Jump to ratings and reviews
Rate this book

তরঙ্গভঙ্গ

Rate this book
'তরঙ্গভঙ্গ' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র দ্বিতীয় নাটক। ১৩৭১ সালের আষাঢ় মাসে, অর্থাৎ ১৯৬৪-র জুন জুলাইয়ে, বাংলা একাডেমি এটি প্রকাশ করেছিল। তার পূর্বে এটি ত্রৈমাসিক ‘সংলাপ’ পত্রিকায় পরপর দু’সংখ্যায় বেরিয়েছিল ১৯৬২ সালে, ’একটি বিচারকের আত্মকাহিনী’ নামে।

95 pages, Hardcover

First published June 1, 1964

8 people are currently reading
97 people want to read

About the author

Syed Waliullah

21 books166 followers
Syed Waliullah was born on 15 August 1922 at Sholashahar in Chittagong. After completing his Bachelor’s from Ananda Mohan College in Mymensingh, he enrolled at Calcutta University but did not complete his Master’s. Proficient in both Bangla and English, he worked for the Statesman during 1945-1947. After the Partition, he moved to Dhaka and joined Radio Pakistan as assistant news editor. In 1950 he was posted to Radio Pakistan, Karachi. From 1951 to 1960 he served as press attache at Pakistan missions in New Delhi, Sydney, Jakarta and London. It was in Sydney that Waliullah met Anne-Marie Thibaud, whom he later married and who translated Lal Shalu into French. In 1960 Waliullah moved to Paris where he served as first secretary at the Pakistan Embassy till 1967 when he joined UNESCO. Syed Waliullah did not live to see the liberation of his motherland, passing away in Paris on 10 October 1971.

Syed Waliullah (Bengali: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ) is often considered the pioneer of existential analysis of the characters psyche and root cause analysis of social-psychic conflicts in the literature of Bangladesh. The last two of his three novels, specially Kando Nadi Kando, show his mastery in revealing the inner depths of his characters. Contemporary writer Shahidul Jahir was influenced by him.


Novels:
লালসালু(Tree without roots), ১৯৪৮
চাঁদের অমাবস্যা (Dark moon), ১৯৬৪
কাঁদো নদী কাঁদো (Cry, o river), ১৯৬৮
The Ugly Asian, 1959

Play:
বহিপীর (১৯৬০)
তরঙ্গভঙ্গ (The Breakers), ১৯৬৫
সুড়ঙ্গ (১৯৬৪)
উজানে মৃত্যু

Short story collection:
নয়নচারা (১৯৫১)
দুই তীর ও অনান্য গল্প (Akte Tulse Gaser Khine), ১৯৬৫

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
11 (30%)
4 stars
10 (27%)
3 stars
12 (33%)
2 stars
1 (2%)
1 star
2 (5%)
Displaying 1 - 3 of 3 reviews
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews86 followers
February 14, 2025
একজন মা নিজ সন্তান হত্যায় দায়ে আদালতে বিচারাধীন। সন্তান হত্যাকারিনীর কি ফাঁসি হবে? নাকি কেনো সন্তান হত্যার মত পাপ সে করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে;এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আদালতের কক্ষে এই নাট্য মঞ্চস্থ হয়।

দুই অঙ্কের এবজার্ডিস্ট নাটক। ওয়ালি উল্লাহ খুব নিপুণ ভাবে নীতি-নৈতিকতা, ধর্মীয় উন্মাদনা, বিচারকের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা,সমাজের নানা অসঙ্গতি বেশ চমৎকার বর্ণনা আর তাঁর স্বভাবসুলভ হিউমারে এই নাটকে নিয়ে এসেছেন। উপরন্তুু এই নাটক বাংলাদেশের থিয়েটারে একটানা মঞ্চায়িত সবচেয়ে সফল নাটকের একটি।কিন্তু ওয়ালি সাহেবের এই নাটক কিছুটা দুর্বোধ্য ঠেকেছে(বেশ প্রতীকী রচনা এটা)। রায় কি হয় সেটা ও তিনি বলেননি।

মে ২০২২
Profile Image for Shaon Arafat.
131 reviews31 followers
May 6, 2019
"হেঁয়ালির আগাছায় কার প্রাণ যায়
জজ না আসামী- কে কাঠগড়ায়?"

আদালতে একটি বিশেষ বিচারকার্য শুরু হয়েছে। আছেন বিড়ির গন্ধ সহ্য করতে না পারা জজ সাহেব, মহা ধুরন্ধর এক উকিল, বিশিষ্ট মৌলবী আবদুস সাত্তার নেওলাপুরী, একজন দার্শনিক কিসিমের ভিখারিনীসহ আরও অনেকে। কাঠগড়ায় যে আসামীটিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম আমেনা। গ্রাম্য মেয়ে; বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশ। তার অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর। নিজ সন্তানকে গলা টিপে হত্যা।

আদালত গ্রামের লোকজনে টাইটম্বুর। সবার দাবী একটাই - আমেনার ফাঁসি। সে যত অভাব-অনটনেই হোক না কেন, নিজের শিশু সন্তানকে নিজের হাতে গলাটিপে হত্যা করা মানে তো সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহকে সরাসরি অগ্রাহ্য করা! নাহ, এ অপরাধের কোন ক্ষমা নাই! ফাঁসির দঁড়িতে আমেনাকে ঝুলিয়েই ছাড়বে গ্রামবাসীরা। তার উপর আবার আসামীর বিপক্ষে সব সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে প্রখ্যাত এক ধুরন্ধর উকিল পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আছে। আমেনা নিজের অপরাধ অস্বীকারও করেনি। সুতরাং তার ফাঁসি একরকম নিশ্চিতই বলা যায়।

পুরো আদালতে একজন মানুষও পাওয়া যাচ্ছে না আমেনাকে সাপোর্ট করার মতো। জজ সাহেব কেন জানি এ মামলার রায় দিতে গিয়ে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেলেন। ঠিক সেই সময়েই মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে মতলুব আলী নামের জনৈক রহস্যময় ব্যক্তির। আদালতে বলা মতলুব আলীর গল্প, ভিখারিনীর বুদ্ধিজীবীময় কথাবার্তা, আর 'অপরাধ ও অপরাধী'র প্রতি জজের পরিস্কার দৃষ্টি মামলার একতরফা পাশায় রদবদল আনতে শুরু করে। একসময় জজ সাহেব আমেনার ফাঁসির রায় স্থগিত করে আদালত মুলতবি ঘোষনা করে দেন। নাটকের প্রথম অঙক শেষ এবং কাহিনীর আসল খেলাটা তখনই শুরু হয়।

'তরঙ্গ ভঙ্গ' সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র লেখা দুই অঙক বিশিষ্ট একটা পিচ্চি নাটক। তবে এই পিচ্চি নাটকের মধ্য দিয়েই অসাধারণ হিউমার আর স্যাটায়ার সম্বলিত আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা, আইন-কানুনের বিশৃঙ্খল অবস্থা, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সর্বোপরি দেশের হুজুগে মানুষের হুজুগে মনোভাবকে উনি যেভাবে চিত্রায়িত করেছেন- তা অবিশ্বাস্য। আপনি জানেননা, এমন কিছু এ বইতে নাই। সব পুরনো ঘটনা চিরায়তভাবেই এখানে ফিরে এসেছে। এবং বইয়ের ও তৎকালীন সমাজব্যবস্থার বাইরে এ'যুগেও হরহামেশাই ফিরে আসছে।

তবে বইটি পড়ার সময় আপনি একটা বড় সড় শক খাবেন, মাথায় একটা খুব জানা বিষয় অদ্ভুতভাবে ক্লিক করবে এবং পড়া শেষ করে মনে অতি বিষন্নতা ভর করার সম্ভাবনা প্রকটতর হয়ে উঠতে পারে।
Profile Image for Nuhash.
221 reviews8 followers
November 9, 2022
তরঙ্গভঙ্গ

অভাব আর দারিদ্র্য এর সংগ্রামের কাহিনী এতে বর্ণনা করা হয়েছে। দারিদ্রের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের লড়াই তিনি এতে ফুটিয়ে তুলেছে। দূর্বলকে কীভাবে সমাজ গলা টিপে হত্যা করছে তা লেখক তুলে এনেছেন। ক্ষুধার যন্ত্রণায় উদর যাদের ফেঁটে যাচ্ছে তাদের আবার কিসের বেঁচে থাকা।।

একজন দরিদ্র নারী যে তার সন্তান হত্যা করেছে নিজের হাতে, শুধু দারিদ্র্যের কারণে। যার স্তনে সন্তানকে দেওয়ার মত দুধের কোন চিহ্ন নেই শুধু মরুভূমির। তার ফাঁসির দাবি নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছে এক মাওলানা, আর জনসাধারণ। তারা শুধু ভিখারিনী আমেনার ফাঁসি চায়। কেউ জানতে চায় না কেন, তার জীবনের লড়াই থেমে গেছে জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের সাথে। বিচারকের সামনে ফরিয়াদ করে, তার ফাঁসির কিন্তু বিচারক জানে, মর্মমূলের তার কাহিনীর পশ্চাতে কোন সমাজ,কোন ব্যক্তি জড়িত। তিনি যেন দৈবচয়নে দেখতে পায়, আমেনা নির্দোষ। সকল দোষ এই সমাজের নিষ্ঠুরতার ।


Displaying 1 - 3 of 3 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.