লোকবল কি অস্ত্রবলে হ্যারিসন কনরয়ের সাথে পাল্লা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না রন অ্যালার্ডের, লিন্তু পুশমোলাইন উপত্যকা কুক্ষিগত করার অশুভ উদ্দেশ্যে নেস্টারদের উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে সে, বুঝতে পেরে ও-ই প্রতিবাদ জানাল সবার আগে। ক্রুদ্ধ হয়ে উঠল কনরয়, বিপক্ষকে চিরতরে নিশ্চিন্ন করতে মারকুটে একদল লোক জোগাড় করল। কিন্তু সে আক্রমন করার আগেই আঘাত হানল অ্যালার্ড। নেস্টার আর খুদে র্যাঞ্চাররা হলো ওর সহযোদ্ধা।
শওকত হােসেনের আদি নিবাস চট্টগ্রাম চাকরির সুবাদে বাল্য এবং কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন শহরে। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বইপ্ৰেমী মায়ের কাছ থেকে । বলতে গেলে রানওয়ে জিরো-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন শওকত হােসেন, বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
কাহিনী গড়ে উঠেছে পুশমোলাইন রিভার উপত্যকাকে ঘিরে। ওই সময়ে জমির মালিক নির্দিষ্ট কেউ ছিল না। সরকার ছিল জমির মালিক। সবাই নিজের পছন্দ মতন জমি দখল করে র্যাঞ্চ অথবা চাষাবাদ (নেষ্টার) করে খেত। ভালই চলছিল সব। হঠাত ঝামেলা বাধে একদিন যখন জানা যায় সরকার জমি বিক্রি করবে নিলামের মাধ্যমে। শান্ত উপত্যকা অশান্ত হয়ে পড়ে। উপত্যকার সবচেয়ে বড় র্যাঞ্চার হ্যারিসন কনরয় পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয় নেষ্টারদের উচ্ছেদ করে নিজে দখল করতে চায় সে। সে জন্য নিলাম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় সে।আরেক রাঞ্চার রন অ্যালার্ড রুখে দাঁড়াল এর বিরুদ্ধে। সব নেষ্টার আর ছোট ছোট র্যাঞ্চারদের নিয়ে রুখে দাঁড়াল কনরয়ের পোষা গ্যানম্যানের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত হয়ে উঠল উপত্যকা।