ভিক্টোরিয়ার হীরে ছ’টা হীরে বসানো অ্যাণ্টিক এক নেকলেস, দাম নয় লাখ ডলার! সবার চোখের সামনে থেকে চুরি হয়ে গেল ওটা। ঘটনাটা ঘটেছে বান্ধবী রিয়ার জন্মদিনে, ওখানেই হাজির অয়ন-জিমি। হাত পা গুটিয়ে কি আর বসে থাকে ওরা? নেমে পড়ল রহস্য সমাধানে।
রেলগাড়ি ঝমাঝম জিমির বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চেপে ডেনভারে যাচ্ছে অয়ন-জিমি। পথে পরিচয় হলো মিসেস ডেইজি মুনরোর সঙ্গে। ঘটতে শুরু করল রহস্যময় ঘটনা। কে ক্ষতি করতে চায় তাঁর? কেন?
হ্যারোভিলের রহস্য নেভাদার এক ছোট্ট শহর হ্যারোভিলে বেড়াতে গেছে অয়ন, জিমি আর রিয়া। একের পর চুরি, ডাকাতি আর অগ্নিকাণ্ডে দিশেহারা সেখানকার মানুষ। শুধু তা-ই নয়, ওখানে রয়েছে ভৌতিক এক টানেল - সেখানে ঘুরে বেড়ায় একদল চিনা শ্রমিকের প্রেতাত্মা। তদন্তে নেমেই মহাবিপদে পড়ে গেল গোয়েন্দারা। শুরু হলো ভূত-প্রেত আর মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই। তারপর?
তিনটি রহস্যকাহিনি ভলিউম ২-তে, প্রথম দুটো গল্প, শেষেরটা পূর্ণদৈর্ঘ্য রহস্যোপন্যাস। আর এই বইয়ের আসল মজা এই শেষেরটাতেই!
ভিক্টোরিয়ার হীরে রিয়ার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জন্মদিনের উপহার নয় লাখ ডলার দামের হীরের হার চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে রহস্য। রহস্য হিসেবে বড়গল্পটা অনেকটাই গতানুগতিক, ফলাফলও অনুমেয়, উপভোগ্যতা প্রায় পুরোটা অপেক্ষাকৃত হালকা মেজাজের ঘটনাক্রমে অয়ন-জিমি-রিয়া আর তাদের আরো কয়েকজন স্কুলবন্ধুদের মধ্যকার হাস্যরসাত্মক ইন্টার্যাকশন ও সংলাপে (যা সবসময়ই সিরিজের হাইলাইট)। জিমির পাশাপাশি এবার সাধারণত ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ সিরিয়াস অয়নকেও রিয়ার বিরুদ্ধে একজোটে লাগতে দেখে ভাল মজা পেয়েছি। আমার রেটিং: ৩.৫/৫
রেলগাড়ি ঝমাঝম অয়ন-জিমি'র রেলভ্রমণের সময় ট্রেনেই এক মহামূল্যবান জুয়েলারি চুরি হয়ে যাওয়া নিয়ে ছোটগল্প। স্বল্পদৈর্ঘ্যের গড়পড়তার গোয়েন্দাগল্প হিসেবে যেমন নিষ্প্রভ, রিয়ার অনুপস্থিতিতে এতে তেমন কোনো এক্সট্রা স্পাইসও ছিল না। আমার রেটিং: ২.৫/৫
হ্যারোভিলের রহস্য প্রথম দুটা কেবল অ্যাপেটাইজার, এবার এসেছি বইয়ের মেইন কোর্স প্রসঙ্গে। গত কয়েকদিনে একটানা পড়ে এখনো অল্প কয়েকটাই অয়ন-জিমি কাহিনি পড়া হয়েছে, কালকুক্ষি, ভলিউম ১-এর তিনটি (প্রাসাদবাড়ির রহস্য, বিপদের ছয়টি আঙুল, পাথরপিশাচ), আর এই বইয়েরগুলো, সবক'টাই কমবেশি দুর্দান্ত, তবে নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমার পড়া এখন পর্যন্ত সেরা অয়ন-জিমি রহস্য-অ্যাডভেঞ্চার হ্যারোভিলের রহস্য! ইন ফ্যাক্ট উপন্যাসটা আমার মতে তিন গোয়েন্দা সিরিজের আশির দশকের সেরা মাস্টারপীসগুলির সাথেও সমানে সমান পাল্লা দেয়ার মতো। যেমন মাথাঘুরানো জটিল রহস্য (একচুয়ালি একাধিক রহস্য), তেমনি তার মাথাআউলানো সমাধান। এবং পুরো কাহিনিটার যতটুকু ব্যাপ্তি দরকার ছিল ঠিক ততটুকুই উপস্থিত থেকে যথাযথ মসৃণ গতিশীলতার সাথে একের পর এক নাটকীয় ঘটনাক্রম ঘটে গেছে, সম্ভবত এই প্রথম আগে থেকে কিছুই আন্দাজ করতে পারিনি, জিমি আর রিয়ার পাশাপাশি আমিও মাথা চুলকে গেছি অয়ন কীভাবে দুর্বোধ্য ঘটনাবলীর সমাধান করে তা দেখতে দেখতে। সুপার্ব, ব্রিলিয়ান্ট, প্লেইন অ্যাণ্ড সিম্পল। আমার রেটিং: ৫/৫
ইসমাইল আরমানের নিখাঁদ আরামদায়ক গল্পকথন ও মসৃণ লেখনির চমৎকারিত্বের কথা তো আলাদা করে কিছুই আর উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই, সেবার সেই সত্তর-আশিদশকের স্বর্ণযুগের বইপত্র যারা পড়ে অভ্যস্ত তারাই বুঝবেন আমার প্রকৃতভাষ্য। পঁচিশ বছর আগের সেবা-পাঠক হিসেবে ভাল লাগলো দেখে যে সেবার এই পড়তির যুগেও অন্তত কারো লিখিত পূর্নাঙ্গ সিরিজে তো সেই হারানো আমেজটা এখনো পাওয়া যায়!
ওভার অল রেটিং: ৪/৫, তবে ৭০ পৃষ্ঠার গল্প দুটোর তুলনায় ১৭০ পৃষ্ঠার উপন্যাসটা এতোই ভাল যে ভেবেচিন্তে ৫ এ ৫-ই দিয়ে দিলাম। হ্যারোভিলের রহস্য ডিজার্ভজ ইট!
বিঃদ্রঃ সিরিজের আভ্যন্তরীণ ঘটনাক্রম অনুসারে আমার বিশ্বাস হ্যারোভিলের রহস্যরেলগাড়ি ঝমাঝম-এর আগের কাহিনি, কারণ রেলগাড়ি ঝমাঝম-এর এক জায়গায় "নেভাদায় গিয়ে (অয়নরা) মরতে বসেছিল" উল্লেখ আছে তখন আমি পুরা ধন্দে পড়ে গেছিলাম, কিন্তু ঠিক পরের গল্পেই অয়ন-জিমি-রিয়ার নেভাদায় যাবার কথা পড়ে কনফিউশন ক্লিয়ার হলো। জাস্ট অ্যান অবজারভেশন।
"হ্যারোভিলের রহস্য" নিয়ে প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বী। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে শতভাগ। অয়ন-জিমি সিরিজের অন্যতম সেরা বই এটা। জমজমাট রহস্য, অয়ন জিমি রিয়ার খুনসুটি আর শেষের মন ভালো করে দেওয়া উপসংহার - এই সিরিজ থেকে এর বেশি চাওয়ার নেই।
আজ সকালেই পড়ে শেষ করলাম চমৎকার বইটি। গল্প মূলত দুই গোয়েন্দা অয়ন হোসেন আর জিমি পারকারকে নিয়ে। আর বাড়তি মাখনের মতো আছে রিয়া। চিকেন বার্গারে চীজ না থাকলে যেমন ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়, অয়ন জিমি'র গল্পগুলোতেো রিয়া ঠিক তেমন। না থাকলে কি যেন নেই নেই মনে হয়। এই বইয়ের দুটি গল্পে রিয়াকে পাওয়া গেছে, মাঝখানের গল্পটাতে কেবল নেই।
ভিক্টোরিয়ার হীরে গল্পে অয়ন-জিমি রিয়ার জন্মদিনের দাওয়াত খেতে গিয়ে জড়িয়ে পরে রহস্যের সাথে। যার সমাধান বরাবরের মতোই ওরা খুঁজে বের পরে অনুষ্ঠান শেষ হবার আগেই। এই গল্পের মূল আকর্ষণ অবশ্য রহস্য নয়। গল্পের মূল মজা হচ্ছে রিয়া এবং জিমির খুনসুটিতে। মাঝে মধ্যে অয়ন যোগ দেয় ওদের সাথে। কিন্তু যেসব চমৎকার ডায়লগ আছে ঝগড়াঝাঁটির তা পড়ে ভালো লাগতে বাধ্য। অন্তত আমার দারুণ লেগেছে।
রেলগাড়ি ঝমাঝম গল্পের রহস্য ভিক্টোরিয়া হীরের থেকে ভালো। তবে রিয়া থাকলে আরও মজা লাগতো। গল্পটা বেশ ছোট। রহস্য শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে গেল মনে হয়েছে। এই গল্পটা ততটা আকৃষ্ট করেনি। তবে পরিণতিটা যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত হয়েছে।
হ্যারোভিলের রহস্য। গল্পটা বইয়ে সেরা গল্প! বলা যায় এখনো পর্যন্ত আমার পড়া সিরিজের গল্পগুলোর মধ্যে সেরা। গল্পটা মোটামুটিভাবে প্রথম সাড়ির তিন গোয়েন্দা গল্পের সাথেও তুলনা দেওয়া চলে। সাম্প্রতিক তম সময়ে এতো দুর্দান্ত কিশোর রহস্য গল্প পড়িনি বলা যায়! গল্পের রহস্যটা একটা মিউজিয়ামকে কেন্দ্র করে। অয়ন-জিমি আর রিয়া যায় সেটা দেখতে। ওটার ভেতরের জিনিশগুলো নিলামে ওঠার কথা। মালিক রিয়ার বাবার বন্ধু, তাই ভদ্রলোক আশা করেছেন কিছু জিনিশ রিয়ার বাবা কিনে নেবে। আর জিনিশগুলো দেখতেই ওদের মিউজিয়ামে যাওয়া। কিন্তু যাত্রাপথে ঘটল কিছু ঘটনা। ট্রেনের মধ্যে আহত হল একজন। ওদিকে রেলপথ থেকে শোনা যায় ভূতুড়ে আওয়াজ, দেখা যায় ধোঁয়া! কি এর রহস্য? খুঁজতে শুরু করল সুতীক্ষ্ণ গোয়েন্দা অয়ন। জিমির ভূতের ভয়ের কাছে হারলনা ও। এরপর কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়লো কেউটে। আসল রহস্য আরও অনেক অনেক বড়, হয়তো তা বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই!!
বরাবরের মতোই গল্পগুলতে জিমির চরিত্রটা আরও বলিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। গোয়েন্দা হবার জন্য সবাইকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তবে যেহেতু ও দলের একটা বড় অংশ সেহেতু ওরও কিছু স্পেসালিটি থাকা প্রয়োজন। যেমন অয়ন দলের মাথা, রিয়া একশন এক্সপার্ট আর কমেডি রিলিফ। তেমন জিমি যদি কিছু একটা বাড়তি করতে পারতো ভালো লাগতো। তবে ওর ভীতু ভাবটা ভালো লেগেছে।
সেই পিচ্চিকালে পড়েছিলাম বইটা। অয়ন-জিমিকে নিজের বন্ধু মনে হতো। কাভারের মেয়েটা পুরো কৈশোর জুড়ে আমার ক্রাশ ছিলো। পরে কৈশোরে জানতে পারি এটা একটি মুভির থেকে নেয়া কাভার। আহা শৈশব, আহা অয়ন জিমি।
অনেকদিন প্রিন্ট আউট ছিল অয়ন জিমি সিরিজের এই ভলিউমগুলো (১-৪)�� তাই রিপ্রিন্ট হতেই সাথে সাথে কিনে ফেললাম এবং পড়তে শুরু করলাম । কিশোর আলোর মাধ্যমে অয়ন জিমির সাথে পরিচয় । প্রতিটি রহস্যই রোমাঞ্চকর । লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফিকে হয়ে যাওয়া জীবনে একরাশ আনন্দ দেওয়ার জন্য
এই ভলিউমে আছে দুটি গল্প ও একটি উপন্যাস। ভিক্টোরিয়ার হীরে + রেলগাড়ি ঝমাঝম + হ্যারোভিলের রহস্য।
ভিক্টোরিয়ার হীরে – গল্পে রিয়ার জন্মদিনের পার্টিতে সবার নাকের ডগা দিয়েই চুরি হয়ে গেলো নয় লক্ষ ডলারের হীরের নেকলেস! কীভাবে হল, কোথায় গেল, কিচ্ছু বুঝতে পারছে না পুলিশ। রহস্য সমাধানে নেমে পড়ল অয়ন-জিমি।
রেলগাড়ি ঝমাঝম – রহস্য যেন খুঁজে নেয় গোয়েন্দাকে! তাই বাবা-মার সাঙ্গে ট্রেন ভ্রমণে বেরিয়েই রহস্য পেয়ে গেল দুই গোয়েন্দা। মিসেস মুনরো-র অলঙ্কারগুলো চলন্ত ট্রেন থেকে কোথায় গেল? অয়নের বুদ্ধির কাছে কি ধরা পড়বে ধূর্ত চোর? ভালোই জমজমাট গল্পটা।
হ্যারোভিলের রহস্য বইটিও তিন গোয়েন্দার সেরা বইগুলোকে মনে করিয়ে দেবে। ছোট্ট শহর হ্যারোভিলে এসেছে অয়ন-জিমি-রিয়া, প্রাচীন রেল ইঞ্জিনের জাদুঘর দেখতে। পরিত্যক্ত রেললাইন আর টানেলে ঘটছে অদ্ভুত সব রহস্যময় ঘটনা। সত্যিই কি চীনা শ্রমিকদের প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে টানেলে? আর শহরে চুরি ও অগ্নিসংযোগের ব্যাপারগুলো কার কাজ? এই বইটিও সিরিজের অন্যতম সেরা!
An excelent suspense novel that competes with famous books like harry potter and hercule poirot. Far better than most tin goyenda novels. Ideal for all ages. I hope ismail arman continues to write more of the series..
ভেবেছিলাম রয়েসয়ে পড়বো। কিন্তু পড়তে পড়তে হুট করে দেখি পড়া শেষ। প্রথম দুটো গল্প আর তৃতীয় মানে শেষটা উপন্যাস। ভলিউমের ১ এর গল্প গুলো পড়ে যতটা ভালো লেগেছিলো এটাতে কি জানি মিসিং ছিলো। মনে হয় মাথা খাটাতে হলো না বেশি বলেই। অবশ্য এই বুড়ো মাথার জন্য কিশোর বয়সের গল্প সহজই হবে।