Dr. Nihar Ranjan Gupta (Bangla: নীহাররঞ্জন গুপ্ত) was an Indian dermatologist and a popular Bengali novelist. He is the creator of the fictional detective character Kiriti Roy.
Gupta came from a prestigious Kabiraj family of Itna village under Lohagara police station, in the district of Jessore, presently in the Narail district of Bangladesh. During the Second World War, Gupta served as an army doctor and was posted in different parts of the world. He was posted in Chittagong, Burma and Egypt. After the war, he completed post-graduation in medicine from the United Kingdom, specializing in dermatology. On his return he joined the Calcutta Medical College. In his career as a physician he was associated with several hospitals in India. After the Partition, his family permanently migrated to Kolkata in 1947.
As a child Gupta always dreamed of becoming a writer. He once went to Shantiniketan to seek the blessings of Rabindranath Tagore and took his autograph. At the age of eighteen he composed his first novel, Rajkumar. During his stay in England he developed a keen interest in detective stories and met Agatha Christie. After coming back to India, he composed his first detective novel, Kalo Bhramar [কালো ভ্রমর] where his launched his detective character Kiriti Roy [কিরীটী রায়].
বাংলার রহস্যভেদীদের মধ্যে ফেলুদা আর ব্যোমকেশের পেছনে যে পরিমাণে নিউজপ্রিন্ট, বিট ও বাইট ব্যয় হয়, তার ভগ্নাংশও কিরীটী রায়ের কপালে জোটে না। কেন? প্রথমত, গোয়েন্দাকে জনপ্রিয় করায় এবং বৃহত্তর একটি গণভিত্তি দেওয়ায় চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। দুর্ভাগ্যবশত, কিরীটী রায়কে নিয়ে বানানো সিনেমাগুলো ভীষণরকম বাজে হওয়ায় আজকের দর্শক সেগুলো দেখেন না, ফলে তাঁর সম্বন্ধে জানতেও পারেন না। দ্বিতীয়ত, কিরীটীর গল্পগুলো ভয়ানক ডেটেড। জমিদারবাড়ির ঠাকুরঘর থেকে মূর্তি চুরি, সম্ভ্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে অবিশ্বাস্য রকম কষ্টকল্পিত উপায়ে খুন করা, ভুলভাল ইংরেজিতে মেকি সাহেবিয়ানা প্রদর্শন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এই লেখাগুলোকে আজকের পাঠকের কাছে ক্লান্তিকর করে তোলে। ব্যোমকেশ কাহিনির মূল আকর্ষণ তার সমাজচিত্র প্রতিফলন ও ব্যোমকেশ চরিত্রের ঘরোয়া অসাধারণত্বে। সেসবের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না কিরীটীর কাহিনিতে। অতএব, নীহাররঞ্জনের কিরীটী কাহিনির সম্ভার ব্যোমকেশের চেয়ে বহুগুণে বেশি হলেও তা উপেক্ষিত থেকে যায়। কিন্তু আলোচ্য সংকলনটি পড়তে গিয়ে মনে হল, কিরীটীর সঙ্গে আমরা অন্যায় করেছি। উপন্যাসগুলো পড়া বেদনার হলেও এই ছোটোগল্পগুলো সীমিত পরিসরে মানবমনের নানা জটিলতা যেভাবে ফুটিয়েছে, তা বাংলা রহস্যকাহিনিতে আমরা খুব বেশি পাই না। এদের মধ্যে অনেকগুলো গল্পই প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য, তাই লোভ, লালসা, ঈর্ষার নানা রঙ ও রূপ আমরা দেখতে পাই এতে। কী-কী লেখা আছে এই বইয়ে? গজেন্দ্রকুমার মিত্রের লেখা ভূমিকা 'কিরীটী রায়'-এর পর আমরা এখানে পাই নাতিদীর্ঘ থেকে নভেল্লা দৈর্ঘ্যের নিম্নলিখিত গল্পদের: ১. সংকেত ২. বাঘনখ ৩. রক্তমুখী নীলা ৪. রেশমি ফাঁস ৫. পদ্মদহের পিশাচ ৬. পঞ্চমুখী হিরা ৭. নেশা ৮. রহস্যভেদী ৯. কালোহাত ১০. প্রহেলিকা ১১. বত্রিশ সিংহাসন ১২. স্বর্ণমূর্তি ১৩. বিষের ধোঁয়া ১৪. রহস্যের যবনিকা ১৫. বেলেডোনা ১৬. ছায়া-মৃত্যু ১৭. চিতাবাঘ ১৮. ১৩ নং ঘর ১৯. রক্ত-গেরুয়া ২০. মাছি ২১. রাত্রি বারোটায় ২২. মৃত্যুবিষ ২৩. মৃত নক্ষত্র ২৪. পদ্মিনী এদের মধ্যে অনেকগুলোই পড়তে গেলে আরোপিত সংলাপ, নাটুকে হাবভাব, অতিকথন ও ভুলভাল ইংরেজির যথেচ্ছ অনুপ্রবেশের ঠেলায় মাথা গরম হয়। কিন্তু এ-কথাও মনে হয় যে সৌগত বসু'র মতো দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের হাতে এই গল্পগুলো অত্যন্ত চমৎকার টিভি বা ওয়েবসিরিজের উপকরণ হয়ে উঠতে পারে। কিরীটী রায়ের অন্তত ওটুকু প্রাপ্য বলেই আমার ধারণা।
কিরীটী রায়, গোয়েন্দা হিসাবে ঘটে প্রচ্চন্ড বুদ্ধি রাখে বটে৷ ইনটেলেকচুয়াল৷ আর গল্পের মধ্যেও কেবল এই বুদ্ধিগিরির বাম্পার ফলন; বাকিসব ঠুনকো। নিষ্প্রভ, গড়পড়তা, ছোট বড় মাঝারি আকারের ২৪টা গল্প। ঘটনা ঘটে, কিরীটী বাবুর আগমন, গুটিকয়েক প্রশ্ন জেরা করেই সমাধান। কৌতুহল উদ্দীপক / গল্পের ঘটনাপ্রবাহে ইন্টারেস্ট কিছু পেলাম না। ছোটগল্প বলে স্পেস সংকোচন দোষে নয়, গল্পগুলো এলাম-দেখলাম-জয় করলাম গোছের স্ট্রাকচার। চুরির মামলাটাই সবচেয়ে বেশি, আর প্লটগুলোয় ভ্যারিয়েশন হার কম। সবমিলিয়ে কয়েকটা গল্প মোটামুটি ভালো লেগেছে বলেই গুডরিডসের ভাষায় '' দুই তারা = It was ok ''.
A wonderful collection of short stories by the author. Each story offers a new surprise with its twists and turns. Favourite stories- রক্তমুখী নীলা, বেলেডোনা।