Jump to ratings and reviews
Rate this book

মিতিনমাসি #1-6

মিতিনমাসি সমগ্র ১

Rate this book
‘মিতিনমাসি সমগ্র’ প্রথম খণ্ডে গ্রন্থিত হল ছয়টি উপন্যাস :

সারাণ্ডায় শয়তান
জোনাথনের বাড়ির ভূত
কেরালায় কিস্তিমাত
সর্প-রহস্য সুন্দরবনে
ঝাও ঝিয়েন হত্যারহস্য
ছকটা সুডোকুর

570 pages, Hardcover

First published January 1, 2014

24 people are currently reading
328 people want to read

About the author

Suchitra Bhattacharya

158 books240 followers
Her writing focuses on contemporary social issues. She is a perceptive observer of the changing urban milieu and her writing closely examines the contemporary Bengali middle class. Crisis in human relationships and the changing values of the present era along with degeneration of the moral fibre of the society in the backdrop of globalisation and consumerism are depicted in her prose. Exploitations and sufferings of women regardless of their social or economic identities find a distinct voice in her writing. While she is famous for her writing on women's issues, she does not consider herself as a feminist. She took up many odd jobs in her early youth and finally joined the public service which she left in 2004 to become a fulltime writer. Her long career is reflected in many of her stories and novels.

Over the past two decades, Suchitra has written about 24 novels and a large number of short stories in different leading Bangla literary magazines. Some of her acclaimed novels are Kachher Manush (Close to Me), Dahan (The Burning), Kacher Dewal(The Wall Of Glass), Hemonter Pakhi(Bird of Autumn), Neel Ghurni, Aleek Shukh(Heavenly happiness), Gabhir Ashukh (A Grave Illness), Uro Megh(Flying Cloud), Chhera Taar, Alochhaya(Shadows Of Light), Anyo Basanto(Another Spring), Parabas, Palabar Path Nei, Aami Raikishori, Rangin Pritibi and Jalchhobi among others. Her novels and short stories have been translated into many Indian languages such as Hindi, Tamil, Telugu, Malayalam, Oriya, Marathi, Gujarati, Punjabi and English. She also writes novels and short stories for children. Her novel Dahan was made into a movie by famous Bengali director, Rituparno Ghosh.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
95 (34%)
4 stars
108 (39%)
3 stars
61 (22%)
2 stars
10 (3%)
1 star
1 (<1%)
Displaying 1 - 19 of 19 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
February 26, 2019
মিতিন, নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শাণিত চেহারার বুদ্ধিদীপ্ত এক তরুণীর মুখ। থার্ড আই এর প্রজ্ঞাপারমিতা মুখার্জি। প্রজ্ঞাপারমিতা হলেন বৌদ্ধদের দেবী যিনি জ্ঞান দান করেন, অনেকটা আমাদের সরস্বতীর মতো। মিতিনের তাই প্রজ্ঞাপারমিতা নাম সার্থক। বোনঝি টুপুর মিতিনের সহকারী। আবার স্বামী পার্থও তাকে কম সাহায্য করে না রহস্য উন্মোচনের ব্যাপারে। আবার অনেক টিটকিরিও মারে মাসি বোনঝি কে। পার্থ আর মিতিন সমবয়সী। পার্থ প্রেসে কাজ করে। রবিবার ছুটির দিনটুকু একটু আয়েস করে কাটাতে ভালোবাসে। আর ভালোবাসে খেতে, প্রকৃত অর্থেই সে খাদ্য রসিক। এমন কী ভালো রান্নাও পারে।

মিতিন নিজে অনেক বড় মাপের ডিটেকটিভ, পুলিশের উপর মহলের লোকেরাও মাঝে মাঝে মিতিনের পরামর্শ নিতে আসে। অপরাধতত্ত্বের সমস্ত বিভাগ নিয়ে দিনরাত চর্চা করে। ফরেন্সিক সায়েন্স, অপরাধীদের মনঃস্তত্ত্ব, নানা রকমের অস্ত্রশস্ত্রের খুঁটিনাটি, অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, নানা রকম আইন সব কিছু নিয়েই চর্চা করে মিতিন। পুরানো জটিল কেস গুলো নিয়েও চিন্তা করে। কিন্তু কেউ প্রশংসা করলেই উড়িয়ে দিয়ে বলে, “গ্রেট-ফেট কিছুই নই। শুধু চোখ-কানটা খোলা রাখি। মনের দরজাটাও। ভাবনা চিন্তা তৈরি হওয়াটাও একটা প্রসেস। এর জন্য প্রয়োজন চর্চা, অধ্যাবসায়, আর নিষ্ঠা। আর একটু কমনসেন্স”।

মিতিন মাসী সমগ্র আমার বেশ প্রিয় সিরিজ, সব কটা গল্পই প্রায় পড়া। অনেক ভাল লাগার গল্প। গোয়েন্দাসিরিজ হলেও খটমটে না, হাসি-মজা আনন্দ আছে! আর যেহেতু এই গল্প খুব বছর দশেক আগের মাত্র তাই পাঠকেরও ভাল লাগবে। পড়া উচিৎ। বিশেষ করে কিশোর বয়সের মানুষের জন্য বেশ উপযোগী।
Profile Image for Salwa.
Author 2 books10 followers
July 25, 2018
বাংলা সাহিত্যে মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র শুনে কৌতুহল বশত সংগ্রহ করে পড়লাম। মন্দ নয়। কিন্তু এক মিতিনমাসিকে দুঁদে গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে দেখাতে গিয়ে অন্য মেয়ে চরিত্র গুলোকে , বিশেষ করে তার বোন সহেলিকে খুব বেশি খাটো করে দেখানো হয়েছে। মিতিন যেন ছায়ায় হারিয়ে না যায়, তাই তার স্বামী পার্থকেও দেখানো হয়েছে ছোঁচা হিসেবে। সাদাসিধে মানুষ হিসেবে, যে কিনা স্ত্রীর ব্যক্তিত্ব বুদ্ধিমত্তায় ইগো-আক্রান্ত হয় না। সত্যি, অমন কেবলাকান্ত না হলে, ইগোর ঠেলায় বাঙালি পুরুষ স্ত্রীকে অতটা স্বাধীনতা দিতেই পারতো না, বউটাকে জ্বালিয়ে খেতো।
প্রতিটা চরিত্র গড়তে তো সময় দিতে হয়, তাই বোধহয় বুমবুমকে কোন রকমে টিভির সামনে বসিয়ে দিয়ে শর্টকাট মেরেছেন লেখিকা। নইলে মিতিন এর মত সচতেন মহিলার ছেলেকে অমন জাঙ্ক ফুড লোভী আর স্ক্রীন জম্বি হিসেবে বড় হতে দেবার কথা নয়। এর চেয়ে বেশি শাসন দেখাতে গেলে গল্পের ফোকাস অন্যদিকে চলে যাবে বলে ছেলেটা ত্যাদড় হয়েই বড় হলো। তবে এটাও একটা ব্যাপার, একজন মহিলাকে কতগুলো খুঁটিনাটি দিক ম্যানেজ করে তারপর পেশার পিছে ছুটতে হয়, যেটা ফেলুদা, বা কাকাবাবুকে ভাবতে হয় না। তারা বাড়ি ফিরে ধূমপান করতে করতে জট ছাড়াতে পারেন। রাতে কি খাওয়া হবে, বাড়িঘরের কি অবস্থা, পরিবারের বাকি সদস্যরা ঠিকঠাক আছে কি না সব মিটিয়ে তারপর সে কিনা রহস্য নিয়ে ভাবতে পারে। এখানে ভারতী নামের কাজের মেয়েটি না থাকলে মিতিনের কেরদানি দেখানোর সুযোগ মিলতো না।

রহস্য গুলো নিয়ে বলতে হলে, মোটামুটি রকম। চলে। এখানে সেখানে পাঠকদের জন্য তেমন একটা সূত্র ফেলে যাওয়া হয়নি তেমন একটা। অনেককিছু শেষ্মুহুর্তে সুতা নিয়ে এসে গিট্টু দিয়ে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Profile Image for Muntasir Al Anam.
58 reviews23 followers
September 5, 2023
রেটিং : ২.৫/৫

শক্তিমান লেখকের কলমে ছিমছাম হলেও মিতিনমাসির গল্পগুলো রহস্য কাহিনীর হিসেবে খুবই সোজাসাপ্টা এবং ঠুনকো লাগল। এদিকে মিতিন ডিটেকটিভ; কিন্তু গল্পে জটিল রহস্যের উপস্থিতি তো তেমন নেই-ই, নেই রহস্যভেদে মিতিনের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির পরিচয়। মিতিনকে চ্যালেঞ্জ করার মতো ভিলেন একেবারেই পাওয়া গেল না বরং প্রায় সব গল্পেই ভিলেনকে গল্পের মাঝামাঝিতেই (কখনোবা প্রথম আবির্ভাবেই) ধরে ফেলা যায়। রহস্য সমাধানের যুক্তিগুলোও কখনো কখনো লাগে হাস্যকর। রহস্যের সমাধানে অনেক কিছুই 'দৈব ইশারায়' কাকতালীয়ভাবে মিলে যায়, যদিও এতে মিতিনের 'ক্রেডিট' কমে না একটুও। মিতিনকে একটু দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যে যায় না তা না। তবে সাধারণত একাকী কিংবা গল্প জুড়ে শুধু ন্যাকামো করতে থাকা টুপুরকে নিয়ে মিতিনের এই দৌড়াদৌড়ি হয় খুব মামুলি কিছুর জন্য। শুধু ডিটেকটিভ গল্প হিসেবে তাই মিতিনের কীর্তিগুলোকে পাশ মার্ক দেওয়া কঠিন।

মিতিন মাসির এই গল্পগুলো মূলত স্কুল বয়সীদের জন্য লেখা। স্কুলের বয়স পেরিয়ে এসে পড়া জন্য হয়তো রহস্যকাহিনী হিসেবে আমাকে হতাশ করেছে মিতিনমাসি। কিন্তু ঐ বয়সে পড়লে যে মিতিনমাসির ফ্যান হয়ে যেতাম এমনটাও মনে হচ্ছে না।

গল্পগুলোর পজিটিভ দিক হলো মিতিনমাসিরা দলেবলে বেশ ঘুরতে পছন্দ করে। তাই বইয়ের পাতায় ওদের সাথে সাথে বেশ বেড়ানো-টেড়ানো হয়ে যায়। লেখার গুণে এই বেড়ানো অংশটা বেশ উপভোগ্য। মিতিনদের বেড়ানোর জায়গাগুলো সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের উপস্থিতি গল্পগুলোর আরেক আকর্ষণীয় দিক ।ইতিহাস,ভূগোল,প্রকৃতি,সমাজব্যবস্থা ইত্যাদি হরেক বিষয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য কাহিনীর পরতে পরতে লেখক ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তবে তথ্যের ভারে পাঠকের কখনো পিষে যাওয়া অবস্থা যেন না হয় (আজকালের থ্রিলার আর হরর লেখকরাও যদি বিষয়টা বুঝতেন! ) সেদিকে লেখকের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়াও প্রশংসনীয় ।

যাহোক, পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে ফাইভ/সিক্সে পড়ুয়াদের হাতে মিতিনমাসি তুলে দেওয়াই যায়। আশা করা যায় সুচিত্রা ভট্টাচার্যের দারুণ সাবলীল গদ্যে মিতিনমাসি অ্যান্ড কোং-এর সাথে রহস্যের সমাধানে না হোক অন্তত ভ্রমণ করে তারা খারাপ সময় কাটাবে না।
Profile Image for Tahjiba Adrita.
103 reviews34 followers
August 10, 2022
রহস্য উপন্যাস হিসেবে বেশ হালকা হলেও, ভ্রমণের বর্ণনা গুলো কিন্তু একদম দারুণ।অলস সময়ের সুখপাঠ্য।
Profile Image for Subhojit Bera.
122 reviews15 followers
October 25, 2025
এইসব বই পড়লে ছোটবেলার দিনগুলো মনে পড়ে । পুজোর সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকবাবু, শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে, সুচিত্রা ভাটচার্জির মিতিনমাসি, বিমল কারের কিকিরা, মতি নন্দীর কলাবতী। ছোটবেলায় জীবন নিয়ে এত চাপ ছিল না, পুজোর দিনগুলো পূজাবর্ষিকিতেই কাটত।

মুশকিল হচ্ছে, বড় হয়ে এসব বই পড়লে খুঁত গুলো চোখে পড়ে। এবং পুরনো রঙমাখা দিনগুলো ঝাপসা হয়ে আসে।

মিতিনমাশির গল্পগুলো যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। ছোটদের কথা ভেবে অনেক ঐতিহাসিক তথ্যও দেওয়া আছে। কিন্তু সেগুলো অর্গানিক ভাবে ছড়িয়ে না দেওয়ার ফলে সেগুলোকে মনে হয় ইনফরমেশন ডাম্প। বেশ কিছু উপন্যাসে গুরুত্বপুর্ণ ক্লু গুলো পাঠকের কাছথেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, যার ফলে উপন্যাস শেষে রহস্য উন্মোচনের মজাটা গেছে কমে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে গল্পের ক্লাইমাক্সের অনেক আগেই পাঠক বুঝে গেছে আসলে দোষী কে, এবং সেখানে সাধারণত misdirection ইউজ করে পাঠকদের কনফিউজ করে দেওয়া হয়, কিন্তু এখানে তা করা হয়নি।

খানিকটা ফেলুদা, খানিকটা কাকাবাবু ধাঁচের এই গল্পগুলোতে তাও ছোটরা অনাবিল মজা আর এডভেঞ্চার পাবে, একথা মানতেই হয়। বাংলা সাহিত্যে মহিলা ডিটেকটিভ আনার মতো সাহসও খুব সম্ভবত সুচিত্রা ভট্টাচার্যের একারই ছিল। মেয়েদের রোলে মডেল হিসেবে সেখানে মিতিনমাসীর গুরুত্ব আরো বেশি।
Profile Image for Kazi.
159 reviews21 followers
May 7, 2021
২০০২ সালে আমি ক্লাস টুতে পড়ি। সে বছর প্রথমবারের মতো মিমি সুপার মার্কেটের দুই তলায় বইয়ের দোকান(নামটা কিছুতেই মনে পড়ছে না) থেকে কিনে দেওয়া হলো আনন্দমেলা পূজা সংখ্যা। চোখের সামনে আশ্চর্য এক ঐশ্বর্যের জগৎ খুলে গেলো হুট করে। সেই পূজাসংখ্যাতেই প্রথমবারের মতো সুচিত্রা ভট্টাচার্য মিতিনমাসির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন "সারান্ডায় শয়তান" দিয়ে। মিতিনমাসি, টুপুর, সহেলি, অবনী, পার্থমেসো, বুমবুমদের সাথে ওদের জন্মলগ্ন থেকে পরিচয়, সমগ্রের রেটিং দিতে গিয়ে তাই ৫ তারকা বাদে আর কিছু দিতে পারলাম না৷
Profile Image for Ikram Ullah Sadman .
72 reviews10 followers
January 14, 2025
সত্যি বলতে এই বই আরো দশ বছর আগে পড়লে বেশি উপভোগ করতাম। এন্তার থ্রিলার আর গোয়েন্দা কাহিনী পড়া থাকায় সিরিজটার টুইস্ট আর টার্ন ধরতে বেগ পেতে হয় না।তবুও সুচিত্রা ভট্টাচার্যের সাবলীল ভাষার কারণে তরতরিয়ে পড়ে ফেলা যায়। উপরি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ তো আছেই।পড়ে ফেলতে পারেন।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
April 1, 2019
সব মিলিয়ে খটমটে ব‍্যাপারগুলো বাদ দিলে ভালোই লেগেছে বইটা
Profile Image for Amrita.
35 reviews1 follower
March 16, 2020
fast moving, crisp writing....thoroughly enjoyable..
Profile Image for Arpita De.
1 review
September 8, 2020
হালকা গোয়েন্দা গল্প । খুব একটা মাথা খাটাতে হয় না। ভালই লেগেছে।
Profile Image for Indrani .
84 reviews
December 24, 2024
খুব ভালো লেগেছে। রহস্য যত না জমাট বেঁধেছে তার চেয়ে ও বেশি জমজমাট অ্যাডভেঞ্চার গুলো। সবচেয়ে ভালো লেগেছে 'কেরালায় কিস্তিমাত'।‌ অসাধারণ।
আর 'জোনাথনের বাড়ির ভূত' ও বেশ জমজমাটি।
Profile Image for Tahsina Alam.
108 reviews
December 11, 2019
মিতিনমাসি সমগ্র
সুচিত্রা ভট্টাচার্য

দুই খণ্ডে মোট ১২টা উপন্যাস। ব্যোমকেশ স্টাইল।

তবে প্রতি গল্পেই নতুন নতুন পটভূমি , এক অর্থে ভ্রমণকাহিনীও বটে। গোয়েন্দাগিরির চেয়ে এই ভ্রমণ আর ইতিহাসের অংশগুলোই টানে বেশি।

বেশিরভাগ চরিত্র গড়গড়িয়ে ইতিহাস মুখস্থ বলতে থাকে। একটু বিরক্তিকর লাগসে ব্যাপারটা।

কয়েকবছর আগে পড়লে হয়ত পুরোপুরি উপভোগ করতে পারতাম।
33 reviews2 followers
December 20, 2025
বাংলা সাহিত্যে অনেক গোয়েন্দা এসেছে—কেউ ধূমপান করে ভাবেন, কেউ চায়ের কাপে ঝড় তোলে।
কিন্তু মিতিন মাসি
তিনি এসে গোয়েন্দাগিরিকে পরিয়ে দিয়েছেন শাড়ি, আর হাতে তুলে নিয়েছেন বুদ্ধির ব্যাগ!

মিতিন মাসি হলেন সেই আধুনিক বাঙালি মহিলা, যিনি সকালে পুত্রের টিফিন বানিয়ে বিকেলে গিয়ে খুনের রহস্য ভেদ করেন।
একদিকে বাজারের তালিকা, অন্যদিকে সন্দেহভাজনের তালিকাদুটোই সমান দক্ষতায় সামলান তিনি।
যেখানে ফেলুদা বা ব্যোমকেশ যুক্তি দিয়ে চলেন, মিতিন মাসি সেখানে একটু “মেয়েলি ইন্টুইশন” ছিটিয়ে দেননাআর ফলাফল?
অপরাধী নিজেই প্রায় বলে ফেলে আমিই দোষী!

সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কলমে জন্ম নেওয়া এই চরিত্র বাঙালির ঘরোয়া নারীর রূপকেই যেন নতুন সংজ্ঞা দেয়।
তিনি শুধু গোয়েন্দা নন তিনি ‘বুদ্ধি ও চাতুর্যের মেলবন্ধন’।
যেখানে অন্য গোয়েন্দারা শুধু সূত্র খোঁজেন, মিতিন মাসি খোঁজেন মানুষের মন।

রহস্য সমাধানের মাঝেও তিনি কখনো স্বামীকে বলেন—
“তুমি ফ্রিজে জল রেখেছো তো?
আর পাঠক ভাবে—বাহ, খুনির চেয়েও বড় রহস্য তো এই সংসারই!

তাই মিতিন মাসি শুধু অপরাধী ধরেন না,
ধরে ফেলেন পাঠকের মনও—একদম নিখুঁত প্রমাণসহ।

বাংলা সাহিত্যে মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র খুব কম এবং বিখ্যাত বলতে এই একটাই মিতিনমাসি,,, মহিলা গোয়েন্দা চরিত্রের কথা বললে প্রথমে মাথায় আসে
মিস মার্পল – আগাথা ক্রিস্টির অমর সৃষ্টি
মিষ্টি এক বৃদ্ধা মহিলা, কিন্তু তার চোখে কিছুই ফাঁকি যায় না!
চা খেতে খেতে এমন যুক্তি করেন যে, বড় বড় পুলিশও হাঁ করে তাকায়।
মিস মার্পলের কাছে হয়তো মিটিন মাসি দাঁড়াবে না।
কারণ মিতিন মাসি পড়তে গেলে কিসের জন্য একটা অভাব বোধ করি মনে হয় কেসটা ঠিক জমলো না,, তবু তাদের দলবল বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যায় এটা বেশ ভালো লাগে।
Displaying 1 - 19 of 19 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.