Jump to ratings and reviews
Rate this book

কাবুলের ক্যারাভান সরাই

Rate this book
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে দিনের পর দিন ঘুরেছেন মঈনুস সুলতান। মিশেছেন বিচিত্র মানুষের সঙ্গে। যুদ্ধ আফগানদের জীবন বদলে দিয়েছে, বিত্তশালী পরিণত হয়েছেন মিসকিনে; তালেবানদের যুগে রুদ্ধ হতে বসেছিল কবি-শিল্পীদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড এবং এর ভেতরেই তাঁরা সৃষ্টির জন্য নতুন নতুন পথ বেছে নিয়েছেন—এসব কাহিনির মর্মন্তুদ, কৌতূহলোদ্দীপক ও সরস বর্ণনা দিয়েছেন লেখক এই বইয়ে। যুদ্ধের আবহের ভেতরও কাবুলের এক কার্পেটের দোকানে বসে মহিলা কবিদের গুপ্ত মাইফেল। সেই মাইফেল থেকে ফেরার সময় যশস্বী কবি শায়ের বাবা লেখককে বলেন, ‘অনেক দূর দেশ থেকে এসে তুমি মাইফেলে বসলে, আগামীতে তোমার জন্য এ আসন শূন্য থাকবে।’ জঙ্গি লাটের কেল্লায় জোব্বা পরা খেদমতগার কালাশনিকভ রাইফেল থেকে আসমানের দিকে গুলি করে বিদেশি মেহমানদের জানায় খোশ আমাদেদ। সড়কে চাকাওয়ালা কাঠের কাঠামো ঘষটাতে ঘষটাতে সামনে বাড়েন পা-হীন ওস্তাদ হাকিয়ার। আর বোরকা পরা দুই নারী দুলে দুলে গায়— ‘হে বিজ্ঞ পুরুষ, আমাদের রাস্তা দেখাও।’ এই বইয়ে কত বিচিত্র মানুষের গল্প, পড়তে পড়তে পাঠক লেখকের সঙ্গে থাকবেন; থাকবে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর নতুন নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দ।

184 pages, Hardcover

First published January 1, 2012

12 people are currently reading
155 people want to read

About the author

Mainus Sultan

32 books28 followers
মঈনুস সুলতানের জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। তাঁর পৈতৃক নিবাস মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি। খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেসের। ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর ‘জিম্বাবুয়ে : বোবা পাথর সালানিনি’ গ্রন্থটি প্রথম আলো বর্ষসেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়। ২০১৪ সালে ভ্রমণসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। প্রাচীন মুদ্রা, সূচিশিল্প, পাণ্ডুলিপি, ফসিল ও পুরোনো মানচিত্র সংগ্রহের নেশা আছে মঈনুস সুলতানের।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
27 (39%)
4 stars
27 (39%)
3 stars
11 (15%)
2 stars
3 (4%)
1 star
1 (1%)
Displaying 1 - 16 of 16 reviews
Profile Image for Harun Ahmed.
1,651 reviews418 followers
September 18, 2022
আফগানিস্তান এক মৃত্যু উপত্যকা। তালেবান শাসন শেষ হওয়ার পরও যুদ্ধ আর বিনাশের চিহ্ন বয়ে বেড়ানো মানুষ আর কাবুলের গল্প লিখেছেন লেখক। অবলীলায় মানুষ এমনসব গল্প বলে যা শুনলে পাথর হয়ে যেতে হয়। পথে এক ভিখারির কাছে হয়তো নির্বিকারমুখে জানা যাবে বোমাবর্ষণে তার পরিবারের মোট আটজন সদস্য নিহত হওয়ার কথা।
জানা যাবে হাজিজার বাবার কথা যিনি বোমাহামলায় প্রিয়জনদের মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে আত্মহনন এর পথ বেছে নিয়েছেন। জানা যাবে শ্মশানেও বসে কবিতার মাইফেল বা বালক সৈনিকের গল্প। তালেবান শাসনামলে পুরুষসঙ্গী ছাড়া বাইরে বের হওয়ার অপরাধে ওয়াসমা গুলকে দোররাপেটার গল্পও কেউ হয়তো বলবে। রাশিয়ানদের আক্রমণে বাবা মা হারানো মানুষের দেখা মিলবে সহজেই। আমেরিকান সৈন্যদের অত্যাচারে স্বরযন্ত্র হারানো মানুষও খুব একটা দুর্লভ নন। দেখা মিলবে কৃত্রিম পা ব্যবহার করা সতরজাঈ এর, যিনি জোর দিয়ে লেখককে বলেন একটা এক্সট্রা পা কিনতে। কারণ,
রাব্বুল আলামিন আমাকেও দুইখানা পা দিয়েছিলেন।বোমা-মাইন পয়দা করার হেকমতও তিনি ইনসানকে দিয়েছেন।তাই তোমার যে আজ দুইখানা পা আছে,তা কমে গিয়ে একখানা হতে কতক্ষণ? তাই এ মিসকিন কাকাজানের পরামর্শ শোনো, সময় থাকতে একখানা স্পেয়ার পা কিনে রাখো।

মঈনুস সুলতান ইচ্ছাকৃতভাবে পুরো বই বর্ণনা করেছেন বাংলার সাথে আরবি,ফারসি,উর্দু,ইংরেজি প্রভৃতি শব্দের মিশেলে। সড়কে জনমানুষের কোনো লিমলেশ নেই...উপত্যকা তখন আজনবি এক বাহারে জন্নতি বাগের মতোই সবুজে শ্যামলিম...ছয় মাসের তিফিল বাচ্চা...বিমানবন্দরে বেফজুল ইন্তেজারি করি জাতীয় বাক্য হজম করতে পারবেন কি না তার ওপর আপনার এই বই ভালো লাগা না লাগা অনেকাংশে নির্ভর করছে।

(২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১)
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
September 17, 2022
সুলতান সাহেবের কাবুল ভ্রমণ বৃত্তান্ত পাঠককে বারবার আরো একজনের কথা মনে করিয়ে দিবে।মজার ব্যাপার হলো যে মানুষটির লেখা পাঠের তজুর্বার সাথে সুলতান সাহেব পাঠের মিল পাঠক পাবেন, সেই মানুষটির সাথে সরাসরি সুলতান সাহেবের সিলসিলা বিদ্যমান ।স্বয়ং সুলতান সাহেবের নামটি ই সৈয়দ মুজতবা আলীর দেওয়া, সাথে সাথে লিগ্যাসিটাও বটে! কাবুলের যে ভ্রমণ বৃত্তান্ত সৈয়দ সাহেব দিয়েছিলেন তারসাথে সুলতানের বৃত্তান্তের বিস্তর ফারাক।একজন কাবুলের শান শৌকতের শেষ সীমানার এত মনোহর বর্ণনা দিয়েছিলেন যে পাঠকের মন সেখানে যেতে বেচেইন হয়ে উঠবে, অথচ আরেকজনের বৃত্তান্ত পড়বার পর পাঠক কাবুলের নাম শুনলেও শিউরে উঠবেন।সেখানকার যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রাসাদের চেয়ে ও ভস্মিত মানুষের করুণ কাহানী পাঠকের দিলে সহমর্মিতা সৃষ্টি করবে।পড়তে পড়তে পাঠক হয়তো কাবুলের প্রাচীন স্থাপত্যে বেজে উঠা ইতিহাসের ছংগে মর্মরের অস্ফুট ধ্বনির করুণ রহস্যময়তা কিংবা যুদ্ধযানের বিকট ভয়াল শব্দ নিজ জেহেনে ভেসে উঠলে বই রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে নীলে অথবা বিষন্নতায় পর্যবসিত হবেন..
Profile Image for Neela.
83 reviews59 followers
September 3, 2016
শুরু করেছিলাম আরো আগেই, বিভিন্ন ঝামেলায় শেষ করতে পারছিলাম না। মাত্রই পড়ে শেষ করলাম। ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’ নাম দেখেই বোঝা যায় আফগানিস্তানের কাবুল শহর নিয়েই এই ভ্রমণ কাহিনী। বইয়ের প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়েই কিছুটা তব্দা খেলাম, এত উর্দু, ফারসী আর বিদেশী শব্দের ব্যবহার! ভাবলাম লেখক কি বিদেশী কেউ, অনুবাদ বই নাতো! পরে লেখক পরিচিতি পড়ে দেখি লেখক আমাদের সিলেটেরই মানুষ। সৈয়দ মুজতবা আলী আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর পর একমাত্র উনার ভ্রমণ কাহিনী পড়েই আমি এতটা মুগ্ধ হয়েছি! লেখকের প্রখর রসবোধ, উঁচুমানের লেখনী, একটি নিখাদ ভ্রমণ কাহিনীর আড়ালে আফগানিস্তানে তালেবান শাসন, আমেরিকান আগ্রাসন ও আফগানিস্তানের মানুষের জীবনে এই ঘটনাগুলোর প্রভাব লেখক তার নিজস্ব হিউমার মিশিয়ে এত সূক্ষ্ণভাবে তুলে ধরেছেন যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। অন্য আট দশজন ভ্রমণ কাহিনীর লেখকের মত তিনি শুধু জায়গার বর্ণনা না দিয়ে ঐ জায়গার সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষজন, তাদের জীবনবোধ, তাদের দর্শন, তাদের সংস্কৃতি, তাদের পেশা এই সবকিছুকে তিনি অপূর্ব সুন্দরভাবে এক সূতোয় গেঁথে এনে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
যুদ্ধ কখনোই শুধু ব্যক্তি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে না। সামগ্রিকভাবে একটি জাতির ভিত, তাদের সভ্যতা, কৃষ্টি ও শিল্পচর্চার উপরেও আঘাত হানে, তালেবান যুগে এভাবেই রুদ্ধ হতে যাওয়া আফগানিস্তানের সাহিত্য ও সংস্কৃতি , পরবর্তীতে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ, সৃষ্টির নতুন নতুন পথ খুঁজে বের করা এই সবকিছুর নিখুঁত বর্ণনা আছে এই বইতে। শিরিন গুলের মত ছোট্ট আট বছরের এক শিশু চিত্রশিল্পীর বা হাজীজার পরিবারের উপর নেমে আসা দুর্যোগই তালেবান শাসনের ভয়াবহতা বোঝার জন্য যথেষ্ট। কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম মানুষ যুদ্ধ বা সংগ্রাম থেকে যে জীবন শিক্ষা পায় তা সারা জীবনেও অন্য কিছু থেকে পায়না। ছোট্ট শিরিনের আঁকা ছবিই তা প্রমাণ করে। শিরিন এঁকেছিল একটি বৃহৎ পাখি যে তার ডানায় করে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে চাঁদ, সূর্য, তারকা ও একটি ভাঙ্গা তরবারী।
শব্দ নিয়ে দারুণ খেলতে পারেন এই লেখক। একটা সাধারন কথাও তার লেখনীর গুনে চুম্বকের মত টেনে ধরে রাখতে পারে। বইয়ের কয়েকটি লাইন নিচে তুলে দিলাম-
‘সে কালি-কলমে আঁকা মানচিত্র থেকে চোখ না তুলে দাঁতে দাঁত ঘষে বলে, ‘ড্রাইভ স্ট্রেইট টু দা হেল’। আমি গোনাগার বটে, জাহান্নামে যাওয়ার সম্ভাবনাও আমার আছে;কিন্তু গোবরে পোকার মতো দেখতে একটি লজ্জড় গাড়ি চালিয়ে ওদিক পানে আগুয়ান হব, এটা তো কখনো ভাবিনি।’
‘ গুলনাহার হাজীজারই বয়সী, সে পাহাড়ের পাদদেশে আরো কিছু মেয়েদের সাথে খেলছিলো। তখন আমেরিকার উড়োজাহাজ এসে কেল্লায় বোমা ফেলতে শুরু করে। গুলনাহার উড়োজাহাজ দেখে বাড়ীর দিকে ছুটতে শুরু করেছিলো, কিন্তু ঘরে ফেরার আগেই একটি শার্পেনাল তাকে আঘাত করে। আব্দুল বসির খান এ পর্যন্ত বলে বোধকরি নিজেকে সামলাতে ঘরে ফিরে যান। আর আমি নির্বাক হয়ে বসে ওলিদ শাহের ক্রমাগত ফুঁকে চলা হুক্কার ধ্বনি শুনি।’
‘নাফিজা এক হাতে উপহারের ঝুড়ি নিয়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে কায়ক্লেশে উঠে দাঁড়ায়। তার বিকলাঙ্গ দেহের উপচে পড়া তারুণ্যের দিকে তাকিয়ে মনে হয়, ট্যাংকের চাকায় ধামসে যাওয়ার পর বাউন্স করে উঠে দাঁড়াচ্ছে ফণিমনসার সবুজ ঝোপ।’

Profile Image for Farhana Sadiqua.
6 reviews6 followers
May 21, 2015
মঈনুস সুলতানের যে কয়টা বই পড়েছি তারমধ্যে এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের।মঈনুস সুলতানের লেখার ভঙ্গিটা ইউনিক।ফুল অব হিউমার।অনেক সাধারণ ঘটনা পড়ার সময়ও ভীষণ হাসি পায় লেখকের বর্ণনার জন্য।প্রচুর ইংরেজী আর আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহারের কারনে লেখায় অন্যরকম একটা ভাব চলে আসে।লেখকের প্রকৃতি বর্ণনা বর্ণনা করার ক্ষমতা অসাধারণ ,বেশ কাব্যিক ধরনের।গড়পততা বাংলা ভ্রমন কাহিনীর মত শুধু দৈঘ্য প্রস্থ বা গুগল করা ইতিহাসের বর্ণনা না,কোন একটা জায়গার খুটিনাটি বর্ণনা তো থাকেই সেই সাথে জায়গাটার ইতিহাসও খানিকটা থাকে।আর সবচেয়ে বেশি খাকে সেই জায়গার মানুষের গল্প।লেখকের নিজের গল্পও থাকে প্রচুর।নিজের সম্পর্কে লিখতে গেলে মঈনুস সুলতানের মোটেই " আমি কি হনুরে"ভাব আসে না।নিজের অবজারভেশন,কাজকর্ম,অনুভূতি নিয়ে কোন বাঙালী লেখক সচরাচর এভাবে লেখে না।সবমিলিয়ে আমার কাছে পারফেক্ট রাইটিং মনে হয়েছে ।বইটা বেশ কয়েকবার পড়েছি।আরও কয়েকবার পড়ব বলে মনে হচ্ছে!
Profile Image for Arifur Rahman Nayeem.
205 reviews107 followers
February 10, 2023
মঈনুস সুলতানের বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নাম কামিয়েছে ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’। আজ মঈনুস সুলতান ও ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’ যেন সমার্থক। আর তাই স্বাভাবিকভাবে বেশিরভাগ পড়ুয়া মঈনুস সুলতান পড়ার সূচনা করেন বা করতে চান এটা দিয়েই। এবং অনেকেই পড়তে যেয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিদেশি শব্দের ব্যবহারে লবেজান হয়ে আর মঈনুস সুলতান-মুখো হন না। তবে বিশ্বাস করেন, এ বইয়ের মতো এত ভিনদেশি শব্দের প্রয়োগ সুলতান সাহেব অন্য কোনো বইয়ে ঘটাননি। তাই শুধু এই একটি বই পড়ে নিরাশ হয়ে লেখকের অন্য বই না পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মনে করি ঠিক নয়। প্রথমে অন্যান্য বই বা খুচরা লেখাজোখা পড়ে পাঁচমিশালি ভাষায় কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে গেলে বইটি উপভোগ করা সম্ভব পুরোপুরি।

আমি যখন প্রথমবার ‘কাবুলের ক্যারাভান সরাই’ পড়ি তখন বইয়ের দেদার উর্দু, ফার্সি, আরবি শব্দকে মনে হচ্ছিল কোনো মসৃণ পথের বেমক্কা খানাখন্দ। পড়ার গতিরোধ হচ্ছিল বেশ। সাথে আছে খোদ সিলেটিদের চমকে দেওয়ার মতো খাস সিলেটি শব্দও, তবে তা যৎকিঞ্চিৎ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মঈনুস সুলতানের যে দু-একটি বইয়ে বলতে গেলে বিদেশি শব্দ একদমই নেই, সেগুলো পড়ার সময় দেখলাম তাঁর পাঁচমিশালি ভাষার গদ্যকে খুব মিস করছি। তখন বুঝতে পারলাম, এই গদ্যভাষা আমাকে ভালোভাবেই কাবু করেছে। আরও মালুম হলো, এটাই মঈনুস সুলতানের লেখার অন্যতম হাতিয়ার। এটা ব্যতীত তিনি যেন সাম্রাজ্য বেহাত হওয়া অসহায় এক সুলতান!
Profile Image for Debashish Chakrabarty.
108 reviews94 followers
April 4, 2020
মঈনুস সুলতানের চিত্র-বিচিত্র রসবোধ, ভাষাজ্ঞানে কাবুলের কোণা-ঘুপচি থেকে উঠে এসেছে আফগান জীবনের বহুমূল্যবান রত্ন । ক্রমাগত পোড় খেয়ে যাওয়া এই হতভাগ্য জাতির সাধারণ মানুষের জীবনের গল্প মনটা ভার করে দেয় । যুদ্ধ যে কত গভীরভাবে এবং বিস্তৃতি নিয়ে একটা জনপদের মানুষের জীবনে নিদারুণ ক্ষত তৈরি করতে পারে তার একটি সংক্ষিপ্ত অথচ প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে কাবুলের ক্যারাভান সরাই । তাছাড়া লেখকের ঠাট্টার মেজাজটা ভালই লেগেছে ।
Profile Image for Somagata Barua.
57 reviews9 followers
April 7, 2020
লেখক ২০০৩,৮,৯ নানান সময়ে আফগানিস্তানের নানান শহরে ঘুরেছেন। সেখানকার বিভিন্ন চিত্রশিল্পির, লেখক, কবি, শিক্ষক থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চিত্র ফুটে এসেছে। তালেবান আর আমেরিকান এই দুই মারপ্যাচের ভেতর কিভাবে এই সাধারণ মানুষগুলো প্রতিনিয়ত নিজেদের রক্ষা করে টিকে আছে, তা তুলে ধরেছেন।
মানুষগুলো এত খড়ার মধ্যেও তাদের অতিথিপরায়ণতা মুগ্ধ করেছে বেশ।
.
শব্দচয়ন বেশ বাজে লেগেছে বলে কম তারা।
August 16, 2022
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আফগানিস্তানে আক্রমণ করার কয়েক বছর পরের পটভূমিকায় রচিত বই এটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির মানুষের কথা তুলে ধরেছেন সাবলীলভাবে। মিডিয়ার কাছ থেকে জানা তথাকথিত আফগানিস্তানকে ভিন্নরূপে জানা যাবে এই বইটিতে।

সমার্থক শব্দ + বিদেশি শব্দের উপর ভাল দখল না থাকলে বইটি পড়তে কিঞ্চিৎ কষ্ট হবে বৈকি। তবে লেখকের অসাধারণ সেন্স অব হিউমারের দরুন সেটা পুষিয়ে যাবে আশা রাখি।
Profile Image for Hibatun Nur.
159 reviews
February 19, 2023
লেখায় কাবুলের সেসব গৌণ মানুষদের গল্প উঠে এসেছে যারা সাধারণত আমাদের প্রচলিত মিডিয়ায় জায়গা করে নিতে পারে না। এটাই বইটাকে ইউনিক বানায়। সাধারণ মানুষের অবস্থা তালেবদের হাতেও ভাল ছিল না, আমেরিকানরা আসার পরও খুব একটা ভালর দিকে যায় নি।

অনেক ঘটনা উঠে এসেছে এই বইয়ে। ডিটেইলে যেতে চাইলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে। তবে এখানে মূল বিষয় আমার কাছে যেটা তা হল তালেবানদের শাসন। এই বই থেকে তাদের শাসনের, তাদের অবদমনের যে নজির মেলে তাতে সন্দেহ জাগে, এরা ইসলামী শাসনকে প্রোমোট করছে না জাহলিয়াতি আমলকে। স্পষ্ট বর্বরতা।

নারীদের দশা তালেবদের আমলে এবং তালেবদের রেখে যাওয়া সমাজে যে ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল তার নজির মেলে এই বইয়ে। নারীদের পণ্যের মত ক্রয় বিক্রয় করা হয় বাজারে! হায়! বুকটা হাহাকার করে ওঠে যখন এসব জানতে পারি। এই না হল আশরাফুল মাখলুকাত?
তবে নারীদের অবস্থার সামান্য হলেও উন্নত করা গেসিল বলে প্রমাণ মেলে নানা সূত্র থেকে তবে তালেবরা পুনরায় ক্ষমতায় এসে আবার নারী উন্নয়ন এবং নারীশিক্ষাকে বন্ধ করে সমাজকে এই বইয়ের অবস্থাতেই নিয়ে যেতে উদ্দ্যোগী হয়ে উঠেছে।
উগ্রবাদের নারীবিরোধী এমন কঠোর অবস্থান কেন এটা নিয়ে আরও জানতে হবে।

বইয়ে আফগানে নারীদের সাথে যে সুলুখ হওয়ার নজির মেলে তা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কষ্ট দিয়েছে।

হতাশা লাগে, এই দেশের অনেকে জেনে, না জেনে, বুঝে, না বুঝে তালেবানি ব্যবস্থায় দেশ চায়। আফগানে পুনরায় তালেব শাসন কায়েম এবং নারীশিক্ষা বাতিলের পর এই দেশের এক অংশ যেমনে সেটাকে সমর্থন দিয়েছে, তা এলার্মিং।

বইয়ের সবচেয়ে নেগেটিভ দিক হচ্ছে লেখকের লেখনি। এই বইয়ের আগের অনেক রিভিউ দেখে এই ব্যাপারে আগে থেকে অবগত থাকলেও বইমেলায় গিয়ে প্রথমার স্টলে ভাবের আবেশে কিনে ফেলি। আই ডোন্ট রিগ্রেট দ্যাট দো। লেখকের শব্দের ব্যবহার পড়ার এক্সপেরিয়েন্সে সাহায্য করার বদলে পড়ার যাত্রাটাকে কঠিন করে তোলে। সাধারণ প্রচলিত শব্দের বদলে লেখকের আসমানী শব্দের আনয়ন একদমই ভাল লাগে নাই। সিমপ্লি 'চর্চা' করছে না বলে লেখকের লিখতেই হবে 'মশক' করছে। এটা জাস্ট ওয়ান অফ দ্য এক্সামপেলস। ভবিষ্যতে লেখকের বই আর পড়ব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান।

এই ধরণের বই প্রথমা আরও ভাল সম্পাদনা করে প্রকাশ করলে ভাল হত। বইয়ের দাম তো কম নেয় না। সম্পাদনায় একটু ভাল কাজ করলে মন্দ হত না।
Profile Image for Sudipta.
227 reviews
February 23, 2017
অনেক সময় নিয়ে পড়েছি। শাকুর মাজিদ এর ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এখন উনার লেখা পড়ছি। কাবুলের উপর নতুন নতুন তথ্য, নতুন করে জানতে পেলাম। সেখানকার মানুষ সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখক সুন্দরভাবে, যেটা উনার লেখার ভালো দিক। তবে শ্রুতিমধুর বাংলা ভাষা থাকতেও অবান্তর বিদেশী ভাষার ব্যবহারের জন্য দু' তারার বেশি দেওয়া গেল না।
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
September 25, 2021
যে যায় কাবুলে,
সে হয় মুজতবা আলী! নাকি?
Profile Image for Abu Syed sajib.
147 reviews15 followers
September 5, 2018
আধুনিক সময়কার আফগানিস্তান সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায় এই বই থেকে তাও খুবই চিত্তাকর্ষক উপায়ে।তবে ভ্রমণকাহিনীর কথা আলোচনায় আসলেই মাথায় আসে 'দেশে-বিদেশে' এর নাম।এই বইটির একমাত্র সীমাবদ্ধতা হল লেখকের 'দেশে-বিদেশে' কে অনুকরণ করার প্রচেষ্টা।সবচেয়ে দৃষ্টিকটু হল আরবি-ফারসি শব্দের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার।'দেশে-বিদেশে' তে শব্দের এই ব্যবহার গল্পের প্রবাহকে কখনই বাধাগ্রস্ত করেনি কিন্তু এইখানে শব্দগুলো প্রবাহকে করেছে বাধাগ্রস্ত।এই 'সামান্য' ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে বইয়ের স্বাভাবিক গতিধারাকে পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে...
Profile Image for Shah Alam.
6 reviews1 follower
September 15, 2019
This book pictures the post conflict situation of Afghanistan. A travelogue turned into a storybook with lot of stories in the stories. Can you think of a shoe store where they only a single shoe either of right foot or left food? You will find such in Kabul. I really enjoyed the way of story-telling by Mr. Mainus Sultan.
Profile Image for My Name is  Red.
13 reviews2 followers
March 16, 2020
মুজতবা আলীকে অনুকরণের চেষ্টা? 🤔
Profile Image for Abid Hasan.
32 reviews
September 13, 2019
বইটির কাহিনী অসাধারণ এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই। অথচ লেখকের বাক্যগঠন ও শব্দচয়ন একে সুখপাঠ্য তো করেইনি বরং অনেকবার ভেবেছি শেষ না করেই রেখে দেই। নেহাত কাহিনী গুলো খুব হৃদয়স্পর্শী ছিল বলেই বইটি পড়া হয়। লেখক যদি আরেকটু প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করতেন তাহলে বইটির সাহিত্যগুণ অনেকাংশেই বেড়ে যেত বলে মনে করি।
Displaying 1 - 16 of 16 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.