নাসির আলী মামুন একজন বাংলাদেশি প্রতিকৃতি আলোকচিত্রী, লেখক এবং সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। শিল্পাঙ্গনে তিনি "ক্যামেরার কবি" হিসেবেও পরিচিত। তিনি ১৯৫৩ সালের ১লা জুলাই পুরনো ঢাকার মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭২-এ নাসির আলী মামুন বাংলাদেশে পােট্রেট ফটোগ্রাফির সূচনা করেন। আমাদের কালের শ্রেষ্ঠ মানুষদের বিভিন্ন দুর্লভ মুহূর্তগুলাে অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন আলােকচিত্রে এবং তার ক্যামেরায় ধারণ করা খ্যাতিমানদের পােট্রেটের আলাে-আঁধারের ঐশ্বরিক স্পর্শ তাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সুনাম এনে দিয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাকার গ্রহণের অভিনবত্বের পাশাপাশি 'ঘর নাই' শিরােনামে তাঁর নেয়া গৃহহীনদের সাক্ষাঙ্কার সিরিজটি বাঙালি পাঠকদের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। এক্ষেত্রে তিনি এক নতুন ঘরানার জন্ম দিয়েছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ১০টি। গ্রন্থসমূহ : হুমায়ূন আহমেদ অনন্ত জীবন যদি, পূর্বদেশের মনীষী, পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফি, শামসুর রহমান আল মাহমুদ : তফাৎ ও সাক্ষাৎ, এস এম সুলতান : স্বদেশ প্রকৃতি মানুষ, এস এম সুলতান জীবন দর্শন ও শিল্প, গুন্টার গ্রাসের ঢাকা আবিষ্কার, আহমদ ছফার সময়, ঘর নাই, আলাপন, ঘর নাই ইত্যাদি।
দেশে ও বিদেশে একক আলােকচিত্র প্রদর্শনীর সংখ্যা ৫৩টি। একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। ইউরােপ-আমেরিকার বহু দেশ। আলােকচিত্রে বন্দি করেছেন। সেইসব দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। 'ফটোজিয়াম’ নামে ফটোগ্রাফির জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা। তিনি শিল্পকলা পদক, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, এম এ বেগ পদক, জীবনের জয়গান আজীবন সম্মাননা, ছবি মেলা আজীবন সম্মাননাসহ নানান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গড়পড়তা বই৷ যতটা আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছিলাম ততটাই হতাশ হয়েছি। নাসির আলী মামুনের সাক্ষাৎকার নেয়ার সবচেয়ে বড় ত্রুটি হচ্ছে উনি সবার সাথে একটা নির্দিষ্ট করা টপিক নিয়েই ঘুরপাক খান, ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিজের ঠিক করে রাখা বক্তব্যই যার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তার মুখ থেকে বের করার চেষ্টা করেন, ফলে শেষমেশ সাক্ষাৎকার গুলো তেমন একটা ইন্টারেস্টিং হয় না। এটা সাংবাদিকতার স্টাইল হতে পারে কিন্তু সাক্ষাৎকার নেওয়ার স্টাইল হলে সমস্যা।