What do you think?
Rate this book


368 pages, Hardcover
First published February 1, 2016
জিয়া বাংলা লিখতে-পড়তে জানতেন না। প্রথম দিকে তিনি বাংলায় যে বক্তৃতা দিতেন, সেগুলো উর্দুতে লিখতেন। লিখে তারপর তা-ই দেখে ভাষণ দিতেন... ভালো করে বক্তৃতা দিতে পারতেন না দিতে গেলে খালি হাত-পা ছুড়তেন। এসব দেখেটেখে যাদু একদিন আমাকে বলল যে, এরকম হলে কী করে তাঁকে আমি চালিয়ে নেব?”
আমি বললাম, 'দেখো, জিয়া বক্তব্য দিতে পারেন না ঠিক আছে। তিনি সবচেয়ে ভালোভাবে কী করতে পারেন, সেটা খুঁজে বের করো।'
জবাবে যাদু বললেন, 'হাঁটতে পারেন একনাগাড়ে ২০ থেকে ৩০ মাইল পর্যন্ত।'
আমি বললাম, এই তো পাওয়া গেল সবচেয়ে ভালো একটা উপায়, তুমি তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পাড়াগাঁয়ে হাঁটাও। হাঁটাও আর যেটা পারে তাঁকে দিয়ে সেটাই করাও। গাঁও-গেরামের রাস্তা দিয়ে যাবে আর মানুষজনকে জিজ্ঞেস করবে, 'কেমন আছেন?'
প্রেসিডেন্ট দেশের মিলিটারি লিডার, তিনি গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, কানাকানচি দিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন আর লোকজনের ভালোমন্দের খোঁজখবর করছেন, তাতেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন।
এভাবে দেখতে দেখতে তিনি বক্তব্য দেওয়াটাও রপ্ত করে ফেললেন। কিন্তু এ তো ঘটনার এক দিক। অন্য দিকটা হলো, যেখানে কোনো দিন যাননি ইউনিয়ন বোর্ডের একজন চেয়ারম্যানও, সেখানে খোদ দেশের প্রেসিডেন্ট যাচ্ছেন এবং তাঁর সঙ্গে অন্য আরও অনেকেই যাচ্ছেন। সেটা একটা বিশাল ব্যাপার। এসব দেখেটেখে গ্রামের লোকজন ভাবল, জিয়াউর রহমান এমন লোক, যিনি আমাদের খোঁজখবর রাখেন।
‘…বললেন, ‘ইয়েস খালিক, হোয়াট হ্যাপেনড?’ আই সেইড, ফায়ারিং হ্যাজ স্টার্টেড। ইপিআর ক্যাম্প হ্যাজ বিন অ্যাটাকড, ব্লা ব্লা ব্লা। উনি তখন চিন্তা করলেন। ‘খালিকুজ্জামান, খালিকুজ্জামান’। উনি শাউট করলে আমি আস্তে কথা বলি। সেম টোনে কথা বলি না। বললাম, ‘স্যার, স্যার’।
জিয়া: ‘হোয়াট শ্যাল উই ডু?’
আমি: ‘ইউ নো বেটার’।
জিয়া: ‘ইন দ্যাট কেইস উই রিভোল্ট অ্যান্ড শো আওয়ার এলিজিয়েন্স টু দ্য গভর্নমেন্ট অফ বাংলাদেশ’।