Bibhutibhushan Bandyopadhyay (Bangla: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) was an Indian Bangali author and one of the leading writers of modern Bangla literature. His best known work is the autobiographical novel, Pather Panchali: Song of the Road which was later adapted (along with Aparajito, the sequel) into the Apu Trilogy films, directed by Satyajit Ray.
The 1951 Rabindra Puraskar, the most prestigious literary award in the West Bengal state of India, was posthumously awarded to Bibhutibhushan for his novel ইছামতী.
যদিও বিভূতিভূষণে বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নতুন করে আপনারা তাঁর প্রশংসা শুনতে চাইবেননা৷ তারপরও আমার দিক থেকে কেমন লেগেছে তাঁর লেখার ভঙ্গি সেটা একটু তুলে ধরার চেষ্টা করি৷ আফ্রিকার জঙ্গের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বর্ণনাগুলো তিনি খুব চমৎকারভাবে দিয়েছেন। শঙ্কর যখন দুর্বোধ্য সেই জঙ্গলে পদে পদে বিপদে পড়ে তার বর্ণনা তিনি যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তা যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো বারংবার। সত্যি কথা বলতে আমি বেশ উপভোগ করেছি লেখকের চমৎকার লেখনী৷
আফ্রিকা জঙ্গল সবসময় ভয়ঙ্কর; তার অন্যতম কারন হচ্ছে এই জঙ্গলের হিংস্র প্রাণী৷ লেখক কয়েকটা অদ্ভুত হিংস্র প্রাণী'র কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো বেশ রোমাঞ্চিত করেছে আমায়৷ তাছাড়া কিছু পাহাড় পর্বতের কথাও খুব স্পষ্ট করে তিনি উল্লেখ করেছেন৷
গল্পের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো বেশ চমৎকারভাবে সাজিয়েছেন লেখক বলতেই হয়। প্রধান চরিত্র হিসেবে শঙ্করের সাহসিকতা, উদ্যম, জেদ সবকিছু লেখক স্পষ্ট করে দেখিয়েছেন—যা আমাকে খুব করে মুগ্ধ করেছে।
তারপর যে চরিত্রের কথা বলবো, সেটি হচ্ছে ডিয়েগো আলভারেজ৷ যে কি-না শঙ্করের রহস্যপুরী অভিযানের সঙ্গী হয়েছিলো । এই চরিত্রটি আমায় বেশ টেনেছে৷ ডিরেগো আলভারেজের মতো সাহসিক দূর্দুর্ষ ভ্রমণপিপাসুর গল্প শুনতে শুনতে বারবার আমার মনটা শ্রদ্ধায় বরে উঠেছিলো তার প্রতি ৷
আত্তিলিও গাত্তি নামক চরিত্রটি লেখক ছোট্ট করে গল্পে এনেছিলেন৷ কিন্তু এই এইটুকুতেই তার গল্প শুনে আমি বারংবার শিউরে উঠেছিলাম৷ সত্যি কথা বলতে—শঙ্কর, ডিয়েগো আলভারেজ, আত্তিলিও গাত্তি—এই তিনটি চরিত্রকে লেখক বেশ মাথা খাটিয়ে তৈরি করেছেন এবং বেশ সফল হয়েছেন বলা যেতে পারে। এই তিনটি চরিত্রই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শঙ্করের প্রতি আমার মুগ্ধতা, ডিয়েগো আলভারেজের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আত্তিলিও গাত্তি মনে দাগ কেটেছে আমার মনে।
বইটি ছিলো আমার কাছে বেশ সুখপাঠ্য—তা লাগার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ বইটা পড়ার সময় একবারের জন্যেও বিরক্ত লাগেনি৷ যেন এক নিমেষেই পড়ে ফেলেছি এমন লেগেছে। লেখকের স্পষ্ট বর্ণনাশৈলী কী দূর্দান্ত ছিলো তার কথা তো বলেছিই আগে, তাছাড়া চরিত্রগুলো যেভাবে সাজিয়েছে—চরিত্রগুলোর সাথে যেন আমি আটকে গিয়েছিলাম৷ শঙ্করের পদে পদে বিপদ; আর সেই বিপদ তাঁকে যেভাবে গ্রাস করছিলো, আর অন্যদিকে শঙ্করের সাহসিকতা সবমিলিয়ে রোমাঞ্চিত করেছে আমাকে৷
এরকম ভয়ানক রহস্যপুরীর অভিযানের গল্প আমাকে পদে পদে মুগ্ধ করেছে। বারবার পড়ার মতো একটা বই৷ বইটা পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে আমি যেন শঙ্করের দূর্দুর্ষ অভিযানের সাথে আঠার মতো লেগে আছি; একটুর জন্য চোখ নড়াবার অবকাশ পাইনি।
সবমিলিয়ে আমার পাঠক জীবনের অন্যতম প্রিয় একটি বই হয়ে থাকবে—চাঁদের পাহাড় উপন্যাসটি৷
বইয়ের ভালো লাগার মতো একটি লাইন : ❝ছাঁদের আলসের দিব্যি চৌরস একখানা টালি হলে অনড় অবস্হায় সুখে-স্বচ্ছন্দে থাকার চেয়ে স্ফটিক প্রস্তর হয়ে ভেঙ্গে যাওয়াও ভালো, ভেঙ্গে যাওয়াও ভালো, ভেঙ্গে যাওয়াও ভালো।❞
বিভূতিভূষন এর কিছু বিষয় আগে একটা তেমন খেয়াল এ আসেনি। উনার প্রকৃতিজ্ঞান এত সুন্দর আর সূক্ষ্ম। দক্ষিণ আফ্রিকা মরু উত্তপ্ত প্রকৃতিতে কীভাবে বাংলার এক ছেলে নিজেকে টিকিয়ে রাখে সেসব বর্ণনা পড়লে মনে হয় আমি নিজেই যেনো আফ্রিকার সেই আগুন গরম ভূমিতে দাঁড়িয়ে দূরে অসীমে দিগন্ত খুজছি। এক কথায় বইটা অসাধারণ লেগেছে।
এতো চমৎকার একটা বই!!! আমি ভাবতেও পারিনা, সে সময়ে কেউ এরকম একটা আপডেটেড টপিকে এতো গোছানো একটা বই লিখতে পারে... যেখানে এখনও অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে যেসব বই লেখা হয় অধিকাংশ বইই, গুগল বা উইকিপিডিয়া থাকার পরও , খুবই নিম্ন মানের...! অতীব প্রিয় এই বইখানা :)
4.5🌠 বিভূতিভূষণের সবচেয়ে যে বিষয়টি ভালো লাগে সেটি হলো প্রকৃতির বর্ণনা ❣ When you will read his book.. You will feel close to your nature ❣I loved everything about this book😍Nature, the character, the struggle, the deterioration ❣❣Everything is sooo inspiring ❣❣
P.R: 4.75/5 অনেক দেরিতে এত ভালো একটা বই পড়লাম। ভীষণ ভালো সময় কেটেছে শঙ্করের ও আল্ভারেজের সাথে। কি অনবদ্য লেখনী, কি সুন্দর বর্ণনা, আর কি আকর্ষক মহল তৈরি করেছেন বিভূতিভূষণ! এ এক অজানা ভয়ংকর সুন্দর ভুবনে প্রবেশ করিয়েছে আমাদের, যে ভুবনে এখন ইচ্ছে হয় ছুটে যেতে আবার পরক্ষনেই মনে হয় "থাক বাবা, দরকার নেই"। Overall, a must read for readers of every age.
আমার কেবল শুরু করা এই বইয়ের রাজ্যে সবচেয়ে সেরা এবং ফেভারিট একটা বই "চাঁদের পাহাড়"।বইটি পড়ার সময়ে মনে হয়েছিল আমিই শঙ্কর । আলভারেজ কে আমি চিরকাল পিতৃ স্নেহে লালন করবো । এই বইটি ১০০ বার পড়লেও বোরড হবো না
ছাদের আলসের দিব্যি চৌরস একখানা টালি হয়ে অনড় অবস্থায় সুখে-স্বচ্ছন্দে থাকার চেয়ে স্ফটিক প্রস্তর হয়ে ভেঙে যাওয়াও ভালো, ভেঙে যাওয়াও ভালো, ভেঙে যাওয়াও ভালো ।
one of the greatest book i have read in my lifetime. i read this book back in childhood. but, my memories are still fresh. this book has introduced me to the great author bibhutibhushan bandopadhyay.
চাদের পাহাড়, বিভূতিভূষণ লিখা ছয় নাম্বার বই এটা আমার।
গল্পটা সম্পূর্ণ আলাদা। প্লটটাও আলাদা সাথে ক্যারেক্টারটাও। উনার অন্যান্য গল্পে প্রধান চরিত্র অতি শান্তশিষ্ট ও সহজ-সরল থাকলেও এখানে শংকর একটা বীরত্বগাথা কাহিনীতে আবির্ভাব হয়েছে। এক বাঙালিকে তিনি আফ্রিকার জঙ্গলে লড়াই করিয়েছেন।
অজ পাড়াগায়ের ছেলে শংকর চাকরীর সুবাধে পাড়ি জমায় আফ্রিকার মোম্বাসা-ইউগান্ডায়।কিন্তু চাকরীতো তার দেশেই ছিল, তারপরও এডভেঞ্চারের নেশা তাকে নিয়ে যায় আফ্রিকা। জনমানবহীন এক রেলস্টেশনে চাকরী পড়ে। সেখানে আফ্রিকান কালো মাম্বা সাপ আর সিংহ তার নিত্যসঙ্গী।স্রেফ ভাগ্যের জোড়ে বেচে যায় কয়েকবার।
একদিন হঠাৎ এক ঘটনা বদলে দেয় তার জীবন।জল নিয়ে ফিরে আসার সময় মৃতপ্রায় আলভারেজকে উদ্ধার করে সে। সেবায় সারিয়ে তোলে।আলভারেজের মুখে জানতে পারে, সে একজন রত্নসন্ধানী। শংকরকে সে রিখটারসভেল্ট পাহাড়ের হীরক খনীর গল্প শোনায়। একেতো এডভেঞ্চারের নেশা তার উপর আবার হীরার সপ্নে বিভোর হয়ে উঠে শংকর। পা বাড়ায় রিখটারসভেল্টের পথে, সাথী আলভারেজ।
কিন্তু জঙ্গলের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না শংকর।বিপদ সংকুল পরিবেশে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এগিয়ে যায় ওরা। আলভারেজ আগেও এই পাহাড়ে এসেছিল। সেবার প্রাণিবিজ্ঞানে অজানা এক ভয়ঙ্কর জীব বুনিপের সাথে দেখা মিলে তাদের। বুনিপের হাতে সঙ্গী হারিয়ে হাল ছাড়ে আলভারেজ।
এবারও বুনিপের সাথে দেখা হয় তাদের। প্রাণ হারায় আলভারেজ।একা হয়ে পড়ে শংকর। বাংলার সমতল ভূমির গ্রামের ছেলে একা এক পাহাড়ি জঙ্গলে,যে পারে না কম্পাস দেখে দিক নির্ধারণ করতে,পারে না ম্যাপ দেখে জায়গা চিনতে। খাবার নেই,পানি নেই, নেই কোন সঙ্গী-সাথী। হীরে তো দূরের কথা নিজের জীবন সংকটে পড়ে যায় শংকর।
সেকি পারবে সফল হতে? নিজের জীবন বাচিয়ে বুনিপের মোকাবেলা করে হলেও হীরে নিয়ে ফিরতে?
ঘকিছু মানুষের বাস স্বপ্নের জগতে। আর কিছু মানুষের বাস বাস্তবে। কিন্তু সেই বাস্তব স্বপ্নের চেয়েও রোমহর্ষক।
জীবন সাধারণ তাতে কি? তবে স্বপ্ন ছিল রোমাঞ্চ আর দুঃসাহসিক।আর সেই স্বপ্ন পূরণ ও হয়েছে পাড়াগাঁয়ের সেই শিক্ষিত বেকার যুবক শঙ্করের । কতো কষ্ট, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ভয় ও অসীম সাহস নিয়ে সে লড়াই করে অবশেষে বেঁচে ফিরল। এরই মধ্যে লুকিয়ে আছে কজন দুঃসাহসিক পর্যটক যারা হয়ত শঙ্কর এর থেকেও বেশি সাহসী ছিলেন। জিম্ কার্টার, ডিয়গো আলভারেজ, কমান্ডার আত্তিলিও গাত্তি।
"ভয় পেলে চলবে না, যে কাজে নামবো হাসিল করেই ছাড়ব। লড়াই করে যেতে হবে তবেই সুখের নাগাল পাওয়া যায়।" অনেকদিন আগের পড়া এই বই টা। যদিও বাজে রিভিউ লেখি ভাবলাম বাজেটাই পোষ্ট করে ফেলি!🙂🙏🏻