). Srikanto being a reflection of Sharat Chandra himself, this book is of a semi-autobiographical nature, where he has banked on certain real experiences and people he had encountered in his life, which makes it all the more interesting. Although I do not hold most of Sharat Chandra's books in a good esteem, but his language and narration style in each of them is certainly a role model. This one also is no exception
Profile Image for Suhala Rabab Saba.
30 reviews16 followers
May 6, 2021
আমাকে যদি শুধু ইন্দ্র আর অন্নদা র অনুচ্ছেদ গুলোর জন্য রেটিং দেয়ার অনুমতি দেয়া হতো তাহলে আমি ৫/৫ এই দিতাম।
রাজলক্ষী, শ্রীকান্ত র সন্ন্যাস এগুলো কেন জানি অত টা ভালো লাগল না। এজন্য কম রেটিং।

আসলে ২ দিতে চাচ্ছিলাম শুরুতে।
Profile Image for Jesan.
141 reviews5 followers
November 12, 2021
একজন লোকের বাল্যকাল, এডভেঞ্চারময় জীবন নিয়ে লেখা....ইন্দ্রনাথ পারট ভাল ছিল কিন্তু পিয়ারী/রাজলক্ষী পারট খুব একটা পছন্দ হয়নি....শেষটা হয় আক্ষেপ নিয়ে
Profile Image for shameeka alexis.
361 reviews11 followers
December 1, 2021
man this srikanta has major main-character syndrome and sees everyone around him as caricatures and accessories that come and go in his life. he seems to consider himself above everyone and comes off as being extremely narcissistic when in fact these side characters' lives were waay more interesting than this. i failed to connect with him at all as the author does not allow for circumstances where we learn about him as a person. he has the personality of a tree log and is literally washed along by the interesting personalities of the people he encounters who for some unknown reason are obsessed with him.
it was a very disconnected read for me with the timelines being extremely unclear and not learning even a single character trait of srikanta at the end of the 175 pages.
i did enjoy those rare pages filled with his musings about life though as they gave the readers some insight into his personality.
6 reviews
April 17, 2025
শ্রীকান্ত আর ইন্দ্রনাথের শৈশবের স্মৃতি,অন্নদিদি,নতুনদা .... শ্রীকান্তের জীবনের এসব কাহিনী পড়তে বেশ ভালো লেগেছে যা রাজলক্ষ্মীর সাথে দেখা হওয়ার পরের ঘটনাক্রম পড়তেও বেশ ভালো লাগে....কিন্তু এই কাহিনীগুলো সব কেমন যেন ছেঁড়া ছেড়া এবং অসম্পূর্ণ লেগেছে....বিশেষ করে ইন্দ্রনাথের সাথে বিচ্ছেদ কিভাবে হলো এবং রাজলক্ষ্মী কিভাবে পেয়ারী হয়ে উঠল সেটা বিস্তারিত নেই....যা আছে তাই কেমন যেন খাপছাড়া...🤡...
আর বঙ্কু তার বিমাতা যে বাঈজী তার জানা সত্বেও তার এত অনুগত....এটাও কেমন লাগলো🤡

ব্যক্তিগত রেটিং:-৩.৫/৫ মোটামুটি ভালো
Profile Image for Israt jalil.
70 reviews23 followers
October 15, 2023
ইন্দ্রর সাথে আমার পরিচয় ক্লাস ফোরে। নতুনদা গল্পের মাধ্যমে। সেই ক্লাস ফোরে যে চরিত্রটা আমার নায়ক হয়ে গিয়েছিল আজ এত বছর পরও সেই নায়কের প্রতি আমার ভালো লাগা বিন্দুমাত্র কমেনি।
আমি যে উপন্যাসটা নিজের আগ্রহে কিনে সংগ্রহ করে পড়েছিলাম সেটা ছিল শ্রীকান্ত প্রথম খন্ড। আজকে আবার সেই বইটা পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম ইন্দ্র এখনও আমার নায়ক রয়ে গেছে। এমন অসামান্য একটা কিশোর চরিত্র রচনার জন্য হয়ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজীবন আমার কাছে প্রিয় লেখক রয়ে যাবেন।
1 review
July 2, 2021
IMMORTAL SRIKANTA

The story has adventure, humour, sensitivity,apalling condition prevailing in society where women were made to suffer silently,where children were married to men much older to them & were tortured.I liked the character of Rajlakshmi, the epitome of dignity and her platonic love for her childhood friend Srikanta.
Profile Image for Shahajahan  Milon.
6 reviews
December 17, 2022
ইন্দ্রদা আর অন্নদাদিদি মিলেই প্রথম খণ্ড। অনেক পরে এসে শরৎ পড়ছি। চরিত্রগুলোর পরিণাম দেখে প্রায়ই মন খারাপ হয়ে যায়, তবুও পড়ি। এখানা শেষ। সামনে কী অপেক্ষা করছে জানা নেই। অজানার উদ্দেশ্যে শ্রীকান্তর সাথে পাড়ি দেওয়ারই ইচ্ছা আপাতত।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Antu Paul.
110 reviews80 followers
April 27, 2024
যেহেতু একজন প্রিয় ভবঘুরে দরদী লেখকের আত্মজৈবনিক উপন্যাস তাই বেশ আশা নিয়ে বসেছিলাম পড়তে। আমার আশা যা ছিল তার থেকে বহুগুণ ফেরত পেলাম শ্রীকান্তর প্রথম পর্ব পড়ে। হলফ নিয়ে বলা যায় ইন্দ্রনাথকে কোনোদিন ভুলতে পারব না। প্রথম পর্ব তৃষ্ণা আরও বৃদ্ধি করল। শরৎচন্দ্রের সেরা রচনা বলা যায় এটিকে।
Profile Image for A.H. Anha.
53 reviews3 followers
June 11, 2025
প্রথম পর্বটা খুব ধীর, ভাবনাময়—কোনো নাটকীয়তা নেই, তবুও একরকম টান আছে। শ্রীকান্তের চোখে দেখা মানুষ, সমাজ আর জীবন ঠিক গল্প নয়, যেন অভিজ্ঞতা।

ইন্দ্রা চরিত্রটা ছায়ার মতো, কিন্তু মনে গেঁথে যায়। ভাষা সরল, তবুও কোথাও একধরনের কবিতা আছে। একটু ধীর গতি হয়তো সবার ভালো লাগবে না, কিন্তু আমি উপভোগ করেছি।
Profile Image for Urmi Biswas.
15 reviews
March 23, 2021
In this book , I liked that part more where it was about the friendship between Srikanta and Indra . Overall , the book was good .
Profile Image for Masud Khan.
87 reviews17 followers
April 7, 2021
বিরক্তিকর টোনে লেখা। এবং বইটি শুরুই হয়েছে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
Displaying 1 - 30 of 35 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.