Jump to ratings and reviews
Rate this book

ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে

Rate this book
TRACKBAHANE MACKMAHANE
[Travelogue]
By
Nabanita Deb Sen

প্রচ্ছদ – সমীর সরকার


কোথায় অসমের জোড়হাটে এক মহিলা সাহিত্যিক সম্মেলন, আর কোথায় তিব্বত সীমান্ত। তাও আবার প্লেনে-ট্রেনে চেপে শৌখিন ভ্রমণ নয়, যাকে বলে একেবারে ডাকাবুকো স্টাইলে অ্যাডভেঞ্চার। র‍্যাশন ট্রাকে জোর করে জায়গা করে নিয়ে দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে ম্যাকমাহন লাইনের পাশে তাওয়াং পৌঁছনো। সেই লাসা-তাওয়াং রোড, যেখান দিয়ে কিনা চিনেরা এসেছিল। এ যেন রবীন্দ্রনাথের সেই গানেরই ডাকে সাড়া দেওয়া – ‘যেমন করে ঝর্ণা নামে দুর্গম পর্বতে / নির্ভাবনায় ঝাঁপ দিয়ে পর অজানিতের পথে।‘ আর সেই অজানিতের পথে ঝাঁপ দেওয়ারই অনন্য অভিজঙতাকে আশ্চর্য সরল ও স্বাদু এক ভঙ্গিতে এ-গ্রন্থে তুলে ধরেছেন নবনীতা দেবসেন।
সত্যিই অভাবনীয় এই বই। কি বিষয়ে, কি বর্ণনায়। তথ্য রয়েছে, ইতিহাস রয়েছে, নিসর্গ দৃশ্যের অপরূপ বিবিরণ রয়েছে, রয়েছে পদে-পদে রোমাঞ্চ-উৎকণ্ঠা, কিন্তু সব-ছাপিয়ে যা রয়েছে, তা হল, মুচমুচে মজা দিয়ে মুড়ে প্রতিটি পদক্ষেপকে তুলে ধরা, জীবন্ত ও রমণীয় করে। বাংলায় এমন বই দ্বিতীয়টি লেখা হয়নি।

175 pages, Hardcover

First published September 1, 1984

8 people are currently reading
380 people want to read

About the author

Nabaneeta Dev Sen

92 books81 followers
Nabaneeta Dev Sen is an award-winning Indian poet, novelist and academic. Sen has published more than 80 books in Bengali: poetry, novels, short stories, plays, literary criticism, personal essays, travelogues, humour writing, translations and children’s literature. Her short stories and travelogues are a rare combination of fine humour, deep human concern, and high intellect, which has made her a unique figure in the Bangla literary scene.

She is a well-known children's author in Bengali for her fairy tales and adventure stories, with girls as protagonist. She has also written prize-winning one-act plays.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
100 (52%)
4 stars
72 (37%)
3 stars
16 (8%)
2 stars
3 (1%)
1 star
1 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 47 reviews
Profile Image for Tiyas.
449 reviews125 followers
February 24, 2025
ভ্রমণভিত্তিক রচনা নিয়ে কোনোকালেই খুব একটা আকর্ষণ বোধ করিনি। এই ফিল্ডে আমার জ্ঞান বা পাণ্ডিত্য, শুরু হবার আগেই শেষ। তবুও এই বইটি নিয়ে আমার অনেকদিনের কৌতূহল। কেবল হুজুগ ও উঠলো বাই-এর পাল্লায় পড়ে, একজন মাঝবয়সী মহিলার এরূপ অভিজ্ঞতাপূর্ন অভিযান নিয়ে কৌতূহলী হওয়া সাজে। তা সে হোক না স্বনামধন্য অধ্যাপিকা (তথা সাহিত্যিক) নবনীতা দেবসেন। দিনের শেষে, এই গল্পটি তড়িৎস্পৃষ্ঠ সাহসের। ওনার জায়গায় অন্য যেকোনো নারী হলেও, এই একই পরিমাণ কৌতূহল অনুভব করতাম।

আনন্দের বিষয়, বইজুড়ে বহতা নদীর মতন গদ্য! স্রোতস্বিনী কাহিনী তরতরিয়ে এগোয়। লেখিকার কলম বুদ্ধিদীপ্ত ও উইটি। পড়তে বসলে সময় কাটে দ্রুত। উপরন্তু, বইটি ক্রমাগত পাঠকের সাথে কথা বলে যায়। দাবি জানায় সরাসরি। মাঝেমধ্যেই জিজ্ঞেস করে বসে, "কি হে, হাসছো না কেনো? আমি কি এতটাই নিরস?" যেন নিজের সমস্ত সরসতা ও সেন্স অফ হিউমার, এই একটি বইয়ের পাতায় সঞ্চার করে গেছেন লেখিকা।

তবে, ভালো লাগার সাথেই হাত মিলিয়ে চলে ভালো না লাগার হিসেব। শুরুতেই বলেছি, এই ধরনের লেখায় আমার পাণ্ডিত্য কম। বিনয়ী হয়ে সস্তা সিম্প্যাথী চাইছি না। তবে ভ্রমণ কাহিনী পড়ে যদি মানস-ভ্রমণে ঘাটতি রয়ে যায়, খটকা লাগে সেখানেই। বইটি নারীবাদী সাহিত্যের অন্যতম স্বাধীন ও শক্তিশালী দৃষ্টান্ত। তবুও যেন পড়তে বসে, চোখে পড়ে, লেখিকার এন্টাইটেল্ড মনোভাব। উনি মনেপ্রাণে ষোড়শী। রসিক। বেজায় ডেয়ারডেভিল। শারীরিক স্থিতির ভঙ্গুরতাকে শিকেয় তুলে ট্রাকে চেপে বেড়িয়ে পড়েন অহরহ। আবিষ্কারের মোহে বা কোনো বিপরীতগামী বক্তব্য খন্ডানোর অভিপ্রায়ে নয়, তিনি তাওয়াং যান স্রেফ যাওয়ার হুজুগে।

কারণ জায়গাটি রয়েছে এবং এই কাঙ্খিত অজানার প্রতি ওনার দুর্নিবার কৌতূহল। এ জিনিস না পড়লে বিশ্বাস করা কঠিন!

কাহিনীতে তাই স্পটলাইট এসে পড়ে যাত্রাপথের ওপরেই। গন্তব্য এখানে উপলক্ষ্য মাত্র। কোথাও গিয়ে তাই কনকনে শীতের তুষারাবৃত তাওয়াং এবং বৃষ্টিস্নাত অসমের জঙ্গলে হস্তীপৃষ্ঠে সাফারিতে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। ভ্রমণকাহিনী ছাড়িয়ে পাঠকের কাছে পড়ে রয় ভ্রমণকারী নিজে। হাজারটা বাঁধানিষেধ উপেক্ষা করে, বিশেষ করে পুরুষমানুষের চোখ-রাঙানি ও সামাজিক আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই লেখিকা বেরিয়ে পড়েন খেয়ালখুশি। কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই, আবদার ও বায়না সহযোগে পৌঁছে যান এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।

অচেনা স্থান ও মানুষগুলোকে মাপেন ভালো-খারাপের মাপকাঠিতে। সাথে নিজগুণে মিশিয়ে দেন ঐতিহাসিক সচেতনতা ও ভূ-রাজনৈতিক মতাদর্শ। এক আপাতঅর্থে অপরিচিত ভূখণ্ডের প্রতি লেখিকার এহেন সমালোচক চাহনি ও ক্রিটিকাল স্বত্বা সামান্য হতাশ করে। যা হয়তো বা সৎ, তবুও পাঠক্রমে দৃষ্টিকটু। যা শেষমেশ পাঠককে প্রশ্ন করতে বাধ্য করে, ইহাই কি আধুনিক অ্যাডভেঞ্চারের প্রকৃত স্বরূপ? লেখাটি '৬৭ সালে রচিত হয়েও বেজায় আধুনিক। মানুষ-মন, আজকাল অনেক বেশি জেনে ও দেখে ফেলেছে। আবিষ্কারের আনন্দ যেন একান্তই প্রশমিত আজ।

তাই বোধহয়, এতটা কাঠখড় পুড়িয়ে, শেষ অবধি তাওয়াং গুম্ফার ত্রিশ ফিট বুদ্ধমূর্তির সামনে দাড়িয়েও, পূর্বদৃষ্ট সিংহল প্রদেশের বুদ্ধমূর্তিগুলোর সঙ্গে তুলনা না করে পারেন না লেখিকা। এতে প্রিভিলেজের সুবাস পেলে পেতেই পারেন। কারণ ওনার মন যেন ভরেও ভরে না। এবং পাঠক হিসেবে আমারও কিছুটা আফসোস থেকে যায়!

(৩/৫ || মার্চ, ২০২৩)
Profile Image for Anik Chowdhury.
175 reviews36 followers
July 12, 2024
“তোমার কোনো বাঁধন নাই,
তুমি ঘরছাড়া কি তাই?”


একই জীবনের প্রতিদিনের একই রুটিন পালন করতে করতে আমি বিরক্ত হয়ে যাই। মনের মধ্যে খেদ জাগে এই জীবনের জন্য। কারণ এই যান্ত্রিক জীবন তো আমি চাইনি। আমি চেয়েছি আগাগোড়া একটা বুনো জীবন। যেখানে অন্ততঃ নিজেকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাকরি কিংবা ব্যবসায়ের মতো শব্দগুলো উচ্চারণ করতে হবে না। দূর কোন পাহাড়ের পাদদেশে বসত গড়ে নিত্তনৈমিত্তিক জীবন পালন করে যাবো আর তার জন্য চাকরি, ব্যবসা এসবের চিন্তা করতে হবে না। নিজেকে বহন করার জন্য যেসব জিনিসের প্রয়োজন সেসবই হবে সম্বল। কিন্তু নিয়তি নিজের পায়ে ঠেলে আমাকে শহরে পাঠিয়েছেন। আমি এখন না হয়েছি শহুরে না হয়েছে বুনো। ফাঁদে আটকা পড়ে বুনো হরিণ যেমন ছটফট করে আমার আত্মার অবস্থা খানিকটা তেমন। কারণ আমি চেয়েছিলাম তাওয়াং এর মানুষদের মতো একটি জীবন।

এতক্ষণ যা পড়লেন তা অলীক কল্পনা। এর কোন অবস্থান বাস্তবে নেই। এই মনগড়া কল্পনা শুধুমাত্র আমার।

নবনীতা দেব সেন আসামে মহিলা সাহিত্য সম্মেলনের প্রধান অতিথি হয়ে যোগদানের জন্য আসামে যান। সেখান থেকে ঘটনা চক্রে তার যাওয়ার শখ হলো তাওয়াং। তাওয়াং মূলত ভারত চীন সীমান্তে অবস্থিত একটি নগর। যেখানে ম্যাকমোহন লাইন অবস্থিত। ম্যাকমোহন লাইন দ্বারা ভারত চীনের সীমানা নির্ধারণ হয়। পাশেই অবস্থিত তিব্বত। তাওয়াংয়ে মূলত তিব্বতীদের বাস। সেই অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য একজন বাঙালি নারীর আপ্রাণ চেষ্টা। কারণ সে সময় তাওয়াং ছিলো সেনা অধ্যুষিত অঞ্চল। তার উপরে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ। ঐ অঞ্চলে চাকুরিজীবী আর সৈনিক আর কেউ বাইরের ভ্রমণকারী তেমন যায় না। গেলেও চাকরিজীবীদের পরিবার কখনো সখনো যায়। নবনীতা দেব সেন সেই অঞ্চলে গেলেন র‍্যাশন ট্রাকে করে। সেই অঞ্চলে গিয়ে ঘুরে এলেন লামাদের বাড়িতে, তাদের বিভিন্ন গুম্ফা দর্শন করলেন। তার এই ভ্রমণ বৃত্তান্ত মনে ইচ্ছে জাগিয়ে দেয় সেই ভ্রমণের জন্য। মনে হয় যেন তাওয়াং চলে এসেছি লেখিকার সাথে সাথে। এমন মধুর ভ্রমণ বৃত্তান্ত মনে জল এনে দেয়। যান্ত্রিক জীবনে মেকি উচ্ছাস পাওয়া যায়। তাই পড়ে শান্তি পাওয়া যায়।
Profile Image for Lauren .
1,834 reviews2,549 followers
October 18, 2020
"I hate unsolicited advice. I'll do as I please... I'll do it my way. I'm damned if I'm going to hang on to your coat-tails."

From ON A TRUCK ALONE, TO MCMAHON by Nabaneeta Dev Sen, translated from the Bengali by Arunava Sinha, 1984 / 2018 by Oxford University Press.

In October 1977, Bengali scholar and writer, Dr. Nabaneeta Dev Sen attends a literary conference in the Northeast Indian state of Assam. After the conference, on a whim and out of sheer curiosity, she decides to set off on a roadtrip of the region. Kaziranga National Park to see elephants and tigers, and then across the Brahmaputra River and up to Arunachal Pradesh, eventually traveling to Tawang in the Himalayas, bordering Bhutan and Tibet, and the site of one of the largest Buddhist monasteries.
.
When asked (repeatedly) by several people why she wants to go to Tawang, she simply states, "Because it's there." The real question stems from something deeper, however - the fact that a woman is traveling alone, untethered, spontaneous, and adventurous. It's clear that people (men) feel uncomfortable and unsettled by her decision, but she's determined to make this happen. People tell her she's foolish, but that is not a deterrent at all - in fact it propels her even more!

A travelogue of one's own country - but one of a very different culture than her own. With dips into pathos and philosophy, plus lots of humor and wit, Sen is a keen observer of culture and language. She travels with a varied group in a oversized supply truck, to these small villages, with little to no plan for the future. She's just going for it!

She visits the famous monastery, and smaller gompas along the way, stays overnight with a nun, and with a Monpa family. It's an illuminating experience in many ways for Sen, and she passes that beautifully to her readers and Arunava Sinha translated *that* - and all the humor and phrases - so beautifully into English!

What a delight - charming, uplifting, and some great humor. I loved Sen's spirit and her sense of adventure.
📚 Highly recommended!
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
April 15, 2023
ভ্রমণকাহিনী আমাকে খুব টানে। মানে ধরুন, এই মূহূর্তে দুটো-তিনটে বই পড়ছি (আমি একবার একসাথে ২-৩টি বই পড়ি, অনেকে ভাবতে পারেন, একটার মাঝে আরেকটার কাহিনী ঢুকে কিংবা কিছু মিস করে এলোমেল��� হয়ে যায় না এই পড়ার ব্যাপারটা? না ভাই, আমি বরং এভাবেই আরাম পাই), সেই মূহূর্তে কেউ একজন বললো, ‘দাদা এই বইতে লাল্টু শেখ যেভাবে ভ্রমণের কথা লি��েছে না, তাতে করে আপনি একদম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন।’ ব্যস, হাতের দুটো বই সরিয়ে রেখে আমাকে এখন ঐ বই নিয়েই বসে যেতে হবে। ঐ যে ঝুম্পা লাহিড়ীর একটা বক্তব্য আছে না, ‘বইয়ের অসাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, কোন পা নাড়ানো ছাড়াই এটা আপনাকে যে কোন জায়গা থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।’, ভ্রমণ কাহিনীর ক্ষেত্রে এটা তো আরো বেশি রিলেটেবল।

সেই জায়গা থেকে কদিন আগে পড়েছিলাম ‘ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে’। বইয়ের নামটা কেমন যেন একটু ছন্দময় আর অদ্ভূত না? এই বইটা আমাকে সাজেস্ট করেছিলেন Rajib Mukherjee দা। বইয়ের লেখক হচ্ছেন নবনীতা দেবসেন। আমার বই পড়ার গন্ডি একদমই ছোট, সেই ছোট জায়গা থেকে লজ্জা না রেখে বলছি, লেখকের নাম আমি এর আগে শুনিনি। তবে লেখকের নাম না শুনলেও সমস্যা নেই আমার ক্ষেত্রে। মানে নাম শুনে বিখ্যাত লেখকের বইই পড়তে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই আরকি। তো বইটা কেমন লাগল সেটা একটু বলি।

বইয়ে লেখা ভ্রমণকাহিনীর সময়কাল হচ্ছে ৭০ এর দশক। মনে প্রাণে ছন্নছাড়া একজন মানুষ নবনীতা দেবসেনের আসামে এক সাহিত্য সভায় যোগ দেয়ার পর হুট করে মনে হলো, গত দশকে চায়না যে পথ দিয়ে ভারতকে আক্রমণ করেছিলো – তাওয়াং; সেখানে ঘুরে আসলে তো দারুণ হয়। সাথে কে যাবে? একাই, আবার কে? ভেবে দেখুন, ১৯৭০ সাল, তারপর তাওয়াং দেখতে সুন্দর হলেও ওখানে কোন পর্যটক যান না বললেই চলে। কারণ, ওখানে যেতে চাইলেই যাওয়া যায় না। এক তো যাবার রাস্তা অত্যন্ত দূর্গম তার ওপর ওখানে যেতে হলে আগে থেকে আর্মির লিখিত অনুমতি পত্র লাগে। কার বাবা এত এনার্জি আছে? নবনীতা দেব সেনের ছিলো। তাই বারবার যখন সকলে তাকে মানা করছিলেন ওঁর জেদ যেন আরো বেড়ে যাচ্ছিলো। তাই সকলের বারণ উপেক্ষা করে, একজন নারী মধ্যবয়সী শরীরে তরুণ এক ভ্রমণপিপাসু মন নিয়ে নবনীতা একাই শুরু করলেন তাঁর এই অনন্য যাত্রা। আর ‘ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে’ দিয়ে আমি হলাম সে যাত্রার সঙ্গী।

দুই কন্যার জননী নবনীতা সেনের আচরণ খানিকটা পাগলাটে বললে ভুল হবে না। প্লেন ভুল করা, এর ওর কাছ থেকে শীতের ভারি কাপড় চেয়ে নেয়া, সম্পূর্ণ অপরিচিত একদল মানুষের সাথে একা একজন নারী হিসেবে ট্রাকে উঠে যাওয়া; আসলে সবার কম্ম না। আর এই পাগলাটে স্বভাবের কারণেই হয়তো জীবনটাকে অন্যভাবে দেখতে পেরেছিলেন। সেই অন্যভাবে দেখতে পাওয়ার বর্ণনা খুব দার্শনিক ভাবে উঠে এসেছে বইতে। আমি বই পড়ার সময় খুব বেশী খুঁটিয়ে পড়ি না, এটাও পড়িনি। তা সত্ত্বেও কিছু বাক্য আমার মনে খুব দাগ কেটেছে। যেমন-

“এমন কেউ আছে কি জগতে যে একা নয়? এমনকি শ্যামদেশী জমজরাও একটা বিন্দুতে খুব একা। আমরা মনে করি, ‘আমরা দু’জন’, ‘আমরা চারজন’, ‘আমরা দশজন’। ঠিক। সে তো ‘আমরা’। কিন্তু আমি? আমি-টা ক’জন? ‘আমি দুজন’ তো নই? আমি মানেই একলা।”

কিংবা খুব সরল ভাবে বলে ফেলেছেন-

“অনেক সময় ঘর গেরস্ত মানুষের ধারণা হয় মৃত্যুভয়টা নিজের জন্য নয়। --- ‘আমি মরলে বাচ্চাকাচ্চার কী হবে?’ সে ভাবনাও আমার নেই। কেবল যতদিন বেঁচে আছি, ততদিনই বাচ্চাকাচ্চার দায়িত্ব আমার। মরে গেলে আমার কী? জীব দিয়েছেন যিনি ভারতো নেবেন তিনি। জগতে কারুর জন্যই কারুর আটকায় না। ‘ইনডিসপেনসেবল’ বা ‘অত্যাগহসন’ বলে এই স্রোতোময় জীবনে কোন শব্দ নেই।”

আসলেই তো, কারুর জন্য কারুর আটকায় ততদিনই যতদিন সে চোখের সামনে থাকে, যতদিন সে মনে করে ওর জন্য আমার খুব আটকাচ্ছে। মনে না করলেই, ফুরুৎ।

এই বইয়ের আরো ভালো লেগেছে পথের বর্ণনা। তেজপুর থেকে বমডিলা, বমডিলা থেকে তাওয়াং যাওয়ার পথে রাস্তার বর্ণনা, রাস্তায় থেমে থেমে ঝুপড়ীতে চা খাওয়া, পান্ডববিবর্জিত পথে একটানা ট্রাক চলা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো আমি ওখানেই যেন আছি। আরো ভালো লেগেছে, লেখকের চেয়ে বয়সে ছোট সহযাত্রী তরুন ডাক্তার সাহেবের সাথে লেখকের খুনসুটি করার ব্যাপারগুলো। মানে তরুণ ডাক্তার বেচারী প্রচন্ড লাজুক। পারলে নারীসঙ্গ এড়িয়ে চলে। আর এটা বুঝতে পেরেই যাত্রাপথে নানানভাবে লেখকের তাকে উৎপাত করার বিষয়টা আমার কাছে লেখকের ভেতরকার ছেলেমানুষী দিকটাকে তুলে ধরেছে। কখনো বার বার খুঁচিয়ে তাকে কথা বলতে বাধ্য করা, কখনো এক ঘরে থেকে স্রেফ ভয় দেখাবার উদ্দেশ্যে নারী হিসেবে তার ওপর চড়াও হবার দুষ্টু প্ল্যান আমাকে পেট চেপে হাসতে বাধ্য করেছে। আর সেই সাথে জানতে পেরে উপভোগ করেছি তিব্বতী মানুষদের জীবন যাত্রার গল্পগুলো, তাদেরকে স্রেফ দূর থেকে না দেখে তাদের সাথে কাটানো দিনগুলোতে লেখক তাদের নিয়ে যা লিখেছেন, তার প্রতিটি বাক্য আমি বুঝতে চেষ্টা করেছি।

এই সব মিলিয়ে ‘ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে’ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে অনেক বই পড়েই আমরা মুগ্ধ হই। তবে সেই মুগ্ধতা অনেক সময় সাময়িক হয়। কিন্তু ‘ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে’ আমার ভ্রমণকাহিনী তথা বই পড়ার স্মৃতিতে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
March 1, 2022
আজ থেকে প্রায় আড়াই দশক আগে এই লেখাটি প্রথমবার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। রোদ্দুরে পিঠ দিয়ে মা শারদীয় 'দেশ' পড়ছিলেন। তাঁর হাসি আর বিস্ময়সূচক শব্দ শুনতে গিয়ে, পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলা সরিয়ে রেখে আমিও লেখাটা পড়তে শুরু করেছিলাম।
সত্যি বলছি, পুরো ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। বা আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, মনে হয়েছিল এ কোনো বানানো গল্প। একজন একলা মহিলা, সেও আবার বেশ বয়স্কা, এমন সব করতে পারেন নাকি?
পারেন! পরে মানুষটির লেখা 'ভ্রমণ সমগ্র'-তে আবার লেখাটা পড়তে গিয়ে মর্মে-মর্মে বুঝেছিলাম, "জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, চিত্ত ভাবনাহীন"— কথাটা এঁকে মাথায় রেখেই বলা হয়েছিল।
এই লেখা বাঙালির সমৃদ্ধ ভ্রমণসাহিত্যেও অদ্বিতীয়। এতে ইতিহাস, ভূগোল, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ আর রসিকতা এমনভাবে মিশে আছে যে একটাকে অন্যটার থেকে ছাড়ানো অসম্ভব। অবশ্য তার দরকারটাই বা কী? মায়ের বানানো খিচুড়ির মধ্য থেকে ডালগুলো কি 'সাইয়া সাইয়া থাকে?' এই সমসত্ত্ব মিশ্রণের জন্যই এই বই এবং নবনীতা একেবারে লা-জবাব।
সুযোগ পেলেই পড়ে ফেলুন। ঠকবেন না— গ্যারান্টিড!
Profile Image for Fahad Amin.
149 reviews9 followers
June 17, 2025
তাওয়াং গুম্ফা বেশ বিখ্যাত একটা স্থাপনা। আবার বিখ্যাত রাস্তা সম্পর্কে বর্ণনা যা কি-না চীন ভারত যুদ্ধের সময় চীনারা নির্মাণ করেছিল। ১৯৭৭ সালের প্রেক্ষিতে এক মনোজ্ঞ বর্ণনা। নবনীতা দেবসেনের লেখার সাথে আগেই পরিচিত। আসলে ওই অঞ্চলটা নিয়ে তেমন কোনো লেখা পড়া হয়নি। দারুণ লিখেছেন লেখক।
Profile Image for Shadin Pranto.
1,469 reviews560 followers
November 3, 2020
নবনীতা দেবসেনের ভ্রমণকথার যত প্রশংসা শুনেছিলাম, ততটা আমায় আকৃষ্ট করেনি। লেখকের নিজস্ব একটি ঢং রয়েছে। তা আমার পছন্দ হয়নি। কোথায় যেন একটু আত্মকেন্দ্রিকতার ছোঁয়া আছে!


নারী লেখিকা সম্মেলনের প্রধান অতিথি হয়ে আসামে গিয়েছিলেন। সত্তরের দশকের মাঝামাঝির কথা। সেই সম্মেলন শেষে অনেকটা পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিলেন অরুণাচল প্রদেশের ম্যাকমোহন লাইন সংলগ্ন তিব্বতি সংখ্যাগুরু এলাকায় যাবেন। কিন্তু 'উঠলো বাই-তো কটক যাই' নীতি এখানে চলবে না। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সেই অঞ্চলে সরকারি অনুমতি ছাড়া জনতার প্রবেশের সুযোগ নেই। নবনীতা দেবসেন থামবার মানুষ নন। কী অদ্ভুত উপায়ে পারমিট জোগাড় করলেন তা পড়ার মতো।

ব্যক্তিগত গাড়িতে যাওয়ার সুযোগ মিস হলো। কুছ পরোয়া নেহি। সেনাবাহিনীর মালবাহী এক ট্র্যাকে করে রওনা হলেন ম্যাকমোহনের বন্ধুর পথে। সঙ্গী হিসেবে পেলেন সিন্ধি এক তরুণ এবং লাজুকলতা তুল্য ডাক্তারমশাইকে।

ট্র্যাক ভ্রমণ ও তিব্বতি এলাকার মানুষদের জীবন���াপনের আগ্রহজাগানিয়া বর্ণনা পড়ে ভালো লাগবে।

অকৃত্রিম ভঙ্গিতে লিখে যান নবনীতা দেবসেন। নিজেকে একান্ত লীন করে নেন ভ্রমণপথের সঙ্গে। তার প্রমাণ পুরো বই জুড়ে পাবেন।

ভ্রমণকাহিনি পড়ার সময় সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাতঃস্মরণীয় সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা স্মরণ হয়। তাঁদের লেখনীর সাথে তুলনা করে দেবসেনের 'ওভাররেটেড' বই পড়তে গিয়েই বিভ্রাট এবং কিছুটা হতাশ।
Profile Image for Sohan.
274 reviews74 followers
November 29, 2024
কী আনন্দদায়ক একটা বই!
Profile Image for Prabodh Sharma.
76 reviews3 followers
September 4, 2020
It's a charming narrative of the author travelling on an impulse to Tawang. A female traveling alone in troubled areas of India in 1970's with no other purpose than to travel, makes people around gape in awe, shock and concern, but undeterred and with a great sense of humour (she comes back with a dog), she pushes on. The book provides a glimpse into the villagers attitude towards Chinese soldiers, polygamous lifestyle of Mompa tribals (in a chapter titled The Land of Draupadi!) and the life of Lamas. There is a sense of extraordinary innocence in the narrative, be it the author or the villagers or the fellow travellers! A light and breezy read.
Profile Image for অন্বয় আকিব.
Author 1 book135 followers
April 10, 2023
"উঠল বাই কটক যাই" এই উক্তি বিয়ের আগে আমিও মেনে চলতাম।

লাজবাব! ভ্রমণ বিষয়ক বাস্তব অভিজ্ঞতার বই এত রসময় ভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, এটাই অবাক লেগেছে। সৈয়দ মুজতবা আলীর নাম নিলাম না। তিনি আবার আলাদা লেভেলের মানুষ।

লেখিকা ভ্রমণ যা করেছেন, তার বর্ণনা দিয়ে হাসির খোরাক দিয়েছেন অনেক বেশি। দুর্দমনীয়, ডানপিটে, সমাজের নানা নীতিকথার থোড়াই কেয়ার করে মধ্যবয়সী অধ্যাপিকা হয়ে যে ভ্রমণ তিনি করেছেন, এবং এত সুন্দর শব্দ, বাক্যের মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন সেটার প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। দারুণ এক ভ্রমণের গল্প, সেই সঙ্গে মিশে আছে চলতে ফিরতে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ার নানাবিধ অভিজ্ঞতা। শুধু ভ্রমণ নয়, অনেক কিছু শেখার আছে বই থেকে। সকলের জন্য এই বইটা বেশ চমৎকার সময় কাটানোর মাধ্যম হতে পারে।

বইঃ ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে
লেখকঃ নবনীতা দেব সেন
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
July 4, 2021
নবনীতা দেবসেনের ভ্রমণকাহিনী প্রথম পড়েছিলাম 'হে পূর্ণ তব চরণের কাছে। ' হিমালয় ভ্রমণের অমন কাহিনী যেন ছিল রসে টসটসে কোন সুস্বাদু মিষ্টি! এরপরই 'আমি যাবই যাব পেরু' পড়ে একটু হোঁচট খেলাম। কিন্তু, জানতাম ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে একটি পাঠকনন্দিত বই, তাই মাঝখানের একটুখানি হোঁচটে দমলাম না। ভাগ্যিস!
নবনীতা দেবসেনের লেখার স্টাইল আমার খুব ভালো লেগেছিল। মজার ছলে টুকরো টুকরো ছবি এঁকে নিজের জীবনের দর্শন তুলে ধরেন তিনি, একইভাবে আলোকপাত করেন জগতের ধ্রুব কিছু সত্যের দিকে। ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনেও এর ব্যতিক্রম নয়।
আসামে একটি সাহিত্য সভায় যোগ দিতে গিয়ে লেখকের মনে হল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং পর্যন্ত একটু ঘুরে যাওয়ার। একে তো দুর্গম জায়গা, তার মধ্যে নেই ঠিকঠাক বাহন, এর উপর নেই কোন সঙ্গী। তবু মধ্যবয়সী শরীরে তরুণ এক ভ্রমণপিপাসু মন নিয়ে নবনীতা একাই শুরু করলেন তাঁর এই অনন্য যাত্রা।
আসামের প্লেনে না উঠে ভুল করে আবার দমদমে ফেরার প্লেনে উঠার ভুল দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ভেবেছিলাম তাতে পথে পথে না জানি কত বিপর্যয় হবে! তেমন কিছু ঘটেনি অবশ্য।
লেখিকা নিজেকে একা না ভেবে পুরো ট্রাকের বাকি যাত্রীদের ভেবে নিলেন নিজের পরিবার, ব্যস আর কোন গোলমাল হলো না। অল্পবয়েসী এক গম্ভীর ডাক্তার এবং তার সলজ্জ আচরণ আর লেখিকার মনোভাব এবং আচরণ প্রচুর হাসির খোরাক জুগিয়েছে৷
পরে যখন শাংগ্রিলার আবির্ভাব হল, রোমাঞ্চে অভিভূত হলাম আমিও৷ আর শেষমেশ গন্তব্যে পৌঁছে তিব্বতী লামা এবং নারীদের জীবনযাপন, সেখানকার রীতিনীতি এবং দৈনন্দিন জীবনের যে বর্ণনা, এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তা৷ নারীরা বহুপতি গ্রহণ করতে পারে সেখানে, সন্তানেরা সকল বাবার সম্পত্তির অধিকার পায়৷ আবার বনিবনা না হলে গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় ডিভোর্স এর প্রচলন ও আছে। স্বাধীনচেতা, কর্মঠ এবং শান্তিপ্রিয় এক জাতি।
নবনীতা দেবসেন কেমন দুঃসাহসী এবং স্বাপ্নিক ছিলেন, তা তাঁর এই বইটি পড়ে খুব ভালোভাবে অনুধাবন করা যায়। আজকের তো না, সেই ১৯৭৭ সালের কথা! তখনকার দিনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর নবনীতা দেবসেন নিজের শারীরিক ধকলের তোয়াক্কা না করে যেভাবে নিজের মনের ইচ্ছে পূরণ করেছেন, কোনদিকে না তাকিয়ে, কোন বারণ না শুনে, তা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আজকের যুগেও অধিকাংশ নারীর পক্ষে দূরতম কল্পনার কোন বস্তু। অনুপ্রেরণা দেয় ভীষণ!
এছাড়াও তাঁর মজার সব সংলাপের সাথে প্রকৃতির অনবদ্য সব বর্ণনা মিশে সৃষ্টি করেছে এক অভিনব লেখনশৈলী। সুন্দর সব নামের ছোট ছোট অধ্যায়ে বিভক্ত ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে তাই ভ্রমণসাহিত্যে উল্লেখযোগ্য এক মাইলফলক হিসেবে আরো অনেকদিন রয়ে যাবে।
Profile Image for Harshada.
182 reviews45 followers
June 4, 2022
This travelogue was written by a seemingly free spirited, bold woman. She questions patriarchy and lives to quench her thirst of curiosity. By reading the book's blurb, it seems like a great story, but she came across as a reckless and an entitled person to me.

She states how adventurous men are always lauded, but the women are chided and called crazy. But somehow her "adventures" are full of stories of her leeching off of and blindly depending on other's benevolence. She's proud of her unpreparedness but I'm certain her trip wouldn't have come to completion if even one of her companions hadn't helped her. Which makes it even more annoying when the people who don't readily help to meet her whimsical goals are met with snide remarks and taunts. Unlike a true adventurer, she negatively critiques frequently.

She's clueless about the terrain, culture and the political atmosphere. She offends and bosses around people, which made me think maybe she feels entitled due to her ex-husband's (Amartya Sen) or her own fame. If she hears about a place, she immediately demands to be taken there. And once she gets there, she immediately compares it to any of her previous trips abroad with her ex husband.

She humors herself by imagining that her young bachelor doctor companion is shy of having to share his room with an older single woman when in fact I'm sure he was just anxious for her to leave him alone and get out of his house.

This book might as well be titled "How I took favors from everyone I met and traveled to a faraway land".

Now I know she passed away a few years back. I also noticed that this book has very high ratings and she seems to be widely loved by Bengali readers. Since I haven't read any of her other work, I'm not biased towards her, thus the blatant review. The only silver lining was that I got to learn a handful facts about the Tibetan culture and history.
Profile Image for Nishat Monsur.
191 reviews18 followers
February 23, 2025
ভ্রমণকাহিনী বোরিং হয়ে যাওয়ার যে ভয়টা কাজ করে সবসময়, সে ভয়টা একদমই কাজে এলো না এই বইটি পড়বার সময়। পাহাড় তো বরাবরই আমার প্রিয় জায়গা, সাথে যখন আবার যোগ হয় বরফ ঢাকা পাহাড় আর পাহাড়ি গুম্ফা, তাহলে তো কথাই থাকে না। এটাই আমার নবনীতা দেবসেনের প্রথম বই পড়া। লেখিকার চমৎকার হিউমার আর একা একা ঘুরে বেড়ানোর সাহস করা কৌতূহলী ও চিরতরুণ মন মুগ্ধ করবে যে কাউকেই। সেই আশির দশকে লেখিকা যেমন মানুষ ছিলেন, তেমন মানুষ এই ২০২৫ সালে এসেও আমার হতে কী নিদারুণ সাধ জাগে!
Profile Image for Kazi.
159 reviews21 followers
November 11, 2020
সুন্দর বর্ণনা, পড়ে অরুণাচলে যাবার ইচ্ছা হলো।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
May 20, 2025
নবনীতা ভালোবাসার আরেক নব-মিতা.
Profile Image for Sushanto Kumar Saha.
93 reviews9 followers
April 16, 2020
"ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে" নবনীতা দেবসেনের খুব বিখ্যাত বইগুলোর একটা। ১৯৭৭ সালে আসামে এক সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে যান লেখিকা। তারপরে সেখান থেকে কাজিরাঙা, তেজপুর হয়ে ওনার যাত্রা বমডিলা, ডিরাং, তাওয়াং পর্যন্ত। কোনরকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছাশক্তির বশে এক বাঙালি মাঝবয়সী অধ্যাপিকার ট্রাক চেপে সুদূর অরণাচলের শেষপ্রান্তে তাওয়াং যাত্রা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। একে একে কাহিনীতে উঠে এসেছে অনেক মানুষ, বাঙালি ডাক্তার, তিব্বতি লামা, মোম্পা, আনি, নেপালি ট্রাকচালকসহ আরও অনেকে। সাথে পাহাড়ঘেরা তাওয়াং এর অপূর্ব সৌন্দর্য। শুধু ভ্রমণকাহিনী বললে ভুলই হবে, গভীর জীবনবোধ আর আর্দ্র ভালোবাসা জড়িয়ে আছে বইয়ের প্রতি অধ্যায়ে।
Profile Image for Chandreyee Momo.
219 reviews30 followers
December 2, 2021
খুব সুন্দর। আমার খুবই ভাল লেগেছে বইটা। আমার বহুবার মনে হয়েছে লেখিকা আমার মনের কথা গুলো সব গড়গড় করে বলে দিলেন। ভ্রমণ নিয়ে, মানুষের মনমানসিকতা নিয়ে আমি যা যা ভাবি, ঠিক তাই তাই। কি অসাধারণ হলো ব্যাপারটা। 🌼
Profile Image for Bluish 1.0.
2 reviews1 follower
January 18, 2025
নবনীতা দেবসেন এর সাথে খুব অল্পদিন হলো পরিচয়। এতই অল্পদিন, তা হয়ত মাস এর ঘর ও পেরোবে না। কিন্তু এখন আমার সবথেকে প্রিয় লেখিকাদের মধ্যে একজন উনি। উনাকে চিনতামই না, এটা বলা যায় না। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের প্রাক্তন স্ত্রী, 'rangrasiya' তে দুর্দান্ত অভিনয় করা শিল্পী নন্দনা দেবসেনের মা, এবং একজন অধ্যাপিকা, এই হিসেবেই চিনতাম। কিন্তু আমার এখন বড্ড লজ্জা করে, এমন একজন মানুষ, যিনি নিজেই যথেষ্ট তার পরিচয়ের জন্য, তাকে কিনা আমি প্রাক্তন স্বামী আর সন্তানের পরিচয়ে চিনেছি, নিজের পরিচয়ে নয়।
'ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে' নবনীতা দেবসেনের লেখা আমার পড়া প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র বই। কিন্তু আমি যে বারংবার শব্দের অভাবে পড়ে যাই এই বই নিয়ে কিছু লিখতে গেলে, এটাকে ভ্রমণকাহিনী বলব নাকি জীবনের কাছে জীবনের আসার এক গভীর নিত্য অসাধারণ কাহিনী বলব, আমি বুঝে পাই না। বহু, বহুদিন পরে একটা বই পড়তে গিয়ে ধীর লয়ে চলেছি, ইচ্ছে করে, যাতে দ্রুত না ফুরিয়ে যায়! বইয়ের কলেবর বেশি নয়, কিন্তু লেখিকার মত আমিও যে ছুটে চলেছে পাতায় পাতায়, কলকাতা থেকে আসাম, আসাম থেকে অরুণাচল, তাওয়াং থেকে ম্যাকমাহন লাইন! হ্যাঁ, সেই ম্যাকমাহন লাইন, ভারত আর চিন কে আলাদা করা ম্যাকমাহন লাইন, ট্রাকে চেপে ছুটছি লেখিকার মত, তীব্র শীত থেকে বাঁচতে সংগ্রহ করেছি অমুক তমুকের থেকে সোয়েটার, মোজা। একা নারী  ড. দেবসেনের ছুটে চলছেন, সাথে আমিও, রাত থাকছি পেমপার বাড়ি, রাতে গুম্ফায় বিশালাকার তিব্বতি দেবদেবীর মূর্তি ভয় পাইয়ে দিচ্ছে কিছুতেই ভয় না পাওয়া লেখিকাকে, সাথে আমাকেও! চমরী গাইয়ের দুধের মাখন দিয়ে তৈরী তিব্বতি চা আর চমরীর মাংসের তৈরী মোমো খেতেও সাধ জাগছে যে বড়!
ডাঃ লালওয়ানীকে ড.দেবসেনের মতই একসময় খুব আপন লাগছিল, যেমন আপন হয়ে গেছিল পেম্পা আর তার পরিবার, তাওয়াং এর এডিসি, এলাকার লোকজন।
দেরী করলেও এই ই শেষ নয়, এখন পড়ছি 'নটী নবনীতা'।
আর ও পড়তে চাই উনার কুম্ভমেলা দর্শনের কাহিনী, এবং আরো যা যা উনি লিখেছেন, তার সবটুকু।

" 'যার কেহ নাই, তুমি আছ তার।'-এই চমৎকার কথাটা মনে থাকে না কেন কারুর? রজনীকান্ত বেশি কবিত্ব না করে সহজ সরল ভাবে কথা বলতেন। আমার সেটা খুব মনে ধরে।

উঃ। একা। একা। একা।

শুনতে শুনতে শুনতে মন সত্যিই একা হয়ে যায়।

-কে একা নয়?
-এমন কেউ আছে কি জগতে যে একা নয়? এমনকী শ্যামদেশি যমজরাও একটা বিন্দুতে খুব একা। আমরা মনে করি, 'আমরা দুজন', 'আমরা চারজন', 'আমরা দশজন।' ঠিক। সে তো আমরা। কিন্তু আমি? আমি-টা কজন? 'আমি দুজন' তো নই? আমি মানেই একলা।
যেখানেই আমি, সেখানেই একাকিত্ব। একমাত্র সন্তান বলে জন্ম ইস্তক আমি এই 'একা' গাল খেয়ে আসছি।
এখন আবার ঘর গেরস্থালি নেই বলে আরেক দফার নতুন করে 'একা' গাল খাচ্ছি। আরে বাপু, আমাকে বলছ যে, তুমিই বা কোন দুজন?

তুমিও একাই।

আমিও একা। তুমি-ও একা।

এটা গ্রামাটিকাল ফ্যাক্ট। একাকিত্বটাই মূল অবস্থা।

আমি কিন্তু একলা নই।

'যার কেহ নাই, তুমি আছ তার' আমার চেয়ে বেশি করে আর কে জানে, এ-উচ্চারণের সত্যতা!"
6 reviews6 followers
January 24, 2021
অসম্ভব ভাল লেগেছে বইটা পড়তে। লেখনী যেমন মজার, তেমনি উনার ভ্রমণের 'স্পিরিট' খুব ভাল লেগেছে, হয়ত নিজের সাথে মিল খুজে পাওয়ায়। প্রিয় উক্তি "উঠল বাই তো কটক যাই"। আর উনি এত আগে এভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বাসই হতে চায় না। নিঃসন্দেহেই অনেক অনুপ্রেরণা জাগায়।
Profile Image for Ankur.
103 reviews
October 20, 2025
লেখিকার এলেম আছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, উঠলো বাই তো তাওয়াং যাই তো সবার দ্বারা হয় না। বাংলা ভাষার ওপর চমৎকার দখল, ইংরেজিও সাবলীল, তবে হিন্দি টা একেবারে বাঙালি হিন্দি হয় গেছে, ওটা verbatim না লিখলেই বোধহয় ভালো হতো।
Profile Image for Rabeka Mustarina.
48 reviews24 followers
February 5, 2022
লেখিকার একা একা নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দূর পাহাড়ি এলাকা " তাওয়াং" ভ্রমণের স্মৃতিকথা এই ব‌ই। সেই ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে একজন মধ্যবয়সী মহিলা কেবল নিজের ভ্রমণের বাসনা মেটাতে ট্রাকে চড়ে র‌ওনা দিলেন দূর পাহাড়ের উদ্দেশ্যে যা কিনা চিন- ইন্ডিয়া সীমান্তে অবস্থিত। একজন মহিলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভ্রমণের নানা সমস্যা, সুন্দর দিক সব‌ই তিনি তুলে ধরেছেন। ব্যক্তিজীবনে প্রচন্ড উৎসাহী আর কৌতূহলী ছিলেন ড.সেন, লেখায় সেই স্পিরিট সহজেই অনুভূত হয়। সরস বর্ণনা, তিব্বতীদের জীবন যাপনের নানা অজানা বিষয়, কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য- সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য একটি ভ্রমণকাহিনী।
Profile Image for Amartya.
4 reviews
March 17, 2021
প্রায় মধ্যবয়স, আসামে সাহিত্য সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক পেলেন নবনীতা দেবসেন। যাওয়ার পথে আসামের প্লেনে উঠার বদলে ভুলে দমদমের প্লেনে উঠে গেলেন। ভুল ভাঙলে দৌড়ে আবার আসামের প্লেনে চড়লেন। চলে আসলেন আসামে। যতটুকু দায়িত্ব ছিল, সেটা সম্পাদনের পর ছুটে গেলেন কাজিরাঙ্গার জঙ্গলে। জঙ্গলে যথেষ্ট ঘুরোঘুরির পর ব্রহ্মপুত্র নদ দেখা শেষ করেও ক্ষান্ত হলেন না, ঠিক করলেন "তাওয়াং" যাবেন। কথাশুনে সবার চোখ কপালে ওঠার মত অবস্থা। প্রথমত, কোনো প্রয়োজন ছাড়া শুধু ঘুরতে তাওয়াং খুব কম মানুষই যায়। আর দ্বিতীয়ত তিনি তখন প্রায় মধ্যবয়ষ্ক অধ্যাপিকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। হুট করে এমন সিদ্ধান্ত পরিচিতেরা উড়িয়ে দিলো। কেউ যেতেও রাজি হলো না। তাছাড়া তিনি যাবেন কিসের মাধ্যমে আর থাকবেনই বা কোথায় সেটাও অনিশ্চিত। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। জেদ চেপে সবাইকে রাজি করিয়ে নিজে একলা যাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ছাড়লেন। একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ হলে যাওয়া অনেকটা সহজ হত এসব নিয়ে আলোচনা আছে বইটাতে। যাইহোক, অনেক ফন্দিফিকির করে করে যাওয়ার পারমিট যোগার করলেন। কিন্তু দুর্গম পথে ভ্রমণের জন্য ট্রাক ছাড়া আর কিছু উপলব্ধ ছিল না। খুশিতে খুশিতেই ট্রাকে করে শুরু হলো তাঁর "তাওয়াং" যাত্রা। পুরোটা সময় একটুও উৎসাহের কমতি ছিল না। এভাবে ট্রাকে ভ্রমণের অভ্যাস না থাকলেও দারুনভাবে মানিয়ে নিলেন। সফরসঙ্গী হিসেবে পেলেন একজন গম্ভীর ডাক্তারকে। ট্রাকে করে যাওয়ার এই অংশটাই সবচেয়ে মজার। পথমধ্যে দারুন সব ঘটনা ঘটলো। একটা অংশ পার হয়ে ট্রাক বদলালেনও। শেষপর্যন্ত পৌঁছে গেলেন "তাওয়াং" এর কাছে। সেখানে গিয়েই সাক্ষাৎ ঘটলো কিছু তিব্বতি গুম্ফার সাথে। দেখা হলো কিছু আনি,লামাদের সাথে। চীনাদের দশদিনে তৈরি লাসা-তাওয়াং রোড শেষপর্যন্ত দেখেই ফেললেন। তারপর শুরু হলো এক অন্যরকম যাত্রা। "চমপ্রুং" নামে এক গ্রামে পেম্পা গে নামে এক লামার বাসায় অতিথি হিসেবে কাটালেন কয়েকদিন। বর্ণনা দিলেন তিব্বতীদের অপরূপ সুন্দর সংস্কৃতির খুঁটিনাটি। এই অংশটা মুখে বলে বুঝানো সম্ভব না। বইয়ে অসাধারণ ভাবে বর্ণিত আছে। পাহাড়ে তিব্বতিদের(যদিও জাতিতে তারা ভারতীয় নাগরিক) সাথে কাটিয়ে সেখানকার আশেপাশে বিভিন্ন গ্রাম দেখলেন। দালাই লামার ডাকে সেখানেও গেলেন। দেখা করলেন দালাই লামার সাথে। এত এত এডভেঞ্চার করার পর একটা সময় ফেরার ডাক আসে। ফিরলেন অনেকগুলো স্মৃতি আর কোলে করে নিয়ে এলেন তুলতুলে উলের বলের মত একটা তিব্বতি হাউন্ড। পুরো যাত্রা শেষ করে তাওয়াং- ম্যাকমোহনকে পিছনে ফিরে যখন তাকালেন, অনুভব করলেন বিকেল গড়ানো আলোয় তাওয়াং গুম্ফা আর পাহাড়গুলোকে। সবকিছু ক্যামন দূরে চলে যেতে থাকলো। জন্মের মত বিদায় দিলেন অরুনাচলপ্রদেশে তিব্বত আর ভূটানের মধ্যিখানে থাকা ছোট্ট এই শহরটাকে।


যাইহোক, পুরো ভ্রমণটা করলেন একা একা। কারো জন্য বসে থাকেননি। কি হবে ভেবেও দেখেন নি, অজানিতের পথে ঝাঁপ দিয়ে কত সুন্দর অভিজ্ঞতা জড়ো করলেন...একা একা এত্ত এডভেঞ্চার কি আসলেই করা সম্ভব?

আলবাত সম্ভব....একটু সাহস করে বের হতে হবে শুধু!
5 reviews
February 24, 2022
Around the time I was in my nappies, this woman in her 40s, who also happens to be a mother of two young girls was driven by her lust to travel towards the unknown, and that too by hitchhiking in a truck all the way to the Indo-Tibetan border - Blimey!

You just fall in love with Sen's zeal for life, her passion to explore, her penchant to keep digging holes and then finding her way out of each one of them in both literal and figurative sense. You equally admire how charmingly she weaves her journey to visit a place 'because it is there....!' She brought the whole journey alive for me. I was on the elephant in Kaziranga with her, turned up my nose as she had to drink 3 cups of Tibetian tea made of yak milk, sniggered as I read camel colours being used for the pottery 'up there' and smiled as she teased her reluctant companion through most part of the journey - Dr Lampost.

I had read about the story of Yashwantgarh a few times but reading it as part of this book made it ever so special. As much as I was fascinated to read about the lives of the Tibetians, the Lamas and the Anis but disappointed to read about the caste system prevalent in their social structure.

The book is kind of a treasure trove of local information. Did you know Nehru has a gompa named after him there? The woman in me was delighted to read that during the 1962 war, a 26 years old Chinese woman led the team to build the Lhasa-Tawang road in 10 days, though other sources claimed 40 days. I was delighted to read that Tawang residents missed Ms. Neeru Nanda who had started her career there, as she was an efficient ex-Advisor to the Governor of our city too. The book has prompted me to read more about the Mompas and Khampas, and inshallah, plan to spend a fortnight in this beautiful part of my country. A map of her journey is probably the only thing missing from this lovely light read.

As I turned page after page, I kept on seeing myself in the book. Sen combined work with travel all those decades ago, I do so too. She loved adventure, I formed CATS, an adventure group 15 years ago. She took risks while travelling, I can't deny I have taken a few myself and have survived to tell the tale - a few tales actually. How I wish I had met Nabaneeta Dev Sen before she threw the towel on life, sadly, a year after this book was gifted to me. No regrets though, she left a part of her soul with me through this book.
Profile Image for Shiny.
27 reviews5 followers
August 21, 2022
When the author, in the late 1970s, wanted to visit Tawang alone on a whim, she was asked by well-wishers if it was for research or to meet someone. When she answered with a "no", they asked if she had "any valid reason". Here's what she said:

"I am not going there to make or break records; I am not going there to help anyone; I am going simply because that's what my heart wants. I want to go because of the natural curiosity that life has to offer, the joy that is there in being alive. Is this reason not valid enough?"

(Pardon my translation)

As someone who loves her comfort while travelling, this book left me in awe of her spirit. A woman travelling in a truck with unknown people in a world fifty years ago. To a place where she knew no one. All this is awe-inspiring.

Her wit sparkles bright but it is tempered with extraordinary levels of kindness, empathy, and enterprise. I have lost count of the times I laughed out loud. I nodded vigorously when she talked about how society perceives single women. Even in 50 years, even with so much "progress", things somewhere have remained the same.

This book is a hug by a wise friend who wears her wisdom and knowledge more lightly than anyone I have read about.

In case you'd prefer to read a translation, OUP published one a few years ago. Most Bengalis, unlike me, perhaps would have read this book long time back.
Profile Image for Bubun Saha.
193 reviews6 followers
December 3, 2023
ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে
নবনীতা দেবসেন 
আনন্দ 
মম: ১৫০/-


সংস্কৃতি সভায় আমন্ত্রিত ডক্টরেট সেন এসেছেন জোরহাটে। তবে শর্ত ছিল কাজিরাঙা জঙ্গলে ঘুরিয়ে আনতে হবে। তাই সভা শেষে পরের দিনেই কাজিরাঙা টুরিস্ট লজে, লজ নয়, ওই কুটির বা হাত বলা যায়। সেই ১৯৭৭ সালে। নাম "কামরূপ কমপ্লেক্স"। পরের দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজিরাঙা ঘুরে বেড়ালেন। 


এরপর যাবার কথা ছিল তেজপুরে, যিনি সভার আয়োজক ছিলেন, তার বাড়ি। কিন্তু ঘটনাচক্রে শুনে ফেললেন তাওয়াং এর কাহিনী। এরপর নিতান্ত মনের জোর নিয়ে ট্রাক চেপে বমডিলা হয়ে পৌঁছলেন তাওয়াং এ। ইন্দো-চীন বর্ডার ম্যাকমোহন লাইনের কাছে। 


এর সন্নাসীনিদের জন্য আছে আলাদা, আনি - গুমফা, যেখানে পুরুষ বা কোনো পুঙ লামা প্রবেশ করতে পারে না। তাওয়াং গুমফা, যেখানে ২০০০ এর বেশি পুঁথি, যা পাঠোদ্ধার হয়নি। 


তাওয়াং যাওয়া আর তাওয়াং এর ব্যাপারে এরকম অনেক না-জানা, কৌতূহল জাগানো কাহিনী সুন্দর, সচ্ছলভাবে লিখেছে যে, আমার মতো ভ্রমণ কাহিনী বিরত পাঠক এক দিনেই বইটা শেষ করে ফেলেছি অনেক উৎসাহে নিয়ে।  



এই বইটি শুধু ভ্রমণ কাহিনী নয়, এডভেঞ্চার এর গল্প।
14 reviews
Read
June 26, 2021
The truck alone to Mac Mohan Line:


If you think 'solo travelling ' is something linked with our generation, then need to hold on until you read this book. Meet Nabaneeta, the author and an intrepid traveller whose quest to reach a destination became a beautiful tale. And like every good story is incomplete without tragedies-she too faces ample ordeals-like remarks by naysayers about a woman travelling alone, getting an inner line permit and hitchhiking trucks. There is also a point in the book where she has to share the same room with her co-traveller. Must read for everyone who wants to go that extra mile to reach the acme.
Profile Image for Ekush Tapader.
3 reviews
May 5, 2021
এক নাগাড়ে পড়লাম নবনীতা দেব সেনের অসামান্য বই- 'ট্রাকবাহনে ম্যাকমাহনে'। যারা ঘুরতে ভালোবাসেন, যাদের পাহাড়-অরণ্য আর মানুষের লাইফস্টাইল নিয়ে আগ্রহ আছে। যারা তিব্বতের প্রকৃতি, সংস্কৃতি আর রাজনীতির আঁচ পেতে চান। এবং একা একজন নারীর স্বাধীন ঘোরাফেরার গল্প শুনতে চান, দুর্গম পথ পেরুনোর রোমাঞ্চ নিতে চান, তার চিন্তার জগতের সঙ্গে পরিচিত হতে চান- তাদের জন্য বইটি আনন্দ��র খোরাক হতে পারে।
Displaying 1 - 30 of 47 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.