Yakov was born on December 15, 1923 in the town of Galich, Kostroma region. In 1933, the family moved to Moscow, Yakov Akim studied and grew up in Moscow.
Akim fought on the fronts of the Great Patriotic War, was a squad commander of a mortar division, participated in the Battle of Stalingrad. He graduated from three courses at the Moscow Institute of Fine Chemical Technology by 1950, then switched to literary work. Member of the Writers' Union of the Soviet Union since 1956. He worked at Mosfilm.
কি যে মিষ্টিইইইইইইই...... গরম জিলাপির মতোন একদম। কেউ যদি আমাকে ছোটবেলায় এই বইটা পড়তে দিতো। আমি হয়তো এমন অকম্মার ধাড়ি হতাম না। কিন্তু কই, চিঠিটা তো পেলাম না!
মাতৃদেবী এ কথা মাঝেমধ্যেই উদাস কিংবা তপ্তস্বরে,আকারে ইঙ্গিতে বা প্রকাশ্যে প্রায়শ তার দুটো ছানাপোনাকে বলে থাকেন আয়েশে বা আফসোসে।তা গন্ডারের সমগোত্রীয় না হওয়া সত্ত্বেও আমার আর ভাইয়ের বিশেষ হেলদোল হয় না কখনোই, শুধু মাঝেসাঝে একটু উষ্মা প্রকাশ করেই কুরুক্ষেত্র বাধার আগেই পগারপার হয়ে যাই।
তো এ গল্পে এমন দুনিয়াভরা অকম্মা দের জন্য আকস্মিক ই এক চিঠি নিয়ে হাজির পিওন।সংবাদবাহকের হাতের খামের ভেতরকার সন্দেশ তো ঠিক জানা নেই তবে ঠিকানার জায়গায় বেশ বড় করেই লেখা আছে;
দিতে হবে অকম্মার হাতে!
তা খেলনা ছড়ানো বা খাবার নিয়ে গোল বাঁধানো ছোট্ট খোকা কেউ ই নয় তো এত বোকা যে অকম্মা ডাকে আহ্লাদে আটখানা হয়ে পিওন থেকে চিঠিখানার চালান নিয়ে নীরববাকে্য মানবে তারা অকম্মা।
পিওন এখনো ঘুরছে পৃথিবীর পথে প্রান্তরে পত্রখানার প্রাপকের খোঁজে, কিন্তু প্রাণহরা সব ছবির সাথে এত মনোহরা সব গল্প শেষ হওয়ার দুঃখে দেশান্তরী হতে আমার প্রায়ই ইচ্ছে করে।
এই বইটা পড়বেন আর কল্পনা করবেন হয়ত এই বইটা আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ে শোনাচ্ছেন, বা ছোট শিশু ভাইকে,বোনকে, একেবারে ছোট যে কাউকে। ছবিতে আর কবিতায় খুব সুন্দর একটা বই। পড়বেন আর গল্প করবেন, দেখবেন, আপনার সেই ছোট্ট শিশুটিকে আর কোন পিয়ন অকম্মার চিঠি দিতে পারবে না।
কিন্তু আমার চিঠিটাতো আমি পেলাম না! আমাকে মিস করে গেছে, নইলে দোরে দোরে ঘোরা লাগত না 🥺🥺
ছোটদের অহমিকাবোধ ও আত্মসম্মান প্রবল। এটা বড়রা প্রায়ই ভুলে যায়। শাসন না করে তাদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধটাকে জাগিয়ে তুললেই তারা লক্ষ্মী ছেলেমেয়ের মতো কথা শুনে আর কাজও করে। কারন কেউই "অকম্মা" হতে চায় না। অকম্মার চিঠি পেতে চায় না।
কিন্তু বড়রা তো অকম্মার ঢেঁকি হয়ে গর্বও করতে পারে!!
ছোটবেলায় একটুও আলসেমি করলে আব্বু এমন একটা গল্প শোনাতেন। সেখান থেকেই অভ্যাস হয়ে গিয়েছিলো নিজের সব কাজ নিজে করার। এমন সহজ সুন্দর করে বাচ্চাদের কি ভালো সব শিক্ষা দেয়া যে যায় বইয়ের মাধ্যমে! সত্যিই বইয়ের চেয়ে ভালো কিছুই হয় না।
НЕУМЕЙКА - উচ্চারণটা নেউমেঈ'কা গোছের। কোনো ব্যক্তি কাজে একেবারেই অপটু হলে রাশানরা তাকে এভাবে এড্রেস করেন। এই অনেকটা আমাদের "অকম্মার ঢেঁকি" বলার মতন। টডলার টু প্রি-স্কুলের কাচ্চাবাচ্চাদের সকাল-বিকাল পড়িয়ে লাইনে আনার উপযোগী শিক্ষামূলক বই। গল্পের বাচ্চাগুলোর ঐ চিঠির প্রাপক না হতে চাওয়ার যে উদ্বেগ, অমন আর্নেস্টনেস অত কচি বয়সে চলে এলে আর কি লাগে!
গড়পড়তা মফস্বল জীবনে নাইন্টিজ কিড হিসেবে থেকে যাওয়া ঘাটতি, গ্রামের সাথে ইমিডিয়েট জেনারেশনের ডিরেক্ট কানেকশন সাথে হিসেবি আদর অপটু বনে যাওয়ার রাশে অল্প বিস্তর টানটুন দিয়েছে। কিন্তু এই জেনারেশনের কথা কি বলব! অতি আদরের সাথে অন্য নিয়ামকের অভাবে বাঁদর-উল্লুক সবই তৈরি হচ্ছে আজকাল। বাচ্চার থেকে বেশি বাপ-মায়ের পড়া উচিত এসব।
কেন এত উত্তেজিত হয়ে গেলাম ভেবে অবাক হইয়েন না কেউ। বাচ্চাদের ছোট থাকতে না গড়লে আর কখন!
অকম্মাকে দেওয়ার জন্য চিঠি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বুড়ো পিওন। কিন্তু পিওনকে দেখেই তো বাচ্চারা নিজে নিজে খাচ্ছে, মোজা পরছে, মার সাথে প্লেট মুছছে, গাছে পানি দিচ্ছে, তাহলে পিওন কি অকম্মাকে খুঁজে পাবে না? অনুবাদের কারণে এত চমৎকার একটা ছড়ার মাঝে মাঝেই তাল কেটে গিয়েছে, না হলে আরো এক তারা বেশী দিতাম।