প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় ভেঙে গেছে রেঞ্জার বাহিনী। মেক্সিকো-টেক্সাস সীমান্ত এখন উন্মুক্ত, অরক্ষিত। এতদিন সীমান্তের ওপারে গাঢাকা দিয়েছিল দুর্বৃত্তের দল, এবার মওকা বুঝে হানা দিতে শুরু করল সীমান্তবর্তী শহর আর র্যাঞ্চে। গরু চুরি, রাহাজানি আর নরহত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। নিরুপায়, হাত পা গুটিয়ে বসে আছে সবাই, এ অবস্থা থেকে রেহাই পাবার কোন উপায় নেই যেন। হানাদারদের নির্মূল করতে জান বাজি রেখে এগিয়ে এল জন রসার-একজন সাবেক রেঞ্জার।
শওকত হােসেনের আদি নিবাস চট্টগ্রাম চাকরির সুবাদে বাল্য এবং কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন শহরে। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বইপ্ৰেমী মায়ের কাছ থেকে । বলতে গেলে রানওয়ে জিরো-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন শওকত হােসেন, বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
ভেঙে গেছে টেক্সাস রেঞ্জার্স বাহিনী। আরো একবার অশান্ত হয়ে পড়লো বুনো পশ্চিম। মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে দলে দলে হানাদার বাহিনী ঢুকে পড়ছে ক্যাটল ল্যান্ডে। খুন করছে ক্যাটলম্যানদের, চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে গরুর পাল, শহরে ঢুকে লুট করছে ব্যাংক। এরকম অরাজক অবস্থায় সাবেক টেক্সাস রেঞ্জার্স রসার ক্যাটলম্যানদের নিয়ে গড়ে তুললো প্রতিরোধ বাহিনী। শুরু হয় ধুন্ধুমার গানফাইট। এদিকে দুই বিধবা নারী মলি আর রোজ, দুজনেই ভালোভাসে রসারকে। কিন্তু মলি দ্বারা ইতমধ্যে একবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে রসার আর রোজের বিরুদ্ধে আছে গরু চুরির অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেয় রসার? অনেকদিন পরে হাই লেভেলের একটা ওয়েস্টার্ন পড়লাম। পুরাই ধুন্ধুমার একটা কাহিনী। পাতায় পাতায় গানফাইট আর খুনোখুনি। সেই সাথে নায়ক সাহেবকে নিয়ে দুই নাইকার টানাটানি অসাম লাগে। আর হ্যা, ল্যাম্ব স্টু নামের অসাধারণ মুখরোচক খাবারটি নিয়ে যা হয়েছে তা কখনো ভুলবো না, বিশেষ করে শেষের ঘটনাতো একেবারেই ভোলা যাবেনা। থ্যাংকু শওকত দাদা।