This is the continuation of "Ek Gadhe ki Atmakatha" story. The Second book is "Ek Gadha Nefa mein". The last one is "Ek Gadhe ki Vapsee". In this books the donkey's journey continues after encountering so many problems, the donkey returns to normal health after thoroughly beaten up by the business after realizing that he is not of any use. In this book donkey's story starts with getting well from the injuries and its encounter with the doctor for making payment, later the donkey sold to the men who are smugglers and from there the donkey reaches the race course. The journey of donkey moves goes through the race course to movies and finally as long as the donkey earns money he is treated well later he is shunted out. In the end the donkey travels along with the farmer's family.
हिंदी : कृश्न चन्दर Urdu Profile:کرشن چندر Krishan Chander was an Urdu and Hindi writer of short stories and novels. He also worked on English.
He was a prolific writer, penning over 20 novels, 30 collections of short stories and scores of radio plays in Urdu, and later, after partition of the country, took to writing in Hindi as well.
He also wrote screen-plays for Bollywood movies to supplement his meagre income as an author of satirical stories. Krishan Chander's novels (including the classic : Ek Gadhe Ki Sarguzasht, trans. Autobiography of a Donkey) have been translated into over 16 Indian languages and some foreign languages, including English.
His short story "Annadata" (trans: The Giver of Grain – an obsequious appellation used by Indian peasants for their feudal land-owners), was made into the film Dharti Ke Lal (1946) by Khwaja Ahmad Abbas – which led to his being offered work regularly as a screenwriter by Bollywood, including such populist hits as Mamta (1966) and Sharafat (1970). He wrote his film scripts in Urdu
চারপাশের দু'পেয়ে গাধা ও খচ্চরের সংকর কিম্ভুত 'ইসমাট, কুল ডুড আর বিরাট সেন্স অফ হিউমারওয়ালা' সাজা পাবলিক দেখে কূল পাই না। সেখানে কৃষণ চন্দরের অমর কাহিনি আর কতটুকুন আনন্দ দেবে!
উর্দু কাহিনিগুলোর বাংলায় অনুবাদের মাস্টার মোস্তফা হারুন। নেহেরু এই বই পড়ে ক্ষেপে গিয়েছিল কারণ সে নিজেকে 'ইসমাট, কুল ডুড ও বিরাট সেন্স অফ হিউমারওয়ালা ' ভাবত। কিন্তু কৃষণ চন্দরের চোখে এত গুণসম্পন্ন প্রাণী একটাই হতে পারে...
এক গাধার জবানীতে লেখা বই। পড়তে গেলেই বুঝবেন হে প্রিয় বান্ধব এই গাধাটা হচ্ছেন আপনি নিজেই। আসলে আমরা সকলেই গাধা। যারা অসৎ লোকদের স্বার্থের বলি হয়ে যাই রোজ। যখন স্বার্থ আদায়ের প্রশ্ন আসছে তখন তারা গাধার খুড়ে চুমু দিতেও দ্বিধা করছে না আবার স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে ছড়ি পেটা করতেও বাধছে না। হায় জীবন!
অসাধারণ লেভেলের সার্কাজম। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে পড়ার তালিকায় রাখতে পারেন। সময় নষ্ট হয়েছে বলে মনে হবে না এই গ্যারান্টি দিতে পারি।
আমার জীবনে পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই এটা। এত শক্তিশালী লেখা অনেক দিন পড়ি নাই। বইটা ছোট কিন্তু কত বিশাল এর অর্থগত ব্যাপ্তি। এজন্যই বলা হয়, মহান কিছু লিখতে হাজার হাজার পাতা লিখার প্রয়োজন নেই, অল্পতেই অনেক কিছু লেখা যায় যদি লেখকের সেই ক্ষমতা থাকে। গল্পের প্রধান চরিত্র একটি 'গাধা', যার জীবন কাহিনীই বলা হয়েছে! একটি গাধার চোখ দিয়ে দেখানো হয়েছে সমাজের অসংগতিগুলো, উন্মোচন করা হয়েছে মানুষের মুখোশ। বুঝায় যাচ্ছে, এখানে 'গাধা' রূপক অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে! গাধা বলতে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন একজন ভালো মানুষকে যে সমাজে প্রতি পদে পদে নির্যাতিত ও নিগ্রিহিত হয়! তাকে ঠকিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করে সমাজের চতুর লোকগুলো। এই বইয়ের মাধ্যমে এভাবেই, লেখক চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই সমাজের এই বাজে দিকগুলো।
দারুণ এক স্যাটায়ার। ডার্ক হিউমারের ছড়াছড়ি পুরো বই জুড়ে। কথা বলতে পারা শিক্ষিত এক গাধার মুম্বাইয়ের বিভিন্ন ধান্দাবাজ লোকদের হাতে পড়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেসব ঘটনার বর্ণনা স্বয়ং গাধার জবানীতেই। কি অপরূপ লেখনী কৃষণ চন্দরের। মোস্তফা হারুনের অনুবাদও দারুণ। বাংলা ভাষায় যুৎসই ভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন হিউমারগুলো।
একই গাধার কত রুপ। শিক্ষিত গাধা, প্রেমিক গাধা, স্মাগলার গাধা, কমিউনিস্ট গাধা, দার্শনিক গাধা, মুক্তচিন্তক গাধা। ছোটবেলায় বাড়িতে আনা পত্রিকা দেখতে দেখতে একসময় গাধাটা শিখে ফেলে মানুষের ভাষা। এরপর সে দেখতে থাকে দিল্লি থেকে করাচির মানুষের আহাম্মকতা, নিষ্ঠুরতা, অসততা। বইটা স্যাটায়ার হলেও মাঝে মাঝে সিরিয়াসনেসের সাথে মানব সমাজের অসঙ্গতি, ছ্যাচরামি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে লেখক। গাধা যেন এক বেকার, শিক্ষিত, সৎ ভালোমানুষের প্রতীক, যাদের মাথায় তাল ভেঙে চলে তামাম সমাজ। যাদের দ্বারা উপকৃত হওয়ার পর তাদেরই ফেলে দেয় তুচ্ছের মত। এইসব দিক লেখক খুব সুন্দর ভাবে হিউমার, ফিলোসোফি আর হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। আর অনুবাদকও সেটা জোশ ভাবে বাংলায় তুলে এনেছে। এটা একটা নির্মম স্যাটায়ার।
কখনো ঠোঁট চওড়া করতে, আবার কখনো গম্ভীর হয়ে যাওয়ার জন্য এই পুচকে বইটা মাস্টরিড।
আধুনিক মানবসমাজে স্বার্থপরতার যে চর্চা চলছে, লেখক একটি গাধার মাধ্যমে সেটি ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে গল্পটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। অনুবাদও খুব একটা ভালো হয়েছে বলা যাবেনা। পড়ে হতাশ হলাম।
গাধা, মালামাল টানাই যার কাজ। কিন্তু এ বিশেষ গাধা কথা বলতে পারে, কাজের খোঁজে সে একদিন পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রীর দরবার, কিন্তু ভাগ্যের বিড়ম্বনায় সে দিল্লি থেকে বম্বে চলে যায় জীবন জীবিকার তাগিদে। আর এই জীবন জীবিকার নানা জটিল পথে নানা দিক দেখতে পেল গাধাটি, সে সবের বয়ানই "আমি গাধা বলছি" বইটি।
লেখক কৃষণ চন্দরের "আমি গাধা বলছি" কোন গাধার আত্ম জীবনী নয়, এটি একটি ব্যঙ্গত্মক উপন্যাস। সমাজের নানা রকম বৈষম্য আমাদের চারপাশের ভেজাল ও অনৈতিক কাজকে তিনি তীক্ষ্ণ ভাষায় ব্যঙ্গ করেছেন।
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে পশুর মত জীবনযাপন, নাপিতের ন্যায়বোধ, হিরোশিমায় বোমা ফেলা, নেতার নৈতিকতা, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসাক্ষেত্র, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ধর্ম, চিত্রজগৎ থেকে শুরু করে প্রেম, বিশ্বের নিপীড়ণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা সবই তুলে এনেছেন লেখক।
গাধার মুখ দিয়ে তিনি সমাজের অসঙ্গতি ও মানুষের জীবনের দুর্গতি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন আমাদের ত্রুটি গুলো।
আর ব্যঙ্গগুলো এতটাই বাস্তব যে চুপচাপ মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নাই।
আমি অনুবাদ পড়তে পারি না কেন জানি কিন্তু লেখক কৃষণ চন্দরের যে গুলো বই পড়লাম একটা বইও অনুবাদ বলে মনে হয় না, এটা লেখকের লেখার বিশেষত্ব না, অনুবাদকের অনুবাদের সৌন্দর্য তা জানি না।
আমাদের সমাজে সৎ ও গোবেচারা টাইপের লোকমাত্রই সাধারণত গাধার সাথে তুলনা করা হয়। যে যতবড় ধুর্ত ও জোচ্চোর তার মান সম্মানও তত বেশি।
কেউ যদি সুযোগ পেয়েও বড় ধরনের দুর্নীতি এড়িয়ে যায়,তাহলে আপনজনেরা তাকে গাধা বলে ভৎসর্না করবে। আর দুর্নীতিবাজদের সব কুকীর্তি জানার পরেও তাদের তোয়াজ করার লোকের অভাব হবে না।
কৃষ্ণ চন্দর সমাজের এসব অসংগতিগুলোকে গাধার মাধ্যমে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। আমরা দেখতে পায় গাধা যখনই জোচ্চ��রি করে বা নিজের স্বরূপ লুকিয়ে রাখছে সে উচু জায়গায় পৌছে যাচ্ছে। আবার নিজের আসল সত্তা নিয়ে বাচার চেষ্টা করলেই নানা উপদ্রপে পড়ছে। আমরা দেখি কিভাবে টাকার জন্য মানুষ আর গাধাতে তফাত হয়ে যাচ্ছে, টাকা থাকলে গাধাকে প্রভু -প্রেমিক- বিজনেস পার্টনার বানাতেও মানুষের বাধছে না। আবার টাকা/ক্ষমতা ফুরালে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলার সময় মানুষ আর গাধাতে ভেদাভেদ করা হচ্ছে না।
লেখকের ভাষায়, গাধা হল জীবনে শ্রম ও ভালোমানুষি দিয়ে গড়া এক নিষ্পাপ সত্তা।
কেননা সমাজের কাছে শ্রম ও ভালোমানুষি দুটোই আজ গাধার মতোই তুচ্ছ।
অপরকে ঠকিয়ে, লুট করে,জোচ্চুরি করে বড়মানুষ হওয়ার চেয়ে বড়গর্দভ হওয়াটাই কি শ্রেয় নয়?
এতো সুন্দর স্যাটায়ার আমি কখনও পড়েছি বলে মনে পড়ে না। মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে অনেক মানুষ অমানুষ হয়ে পড়ে; এরা গাধার থেকেও অধম হয়। সেইসব গাধাদেরকে এই বইখানি উপহার দেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
শিক্ষিত গরিব গাধার মতোন মানুষজন আমাদের সমাজেও কম বেশি আছে... অনুবাদের কিছু জায়গায় বড্ড বেশি খটমটে ছিল, শব্দের ব্যবহার কেমন জানি ছিল, কিন্তু পুরো বইয়ের রস আস্বাদনে সেটি পুষিয়ে গেলো...কৃষণ চন্দরের প্রথম কোন বই পড়লাম, বাকিগুলোও পড়ে ফেলতে হবে!
'' ইংরেজরা দু'শ বছর অবধি এশীয় গাধাদের চিকিৎসার ব্যাপারে দেদার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন " — বই থেকে অন্যতন প্রিয় একটা লাইন। হাতের কাছে বইটা এখন নেই, নাহলে আরো যোগ করা যেত।
মানুষের লোভ, অন্ধভক্তি, জাত - ধর্ম - বর্ণ - শ্রেণীবৈষম্য, স্বার্থপরতা, নৈতিক - মানবিক গুণের অবক্ষয়, দুর্নীতির কালো হাত নিয়ে এরচে ভালো স্যাটায়ার পড়া হয়নি। কৃষণ চন্দর গাধাদের ( আদপে তো আমরাই! ) পিঠে কষে চাবুক মেরেছেন!
অনুবাদ যথেষ্ট ভালো। পুরো বইয়ের আবহে কোথাও তারতম্য ঘটেনি৷
উর্দু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী কৃষণ চন্দর। উর্দু ছােটগল্প ও উপন্যাসে নতুন মােড় আনতে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন। প্রগতিশীল লেখক আন্দোলনে কৃষণ চন্দর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। জীবদ্দশাতেই কৃষণ চন্দর উর্দু কথাসাহিত্যে প্রবাদ পুরুষে পরিণত হয়েছিলেন। কৃষণ চন্দর গল্প লেখায় যতটা সফল উপন্যাস। লেখাতেই ততটাই। তার উপন্যাস লেখার স্টাইল গল্প লেখার স্টাইল থেকে ভিন্ন। কৃষণ চন্দরের উপন্যাস বড় হয় না, তবে তাকে বড় গল্পের পর্যায়ে ফেলা যায়। দৃশ্য পটের বিস্তার। পরিণত সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক চেতনার জটিলতার সাথে পরিচয় কৃষণ চন্দরের উপন্যাসের বিষয়বস্তুকে বিশেষ চরিত্রের রূপ দিয়েছে। কৃষণ চন্দরের গল্প উপন্যাসে ব্যঙ্গ একটি সাধারণ লক্ষণ। ব্যঙ্গোর একটি ধারাবাহিক প্রবাদ তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস গল্পে দেখা যায়। সামাজিক বৈষম্য ও ভেজাল সংস্কৃতিকে তিনি তীক্ষ্ণ ভাষায় ব্যঙ্গ করে লিখেছেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস “আমি গাধা বলছি”। তার এই ব্যঙ্গ নির্ভেজাল রােমান্টিক গল্পেও দেখা যায়। গাধার মুখ দিয়ে তিনি সমাজের অসঙ্গতি মানুষের জীবনের দুর্গতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি গাধাকে ভাল মানুষের সাথে তুলনা করেছেন। উপন্যাসের সর্বশেষ লাইনে, তার মূল্যায়ন হল, “গাধা, জীবনের শ্রম এবং ভাল মানুষী দিয়ে গড়া এক নিস্পাপ সত্তা”। তার মতে, মানুষের চেয়ে অনেক উত্তম একটি গাধা। 'আমি গাধা বলছি' উপন্যাসের মূল বক্তব্যও তাই।
বইঃ আমি গাধা বলছি লেখক : কৃষণ চন্দর অনুবাদ- মোস্তফা হারুন প্রকাশনাঃ মাওলা ব্রাদার্স প্রথম প্রকাশনাঃ এপ্রিল ১৯৭৭ মাওলা ব্রাদার্স সংস্করণঃ মার্চ ২০০৬ ধরনঃ রম্যরচনা, অনুবাদ। পৃষ্ঠাঃ ৮০
কৃষণ চন্দরের লেখা পড়লে অন্য রকম একটা সন্তুষ্টি কাজ করে নিজের মধ্যে। তার কারণ এই লোকটা নির্মম সত্য কথাগুলো অবলীলায় বলে চলেন। আমার এখনো মনে পড়ে "গাদ্দার" শেষ করে আমি কেঁদে ছিলাম। দেশভাগের পটভূমিতে লেখা হয়ছিল গল্পটা। এবার পড়লাম লেখকের "আমি গাধা বলছি" বইটি। এটা স্যাটায়ার ধর্মী লেখা। এই বইতে লেখক মজার ছলে বলেছেন মানুষের জঘন্য আচরণ গুলো। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
মূল কাহিনী: একটা গাধা যে তার স্বগোত্রীয়দের থেকে আলাদা,কারণ সে মানুষের মত কথা বলতে পারত এবং নিয়মিত পত্রিকা পড়ত। এই পত্রিকা পড়ার কারণে গাধা বেশ জ্ঞানী হয়ে উঠেছিল। মানুষের মহলে তার বেশ সুখ্যাতি ছিল। কিন্তু এই যশ বেশিদিন সে ধরে রাখতে পারিনি। এভাবে করে গাধা বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্ছিত হতে হতে মানুষ জাতিকে চিনতে শুরু করল!
আমি সাধারণ অনুবাদ কম পড়ি। কারণ অনুবাদে মূল বইয়ের স্বাদ টা আমি পাই না। কিন্তু কিছু কিছু বই থাকে যেগুলো বাধ্য হয়ে অনুবাদ পড়তে হয়। তেমনে এই লেখকের বইগুলো ও অনুবাদ পড়তে হচ্ছে। খেয়াল করলাম মোস্তফা হারুণের অনুবাদ অসাধারণ। পুরো বইয়ের মেজাজটা উনি ধরে রেখেছেন। ফ্ল্যাপে দেখলাম অনুবাদক অনেক ভালো ভালো বইয়ের অনুবাদ করেছেন,সেগুলো পড়ার চেষ্টা করব
কৃষণ চন্দর অবধারিতভাবেই তার স্বভাব-সুলভ ( লেখক সুলভ) স্যাটায়ার আর ডার্ক হিউমার রেখেছেন এই বইয়ের পাতায় পাতায়। এইসব হিউমার আর সূক্ষ্ম খোঁচা আপনাকে এতটুকু বিরক্ত তো করবেই না বরং ভাবাবে।আপনি বুঝতে পারবেন বোম্বের রাস্তায় রাস্তায় বিচিত্র ঘটনার শিকার ওই গাধাটা আসলে আপনি- আমি- আমরা সবাই যারা খুব সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করতে চাই, কিন্তু পঁচে যাওয়া ঘুণে খাওয়া স্বার্থান্বেষী এই সমাজ পদে পদে আমাদের গাধা বানায়।
এ বই আপনাকে দিয়ে বলাবে, "গাধা নির্বোধ নয়,নিরুপায়। "
It was HILARIOUS. I am definitely going to read its third part. Light weight satire mended with PURE DELIGHTED COMEDY. I love this donkey and a different kind of gloom swells inside when I think how it represents the plight of common man. This book was Amazing :) It was sequel to the autobiography of donkey. This is the story where how a well read donkey comes to Mumbai and later stuck in various circumstances, where luck favors him, falls in trap of different set of people who take his advantage because of his ever-growing luck. He becomes rich and then a producer in Hindi-film Industry. And in the process where he was going rich how wisdom receding from away his mind. I believe Hindi literature is dying and we should give our shoulders to strengthen it back. During the start of this year I have decided to read at least 10 Hindi books. This was a good reminder as it was my 3rd so still 7 are remaining.
বইটা পড়তে গিয়ে দুটো বইয়ের কথা মনে পড়লো। একটা আহমেদ ছফার গাভী বিত্তান্ত, আরেকটা হল অরওয়েলের এনিম্যাল ফার্ম। গভীর ব্যাঙ্গাত্মক ধারায় লেখা হয়েছে গল্পগুলো। কৃষণ চন্দরের বই পড়তে শুরু করেছি কয়েকদিন হল। আর তাতেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। ব্যাঙ্গাত্মক ধরণে গল্প লিখে তিনি মূলত সমাজের নানান অসংগতি, কূটচাল, মুখোশের মাঝে থাকা মানুষের কুৎসিত রুপ তুলে ধরেছেন।
এই বইয়ের মূল চরিত্র একটি গাধা। যে আবার শিক্ষিত এবং মানুষের মতন কথাও বলতে পারে। সরল, শিক্ষিত, উপকারী হওয়া সত্ত্বেও তাকে বারবার লোভী মানুষের ফাঁদে পড়তে হয়েছে অথচ বিনিময়ে সে হয়েছে নির্যাতিত, নিগৃহীত। পড়তে গেলে মাঝে মাঝে হাসি পাবে। কিন্তু সেসব বিষয়ের অন্তরালে লুকিয়ে আছে নিদারুন মর্মব্যাথা। সেসব লেখক তুলে এনেছেন তার সুনিপুন লেখনীতে। মানুষের লোভকে সামনে এনে চিনিয়ে দিয়ে গেছেন। টাকার কাছে নাপিত থেকে শুরু করে ব্যাংকের ম্যানেজার পর্যন্ত ধরাশায়ী হয় সেকথাই বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তবে অনুবাদের জন্যই কিনা কে জানে মাঝে মাঝে হোঁচট খেয়েছি।
"কি রকম আহাম্মক আর মূর্খ এ লোকগুলো। পয়সার জন্য যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। এদের কাছে ধর্ম, রাজনীতি, কৃষ্টি, সভ্যতা এবং মানব জাতির ভবিষ্যৎ চিন্তার কোন মানেই নেই। অর্থের সীমিত গণ্ডির মধ্যেই এদের আনাগোনা। আত্মার উপর অন্ধত্বের পট্টি বেধে বর্তমান, ভবিষ্যৎ আর অতীতকে ভুলে লোভী কুকুরের মত অর্থের বেদীতে আত্মাহুতি দিচ্ছে।" - কৃষণ চন্দর
নাম শুনে যা ভাবছেন তাই। গল্পটা আসলেই এক গাধার জীবন বৃত্তান্ত। ছোট থাকতে এই গাধা কোনো এক অজানা উপায়ে লেখাপড়া করে মানুষের বুলী আওড়াতে শিখে যায়। সমস্যার শুরুটা ঠিক এখান থেকেই। মানে কোন সে গাধা যে মানুষের মতো কথা বলতে পারে আবার গাধা হয়েও বুদ্ধি বিলাতে পারে তাও মানুষকে!! তো একদল তো ধরেই নেয় এই গাধা আসলে গাধা না; সাক্ষাত কোনো সাধু-সন্যাসী যিনি গাধার রূপ নিয়ে আছেন। আরেকদল ভাবে গাধা তো গাধাই - সে আবার সাধু-সন্যাসীর কি বুঝে? গাধার কাজই হচ্ছে গাধারখাটুনি খাটা। একদল গাধাকে সমাদর করে যখন গাধার গলায় ঝুলে লাখ টাকার থলি; আবার সময় ফুরালে সেই একই দল কোমরে লাথি দিয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে সমাদর নয় সম্মানের তোয়াক্কা না করেই।
এরকমই অসংখ্য নির্বুদ্ধিতার গল্প হাস্যরসের মধ্য দিয়ে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কৃষণ চন্দর। কি দারুণ লিখতেন লোকটা। দারুণ সব স্যাটায়ার আর হিউমারে পরিপূর্ণ অথচ দুর্দান্ত একটা প্রতীকী গল্প পড়লাম। এত হাস্যরসের মধ্যেও কি সুন্দরভাবে নিদারুণ বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন নিজের লেখায়। ভগবানের সঙ্গে কিচ্ছুক্ষণ গল্পে ভগবান আর বান্দার প্রকৃত রূপ দেখিয়েছন, পেশোয়ার এক্সপ্রেসে দেখিয়েছেন দেশবিভাগের এক ভিন্ন রূপ এবং আমি গাধা বলছি বইটিতে তুলে নিয়ে এসেছেন মানুষ হয়ে মানুষের কাছে গাধা উপাধি লাভের এক যর্থার্থ উদাহরণ।
আমাদের জীবনটা কি এই গাধার অনুরূপ নয়? কৃষণ চন্দর যেন হাস্যরসাত্মক এক গল্পের ভাজে দারুণ সত্য এক প্রতীকী মর্মার্থ লুকিয়ে রেখেছেন। পাঠক হাসতে হাসতে গল্পের শেষে যেন এই ধরণের একটা ধাক্কাই খায়। ছোট্ট এই বইটাতে গাধার মাধ্যমে লেখক একজন নিতান্তই গোবেচারা ধরণের ভালোমানুষকে বুঝিয়েছেন; যারা সমাজে চলার পথে প্রতি পদে পদে নির্যাতিত হয় কেবল তার ভালোমানুষীর জন্যে। চতুর ব্যক্তি তার মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়ে, তাকে ঠকিয়ে নিজেদের আত্মপ্রসাদে তুষ্ট হয়। চোখে আঙ্গুল দিয়ে পাঠকদের কাছে এই বিষয়টি দারুণভাবে ফুটিয়েছেন লেখক তার লেখায়।
ভালো লাগা আরো কিছু উক্তি:
"গাধা, জীবনের শ্রম আর ভালোমানুষী দিয়ে গড়া এক নিষ্পাপ সত্তা।" - কৃষণ চন্দর "ক্ষুধা নিবৃত্তি হলো বড়লোকদের বিলাস আর গরীবদের জীবন বাঁচানোর প্রয়াস।" - কৃষণ চন্দর
"সততা আর ভালোমানুষীর অর্থই হলো সারা জীবন তুমি ভুখা থাকো এবং গাধা হয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে মারা যাও।" - কৃষণ চন্দর
"এক জিনিসে অন্য জিনিস না মিশালে কোনদিনই সেটা ব্যবসা হয় না। উদাহরণ স্বরূপ, দুধে পানি, সাহিত্যে নগ্নতা, আটাতে ভূষি, ঘি'তে তেল, রাজনীতিতে ধর্ম আর চাকরিতে ঘুষ ইত্যাদি তো ব্যবসা-নীতির পয়লা সবক।" - কৃষণ চন্দর
"ব্যবসা জগতের এই ধারা। একটা লোক যখন কোন কাজে আসে না তখন তাকে টেনে হিঁচড়ে ড্রেনে ফেলে দেওয়াই স্বাভাবিক। ড্রেনে ফেলে দেওয়ার আগে তার শক্তির সমস্ত নির্জাসটুকু নিংড়ে নেয় ওরা।" - কৃষণ চন্দর
কৃষণ চন্দর উর্দু সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ। তাঁরই লেখা অসাধারণ ব্যাঙ্গাত্বক রচনা "আমি গাধা বলছি"।
বইটা চমৎকার একটা স্যাটায়ার! একজন গাধা যে কিনা লেখাপড়া জানে তারই জীবনের বিচিত্র কাহিনি এটা। একটা সময় পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সাথেও তার পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় সে দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে পৌঁছে যায়। মুম্বাইয়ে সে বিভিন্ন লোকজনের পাল্লায় পড়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়।
বইটা যেন সমাজের দর্পনের মতো। সমাজের নানাবিধ অসঙ্গতি সূক্ষ্ণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল এটা যেন আমাদেরই কাহিনি!
দৃঢ় সত্যের দিতে হবে খাটি দাম, হে স্বদেশ, ফের সেই কথা জানালাম।
সাহিত্যে ছাপ রেখে যাওয়া ও সাহিত্যের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা দুটোর মাঝে মিল না থাকলেও একটি মিল কিন্তু পাওয়া যায়। আর সেটি হচ্ছে দুটি ক্ষেত্রেই লেখক সফল হন। যদিও এই ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ সরাসরি প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে অনেকেই ঝামেলায় জড়াতে চান না। তবুও কিছু মানুষ আছেন যারা কলম আর কাগজ তুলে নেন প্রতিবাদের জন্য সমাজের কালো অন্ধকার দিকটি তুলে ধরার জন্য তারা তাদের কলম কেই হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে থাকেন।
“অসির চেয়ে মসি বড়” আমরা এই প্রবাদ পড়েছি। কিন্তু আমাদের জীবনে এই প্রভাব একদম নেই। বর্তমানের কথাই যদি বলি তবে আমরা আসলে এমন জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে সামনে গেলে কুমির আর পেছনে বাঘ এই পরিস্থিতি। তবুও এধরনের জায়গা থেকে আমাদের উত্তরণের উপায় খুজে যেতে হয়। সাহিত্যের কথা বলতে গিয়ে উল্টো রথ ধরে ফেললাম। দুঃখিত। আসলে আমি একটি বই নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। বইটি সাহিত্যের কতটা ছাপ আছে তা জানি না, তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার ব্যাপারে সত্য তুলে ধরেছে এটা বলা যায়। বইটি স্যাটায়ার জনরার হলেও বইটি মানব সমাজের যেই অন্ধকার দিক সেই দিক গুলো তুলে ধরেছে।
বইটির নাম হচ্ছে “আমি গাধা বলছি”। বইটি লিখেছেন কৃষণ চন্দর। মুলত বইটি অনুবাদ বই। এটি উর্দু থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। এই বইটি নিয়ে আসলে মজার একটি কাহিনী আছে।
আসলে বইটি আমার চোখে পরে দুই তিন বছর আগে রকমারিতে। তখন নেব ভেবেছিলাম কিন্তু আর নেয়া হয়নি। এরপর একটা নাটকের কাজে বইটি আমার হাতে আসে। পড়া শুরু করা প্রথম কয়েক পাতা শেষ করার পর আমি বইটি রাখতে পারিনি। এক বসায় শেষ করেছি। বলা যায় অনুবাদ হলেও আমার কাছে বেশ সাবলীল লেগেছে।
অনুবাদক হচ্ছেন মোস্তফা হারুণ। পরিচিত নাম নয়। তবুও উর্দু থেকে অনুবাদ খারাপ লাগেনি। বেশ সুন্দর আর সবলীল ভাবেই কাহিনী এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আমার যত দূর মনে হয় অনুবাদ এখানে অতিরিক্ত কিছু করতে যাননি। যদিও এটি আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত। তবে পড়ার সময় বেশ হেসেছি।
প্রথমত, বইটির নাম নিয়ে বলতে হয়। এই বইটির নাম দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন যে এটি সস্তা কোন কৌতুকের বই। কিন্তু এই বইয়ের ক্ষেত্রে নাম দেখে বা কভার দেখে বই বিচার করার বিষয়টি খাটবে না। এটি পড়ার শুরুতে বুঝতে পারি যে এটা স্যাটায়ার জনরার বই।
সেই স্যাটায়ারের পরিধি কতটা বড় তা বুঝতে সময় লেগেছে। কারণ প্রতিটি ঘটনা একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত। যখন পড়া শুরু করবেন তখন বুঝতে পারবেন।
কি নিয়ে ব্যাঙ্গ করা হয়নি উপন্যাসটিতে, কি নিয়ে উপহাস করা হয়নি? ধর্মীয় অন্ধতা, সামাজিক কুংস্কার, বইয়ের প্রতি মানুষের অনীহা, সরকারী কাজের নানান অসঙ্গতি, মানুষের হুজুগেকর্ম, লোভ, মোহ, ভন্ডামি, অসাধুতা, বিশ্বাস সহ শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত? যেখানেই অসঙ্গতি রয়েছে সেখানেই ব্যঙ্গ করা হয়েছে, উপহাস করা হয়েছে। ভুল বোধ, ভুল বিশ্বাস, ভুল দাম্ভিকতাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সব কিছু এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে আপনি পড়ার সময় নিজের কাছেই মনে হবে আরে এত বর্তমান সময়ের কথাই বলছে। আমি নিজেই এটা উপলব্ধি করেছি। যখন পড়ছি তখন ভাবছি বাহ এত আগের সময়ের লেখা হয়েও বইটি সব সত্য তুলে ধরেছে। লেখকের মুন্সিয়ানা বেশ বলতে হবে।
মানুষের লোভ লালসা, স্বার্থ চরিতার্থ করার পর কেটে পরা, নিজের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করা, সমাজের সামনে ভাল সেজে থাকা মুখোশ পরা মানুষ গুলোর চরিত্র সবার সামনে তুলে এনেছেন। লেখক এখানে হয়ত সময়ের হিসেবে লিখেছেন, কিন্তু বাস্তবতা বলে যে এই লেখা গুলো আজও সত্য।
এই যে স্যাটায়ার জনরা এখানে বর্তমানে খুব একটা লেখা দেখা যায় না। মজার বিষয় হচ্ছে এই বইটি শুরু হয়ে বেশ চমকপ্রদ একটি ডায়লগের মাধ্যমে,
“ভদ্র মহোদয়গণ, গোড়াতেই বলে রাখি, আমাকে কোনো সাধু-ফকির মনে করবেন না। আমি না কোনো পীর দস্তগীর, না স্বামী ঘমঘমানন্দের চেলাচামুন্ডা, না দোয়া-তাবিজ দেনেওয়ালা সুফী গুরমুখ সিং মাঁঝিলা, না কোনো ডাক্তার, না হাকিম, না হিমালয়ের চূড়ায় আসীন কোন মহা পুরুষ, না কোন চিত্র তারকা, না রাজনৈতিক নেতা। আমি নেহাত গোবেচারা গাধা। ছোট বেলায় ভুলক্রমে খবরের কাগজ পড়ার ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলোম। এই রোগ শেষাবধি আমাকে এমন জেঁকে ধরেছিলো যে, ইট টানার কাজ রেখে আমি বেশির ভাগ সময় খবরের কাগজ পড়ায় নিমগ্ন থাকতাম। তখন আমার প্রভু ছিলো ধন্নু কুমার।”
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে গাধা আবার কেমন গাধা। এই গাধা আমাদের দেখা গাধাদের মতই। চারটা পা, একটি লেজ, ধুসর বর্ন, কান সমেত গাধা যেমন তেমনই। তবে পার্থক্য হচ্ছে এই গাধা আবার পড়াশোনা জানা। লেখাপড়া জানা লোকজনের মধ্যে বিবেক বুদ্ধি হলে যেমন হয় ঠিক তেমন গাধা আরকি।
এই গাধার মাধ্যমেই আমরা সমাজের প্রতিটি চিত্র দেখতে পাই। দেখতে পাই মানুষের ভেদাভেদ, জাত-পাত আর ধর্মের ভেদাভেদ, মানুষের লোভের বশে কত কিছু করে বসে। আবার হুজুগে মানুষ নিজের যে ক্ষতি করে ফেলে সেটাও পরিলক্ষিত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ স্বার্থপর হয়, নিজের আখের গোছানোর জন্য।
আর একজন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বা গাধা সৎ থাকতে চাইলেও পারে না। তারা সব সময় সততার বুলি আওড়ায় বলে কোথাও তাদের জায়গা হয় না। তারা শুধু ধুকে ধুকে জীবনের গান গেয়ে চলে।
পরিশেষে, আপনার যদি মনে হয় যে সমাজ পরিবর্তন করা দরকার তবে আপনাকেও ঠিক তাদের মতই ভাবতে হবে। চিন্তা শক্তির চেয়ে পেশি শক্তি আর অর্থের শক্তিতে শক্তিশালী হতে হবে। এই সমাজ বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন লোকদের দাম দেয় না। সততা আর পরিশ্রমের মুল্য এখানে নেই। যে যাকে পারবে তাকে টেনে ধরে নিচে নামিয়ে নিজেই এগিয়ে যাবে। এটাই বাস্তবতা, এটাই সমাজের চিত্র।
"....উপরে উদার আকাশ। সামনে ধু ধু প্রান্তর। রাস্তা দিয়ে তিনজন পাশাপাশি চলেছে। একজন পুরুষ, একজন নারী এবং এক গাধা। পুরুষ - জন্মদাতা নারী - গর্ভধারিণী গাধা - জীবনের শ্রম ও ভালোমানুষী দিয়ে গড়া নিষ্পাপ সত্তা।"
এটা রুপকথা-উপকথা কিছুই না, এটা একটা স্যাটায়ার। বইটা পড়তে পড়তে আপনি নিজেকে গাঁধা হিসেবে আবিষ্কার করবেন। আর শেষে আপনাকে ভাবাবে যে, আপনার চারপাশে কিছু অসুস্থ স্বার্থান্বেষী মানুষ আপনাকে ঘিরে রেখেছে আর কীভাবে তাদের প্রয়োজনে আপনাকে ব্যবহার করে যাচ্ছে। আপনি যদি গাধার জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করতে পারেন তাহলে বলবো আপনি সঠিক ট্র্যাকেই আছেন, তবে পৃথিবীটাকে জানার কিছু ঘাটতি আছে আপনার। আর হ্যাঁ, অনুবাদ প্রশংসনীয়।