শিশুসাহিত্যের মুকুটহীন সম্রাট। তিনি তো শুধুই লেখেন না, ছবিও লেখেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ বড়, না শিশুসাহিত্যিক 'ওবিন ঠাকুর' তাঁকে ছাপিয়ে গেছেন, এ এক বিষম বিতর্কের বিষয়। অবনীন্দ্রনাথের অনেক বই, অনেক ছবি। কিন্তু তাঁর সেরা বই, ছোটদের মহলে সমাদৃত বই কোনগুলি এ প্রশ্ন করলে যে পাঁচটি লেখা একনিঃশ্বাসে সাত থেকে 'সত্তুরে' ছোটরা বলে যাবেন, তারা হল - নালক, বুড়ো আংলা, রাজকাহিনী, শকুন্তলা এবং ক্ষীরের পুতুল। অবনীন্দ্রনাথ বা ওবিন ঠাকুরের এই পাঁচটি সেরা 'ছবি'র লেখা নিয়েই পত্র ভারতীর নিবেদন 'শ্রেষ্ঠ অবনীন্দ্রনাথ'।
Abanindranath Tagore (bn: অবণীন্দ্রনাথ ঠাকুর), was the principal artist of the Bengal school and the first major exponent of swadeshi values in Indian art. He was also a noted writer. He was popularly known as 'Aban Thakur'. Abanindranath Tagore was born in Jorasanko, Calcutta, to Gunendranath Tagore. His grandfather was Girindranath Tagore, the second son of Prince Dwarkanath Tagore. He is a member of the distinguished Tagore family, and a nephew of the poet Rabindranath Tagore. His grandfather and his elder brother Gaganendranath Tagore were also artists.
কথায় বলে, অবন ঠাকুরের লেখায় নাকি জাদু আছে, আর সেই জাদুর মায়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম আজ দুটো দিন।
নালক: ছোট্ট নালক আর বুদ্ধদেব। লেখনির জাদুতে চলে গিয়েছিলাম হাজার বছর আগের লুম্বিনীতে, বোধিবৃক্ষ তলে, সিদ্ধার্থের সাথে। দেখেছি তার বুদ্ধ হয়ে ওঠা। শুনেছি ছোট্ট নালকের বুদ্ধের দেখা পাবার আকুলতা। সেই আকুলতা অনুভব করেছি মনের মাঝেও।
বুড়ো আংলা: প্রথমবার পড়লাম। রিদয় আর বুড়ো আংলার সাথে হারিয়ে গিয়েছি নানা স্থানে। তবে আরো ছোট বয়সে পড়লে হয়তো সোয়াদটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারতাম
রাজকাহিনী: শিলাদিত্য দিয়ে শুরু আর পৃথীরাজে শেষ। রাজপুত-চিতোর-মেবারের রানা আর রানীদের কাহিনী এই রাজকাহিনী। লেখনির জাদুতে হারিয়ে গিয়েছি সেই সময়ে। কখনো শিলাদিত্যে সাথে বিশ্বাসঘাতকের মুখোমুখি হয়েছি, কখনোবা পদ্মিনীর সাথে হেটেছি জহরব্রতের পথে, কখনোবা পৃথিরাজের সাথে চলেছি দিগবিজয়ে। খুব দরদ দিয়ে লেখা প্রতিটি চরিত্র। যেন এক নকশিকাথা।
শকুন্তলা: বিদ্যাসাগর আর কালিদাসের শকুন্তলা আগেই পড়া ছিলো। আজ পড়লাম অবন ঠাকুরেরটা। ছোটদের জন্য সংক্ষেপে লেখা, তাই মূল কাহিনীর শুরু সারাংশটুকুই বড় মায়াবী লেখনিতে এনেছেন লেখক।
ক্ষীরের পুতুল: মনে পড়ে, খুব ছোট্টবেলায় বাবার হাত ধরে বইমেলায় গিয়ে কিনে এনেছিলাম বইটি। ১৯৯৮ সাল হবে তখন। দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ি। নানা রংয়ের ছবি ভরপুর এই বইয়ের যাদুতে হারিয়ে গিয়েছিলাম তখন। সুয়োরানী, দুয়োরানী, বাদর আর ক্ষীরের ছেলের কি হলো জানতে কতবার যে বইয়ের পাতা উল্টেছি তার হদিস নেই। তারপরে বছর পাঁচেক আগে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো বইটা। আজ আবার পড়তে গিয়ে ফিরে পেলাম সেই হারানো শৈশব। নতুন করে ঠিক আগের মতই উপভোগ করলাম ক্ষীরের পুতুলের কাহিনী।